“চোরাই মাল কেনা বন্ধ করুন, চুরি প্রতিরোধ করতে সবাই এগিয়ে আসুন”

Cryingকি বলবো, কিভাবে বলবো আর কিভাবে যে শুরু করবো যে লেখা কিছুই বুঝতে পারছি না। আসলে, কালকে থেকে আমি অনেক মানসিক অশান্তিতে আছি। আর থাকবোই না কিভাবে বলুন? আজ যদি আপনার একটি অনেক শখের একটা কিছু কোন কারণ ছাড়াই নষ্ট বা হারিয়ে যায়, তাহলে আমার মনে হয় সবারই মানষিক অশান্তি হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আমার কাহিনীটা একটু অন্যরকম সবার থেকে।

ঘটনার শুরু ৫ থেকে ৭ দিন আগে থেকে। আমি সম্ভবত গত মাসের ৮ বা ৯ বা ১০ তারিখে একটি মোবাইল সেট কিনি। এটি অবশ্য আমি কিনি সেলবাজার.কম থেকে খুঁজে বের করে। সেটটির মডেল হলো iPhone 3GS. সেটটির দাম নিয়েছিল ৩৭০০০ টাকা। মোবাইল সেটটি কেনার সময় ছেলেটি বলেছিল যে, এটি তার দুলাভাই আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছে। আর এখন সে টাকার সমস্যার জন্য বিক্রি করতেছে। যাই হোক, আমি সেটটি এইভাবে কিনেছিলাম। কিন্তু, গত ৫ থেকে ৭ দিন আগে আমার বড় ভাইয়ার কাছে রাতে একটা নম্বর থেকে কল আসে। সেখান থেকে বলা হয় যে তারা ডিবি অফিস থেকে কল করেছে। আমার ভাইয়া মনে করেছিল যে, কেউ হয়তো বা এমনিতেই জালাতন করতেছে। এইজন্যে ভাইয়া অনেক বকাবোকি করেছে। কিন্তু, তারপরও আবার অনেকবার কল আসে এবং বলে যে আমার ভাইয়ার সাথে জঙ্গিদের যোগাযোগ আছে। তখন আমারভাইয়া অনেক ভয়ে পেয়ে যায় এবং আমাকে বিষয়টা বলে। তখন আমারও অনেক চিন্তা হয়, যে হঠাত করে আবার কোন সমস্যায় পড়লাম।

তারপর আমার ভাইয়া বিষয়টি আমার ভাইয়ার অফিসের বসকে খুলে বলে। তখন তিনি তার এক বন্ধু ডিবি অফিসারকে ব্যাপারটা তদন্ত করার জন্যা জানায় এবং তিনি আশ্বস্ত করেন যে তিনি সাহায্য করবেন। পরেরদিন, আমার ভাইয়া আবার অফিসে গেলে ভাইয়ার বস ভাইয়াকে ডেকে বলে যে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আপনাকে ডিবি অফিস থেকেই কল করা হয়েছিল। আপনাকে আজ বিকেল ৫ টার সময় ডিবি অফিসে দেখা করতে বলেছে। তারপর আমার ভাইয়া ঠিক ৫ তার সময় ডিবি অফিসে গিয়ে দেখা করে। সেখানে তারা বলে প্রথমে সেই একই কথা বলে যে জঙ্গিবাদ নিয়ে। তখন ভাইয়া বলে যে, না, আমার এরকম কোন কারও সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তারপর তারা বলে যে, আমরা আপনার মোবাইলটা গত ১ মাস ধরে পর্যবেক্ষন করছি। আপনি কখন, কখন এবং কার, কার সাথে কথা বলেন এগুলো আমরা জানি।

