স্বপ্ন ছিল কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু আর সেই স্বপ্ন পুরন হল না।
বন্ধুর জানাজা পড়তে হবে অন্তত এটা ভাবিনি। কাল রাতে তুই বললি দেখা করবি,সেতো দেখা হল।
সেটাযে তোর জানাজা হবে কে জানতো?
অন্য কে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলি।
আমি এখনও মনে হলে স্তব্ধ হয়ে যাই।
সম্ভাব্য বিপদ আচ করেও শুধুমাত্র মানবতার খাতিরে যে এগিয়ে গিয়েছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত কাউকে সাহায্য করতে।অন্য মায়েক বুক খালি হওয়া ঠেকাতে গিয়ে নিজের মায়ের বুকই খালি করে গেল। 😭
বর্তমানের এই বিজ্ঞানের আবেগ- বিবেক হীন যুগে এ ধরনের উদাহরণ খুজে পাওয়া যায় না। দোস্ত তোর মত কিছু মানুষ আছে বলেই আজও পৃথিবী টা সুন্দর।
চারপাশে যখন অন্যায়ের ছড়াছড়ি, কারো বিপদে কেউ এগিয়ে আসে না, বিপদগ্রস্থকে দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যায় নগরবাসী, তখনই প্রতিবাদের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জীবন উৎসর্গ করলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী খন্দকার আবু তালহা।
ঘটনা গতকাল রোববার (৮ অক্টোবর, ২০১৭)। সকাল ৮টার ক্লাস ধরবেন বলে ভোর সাড়ে ৬টায় বাসা থেকে বের হয়েছিলেন আবু তালহা। সকালটা আর দশটা সকালের মতোই ছিল। শান্ত, স্নিগ্ধ কোলাহলমুক্ত। যখন বাসা থেকে বের হয়েছেন আবু তালহা, তখনো পুরোপুরি জেগে ওঠেনি মহানগরী। কিন্তু আবু তালহা জানতেন না, কয়েকজন ছিনতাইকারী ঠিকই জেগে উঠেছে টিকাটুলির কে এম দাস লেনে। এই লেনেই বাসা আবু তালহার। বাসা থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় বের হয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বাস স্ট্যান্ডের দিকে। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেন নি। বাসা থেকে মাত্র ১০০ গজ যেতেই চারজন ছিনতাইকারী পথ আটকায় তার। অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয় মোবাইল-মানিব্যাগসহ সবকিছুু। বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হয় আবু তালহার। তিনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন ঘটনাস্থলে। তারপর সামনে তাকিয়ে দেখেন খানিকটা দূরে একই কাজ করছে ওই চার ছিনতাইকারী, আরেকটি রিকশা আটকে। তার হয়তো মনে পড়ে যায় ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃনা যেন তারে তৃনসম দহে’ ছোটবেলায় পড়া কবিতার চরণ। তিনি দৌড়ে গিয়ে বাধা দিতে চেষ্টা করেন, জাপটে ধরেন একজন ছিনতাইকারীকে। তখন ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করে ছিনতাইকারীরা এবং তালহাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে।
এরমধ্যে জড়ো হয়ে যায় এলাকাবাসী ও তালহার পরিবারের লোকজন। দ্রুত নিয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সকাল সাড়ে আটটায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আবু তালহা।নিহত আবু তালহা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ঘুমিয়ে থাকবে জনগন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর এভাবেই নিরীহ জীবন যাবে আর বসে বসে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। আর যাতে কোন মা-বাবার কোল খালি না হয়, আপন কোন ভাইয়ের মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করতে না হয় যেন কোন বোনকে,হারাতে না হয় যেন আমাদের কোন আপনজনকে সেই দাবি নিয়ে,
আগামিকাল ঠিক ৯.৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবু তালহা হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করতে যাচ্ছি আমরা।
তাই বিনীত অনুরোধ আপনারাও যোগদান করুন আমাদের সাথে যাতে করে খুনিদের শাস্তি হয় তালহার আত্মা শান্তি পায়, আর এমন ভাবে যেন কাউকে হারাতে না হয় কারোর..
আল্লাহ্ তোকে বেহেস্ত নসীব করুক। (আমীন)
আমি কাজী শামীম শাহারিয়ার ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 121 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।