হাঁটুতে ব্যাথা এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত বিশেষত আমাদের মধ্যে যারা সিনিয়র সিটিজেন আছেন বা আমাদের দাদা দাদি নানা নানি তারা সকলেই কমবেশি হাতুব্যাথায় সাফার করে থাকেন।
হাঁটু ব্যাথা হলে কি করবেন?কিভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাবেন বা অল্প বয়সেই হাতুব্যথা হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাবেন এ নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন
বাংলায় যাকে আমরা হাঁটু বাথা বলি সাধারণত মেডিক্যাল এর ভাষায় একে অষ্টিওআর্থাইটিস বলা হয়, আপনি একে সহজভাবে বয়সজনিত হাঁটু ক্ষয়ও বলতে পারেন।
এটি সাধারণত ৪০ বছর বয়স থেকে শুরু হয় আর চলতে থাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি না আপনি একে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে না রাখেন।
কথায় বলে “প্রতিকার এর থেকে প্রতিরোধই উত্তম”। তাহলে আসা যাক হাঁটু বাথা কেন হয়?
১। বয়সঃ সাধারণত ৪০ বছর বয়স এর পর থেকেই এটি শুরু হতে পারে
২। অতিরিক্ত ওজনঃ আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত হয় তবে ধরে নিন আপনি অষ্টিওআর্থাইটিস অন্যতম প্রধান রিস্ক এর ভেতরে রয়েছেন
৩। খাদ্যাভ্যাসঃ নিয়মিত পুষ্টিকর ও ব্যাল্যান্সড খাদ্যাভ্যাস আপনাকে অল্প বয়সে অষ্টিওআর্থাইটিস হওয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।
৪। দুর্ঘটনা জনিত আঘাতঃ দুর্ঘটনা তো আর বলে কয়ে আসেনা তবে সাবধানতা আপনাকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে।
৫। লিঙ্গঃ অল্প বয়সে অষ্টিওআর্থাইটিস সাধারণত মেয়েদের বেশি দেখা যায় বিশেষত ৪০ ঊর্ধ্ব টিউন মেনোপউসাল বা মাসিক বন্ধ হয়ার পরে।
৬। ইনফেকশনঃ জীবাণু দ্বারা যদি আপনার অস্থিসন্ধি সংক্রমণ হয় তবে অল্প বয়সেই অষ্টিওআর্থাইটিস দেখা দেয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যেমনঃ টিবি বা যক্ষ্মা, সেপ্টিকআর্থাইটিস ইত্যাদি।
এ ছাড়াও বাত জনিত অসুখ থেকেও অল্প বয়সেই অষ্টিওআর্থাইটিস দেখা দিতে পারে
অষ্টিওআর্থাইটিস হলে কিভাবে বুঝবেন অথবা এর উপসর্গই বা কেমনঃ
১। জয়েন্ট এ ব্যাথা
২। জ্বালাপোড়া করা
৩। গায়ে গায়ে জ্বর
৪। শিরশির করা
৫। হাঁটা চলা ঠিক ভাবে না করতে পারা
৬। সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা কষ্টকর হওয়া
৭। দৈনন্দিন কাজকর্মে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা
৮। হাত-পা ফুলে যাওয়া
৯। পা বেঁকে যাওয়া
১০। জয়েন্টে কট কট শব্দ হওয়া ইত্যাদি
অষ্টিও আর্থাইটিস সম্পর্কে আর জনুন -
আমি ডা মোঃ হাসিবুল হাকাম ইবনে সামাদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 33 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Dr MD HASSIBUL HAKAM IBN SAMAD MBBS,MpH(PUBLIC HEALTH) PUBLIC HEALTH SPECIALIST
ঘুরে আসুন আমার ব্লগ থেকে http://sasthototho.blogspot.com/2018/01/blog-post_25.html