তখন তারা আমার ভাইয়াকে আমার মোবাইল নম্বরটা দেখিয়ে বলে যে আপনি তো এই নম্বরটাই ব্যবহার করেন। তখন ভাইয়া আমার নম্বর দেখে বলে যে, না, এটা আমার নম্বর না। এটা আমার ছোট ভাইয়ের নম্বর। তখন আবার তারা বলে যে, আপনার ছোট ভাই কি মোবাইল সেট ব্যবহার করে এবং iPhone 3GSকতদিন ধরে ব্যবহার করে? তাখন ভাইয়া সব সত্যি কথা বলে দেয়। তারপর, ডিবি অফিসার আমাকে কল করে ডিবি অফিসে আসতে বলে তাড়াতাড়ি এবং আমার ভাইয়াও আমাকে আমার মোবাইল সেটটা নিয়ে আসতে বলে তাড়াতাড়ি। তখন আমি আরো বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ি। আমি অনেক চিন্তা করতে করতে ডিবি অফিসে গিয়ে পৌঁছাই। সেখানে গিয়ে প্রথমে আমি অনেক ভয় পাই। কারণ, আমি কোনদিনও এর আগে ডিবি অফিসে যাই নাই। তারপর, তারা আমাকে আমার গত এক মাসের সকল কলের ইতিহাস এবং আমি কোথায়, কোন বাসায় থেকে কোথায়, কোথায় কল করেছি এবং তাদের ছবিসহ সকল তথ্য আমাকে দেখায় এবং বলে যে আমি যে মোবাইল সেটটা ব্যবহার করি সেটা নাকি ছিনতাই করা হয়েছিল গত এক মাস আগে।

মোবাইল সেটটি ছিল একজন সচিবের। সেই সচিব নাকি মোবাইল সেটের জন্য কেস করেছিল তাদের কাছে। এখন আমি তাদেরকে বললাম যে, আমি মোবাইল সেটটি কিনেছি সেলবাজার থেকে। না, কিন্তু তারা কিছুতেই আমার মোবাইল সেটটি আমাকে আর ফেরৎ দিতে রাজি হলেন না। আমি বললাম যে, তাহলে আমি যে এতগুলো টাকা দিয়ে মোবাইল সেটটা কিনেছিলাম তাহলে আমার টাকাগুলোর কি হবে? তখন তারা এ বিষয়ে কিছু বললেন না। শেষ পর্যন্ত আমি বললাম যে তাহলে আমার সীমটা অন্তত আমাকে দেন কিন্তু তারা সেটাও আমাকে দিলান না এবং বললেন যে আমি আর এই নম্বরের কোন সীম ব্যবহার করতে পারবো না। তখন আমার সব শেষ।

আমার আম, ছালা সব গেল। অবশ্য আমি যে ছেলেটির কাছ থেকে মোবাইল সেটটি কিনেছিলাম তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে ছিল এবং আমি তার মোবাইল নম্বরটি ডিবি অফিসারকে দিয়ে আসি এবং তাকে বলে আসি যে, আমাকে যেন আমার টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য সাহায্য করে। সে বলেছে যে, আমাকে সে সাহায্য করবে। তারপর, সেখান থেকে দুইভাই মনটা খারাপ করে চলে আসি বাসায় এবং ভাবতে থাকি যে কি থেকে কি হয়ে গেল। আমার আর কালকে থেকে কিছু ভালো লাগছে না। সবকিছু কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি বুঝতেও পারছি না যে আমি এখন কি করবো? মোবাইল সেটটা আমার অনেক শখের ছিল। এখন আমি কি ফিরে পাবো আমার মোবাইল সেট অথবা আমার ৩৭০০০ টাকা অথবা আমার প্রিয় সীমটি? কি হবে জানি না? আর ওই ছেলেটির মোবাইল নম্বরটাও বন্ধ আছে।

জানি না, তাকেও কোনদিন খুঁজে পাবো কিনা? আপনারাই বলুনতো, আমার এখন কি করা উচিৎ? আর এটা কেমন আইন হলো? আমার তো কোন দোষ নেই, তাহলে আমি কেন দায়ী হবো আর কেনই বা আমার মোবাইল সেট দিয়ে দিতে হবে? আমি তো আর ছিনতাই করেছিলাম না। আমি তো ঠিকই টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। তাহলে আমাকে কেন আমার মোবাইল হারাতে হবে?

