কেন ইসলামে মেয়েদের বোরকা পরতে হবে? তাহলেকি এই নিয়ম দ্বারা নারীদের ছোট করা হচ্ছে না?
ইসলাম পুরুষ ও নারীর অবাদ মেলামেশাকে সমর্থন করে না। যদি বলা হয় ইসলামে শুধু নারীদের ই পর্দা করতে হবে, তাহলে তা ভুল হবে। কুরআন নারীদের হিজাব বা পর্দা করার আগে পুরুষদের হিজাব পালনের জন্য বলছে।
সূরা নূর, ২৪ নং সূরা, ৩০ নং আয়াতে বলা আছে যে,
"মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে।"
ঠিক তার পরের আয়াত টা আছে নারীদের ব্যাপারে, সূরা নূর, ২৪ নং সূরা, ৩১ নং আয়াত
"মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। আর যেটা প্রকাশ থাকে, তা ছাড়া যেন তারা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। এবং..."
সেখানে একটা তালিকা দেয়া আছে, যেখানে বলা আছে কাদের সামনে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশে কোনো সমস্যা নেই, তারা হল স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ।
এবার তুলনা করে দেখি, যে সমাজে পর্দা আছে, আর যে সমাযে পর্দা নেই
পৃথিবীর মধ্যে যে দেশে সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংগঠিত হয়, সেটি হলো আমেরিকা। আর একটা FBI এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে ১০২৫৫৫ জন মহিলা ধর্ষিনের রিপর্ট করা হয়েছে। আর রিপোর্ট করা হয়েছে ১৬%। FBI এর রিপোর্ট!
আর যদি ১০২৫৫৫ কে ৩৬৫ দিয়ে ভাগ করেন, তাহলে বোঝা যায় প্রতিদিন ২৮০+ এর ধর্ষনের রিপোর্ট করা হয়েছে।
এটা ছিলো ১৯৯০ সালে।
আর ১৯৯৩ সালের রিপোর্ট বলছে প্রতি ১.৩ মিনিটে একজন মহিলা ধর্ষিত হচ্ছে। কারন টা কি জানেন? কারন আমেরিকা নারীদের অনেক অধিকার দিয়েছে। তাই অনেক মহিলা ধর্ষিত হচ্ছে। আর এদের মধ্যে মাত্র ১০% কে অ্যারেষ্ট করা হয়েছে। ১৬% রিপোর্ট করা হয়েছে আর ১০% অ্যারেষ্ট করা হয়েছে। মানে সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে ১.৬% অ্যারেষ্ট করা হয়েছে। আর তার মধ্যে ৫০% কে বিচার শুরুর আগের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মানে সব মিলিয়ে ০.৮% ধর্ষন এর বিচার করা হয়েছে।
আর ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল ক্রাইম বুরোর রিপোর্ট অনুযায়ি, রিপোর্টটি এসেছে ১৯৮২ সালের ১লা ডিসেম্বরে, যে প্রতি ৫৪ মিনিটে ১ টি ধর্ষনের রিপোর্ট করা হয় আর প্রতি ২৬ মিনিটে ১ টি করে ধর্ষন করা হয়।
একটা সহজ প্রশ্ন, যদি আমেরিকায় সব নারী হিজাব পালন করে, বোরকা পরে রাস্তায় বের হয়, পর্দা মেনে চলে, তাহলে ধর্ষনের হার বাড়বে, একই রকম থাকবে নাকি কমবে?
যদি সব নারী হিজাব মেনে চলে ও তাদের মধ্যে এক জন না মানে, তাহলে পুরুষদের আদেশ দেয়া হয়েছে, মহিলারা পর্দা না মানলেও তাদের দৃষ্টি নিচু করতে হবে। তবুও যদি কোনো পুরুষ কোনো নারীকে ধর্ষন করে, ইসলামিক আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। মৃত্যু দন্ডের আইনটিকে আপনারা বলবেন রর্বর আইন।
একটা প্রশ্ন করি, যদি আপনা মাকে কেউ ধর্ষন করে, আর বিচারক আপনি থাকেন, তাকে কি শাস্তি দেবেন? এ পর্যন্ত যত জনকে প্রশ্নটি করা হয়ছে, তাদের সবাই বলেছে, তাকে আমি মৃত্যু দন্ডদিবো। কেউ বলেছে তাকে অত্যাচার করে মারবো। নারীদের এভাবে কাগজে কলমে অনেক অধিকার দিলেও তাদের বাস্তবে নামিয়ে দিচ্ছেন উপপত্নীত আর রক্ষিতার স্তরে।
শেষ প্রশ্নঃ ধরুন ২ যময বোন দেখতে খুবই সুন্দর, স্মার্ট, ফর্সা। তারা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আর রাস্তার পাশেই একটা মাস্তান দাঁড়িয়ে আছে মেয়েদের উত্তক্ত করার জন্য। ২ বোনের মধ্যে এক বোন ইসলামিক হিজাব আর বোরকা পরে আছে। আরেক বোন পরে আছে সর্ট স্কার্ট, তথাকথিত আকর্ষনীয় ড্রেস তথা পশ্চিমাদের পোষাক। এখন মাস্তান টা কোন বোনকে টিজ করবে? যে বোন ইসলামিক পোষাক পরে আছে তাকে? নাকি যে বোন পশ্চিমাদের পোশাক পরে আছে তাকে?
সে মিনি স্কার্ট পরা মেয়েকেই টিজ করবে।
তাই ইসলামে নারীদের পর্দার মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে, এতে নরীদের ছোট করা হয়নি, তাদের শালীনতা বজায় রাখে।
আর বোরকা পরেই কেবল পর্দা করতে হবে তা নয়! শুধু হাতের সামনের অংশ, মুখমন্ডল এবং পায়ের পাতা ছাড়া নারীদের শরীর বাকি পুরোটুকুই ঢেকে রাখতে হবে, আর পুরুষের হাটু থেকে নাভি পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে। এবং তা টাইট হতে পরবে না পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই। এবং তা এমন ঝাকঝমক পূর্ণ্য হতে পারবে না, যে বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকৃষ্ট করে! এবং সে পোষাক কখনো ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের চিহ্ন বহন করবে না। আর সে পোষাক কখনো বিপরীত লিঙ্গের পোষাক হতে পারবে না। আপনাদের সবার উপর আল্লাহর শান্তি দয়া ও রহমত বর্ষিত হোক। আংশিক কপি করা হয়েছে Dr.Zakir Abdul Karim Naik এর লেকচার থেকে।
facebook: http://facebook.com/hasib3g
আমি তারুল খান তারুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am I
খুব সুন্দর হয়েছে।