অাসসালামু আলাইকুম।
😆 টেকটিউনস কমিউনীতি সাইটের সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। আশা করি কুশলেই আছেন সবাই। মূলত নিজের ব্যস্ততা ও পড়াশোনা জনিত কারনে বিগত ৩-৪ মাসে তেমন একটা টিউন করতে পারিনি। 😛 তথাপি সামনে এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আমি এবারের রেগুলার পরীক্ষার্থী, পরীক্ষাতে অংশ নিব ইনশাআল্লাহ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন। তো এই সম্পর্কে পরে জানাব। আজকের মূল টপিকটি করব পেনড্রাইভ নিয়ে যাহা টিউনের শিরোনম দেখেই বুঝতে পারছেন। এই টিউনের আলোচনাতে থাকবে Pen Drive কি? ইতিহাস ও নকশা গঠনের ইতিহাস, প্রকারভেদ এবং প্রচলিত কোন ব্যান্ডের পেনড্রাইভগুলো ভাল ইত্যাদি বিষয় সমূহ।
সহজে ডাটা বহন করার জন্য পেন ড্রাইভের কোন বিকল্প নাই। এটি অবশ্য ফ্লাশ ড্রাইভ নামেও সকলের কাছে পরিচিত। হাল সময়ে সকলের হাতেই এখন দেখা যাচ্ছে ডাটা বহনের এই ছোট্ট ও সুন্দর প্রযুক্তি পন্যটি। এর দাম প্রতিনিয়ত কমায় ও খুবই সহজলভ্য দামের মধ্য থাকায় তথ্য বহনের মিডিয়ার মধ্য বাজারে এখন এক চেটিয়া রাজত্ব করছে পেন ড্রাইভ। সেই সাথে বাড়তি ধারন ক্ষমতার মধ্য যোগ হয়েছে আকর্ষনীয় স্টাইল, যা আভিজাত্য বৃদ্ধি করেছে অনেকখানি। মূলত ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ ফ্লাশ ডাটা স্টোরেজ ডিভাইস এবং ইউএসবি (ইউনিভারসাল সিরিয়াল বাস) ইন্টারফেস এর সমন্বয়ে গঠিত। ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ সাধারণত সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্নকরণযোগ্য এবং এতে পুনরায় ডাটা লিখা যায়। এটি বাহ্যিকভাবে ফ্লপি ড্রাইভ থেকে অনেক ছোট। অধিকাংশ ইউ এস বি ফ্লাশ ড্রাইভ ওজনে ৩০ গ্রাম এর চেয়ে কম। আকার ও খরচ ঠিক রেখে ২০১০ সালে ২৫৬ গিগা বাইট ধারণক্ষমতা পর্যন্ত ইউ এস বি ফ্লাশ ড্রাইভ তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। কিছু ইউ এস বি ফ্লাশ ড্রাইভ ১০ বছর পর্যন্ত ডাটা ধরে রাখতে পারে।
পেন ড্রাইভের ইতিহাস সুনিদিষ্টভাবে বলা যাবে না। তবে প্রযুক্তি বিদদের ভাষ্যমতে, ট্রেক টেকনোলজি এবং আইবিএম সর্বপ্রথম ইউ এস বি ফ্লাশ ড্রাইভ বাজারে ছাড়ে ২০০০ সালে। ট্রেক টেকনোলজি একটি সিংগাপুরের কম্পানি। ট্রেক টেকনোলজি কর্তৃক প্রথম বাজারজাতকৃত ব্র্যান্ডের নাম “থাম্বড্রাইভ”। আইবিএম কর্তৃক বাজারজাতকৃত প্রথম ফ্লাশ ড্রাইভের নাম ছিল “ডিস্কঅনকি”। এটি একটি ইসরাইলি কম্পানি এম-সিস্টেমস কর্তৃক উদ্ভাবিত। উত্তর আমেরিকায় ইউ এস বি ফ্লাশ ড্রাইভ লভ্য হয় ২০০০ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর। প্রথম “ডিস্কঅনকি” এর ধারণক্ষমতা ছিল ৮ মেগা বাইট। ট্রেক টেকনোলজি এবং নেটাক টেকনোলজি উভয় কম্পানি তাদের কৃতিস্বত্ব ধরে রাখার চেষ্টা করে। যুক্তরাজ্যের একটি আদালত ট্রেক টেকনোলজির কৃতিস্বত্ব বাতিল করে।
ফিশন ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন সর্বপ্রথম বিচ্ছিন্নকরণযোগ্য ইউ এস বি ফ্লাশ ড্রাইভ তৈরী করে এবং “পেন ড্রাইভ” নাম প্রচলন করে। আধুনিক ফ্লাশ ড্রাইভে ইউ এস বি ২.০ সংযোগ থাকে। ইউ এস বি ২.০ সংযোগের সর্বোচ্চ ডাটা স্থানান্তর গতি ৬০ মেগা বাইট/সেকেন্ড। কিন্ত নান্ড ফ্লাশের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ফ্লাশ ড্রাইভগুলো এত গতিময় নয়। তবে অধিকাংশ ফ্লাশ ড্রাইভের ডাটা পড়ার গতি ২০ মেগা বাইট/সেকেন্ড, এবং ডাটা লিখার গতি ১০ মেগা বাইট/সেকেন্ড।