আর, গ্রামীণফোনের সেলবাজারের প্রতি আমার প্রশ্ন, কেন তাদের কারণে আজ আমার এই অবস্থা? কেন তারা কোন কিছু না দেখে না শুনে চোর/বাটপারদের সেলবাজারে তাদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে দেয়। আর এজন্য আমার মত সাধারণ মানুষের যত ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তাই, আমার মত আর কেউ যেন সেলবাজার থেকে ভালোভাবে না জেনে শুনে কিছু কিনবেন না। তাহলে হয়তো বা আমার মতোই বিপদে পড়তে হবে।

আর আমি এখন স্বপ্ন দেখে যাই শুধু আমার পানিতে চলে যাওয়া টাকা আর সীমটির। পাবো কি না জানি না? আর জীবনে সেলবাজার থেকে কিছু কিনবোনা আর বাংলাদেশের যে আইন আমার মনে হয় তা সংশোধন করা দরকার। আপনারা কি বলেন? আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। 🙁 🙁 🙁

Level 0

আমি সুমন খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 245 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

My Name Is "SuMoN". I'm Study in "Computer Science & Engineering". I Live in Dhanmondi, Dhaka, Bangladesh.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই সতর্ক করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর এই সব সমস্যার জন্য দায়ি, গ্রামীন ফোনের সেল বাজার। তারা কাগজ পত্র ছাড়া চোরাই মাল কেন ক্রয় করে। আর এইটার জন্য খেসারত ক্রেতাকেই দিতে হয়। ডিবি অফিস থেকে আপনাকে সাহায্য করা উচিত। আর আপনার সিমটি ফেরত দেওয়া উচিত।

    আউয়াল ভাইয়া,
    আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ডিবি অফিস থেকে আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করা উচিত। ফাজলামি নাকি যে আপনার জিনিস নিয়ে যাবে? আপনিতো টাকা দিয়েই কিনেছিলেন। এই গ্রামীন হল ফাওতাবাজির কেন্দ্র।

    হিমায়িত ভাইয়া,
    আমি এখন সেই আশাতেই বসে আছি, যে ডিবি অফিস থেকে কোন সাহায্য পাবো কি না? তবে আমার মনে হয় আশা ছেড়েই দিতে হবে। আর গ্রামীণফোন তো ষ্টুপিড। ফাক সেলবাজার.কম।

তাওতো বেঁচে গেছেন আপনাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমার এক ফুপা পাথরের ব্যবসায়ী। তার পরিচিত অন্য একজন ব্যবসায়ীর নাম কোন এক ওয়ান্টেডের নামের সাথে মিলে যায়। তাই তাকে ধরে নিয়ে যায়। তার মোবাইলে আমার ফুপার নাম্বারে বেশি কল দেখে ফুপাকেও গ্রেফতার করে। তারপর তাকে কোর্টে চালান না করেই ৩ দিন তাদের জিম্মায় রেখে অকথ্য নির্যাতন করে। এবার বুঝুন যার মাধ্যমে ধরা হল তার দোষই প্রমানিত ছিলনা। আমার ফুপার দোষ ছিল শুধু সেই ব্যবসায়ীর মোবাইলে তার নাম্বার সেভ করা থাকা। অবশ্য তারা দুজনেই এখন নির্দোষ প্রমানিত এবং সেই ডিবি অফিসারকে ডিমোষন এবং বদলী করে সাধারন পুলিশে নেয়া হয়েছে। কিন্তু যা গেছে তা কী আর আসবে?

    আদনান ভাইয়া,
    হ্যাঁ, আপনার কথাও অবশ্য ঠিক আছে। আপনি ঠিকই বলেছেন যে আমাকে তারা আঁটকে রাখে নাই। কিন্তু, আমি তো নির্দোষ, তারা আমাকে কেন আঁটকে রাখবে?

    আপনি আসলে স্টোরিটা বুঝেননি। আমার ফুপার পজিশন আপনার থেকে যথেষ্ট ভাল ছিল। আপনার কাছেতো ছিন্তাইকৃত মোবাইল পাওয়া গেছে। আর উনার সমস্যা ছিল সন্দেহ ভাজন আসামির মোবাইলে তার নাম্বার সেভ থাকা।

