বিচার মানি, তবে তালগাছ আমার

ঘটনা-১
পথ চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমেছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তাই পথ চলতি গেরুয়া বসনের, দাড়ি চুলের জটাধারী লোকটি একটা অবস্থাপন্ন গৃহস্থের বাসায় আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। সদাশয় গৃহস্থ মুসাফিরকে ভেতরে ডাকলেন। রাতের খাওয়া দাওয়ার সময় কথাবার্তা থেকে বুঝতে পারলেন যে, অতিথি বিরাট বুজুর্গ লোক। তাই, বাড়ির সবচেয়ে ভাল ঘরটাতে ওনাকে থাকতে দিলেন।

পরদিন সকালে আতিথিয়েতার প্রশংসা করে বুজুর্গ বিদায় নিলেন; বাড়ির সকলেই রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ওনার যাত্রাপথের দিকে তাকিয়ে থাকলো। কিছুদুর গিয়েই হঠাৎ ঐ জটাধারী ফিরে আসলেন .... কোনো সমস্যা হল কি না ভেবে গৃহকর্তা একটু এগিয়ে গেলেন। জটাধারী গৃহকর্তার হাতে একটা খড়ের টুকরা দিয়ে বললেন .. ভুলক্রমে ওনার বাড়ির খড়-কুটা তাঁর দাড়ির সাথে চলে গিয়েছিল তাই ফেরত দিতে এসেছিলেন। হতভম্ব মুগ্ধ গৃহকর্তাকে ঐ অবস্থায় রেখেই লোকটি বিদায় নিলেন। আশেপাশে জড়ো হওয়া প্রতিবেশীরাও অতিথির এহেন বোকামীমার্কা সততায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

দুপুরে গৃহকর্তার বাড়িতে আবার গোলমাল শোনা গেল। ব্যাপার কিছুই না। অতিথি যে ঘরে ছিলেন সেই ঘর গোছাতে গিয়ে আবিষ্কার হল যে ঐ ঘরে সিন্দুক থেকে সমস্ত টাকাপয়সা হাওয়া হয়ে গিয়েছে। ............ জটার সাথে ভুলক্রমে চলে যাওয়া খড়কুটো ফেরত দেয়াটা একটা ইম্প্রেসিভ স্টান্টবাজি ছিল।

ঘটনা-২
আমার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে এক নেশাখোর একটা নোকিয়া ৩১১০ ক্লাসিক ফোনসেট ২০০ টাকায় বিক্রয় করতে চাইলো কিন্তু উনি সেটা নেননি। আমি খুব অবাক হলাম ..... প্রায় ৬ হাজার টাকার একটা সেট এ্যাত কমদামে পাচ্ছেন নেবেন না কেন? না হয় একটা চার্জার কিনে নিতে হবে, সেটার কতই বা আর দাম। তাছাড়া ঐ সেটটাতে কত সুবিধা একসাথে আছে .... দারুন রঙিন স্ক্রিন, ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ব্লুটুথ, ক্লাস ১০ এজ মডেম ইত্যাদি। প্রতিটিই দরকারী ফীচার - কোথাও বেড়াতে গেলেন, দারুন কিছু দেখলেন; সেটা পরিচিতদের সাথে পরে শেয়ার করার জন্য ক্যামেরাটা কত কাজে দিত। এছাড়া এজ মডেম দিয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কত সহজে পাওয়া যায়, শুধু এজ মডেমের দামই কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা। ব্লু-টুথ দিয়ে তারের ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই অন্য মোবাইল বা কম্পিউটারের সাথে ডেটা/ফাইল/ছবি আদান প্রদান করা যায় .... কত সুবিধা -- এই সুবিধাগুলোর কোনটাই ওনার কমদামী সেটে নাই; যেটাতে শুধু কল করা আর রিসিভ করা যায়। একবার আমার ঐ মডেলের ফোন ছিনতাই হয়েছিল, তাতে যত টাকার ক্ষতি হয়েছিল (তৎকালীন ক্রয়মূল্য ছিল ৮৮০০ টাকা) আপনার তার কিছুই হবে না, ছিনতাই/চুরি যদি হয়েও যায় তবুও ২০০ টাকায় এর চেয়ে অনেক বেশি ভোগ করে নিতে পারবেন। এ্যাত সুবিধার কথা বোঝানোর পরও ওনার এক কথা: নির্ঘাত ওটা চুরির/ছিনতাইয়ের মাল, তাই যত কমদামেই দিক, যত সুবিধাই থাক নেবেন না। এখন ছবি তোলার দরকার হলেও ওটা ছাড়াই চলা যাবে অতি দরকার হলে খেয়ে না-খেয়ে টাকা জমিয়ে তবেই কিনবো আর ঐসব সুবিধা ভোগ করবো।

