আসসালামু আলাইকুৃম…. পরম
করুনা ময় আল্লাহর নামে শুরু… যারা
নিয়মিত সলাত আদায় করেও খেলা
দেখা নিয়ে মজে আছেন তারা
এই টিউন টা ভাল করে দেখুন। অবশ্য
এই টিউন টা সকল মুসলিম দের জন্য।
শাইখ মুযাম্মিল হক হাফিঃ এর
লিখা। অধ্যায়ঃ নিষিদ্ধ খেলা-
ধূলা
_
(১) টিভিতে ক্রিকেট কিংবা
ফুটবল খেলা দেখা কি জায়েজ,
নাকি নাজায়েজ? (২) বিশ্বকাপ
ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা দেখা
জায়েজ নয়। (৩) আরব দেশের
লোকেরা কিছু করলেই সেটা করা
সহীহ হয়ে যায়না! (৪) হক্ক কথা কটু
লাগে। (৫) “মাইসের” কি বড় গুনাহ
নয়?
_
টিভিতে ক্রিকেট কিংবা ফুটবল
খেলা দেখা কি জায়েজ নাকি
নাজায়েজ? আজ (২রা মার্চ, ২০১৬)
আমাদের মসজিদে সাপ্তাহিক
নিয়মিত ক্বুরআনের তাফসীরের
ক্লাস ছিলো। শুরুতেই ইমাম সাহেব
আফসোস করে বললেন, (টি-টুয়েন্টি
বিশ্বকাপ) খেলা দেখার কারণে
আজকে অনেক ভাইয়েরা আসে
নাই। আমিও বিষয়টা খেয়াল করে
দেখলাম, পরিচিত কিছু মানুষের
চেহারা অনুপস্থিত! বুদ্ধিমান ভাই
ও বোনেরা একটু চিন্তা করে
দেখুন, নিয়মিত নামায পড়ে,
ক্বুরআনের ক্লাস করে এমন
লোকদের অবস্থা যদি এতো
খারাপ হয় যে, সামান্য দুই পয়সার
খেলা দেখার কারণে ক্বুরআন
শিক্ষার মতো এই দুনিয়ার
সবচাইতে দামী জিনিসকে বর্জন
করে, তাহলে কলেজ
ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া যেই সমস্ত
ছেলে মেয়েরা বেনামাযী,
বেহায়া, বেপর্দা, প্রেম
ভালোবাসা, যিনা-ব্যভিচারে
লিপ্ত, হারাম ও অবৈধ ইনকাম করে,
তারা ক্বুরআনের সাথে কত বড়
গাদ্দারী করছে? মদ এবং জুয়া
খেলা সম্পূর্ণ “হারাম” এবং
“কবীরাহ গুনাহ”। একথার দলিল
স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা ক্বুরানে
দিয়েছেনঃ “হে ঈমানদারগণ! এই
যে মদ, জুয়া, মূর্তিপূজা এবং ভাগ্য-
নির্ধারক তীর, এই সবগুলো হচ্ছে
শয়তানের অপবিত্র, নোংরা কাজ।
সুতরাং, তোমরা এইগুলো থেকে
দূরে থাক, যাতে করে তোমরা
সফলকাম হও। ” সুরা আল-মায়ি’দাহঃ
৯০। সুতরাং, ক্বুরআনের স্পষ্ট
আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা মদ এবং
জুয়াকে শয়তানের ‘নাপাক’ কাজ
বলে ঘোষণা করেছেন। এবার
আসি জুয়া প্রসংগে। “জুয়া” কি?