    আবারো না বলে পারলাম না সুমন ভাই আমাদের দেশে কি কাউকে আটকে রাখতে কোন দোষ লাগে নাকি,ভাল মানুষ ধরে আমাদের প্রিয় পুলিশ/ডিবি ভাইয়েরা নিয়া যাবে তারপর আপনার কাছে কিছু হাদিয়া চাইবে যদি উনাদের চাহিদা না মিঠাইতে পারেন পরদিন আপনাকে কোর্টে চালান করে দিবে আর আপনি হয়ে যাবেন কোন জঙ্গি কিংবা কোন খুনের আসামী অথবা অন্য কোন ক্রিমিনাল কেইসে ফাসিয়ে দিবে তারপর বুঝবেন ঠেলা এরপর আমাদের আদালত গুলুও………না ভাই কিছু বলতে ছাইনা না হলে আবার আদালত অবমাননার মামলায় আমাকে……।

    আদনান ভাইয়া,
    আমি আসলে বুঝতে পেরেছি আমি কি বলেছেন কিন্তু কি করবো বলেনতো, বুঝেও বার বার যেন অবুঝ হয়ে যাচ্ছি। আমার আর কিছু ভালো লাগছে না।

    আতাউর ভাইয়া,
    বাংলাদেশের প্রশাষনের বা ক্ষমতায় থাকা লোকদের তো কিছুই বলাও সম্ভব না। কিছু বললেই তো, “ধর ব্যাটারে”। তাই, নিরবে সয়ে যাই নিজের কষ্ট নিজের মনে।

আপনি বললেন”আপনারাই বলুনতো, আমার এখন কি করা উচিৎ?।আমি বলব আপনি আল্লাহর শুকুর আদায় করুন,যেই দেশে বাসের টায়ার একটু জোড়ে ফাটলেও জঙ্গিবাদের গন্ধ পায় সেখানে আপনাকে ছেড়ে দিছে আপনি ভাগ্যবানদের একজন এই মুহুর্তে।
আপনার ঘটনা আসলেই দুঃখ জনক আপনার প্রতি রইল সমবেদনা আর যারা এই সমস্ত দুই নাম্ভারি কাজ গুলু করে তাদের কাজ গুলুকে অবস্যই ঘৃনা করি আর দোয়া করি এই অসত লোক গুলোকে যেন আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত করেন আর কেউ যেন আপনার মতন প্রতারিত না হয়।এবং আশা করছি ডিবি অফিস আপনার সিম ফেরত দিবেন ও আপনার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করবেন যদিও বাংলাদেশের ডিবি পুলিশের উপর এমন আশা করাটা একটু বেশীই হয়ে যায়,ধন্যবাদ আপনাকে।

    আতাউর ভাইয়া,
    আপনি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু, আমি যদি ভাগ্যবান হতাম তাহলে আমি কেন আমার এত শখের মোবাইল সেটটা হারালাম। অবশ্য একদিক থেকে আমি হয়তো বা একটু ভাগ্যবান যে ডিবি আমাকে আঁটকে রাখেনি। কিন্তু, খারাপের থেকে ভালোর ভাগ্যটা বোধহয় আমার একটু বেশীই খারাপ। আর একটা কথা, বাংলাদেশের ডিবি পুলিশের কাছে বোধহয় এটা একটু বেশীই চাওয়া হয়ে থাকে। এখন, আল্লাহর উপর ভরসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। 🙁

আতাউর রহমান ভাইয়ের সাথে না বলে পারলাম না। কিছুদিন পুর্বে আমদের স্বরাষ্টমন্ত্রি পায়খানায় গিয়ে পড়ে হাতের কব্জিতে ব্যাথা পেয়েছে। তাই খবরেব কাগজে একটি মন্তব্যতে দেখলাম এইটা ও নাকি জঙ্গি্রা করেছে। তাই সব দিকে যেইভাবে জঙ্গির ডাক সেই হিসেবে সুমন ভাই বেঁছেই গেছে।

    আর বাংলাদেশের যে কি হয়েছে, কিছু হলেই দোষ সরাসরি চলে যাবে জঙ্গিদের উপরে। আর আমি বোধহয় সত্তিই বেঁচে গিয়েছি এবারে। তা না হলে হয়তো বা আমার নাম হয়ে যেত “জঙ্গি সুমন”। কিছুদিন আগেও আমার চুল অনেক লম্বা ছিল কিন্তু এখন নেই। যদি এখনও থাকতো তাহলে হয়তো বা আর পার পেয়ে যেতাম না। সরাসরি ১৪ সিকে ঢুঁকিয়ে দিত।