ডিভাইসের এক প্রান্ত একটি পুরুষ টাইপ-এ ইউ এস বি সংযোজক দিয়ে লাগানো থাকে। প্লাস্টিক কেসের ভিতরে একটি ছোট সার্কিট বোর্ড বা বর্তনী মঞ্চ থাকে। বর্তনী মঞ্চে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি এবং অল্প কিছু তল আরোহিত সমাকলিত বর্তনী (ইন্ট্রিগেটেড সার্কিট) বা আইসি থাকে। সাধারণত এর একটি আইসিতে ইউ এস বি পোর্ট ব্যবহারের ইন্টারফেস বা মাধ্যম থাকে অন্য একটি আইসি মঞ্চস্থিত স্মৃতি চালনা করে এবং অপর আইসিটি হল ফ্লাশ স্মৃতি বা মেমরি।
ফ্লাশ ড্রাইভের চারটি অত্যাবশ্যক অংশ আছে। এগুলো হলঃ
একটি ফ্লাশ ড্রাইভে আরও থাকতে পারেঃ
ইউএসবি ১.০ ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে এই প্রযুক্তি মুক্তি পায়। ২০০০ সালের এপ্রিলে এই প্রযুক্তি মুক্তি পায় ইউএসবি ২.০ সিরিজ। এবং সর্বশেষ ইউএসবি ৩.০ ভাসর্ণ মুক্তি পায় ২০০৮ সালের নভেম্বরে। এবং বর্তমানে এটিই প্রচলিত ও আধুনিক আপডেটেড এর ফলে তথ্য আদান প্রদানের সময় কমেছে, বিদ্যুৎ খরচ কমেছে। অবশ্য পরবর্তীতে ইউএসবি ৪.০, ৫.০ সিরিজ আসতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউএসবি ৩.০ প্রযুক্তির পেন ড্রাইভ বাজারে আসায় তথ্য আদান-প্রদানে এসেছে আমুল পরিবর্তন। বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়ায় ছাত্র বা কর্ম জীবন পেন ড্রাইভ ব্যতিত অসহায়, কেননা Presentation/ Assignment/ Vedio & Audio/ Document যাবতীয় সব কিছুর জন্য পেন ড্রাইভ অপরিহার্য। আর তাই তো কেউবা পেন ড্রাইভ ঝুলিয়ে রাখেন গলায় আবার কেউবা রাখেন সর্বত্র পকেটে। এবার পেন ড্রাইভের কেনার বিষয়ে আসি।
বাজারে বিদ্যমান ভাল মানের কিছু বিশ্বখ্যাত ব্রান্ডের পেন ড্রাইভগুলো হল Transcend, Twinmos, Sandisk, A-data, Apacer, Kingstone, HP, PQI, Team, Kingmax, Apogee, Rundisk। এরমধ্য পারফরম্যান্সের দিক হতে সবচেয়ে আমার কাছে ভাল মনে হয়েছে প্রথম ৩টি। উল্লেখ্য বর্তমানে পেন ড্রাইভের মধ্য প্রস্তুতকরন, বিক্রয় সেবার শীর্ষ অবস্থানে আছে Transcend
😛 আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে। আশা করি এই টিউন পড়ে কিছুটা হলেও অনেকেই উপকৃত হবেন। তারপরেও সমস্যা থাকলে টিউমেন্ট করতে পারেন। আরেকটি বিষয়, আজকেই এটি আমার শেষ প্রকাশনা। অর্থাৎ মে মাসের আগ পর্যন্ত আর কোন টিউন করার ইচ্ছা নাই। পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে। আমি এই বছর কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ডিল্পোমা ইন কমার্স) পরীক্ষা দিব। অবশ্য অন্য লেখকদের মত আমি কিন্তু আমার কোন টিউনে বায়োডাটা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু লিখেনি। মূলত লিখবই বা কেমনে? কারন, আমি তেমন কোন ভাল টিউনার নই, আবার ভাল ছাত্রও নই, সেইরকম অভিজ্ঞারও অভাব রয়েছে! এমনিতেই লেখাপড়াতে তেমন মনোযোগী নই, মূলত বোর্ড বই পড়ার থেকে সৃজনশীল বিষয়ে লেখা ও বাইরের কাজ করতে ভাল লাগে। 🙄 আমি ২০১৪ সালে ব্যবসায় শাখা হতে এস.এস.সি পরীক্ষাতে ৪.১০ জিপিএ অর্জন করি। অতপর ২০১৫ সালে এইচ.এসসিতে ভর্তি হই। রাজশাহীতেই আমার বসবাস। আপনারা আমার জন্য দোয়া রাখবেন যাতে ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারি এবং আমার কাংখিত লক্ষ্য অর্জনে পৌছাতে পারি। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল খাতুন। 😆 আল্লাহ হাফেয-
(তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, টেক ওয়ার্ল্ড)
বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে অনুসরন করতে পারেন
বাংলা ব্লগ | ফেবু প্রফাইল | গুগল+
আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...
পোস্ট ভাল লাগল, আমার একটা আছে যেটা পিসি তে লাগালে লাফ দিয়ে উঠতে হয়, মানে বডি বিদ্দুত পরিবাহি। তাই টেপ পেচায় রাখা লাগে। ভাই পোস্ট পরে মনে হয় আপনি বাংলা ট্রান্সলেট করছেন মনে হয় যেমন স্ফটিক স্পন্দক, লিখন-নিয়ন্ত্রন চাবি, তবে পুরা বাংলায় লেখার জন্য ধন্যবাদ।