ইসলামী শরিয়াতের পরিভাষায়,
জুয়া হচ্ছে এমন একটা খেলা, যেই
খেলাতে হার জিতের জন্যে
টাকা-পয়সা লেন-দেনের অনুমতি
নেই। অর্থাৎ, যেই খেলার জন্যে
খেলোয়াড়কে টাকা দিয়ে
ভাড়া করে আনা হবে বা
খেলোয়াড়কে “মজুরী” হিসেবে
টাকা দেওয়া শরিয়ত কর্তৃক অনুমতি
নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“শুধুমাত্র তিনটি বিষয় ছাড়া অন্য
যেকোন প্রতিযোগীতার জন্য
পুরষ্কার দেওয়া নিষিদ্ধ। যে
তিনটি খেলার জন্য পুরষ্কার
দেওয়া জায়েজ রয়েছেঃ (১)
তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা, (২)
উটের দৌড় প্রতিযোগিতা, (৩)
ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। ”
তিরমিযীঃ ১৭০০, নাসায়ীঃ
৩৫৮৫, ইবনে মাজাহঃ ২৮৭৮। শায়খ
আলবানী হাদীসটিকে সহীহ
বলেছেন, সহীহ আবু দাউদ। মুবারকময়
ইসলামী শরিয়াতের এই মহান
নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশ এবং
পাকিস্থান, ভারত, বা অন্য
যেকোন দেশের কিছু
খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি টাকা
বা পুরষ্কারের বিনিময়ে কোন
‘ফুটবল’ বা ‘ক্রিকেট’ খেলার
আয়োজন করা হয়, তাহলে সেই
খেলাটা শরিয়তের দৃষ্টিতে জুয়া
বলে গণ্য হবে। এই খেলাগুলো
যারা খেলবে (মাশরাফি,
আশরাফুল, তামিম, সাকিব এবং
অন্যান্যরা), অবৈধ খেলা থেকে
টাকা উপার্জন করার কারণে
ইসলামী শরিয়াহ অনুযারী তারা
“জুয়াখোর” বলে চিহ্নিত হবে।
জুয়া খেলা যেমন হারাম, ঠিক
তেমনি জুয়া দেখাও হারাম;
সেটা খেলার মাঠে হোক,
কিংবা টিভিতে দেখাই হোক
অথবা রেডিওতে শোনার
মাধ্যমে হোক হোক। এই সবগুলো
কাজ হারাম এবং নিষিদ্ধ।
আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, এই
ফতোয়া আমি কোথায় পেলাম।
বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে বড়
আলেমদের ফতোয়ার অনুবাদ আমি
নীচে বর্ণনা করছি।
_
বিশ্বকাপ ফুটবল/ক্রিকেট খেলা
দেখা জায়েজ নয় প্রশ্নঃ খেলা
দেখার হুকুম কি, যেমন বিশ্বকাপ ও
অন্যান্য খেলা-ধূলা? উত্তরঃ ‘ফুটবল
ম্যাচ’ যেইগুলো টাকা অথবা এমন
পুরষ্কারের জন্য খেলা হয় – এইগুলো
নাজায়েজ, কারণ এটা হচ্ছে জুয়া।
(টাকার বিনিময়ে ফুটবল/ক্রিকেট
খেলা জুয়ার অন্তুর্ভুক্ত। ) কারণ
ইসলাম অনুমতি দেয়নি, এমন খেলা
ছাড়া অন্য যেকোন খেলার জন্যে
পুরষ্কার নেওয়া জায়েজ নয়। আর
ইসলাম অনুমতি দিয়েছে পুরষ্কার
নেওয়ার এমন খেলা হচ্ছে ঘোড়া
দৌড় প্রতিযোগিতা, উটের দৌড়
প্রতিযোগিতা, তীর নিক্ষেপ
প্রতিযোগিতা। (এই তিনটা
খেলাধূলা ছাড়া অন্য যেকোন
খেলার জন্য পুরষ্কার নেওয়া
হারাম, কেউ পুরষ্কার নিলে
সেটা জুয়া বলে গণ্য হবে)। এই
নীতির উপরে ভিত্তি করে বলা
যায়, এই খেলাগুলোতে অংশগ্রহণ
করা হারাম, এবং যে ব্যক্তি এটা
জানে যে, এই খেলাগুলো
পুরষ্কারের জন্য খেলা হয়, তার জন্য
জায়েজ নয় যে সে এই খেলাগুলো
দেখবে। কারণ, এই খেলাতে
অংশগ্রহণ করা মানে এইগুলোকে
সমর্থন করা। কিন্তু, এইখেলা যদি
পুরুষ্কারের জন্য খেলা না হয়, এবং
কাউকে আল্লাহর হুকুম যেমন
সালাত ও অন্য ইবাদত থেকে