ভাই বেঁচে যাওয়ার জন্য আমাদের মিষ্টি খাওয়াতে হবে কিন্তু। না হলে ডিভি অফিসে ফোণ করবো কিন্তু।

    হাঁ হাঁ হাঁ। ভাইয়া, এই দুঃখের সময় আর হাসাবেন না প্লিজ। 🙁

Level 0

আপনার দুঃখ শেয়ার করার কারনে অনেকে সতর্ক হবেন

তবে আপনার জায়গায় থাকলে হয়তো আপনার দুঃখটা পুরোপুরি বুঝা যেত
তারপরও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি

    ভাইয়া,
    হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। কেউ যেন আর আমার মতো ভুল না করে বা এই ফাঁদে না পড়ে। আপনাদেরকে আমার এই দুঃসময়ে পাশে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

কারো শখের জিনিস হারানো যে কতটা কষ্টের তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।কি যে লিখব কিছুই বুঝতে পারছিনা….সান্তনা দেওয়ার ভাষা নাই…………..

    ভাইয়া,
    শখের জিনিসটা যদি ভালোভাবে হারিয়ে যেত তাহলে তাও একটু সান্তনা পেতাম। কিন্তু, এইভাবে আমার এতো শখের একটা জিনিস যে হারিয়ে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারি নাই।

আসলে চোরাই মাল কিনা ঠিক না। এতে চোরকে যেমন চুরি করতে উস্কানি দেওয়া হয় ঠিক তেমনি আপনার মতো অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।
কষ্টই লাগছে আপনার জন্য। 🙁

    Level 0

    চোরাই মাল কিনা ঠিক না। এতে চোরকে যেমন চুরি করতে উস্কানি দেওয়া হয় ঠিক তেমনি আপনার মতো অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে

    এটাই

    হাসান ভাইয়া,
    ওটা যে চুরি বা ছিনতাই করা মোবাইল সেট ছিল সেটাতো আমি জানতাম না। আর জানলে আমি কখনই ওই মোবাইল সেটটি কিনতাম না। আমি আগে থেকেই এগুলোকে অনেক ঘৃণা করতাম। আর এখন শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই সেই ফাঁদে পাঁ দিলাম। আল্লাহ্‌ তায়ালা যে আমাকে কোন পাপের শাস্তি দিলেন এটা?

Level 0

আমার ঠিক চরম শখের একটা বাই-চাইকেল হারিয়ে ছিলো গত বছর
আমি মনে মনে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম, পরবর্তীতে যদিও নতুন আরেকটা নিয়েছিলাম, কিন্তু পুরোনোটার প্রতি যে টান ছিলো ঠিক তার থেকে একটু হলেও কম টান ………

তো হাসান ভাইয়ের কথার পতি একাত্মবাদ ঘোষনা করে বলছি
*** আপনি চোরাই মাল কিনলে চোরেরা আরো বেশি আগ্রহী হবে চুরি করতে,
*** তখন আরো বেশি চুরি হবে।

আর আমরা যদি এগুলো কেনা বন্ধ করি তাহলে এসব কমে যাবে , ইন-শাআল্লাহ

আর আমার একটা অনুরোধ টিউন টাইটেল যদি এরকম হয় যে , চোরাই মাল কেনা বন্ধ করুন, চুরি প্রতিরোধে…

    Level 0

    সহমত। আমি যে জিনিসের যে দাম, পরলে সেই দাম দিয়েই কেনার চেষ্টা করি কখনও সস্তায় কেনার চেষ্টা করি না। আর ফ্রি জিনিস তো কখনো নেই না ফ্রির ধারে কাছেও যাই না।

    ভাইয়া,
    আপনার সকল কথাগুলোই ঠিক। কিন্ত, কথাতো একটাই, চোর চুরি করে পণ্য বিক্রি করতে লাগলে তো আমার মতো সাধারণ মানুষ চিনতে পারবে না যে কে চোর আর কে ভালো মানুষ। আমি নিজেও তো এই ভুলোই করেছি। আর অবশ্যই আমরা সবাই চুরিকৃত পণ্য কম দামে না কেনার দৃড় প্রতিজ্ঞা করি। তাহলেই এগুলো বন্ধ করা সম্ভব।

