এমেচার বা হ্যাম রেডিও হল একটি খুবই উচ্চতর শখ(Hobby)। আমি বলি নিজের খেয়ে বোনের মহিষ তাড়ানোর মতো শখ। আমার এই কোথায় কষ্ট পাবেন না আমি আপনাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বলছি না। তবে ব্যাপার টা হবে এই রকম। আমি অনেক মানুষ দেখেছি যারা শখের করে মোবাইল ফোন কিনে যার আক্তার দাম বাংলাদেশী টাকায় ৬০, ০০০ বা তার বেশি হবে আবার অনেকে শখ করে ডাকটিকেট অথবা মুদ্রা সংগ্রহ করে আবার অনেকে বন্ধুত্ব করতে ভালো বাসে। এগুলি বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন প্রকের শখ থাকে। তেমনি এক শখ এমেচার বা হ্যাম রেডিও।
এমেচার বা হ্যাম রেডিও দিয়ে যে কাজ করা যাই তা হলো রেডিও কমুনিকেশন, ডেটা ট্রান্সফরত, গুপ্ত রেডিও স্টেশন খোঁজ, রেডিও কনফারেন্স করা,
উপগ্রহ যোগাযোগ বা এস্ট্রোনট কমুনিকেশন ইত্যাদি।
আবার একটা ঘটনা বলি।
ঘটনাটা ছিল এই রকম, ভারতের গুজরাটের ভুজ শহরের কুয়াশা জড়ানো শীতের সকাল। রাতের নিঝুমতা কাটিয়ে সবে ভোরের আভায় জেগে উঠছে শহরটি। আচমকা প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনিতে নড়ে উঠল সবকিছু। ধসে পড়ল ভারতের গুজরাটের ভুজ শহর সবকিছু।
চোখের পলকে চার লাখ ঘরবাড়ি নিপাতিত হলো মাটিতে। প্রাণ হারাল প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আহত হলো এক লাখ ৬৭ হাজার মানুষ। যোগাযোগব্যবস্থা বলতে আর কিছুই রইল না। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারির।
এ ভয়ংকর দুর্যোগে বিপন্ন মানবতার সাহায্যে এগিয়ে এলেন কিছু মানুষ। তাঁদের হাতে ১০০ ওয়াটের একটি ট্রান্সমিটার। গাড়িতে ব্যবহারের উপযোগী ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারি আর কিছু তার। ঘটনাস্থলেই পাওয়া গেল লম্বা একটি বাঁশ। সেটি ব্যবহার করা হলো টাওয়ার হিসেবে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে চালু হয়ে গেল বেতারকেন্দ্র। এ কেন্দ্রের সঙ্গে একে একে যুক্ত হলেন ১৫০ ব্যক্তি। হাতে একটি করে ওয়াকিটকি। তাঁরা ছড়িয়ে পড়লেন শহরের সর্বত্র। এরপর পৃথিবী জানল ভারতের গুজরাটের ভুজের মর্মান্তিক দুর্যোগের সংবাদ।
সেদিন যাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন শৌখিন রেডিও অপারেটর বা হ্যাম রেডিও অপারেটর। দুনিয়াজুড়ে তাঁরা পরিচিত ‘হ্যাম’ নামে। শুধু ভারতের কথা কেন, আমাদের দেশে ১৯৯১ সালের সেই ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কক্সবাজারে ছিলেন একদল হ্যাম। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজারের পুরো যোগাযোগব্যবস্থা সেদিন অকেজো হয়ে পড়েছিল। এগিয়ে এসেছিলেন একজন জাপানি শৌখিন রেডিও অপারেটর। তাঁর বেতার থেকে সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে।
দুর্যোগে যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়, যোগাযোগব্যবস্থা বলতে আর কিছুই থাকে না, ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন হ্যাম। অ্যামেচার রেডিও বা শৌখিন বেতার যোগাযোগব্যবস্থায় একজন ব্যবহারকারী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ বেতার গ্রাহক ও প্রেরকযন্ত্রের অধিকারী। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বেতারতরঙ্গ ব্যবহার করে নিজের শহর, দেশ, এমনকি পৃথিবীর যেকোনো দেশের ওই ধরনের বেতারযন্ত্র ব্যবহারকারীর সঙ্গে তথ্য বিনিময় করা যায়।
এমেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিও হচ্ছে একটি বশ্বিব্যাপি রেডিও কমিউনিটি যারা রেডিওর মাধ্যমে সারা বিশ্বের প্রায় ৩ মিলিয়ন ব্যক্তি নিজেদের মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেনে। ২০০৪ সালরে জরপি অনুযায়ী আমেরিকায় ৭ লক্ষ, জাপানে ৬ লক্ষ, দক্ষিণ কোরয়িায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার, থাইল্যান্ডে ১ লক্ষ ৪০ হাজার, কানাডায় ৫৭ হাজার, র্জামানতি ৭০ হাজার, ইংল্যান্ডে ৬০ হাজার, সুইডেনে ১১ হাজার, নরওয়েতে ৫ হাজার এবং আমাদরে র্পাশ্বর্বতী দশে ভারতে ১৬ হাজাররে ও বেশি হ্যাম এই বষিয়ে যথষ্টে এগিয়ে আছে। তারা স্বেচ্ছা শ্রমরে ভত্তিতিতে কাজ করে।
এমেচার রেডিও কিন্তু শুধু কথা বলার জন্য নয়, এই রেডিও ব্যবহার করে আপনি এমেচার স্যাটালাইট, এমেচার তেলিভিশন স্লো-স্ক্যান টিভি, ফাস্ট-স্ক্যান টিভি, ডাটা ট্রান্সমশিনরে বিভিন্ন মোডরে ব্যবহার, র্মোস কোড ও রেডিওকে মডমে হিসেবে ব্যবহার করার মতো আরো অনকে মজার মজার কাজ করতে পারবনে। দুর্যোগের সময়ে এমেচার রেডিও খুব কাজে লাগে কারণ তখন ফোন নেটওয়ার্ক কাজ করে না। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এসব কাজে আমাদরে সাহায্য করার জন্য সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ হ্যাম বসে আছে, যাদের শখই হলো বিনা মূল্যে অন্যান্য হ্যামদেরকে সাহায্য করা এবং এমেচার রেডিও নিয়ে গবষেণা করা।
বিশ্বের প্রথম এমেচার রেডিও স্টেশন পরচিালনা করছেলিনে যে তিনজন তারা ছিলেন Albert S Hyman, Bob Almy এবং Poogie Murray। তারা তাদরে স্টেশন এর নামকরন করছেলিনে “Hyman-Almy-Murray” বা Hyalmu। কিন্তু ১৯০১ সালে Hyalmo রেডিও স্টেশন এবং মক্সেকিান জাহাজ Hyalmo এর প্রেরিত বেতার সংকতে সনাক্তকরনে গোলযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তারা তাদরে তিন জনরে নামরে প্রথম অক্ষরগুলো ব্যবহার করে তাদরে ষ্টশেনরে নামকরন করনে “HAM” বা হ্যাম। তাদরে সেদিনের উদ্যোগরে ফলে বশ্বিব্যাপী এই সার্ভিসটির নামকরন করা হয় “HAM” এবং আশা করা যায় শেষ র্পযন্ত এটি “HAM” নামইে বিদ্যমান থাকবে।
আপনি যদি এমেচার বা হ্যাম রেডিও অপারেটর হতে চান তাহলে প্রথমেই লাগবে আপনার ইচ্ছা শক্তি, অরাজনৈতিক মনোভাব, সাহায্য করার মনোভাব আর পর প্রয়োজন BTRC অনুমোদন যা আপনাকে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে পেতে হবে এরপর আপনি আপনার কল সাইন এর জন্য আবেদন করবেন, আপনি কল সাইন হলে আপনি একজন হ্যাম রেডিও অপারেটর। আপনার কল সাইন হবে S২১**** এই রকম যেমন আমার কল সাইন S২১H। S২১ বাংলাদেশ এর কোড, ফোন যেমন +৮৮ তেমনি। আপনার শুভ কামনায় আমাদের এমেচার বা হ্যাম রেডিও অপারেটর জগতে স্বাগতম জানানোর অপেক্ষায় S21H।
বিটিআরসি-র ওয়েবে http://www.btrc.gov.bd
আমি henry। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।