অমনোযোগী না করে, এবং
এইগুলোর সাথে কোন প্রকার
হারাম কাজ যেমন আওড়াহ প্রকাশ
করা, নারী-পুরুষ ফ্রী মিক্সিং,
গান-বাজনা ইত্যাদি জড়িত না
থাকে, তাহলে এমন খেলায়
অংশগ্রহণ করতে বা এমন খেলা
দেখতে কোন সমস্যা নেই। নিশ্চয়ই
একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সমস্ত
ক্ষমতার উতস। আল্লাহ নবী
মুহা’ম্মাদ, তারপরিবার ও তার
সাহাবীদের প্রতি শান্তি ও রহমত
বর্ষণ করুন। ফাতওয়া আল-লাজনাহ
আদ-দাই’য়িমাহঃ ১৫/২৩৮। স্থায়ী
ফাতওয়া কমিটির ফাতওয়া
নং-১৮৯৫১। স্থায়ী ফাতওয়া
কমিটির সদস্যবৃন্দঃ (১) শায়খ বাকর
আবু জায়েদ রাহি’মাহুল্লাহ, (২)
শায়খ সালেহ আল-ফওজান
হা’ফিজাহুল্লাহ, (৩) শায়খ আব্দুল
আ’জিজ ইবনে আবদুল্লাহ আলে-
শায়খ হা’ফিজাহুল্লাহ, (৪)
ফতোয়া কমিটির চেয়ারম্যানঃ
শায়খ আব্দুল আ’জিজ ইবনে
আবদুল্লাহ ইবনে বাজ
রাহি’মাহুল্লাহ।
_
আরব দেশের লোকেরা কিছু
করলেই সেটা করা সহীহ হয়ে
যায়না! প্রশ্নঃ টাকা দিয়ে যেই
ফুটবল খেলা হয় (যেমন-বিশ্বকাপ
ফুটবল), এইটা যদি “জুয়া” ও হারাম
হয়, এইটা দেখা যদি হারাম হয়
তাহলে সৌদি আরব ফুটবল খেলে
কেনো? সৌদি আরবে ফুটবল
খেলা দেখানো হয় কেনো?
উত্তরঃ ভাই মহান আল্লাহ বলছেন,
“তোমার উপর যা নাযিল করা
হয়েছে সেইটার অনুসরণ করো। ”
কুরআন হাদীসে এমন কোন কথা নাই,
সৌদি আরবের লোকেরা যা
করে, সেটার অনুসরণ করো। সৌদি
আরবে দুনিয়ার সবচাইতে ভালো
মানুষ, খাটি মুসলমান আছে, আবার
দুনিয়ার সবচাইতে খারাপ নিকৃষ্ট
মানুষেরাও আছে। সৌদি আরবে
বহু মানুষ আছে দাড়ি রাখেনা,
বেপর্দা চলাফেরা করে,
সিগারেট খায়, এতো এতো
সৌদিরা এইগুলো করে বলে
এইগুলো কি জায়েজ হয়ে যাবে
নাকি? তবে হ্যা, কুরআন ও
হাদীসে এমন কথা রয়েছে যে,
তোমরা আলেমদের আনুগত্য করো।
মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “হে
ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর
আনুগত্য কর, আনুগত্য কর রসূলের এবং
তোমাদের মধ্যে যারা
ক্ষমতাসীন, তাদের আনুগত্য কর।
অতঃপর যদি কখনো তোমরা
কোন বিষয়ে মতবিরোধ কর,
তাহলে সেই বিষয়টা আল্লাহ ও
তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর, যদি
তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত
দিবসের উপর সত্যিকারের
বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই
তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং
পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। ” সুরা
আন-নিসাঃ ৫৯। আর সৌদি আরবে
দুনিয়ার সবচাইতে বড় আলেম
উলামা ও মাশায়েখরা আছেন,
যদি মানতেই হয়, তাহলে
সত্যিকারের ওলামায়ে
রব্বানীদের আনুগত্য করতে হবে।
উপরে আমি সৌদি আরবের
সবচাইতে সম্মানিত ফতোয়া
বোর্ড থেকে বড় বড় আলেমদের
ফতোয়া উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং, আপনারা সিদ্ধান্ত নেন,
সৌদি আরবের যারা মূর্খ লোক,
তাদের অনুকরণে হারাম কাজে
লিপ্ত হবেনা। নাকি, সম্মানিত
আলেমদের ফতোয়া মেনে নিয়ে
হারাম কাজ থেকে বিরত
থাকবেন?