    BULBUL ভাইয়া,
    আমার মনে হয় যে আপনি অনেক ভালো মানুষ। কিন্তু, আপনার বা আমার মতো তো বাংলাদেশের আর সকল মানুষ এই রকম ভালো না। বাঙ্গালী মাংগ্‌না পেলে নাকি আল্‌কাতরাও খায়।

    আমি মোবাইল বা অন্য কোন ডিভাইস কিনলে তা কোনদিন সেকেন্ড হ্যান্ড কিনি না। নিজের সামর্থের মধ্যে একটু কম ফিচারের হলেও কিনি। কারন এইসব জিনিষ চুরির কিনা বুঝা যায়না। সুমন ভাইয়ের মত একই ঘটনা আমাদের এলাকার একটি ছেলের হয়েছিল। সে অবশ্য পার পায়নি। তাকে ধরাও হয়েছিল এক মজার পদ্ধতিতে। তার নাম্বার রেজিষ্ট্রার্ড ছিলনা। তাই পুলিশের এক মহিলা সদস্য তার সাথে ফোনে প্রেমের অভিনয় করে ঠিকানা নিয়েছিল। সে অবস্য সন্ত্রস করত তাই আমরা তার ধরা পড়াতে খুশিই হয়েছিলাম।

    বুলবুল ভাই, ফ্রী সব জিনিষ খারাপনা। বিশেষ করে সফটওয়্যার।

সব প্ত্রিকা অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানান আর পারলে ঘটনাটি প্রথম আলো/জনকন্ঠ তে ছাপানোর ব্যবস্থা করেন তাইলে ডিবি অফিস থেকে আপনার টাকা তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আর যদি টাকার আশায় এভাবে বসে থাকেন তাহলে আমার মনে হয় আশা ছেড়ে দেওয়াই ভাল।

    Level 0

    এটা একটা ভাল উপায় হতেপারে,
    তবে সচেতনতার জন্য,
    কোন কিছু ফেরত পায়ার জন্য নয়

    সজীব ভাইয়া,
    আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু, আবার মনে মনে ভয়ও হয় কারণ বাংলাদেশের আইনে যে দোষী আর যে নির্দোষ তাতে কারো কিছু যায় আসে না। এমনও তো হতে পারে যে আমি ঘটনাটা পত্রিকায় ছাপানোর পর যদি ডিবি অফিস থেকে এসে আমাকে ধরে নিয়ে যায় বা আরো খারাপ কিছু .. .. .. তাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না যে আমার এখন কি করা উচিৎ?

    LuckyFM ভাইয়া,
    আমার মনে হয় যে, আমার এই ঘটনাটি যে ব্যক্তিটি পড়েছেন তার আর এই রকম ভুল হবার কথা নয়। আর যদিও বা সে এইরকম ভুল করে তাহলে সে ইচ্ছাকৃত ভাবেই করবে আমার মনে হয়।

    এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র। প্রশাসনে বড় attio na thakle esob bisoye besi bara bari korle nizer khoti ta besi. Tar jolojonto proman ami. Apni প্রশাসনেr help to pabenna uporontu tara apnake najehal korbe. Apnar moto eto taka nosto na holeo amar onek khoti hoise.

    ফিরোজ ভাইয়া,
    হ্যাঁ, আমি ঠিক আপনার কথাগুলোই ভাবছিলাম। প্রশাষণের কাছে সাহায্যের জন্যে গেলে হয়তো বা নাজেহাল হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশী থাকছে। এই জন্যে সাহস পাচ্ছি না।

সজীব ভাইয়ের সাথে মোটামুটি একমত আছি।
আপনি আরো একটি কাজ করতে পারেন। তা হলো আপনি একটি জিডি করে রাখেন। জিডি-র বিষয় কি হবে, বা কি হলে আপনার লাভ হবে টা সবার সাথে আলোচনা করেই করুন। কারন আপনার টাকা তো কম গেলো না। আর যদি উপরস্থ কোনো লোক থাকে , তাহলে তার সাহায্য নিতে পারেন।
আপনার এই ঘটনাটি বেদনাদায়ক, সবর করুন। আর একটি কথা চিন্তা করুন এই সেট-টি তো আগে আপনার ছিলো না।