বাঃ, ওনার বিবেক আর বিবেচনাবোধ দেখে আমি চমৎকৃত হলাম। সত্যই তো চুরির মাল যত লোভনীয় হউক না কেন সেটা পরিত্যাজ্য। আমার ধারণা এই লেখার পাঠকগণের বেশিরভাগই একই রকম মনোভাব পোষন করেন।

কিন্তু কয়েকদিন পরেই অন্য কিছু ঘটনায় আমার মনে হতে লাগলো যে আগের যেই আদর্শবাদীতা দেখেছিলাম ওটা মেকী ছিল ... শুধুই লোক দেখানো ছিল। কিংবা হতে পারে যেই আদর্শের কথা তখন আমাকে বলেছিল সেটার অর্থ ওনার উপলব্ধিতেই নাই ... শুধুই তোতাপাখির মত কপচানো বুলি। নাকি আগের গল্পের জটাধারী অতিথির মত সততা!

কারণটা আর কিছুই না। উনার বাসায় এবং অফিসে অনেক চোরাই মাল অবিশ্বাস্য কমদামে কিনে ব্যবহার করতে দেখলাম। ঐ মালগুলোর দাম ঐ চোরাই মোবাইলের চেয়ে অন্ততপক্ষে ২০গুণ বেশি। ওনাকে যখন বললাম কেন এই কাজ করছেন? অনেক কমদামে অন্য ব্রান্ডের আসল জিনিষ ব্যবহার করা যায় তখন তিনি পুরা ১৮০ ডিগ্রীর ঘুরে উল্টা যুক্তি দিতে থাকলেন ... যে ঐ ব্রান্ডে এই সুবিধা নাই সেইটা সহজে করা যায় না -- কথা বলছে যেন আগের ঘটনার খলনায়ক (আমি)।

ঘটনা ২.১
কি .... এখনও বুঝতে পারেন নাই? ঠিক আছে ..... সহজ হিসাব দিচ্ছি:

  • উইন্ডোজ: কমপক্ষে ৫০ ডলার
  • মাইক্রোসফট অফিস: কমপক্ষে ৪০০ ডলার
  • এন্টি ভাইরাস: বছরে কমপক্ষে ১০ ডলার
  • ফটোশপ: কমপক্ষে ২০০ ডলার
  • অটোক্যাড: কমপক্ষে ৯০০ ডলার
  • বাসার কম্পিউটারে থাকা গেমগুলোর দাম আপাতত বাদ দিলাম।

প্রতিটি কম্পিউটারে কমপক্ষে: ১৫৬০ ডলার। তাহলে অফিস ও বাসা মিলিয়ে ৩০০০ ডলারের বেশি (= প্রায় ২,১০,০০০ টাকার বেশি) দামের সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। বলাই বাহুল্য যে ওগুলো সবই চোরাই মাল। সবগুলো সিডি মিলিয়ে ২শ টাকার বেশি খরচ হয়নি। আগের আদর্শ গুলে খেয়ে সেগুলো কিন্তু ঠিকই ব্যবহার করছেন।

তাই ইদানিং যখনই কেউ বড় বড় আদর্শের বুলি কপচায় আর নিজেই লাখ লাখ টাকার চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে .... তখন মনের ভেতর থেকে কোনো মুগ্ধতা বের হয়ে আসে না - বরং হিপোক্রেসি দেখলে যেমন অনুভুতি হওয়ার কথা সেরকম মনে হয় (হে জটাধারী ভন্ড!)।

ঘটনা-২.২
একটু হিসাব করুন দেখি প্রতিটি কম্পিউটারে কত টাকার দূর্নীতি হচ্ছে? তাহলে একটা বাসায় কত টাকার দূর্নীতি হচ্ছে, একটা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র এই সফটওয়্যার/কম্পিউটার খাতে কত টাকার দূর্নীতি হচ্ছে? পরপর ৫ বার দেশ হিসেবে দূর্নীতিতে যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম তখন কি এই খাত সহ হিসাব হয়েছিল? না হয়ে থাকলে এগুলো সহ হিসাব হউক -- দূর্নীতিতে আমাদের চ্যাম্পিয়নশীপ কোনদিন হুমকীর সম্মুখীন হবে না!

দেশের জন্য ক্রিকেটাররা কোন জয় আনতে না পারুক ... আমরা ঠিকই শুধু জয় না, চ্যাম্পিয়নশীপ ছিনিয়ে আনবোই আনবো!

