কম্পিউটার যখন প্রথম দিকে বাজারে আসে তখন তাতে ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিল না। যে কারণে এতে স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার হতো ফ্লপি ডিস্ক। অর্থাৎ কম্পিউটারের নিজস্ব স্টোরেজ না থাকায় ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভকে স্টোরেজ সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই ডিস্কের নাম ছিল A ড্রাইভ।
তখন ফ্লপি ডিস্ক দুই ধরনের ছিল। মূলত আকারের দিক থেকে এর দুটি ধরন আলাদা করা হতো। একটি ধরনের আকার ছিল ৫ দশমিক ২৫ ইঞ্চি এবং অন্যটির ছিল ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি। কম্পিউটারে যখন উভয় ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো, তখন একটি A এবং অন্যটি B ড্রাইভ হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করে।
১৯৮০-এর দশকে যখন কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসে, তখন ধারাবাহিকতা অনুসারে সেটি সি ড্রাইভ নামে ব্যবহার হতে থাকে। কারণ তখনও কম্পিউটারে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে এ ও বি ড্রাইভ ছিল। তখন ফ্লপি ডিস্কের প্রচলন ছিল বলে হার্ডডিস্ক আসার পর বর্ণমালার ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সেটার নাম হয় সি।
ধীরে ধীরে ফ্লপি ডিস্ক বাজার থেকে উঠে যায়। বিদায় নেয় এ ও বি নাম দুটি। কিন্তু হার্ডডিস্ক থেকে যাওয়ায় মূল ড্রাইভ হিসেবে হার্ডডিস্ক সি নামেই রয়ে গেছে। তবে আপনি চাইলে কম্পিউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপশন থেকে সি ড্রাইভের নাম এ করতে নিতে পারবেন।
আমি আহাম্মাদ খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।