    Imran ভাইয়া,
    আমি আসলে বাংলাদেশের আইনকে বা প্রশাষনকে একেবারেই বিশ্বাস করতে পারি না। আমার কাছে মনে হয় যে, বাংলাদেশের আইনের লোকগুলো দায়িত্বে থাকা কিছু মুখোশধারী শয়তান। তারা ভালোর থেকে খারাপটাই বেশি করে। তাই ভয় হচ্ছে, যদি আমি জিডি করি এবং তারপরে যদি আবার জ়িডি অফিস থেকে কোন প্রকার খারাপ কিছু হয়। আমাকে যদি ডিবি অফিস থেকে ধরেও নিয়ে যায় তাহলে বোধহয় আমার সঠিক খোঁজ-খবরটাও কেউ জানতে পারবেনা।

    ভাই, জিডি হচ্ছে জেনারেল ডায়েরী।- এর মানে এই না যে আপনি করোও নামে মামলা করছেন।আইনের কাছে জাস্ট একটা ইনফরমেশন রাখা। তবে জেনে রাখা উচিত এই জিডি করা নিয়ে যদি ডিবি কিছু করে, তবে জেনে রাখুন সাময়িক আপনার কিছুটা অসুবিধা হবে, কিন্তু এই জিডি করে রাখার কারনে, আপনি পরবর্তিতে ভালো সুবিধা পাবেন।
    আর যদি এটি করতে ভয় পান, টবে ঐ সচিবের মতো করুন। আপনার যদি সরকারের উপরিউস্ত কোনো লোক থেকে তবে তাকে কাজে লাগান।

    ইমরান ভাইয়া,
    আমার সচিবের মতো বড় কোন কাছের মানুষ নেই যে আমাকে সাহায্য করতে পারে এই বিষয়ে। আমি নিজেও জানি যে জিডি মানে কি? কিন্তু শোনেন, ডিবি এবং পুলিশ হচ্ছে চোরে চোরে মাস্তুত ভাই। তাই, তাদের নামে কিছু করলে সাময়িক না চিরস্থায়ী ব্যবস্থাই হয়তো বা হয়ে যাবে।

    আচ্ছা যাক, আপনি যখন চাচ্ছেন না, তখন থাক। তবে এরপরেও যদি ডিবি কোনো রকম ফাযলামো করার চেষ্টা করে সরাসরি মানবাধিকার সংস্থা গুলোতে জানাবেন।
    আর আমার এক কাহিনী বলি: – একবার আমি আর আমার বন্ধু বিনা কারনে rab কাগুগো দৌড়ানি খাইছিলাম। এবং সিস্টেম মতো হেগো হাত থেকে বাচার পর। আমার বন্ধুর উপরিউস্ত লোকের মাধ্যমে সমাধান করেছিলাম।কাগুরা খুব বকা খাইছিলো এটার লাইগা।

Level 0

বাংলাদেশ !!!!!!!!!!!!!

    হ্যাঁ, ৩০ কোঁটি প্রাণের বিনিময়ের আমাদের অনেক কষ্টের বাংলাদেশ।

    সুমন ভাই,৩০ কোঁটি প্রাণের বিনিময়ের আমাদের অনেক কষ্টের বাংলাদেশ এই তথ্য পাইলেন কোথায় আমিতো শুনেছি ৩০ লাখ তাও আবার সঠিক কিনা অনেকে মনে এটা নিয়েও সন্দেহ আছে তাই সংশোধন করে নেন।দেখেন সুমন ভাই একবার জঙ্গির সাজা থেকে পার পাইছেন এইবার কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করার দায়ে আপনার বিরোদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হইতে পারে অতএব সাবধান।

ভাই আমি একটা কথা বলি, মনে কিছু নিবেন না। যেহেতু এটি চোরাই মাল, আর পাওয়া গেছে আপনার কাছে , তাই আপুনিই চো…….
আর আপুনি যেই এইটা অন্য লোক থেকে ক্রয় করেছেন এই ধরনের কোন বৈ্ধ কাগজ আপনার কাছে নেই। সুতারং এইটা নিয়ে বেশি মাতামাতি করাটা কতটূকূ ফলাফল পাবেন চিন্তা করে দেখেন। আর আমি ১০০% নিশ্চিত আপনার ভাইয়ের বসের বন্দু সেই ডিভি লোকটার মাধ্যমে যদি ডিভি অফিসে না
যেতেন তাহলে আপুনি এখন জেলেই থাকতেন।