_
হক্ক কথা কটু লাগে আমরা যখন
নিষিদ্ধ এবং হারামের মতো
কোন বিষয়ের উপরে লিখি, তখন এই
সমস্ত হারাম কাজে লিপ্ত
একশ্রেণীর মুসলমান নারী ও
পুরুষেরা গালি দিতে শুরু করে।
আমি সেই সমস্ত অতি জ্ঞানী ভাই
ও বোনদেরকে বলবো, আপনাদের
কাছে আমার এই লেখা যদি সঠিক
মনে না হয়, তাহলে আপনার
আশেপাশে সবচাইতে বড় যেই
মসজিদ বা মাদ্রাসা আছে,
সেখানের সবচাইতে বড় মুফতি
সাহেবকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন,
“এই যে টি টুয়েন্ট, বিশ্বকাপ
ক্রিকেট, ফুটবল খেলা দেখা
জায়েজ আছে কিনা?” যদি
এতোটুকু কষ্ট করতে না চান আর
প্রবৃত্তির অনুসরণ চালিয়ে যেতে
চান, তাহলে সেটা করুন। কিন্তু
কোন ইসলামী পেইজে এসে
গালিগালাজ করে আপনার
নোংরা ও আহাম্মকি চরিত্রটা
দুনিয়ার সামনে প্রকাশ করবেন না।
পাপ করছেন সেটা গোপন রাখেন,
আর গোপনেই আল্লাহর কাছে
তোওবাহ করতে থাকেন। আল্লাহর
কাছে সাহায্য চান যেনো এই
হারাম ও খবিস কাজ থেকে বের
হয়ে আসতে পারেন। কিন্তু
প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে গিয়ে কোন
হালাল কাজকে হারাম বা
হারাম কাজকে হালাল ফতুয়া
দিয়ে নিজেকে জাহান্নামের
খড়ি-কাঠি বানাবেন না।
প্রবৃত্তির পূজারী লোকদের
উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ্ তাআ’লার
বক্তব্য, “(হে নবী!) আপনি কি তার
দিকে লক্ষ্য করেন নি, যে তার
নিজের হাওয়া (প্রবৃত্তিকে) মাবূদ
হিসেবে গ্রহণ করেছে? তবুও কি
আপনি তার যিম্মাদার হবেন?