    এটা ঠিক বলেছেন যে আমি হয়তো বা এখন জেলে থাকতাম কিন্তু আমি তো আর জেনে শুনে চোরাই মাল ক্রয় করিনি। আর, আমি যদি চোর হতাম তাহলে এতো সহজে হয়তো বা তারা আমাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যেতে পারতো না। সেটা অবশ্য তারাও বুঝে গেছে। ডিবি অফিস থেকে অবশ্য বাসায় ফিরে আসার পরে অনেক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে ২টি বৈধ প্রমাণ আমি খুঁজে বের করেছি। এর মধ্যে একটা হচ্ছে, আমি যার কাছে থেকে মোবাইল সেটটি কিনেছিলাম তার মোবাইল নম্বর। আর এটা আমি ডিবি অফিসে জানিয়ে দিয়েছি এবং তারা বলেছে যে ব্যাপারটা তারা দেখবে। এখন কবে যে দেখবে আর আদৌ দেখবে কি না ?

যাহোক সুমন ভাই আর মন খারাপ করেন না। হয়তো এর চেয়ে বড় কনো বিপদ আসতে পারত। আপনার এই বিপদের কথা শুনে আশা করি অপরিচিত কারর থেকে লেনদেন করা বিরত থাকবে এবং সতর্ক হবে অনেকে।

    হ্যাঁ ভাইয়া,
    আমার মতো আর যেন কেউ এরকম বিপদে না পরে।

আপনার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আপনার কতটা খারাপ লাগছে বুঝতে না পারলেও কিছুটা অনুভুত করতে পাচ্ছি। 🙁

    ধন্যবাদ আরিফ ভাই আপানাকে আমার কষ্টটা বোঝার চেষ্টা করার জন্য।

আমি যদি আইনের কোন লোক হতে পারতাম তাহলে হয়তো বা ওদেরকে দেখে নিতাম। কিন্তু, এটা করার কোন উপায় দেখি না আমি।

LuckyFM ভাইয়া,
আপনার কথা মতো পোষ্টটির শিরোনাম পরিবর্তন করে দিলাম। এখন দেখেনতো ঠিক আছে কি না?

খুবই দুঃখজনক!!! আজকাল সেকেন্ডহ্যান্ড সেলফোন কেনা খুব রিস্কি…সেট এর IMEI (International Mobile Equipment Identity) জানা থাকলে আর সেই সাথে কোন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে পরিচয় থাকলে চুরি যাওয়া সেট খুজে পাওয়া কোন ব্যপার না……
কিন্তু সুমন ভাই, আপনি কেন ৩৭০০০/- দিয়ে সেকেন্ডহ্যান্ড সেলফোন কিনতে গেলেন???!!! আমি যতদুর জানি এই দামে বা এরচেয়ে কমে দোকানে iphone পাওয়া যায়…

    তূর্য ভাই,
    আপনার কথা ঠিকই। এখন বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি চলে এসেছে। আর হ্যাঁ, আমি অনেক মার্কেটে গিয়ে খোঁজ করেছি। এর নিচে কোথাও আইফোন পাওয়া যায় না।

ভাইরে আমি কী করবো কিচ্চু বুঝতে পারছিনা |কাল বিকালে ছবি তোলার সময় ৩ জন মটর সাইকেল আরোহী আমার হাত থেকে আমার বন্ধুর সেট নিয়ে চলে গেছে |
কাল থেকে আমার মন প্রচন্ড খারাপ |কী করবো দয়া করে আমাক পরামর্শ দেন |আমার বাসা যশোর শহরেই |ভাই দোয়া করবেন যেন মোবাইলটা ফিরে পাই |
:'(
:'(
:'(

Apni j cell bazar ar maddhomy, chaly tar kas thaky phone ta kinsen, tar kono documents apnar kasy asy ?? Oitar kotha to bollen na ? document thakly to no problem Db baddho dity mobile dity,,,,,,R document na nily to dashantory hotai hoby…………..law k dosh diya luv ki ??