আপনি কি মনে করেন যে, তাদের
অধিকাংশ শোনে অথবা
বোঝে? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর
মত; বরং তার চাইতেও পথভ্রষ্ট। ”
সুরা আল-ফুরক্বানঃ ৪৩-৪৪। মহান
আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন, “আর
আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের
জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর
আছে, কিন্তু তার দ্বারা তারা
চিন্তা-ভাবনা করে না, তাদের
চোখ আছে কিন্তু তার দ্বারা
তারা দেখেনা, আর তাদের কান
আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা
শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত;
বরং তাদের চাইতেও নিকৃষ্টর।
তারাই হল উদাসীন ও
শৈথিল্যপরায়ণ। ” সুরা আল-
আ’রাফঃ ১৭৯। সর্বশেষ, কেয়ামত
সংঘটিত হওয়ার পূর্বে একের পর এক
নিত্য-নতুন ফেতনা যখন
মুসলমানদেরকে গ্রাস করবে,
তখনকার যুগে মানুষের ঈমানের
যেই হবে সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, “আঁধার রাতের
অবিরাম খন্ডের মত কৃষ্ণ-কালো
ফেতনা আবর্তিত হওয়ার পূর্বেই
তোমরা দ্রুত নেক কাজে
মনোনিবেশ কর। (এমন একটা সময়
আসবে যখন) মানুষ সকাল বেলা
মুমিন কিন্তু বিকেল বেলা সে
হবে কাফের। আবার কেউ সন্ধ্যা
বেলা মুমিন হবে তো সকাল
বেলা হবে কাফের। দুনিয়াবি
সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে সে
দ্বীনকে বিক্রি করে ফেলবে। ”
সহীহ মুসলীম।
_
“মাইসের” কি বড় গুনাহ নয়? মহান
আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “শয়তান
তো শুধুই চায় মদ ও মাইসের দ্বারা
তোমাদের মধ্যে দুশমনি আর
হানাহানি সৃষ্টি করতে। এবং
তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও
নামায থেকে বিরত রাখতে।
সুতরাং, তোমরা কি এখনও কি তা
পরিত্যাগ করবে। ” সুরা আল-
মায়ি’দাহঃ ৯১। আল-কাসেম ইবনে
মুহাম্মাদ রাহি’মাহুল্লাহ বলেন,
“মাইসের হল ঐ সমস্ত খেলা, যা
মানুষকে আল্লাহর স্মরন, আনুগত্য ও
ইবাদাত থেকে দূরে সরিয়ে
রাখে। ” তাফসীরে ইবনে কাসীর।
ফুটবল, ক্রিকেট, হকি খেলোয়াররা
কি খেলতে মাঠে নেমে নামায
পড়তে পারেন? কুরআন, কিতাব
শেখার বা পড়ার সুযোগ করতে
পারেন? এইভাবে
খেলোয়াড়েরা বেহুদা কাজে
লিপ্ত হয়ে ফরজ কাজ বাদ দেয়,
কিন্তু খেলায় জিতে সিজদায়
লুটিয়ে পড়ে! এতে আল্লাহ খুশী
না হয়ে ভীষণ রেগে যান, তাতে
কোন সন্দেহ নেই! শারীরিক
সুস্থতার জন্যে যতটুকু দরকার, ততটুকু
খেলার জন্যই অনুমতি ইসলাম
দিয়েছে, কিন্তু তার অধিক নয়। অথচ
একজন খেলোয়াড়ের সারা জীবন
খেলাতেই কেটে যায়। যেন
খেলার জন্যেই তাকে সৃষ্টি করা
হয়েছে। তার পদাঙ্ক অনুসরণে
আরো লক্ষ লক্ষ যুবক ‘স্টার’ হওয়ার
উদ্দেশ্যে সকল শক্তি-সামর্থ্য ব্যয়
করে। এজন্য কে দায়ী থাকবে?
আল্লাহর নিকট যা অসন্তোষ মূলক,
সেই কাজ করা আর তাতে
সহযোগীতা করা সমান অন্যায়।
ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার ফ্যান
বা ভক্ত হয়ে উৎসাহ দেওয়া আর এই
খেলাগুলোকে ব্যবসায় রূপান্তরিত
করতে সাহায্য করাও কি নিষিদ্ধ
কর্মে সাহায্য করার অন্তর্ভুক্ত নয়?
আসলে এসব-ই মাইসের, মাইসের কি
বড় গুনাহ নয়? লিখছেনঃ Shaikh
Muzammel Al-hoque বি:দ্র >>> “copy
paste” টিউন টা করার উদ্দেশ্য
অন্যান্য মুসলমানকে জানিয়ে
দেওয়া। “Admin ভাইদের নিকট
অনুরোধ থাকবে টিউন টা যেন
deleted না করে.” টিউন টা পড়ার
পর আপনার মতামত শেয়ার
করুন.
আমি রিদয় মিনি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।