ঘটনা-২.৩
নিজেকে বদলানোর কী দরকার?! বরং চ্যাম্পিয়নশীপ উপলক্ষে একটা থীম সং দরকার।

ঘটনা-৩
অল্টারনেটিভ অপশনটা কি জানেন? লিনাক্স .... ঐ সবগুলো সফটওয়্যারের কাছাকাছি বিকল্প সফটওয়্যার সহ বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন সিকিউরিটি, কারণ লিনাক্সে ভাইরাসের বেইল নাই।

ঘটনা-৪
এসব বুঝাইতে গেলে বেশিরভাগ লোকই যুক্তি মেনে নেয়। আমাকে প্রচন্ড মাত্রায় সমর্থন ও উৎসাহ দেয় কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টের শিরোনাম বাস্তবায়িত করে।

অবশ্য, আমার প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিচার মেনে তালগাছ ছেড়ে দিয়েছেন । সেই পত্রাঘাতের গল্প চাইলে আরেকদিন (... ... না চাইলেও জোর করে করবো .. হে হে চোখ টিপি ) । আপাতত অফ যাই।

ঘটনা-৫
যাওয়ার আগে কিছু সালিসের কথাবার্তা ....

তালগাছ বক্তাঃ আরে ... বিদেশি ওরা শত বছর ধরে আমাদের শোষন করেছে, এখন ওদের জিনিষ আমরা পয়সা না দিয়ে ব্যবহার করলে ঠিকই আছে।
বস্তিবাসীঃ বিল্ডিংএ থাকা সাহেবরা আমাদের পাওনা মেরে দিয়ে বড়লোক হৈছে ... তেনাগো বাসার জিনিষ চুরি করলে ঠিকই আছে।

তালগাছ বক্তাঃ ওদের জিনিষ ছিনিয়ে নেয়াই ঠিক পন্থা ... শালারা এই দেশটাকে চুষে খাচ্ছে।
ছিনতাইকারীঃ এই শালার বেটা তোর মোবাইল দে ...

তালগাছ বক্তাঃ আরে ভাই দেশে যেই ইনকাম তাতে তো কিনে সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে না। পাইরেসী ছাড়া কোনো উপায় নাই ...
ছিচকে চোরঃ চারদিকে কাজ নাই। যেগুলো আছে সেগুলোতে আর কয়টাকা দেয়। তারচেয়ে সিগনালে দাঁড়ানো গাড়ির যাত্রীর ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে দৌড় দিয়ে রেলগাড়ীর সামনে দিয়ে লাইন পার হওয়া ছাড়া উপায় নাই।

তালগাছ বক্তাঃ ফ্রী সফটওয়্যারগুলো ভাল না। হ্যান করা যায় না ত্যান করা যায় না .... কমার্শিয়াল সফটওয়্যারের সুবিধা পেতে অনেক দুর যেতে হবে। তার চেয়ে পাইরেটেড সফটওয়্যার ভাল।
ঘুষখোর আমলার ছেলেঃ এই তোর বাবাটা যে কী ..... .... এ্যাত সততা দেখায় কী হবে... বাসায় একটা এসি লাগাতে পারে না ... এই গরমে এসি ছাড়া থাকা যায় ... ছিঃ ছিঃ

.... .... ....
... ... ...

(লেখাটি সর্বপ্রথম সচলায়তনে প্রকাশিত হয়েছিল (০৯-জানু-২০০৯))

Level 0

আমি শামীম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 449 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

গুগল আমার সম্পর্কে জানে, কাজেই জানতে চাইলে আমার নাম বা ইউজার নামটা দিয়ে গুগল করুন ... :D


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

চমৎকার দেখাইলেন গুরু !

    ধন্যবাদ।
    কী দেখাইলাম? :-w

    শামীম ভাই অলওয়েজ চমৎকার। 😆 উনার থেকে এই ধরনের টিউন আরো আশা করি।

বাহ দারুন হয়েছে। প্রথমে জটাধারি বৃদ্ধের কথা পড়ে মনে করেছিলাম টেক ব্লগে একি ফাজলামি। আপনার কথা আসলেই যুক্তিযুক্ত। গত ছয় মাস ধরে উবুন্তু ইউজ করছি। কিন্তু উইন্ডোজ পুরাপুরি ছাড়তে পারছিনা। বিশেষ করে গেম খেলার সময় উইন্ডোজে আসতে হয় তাই ডুয়াল বুটিং ভরসা। ডুয়াল বুটিং আর ভাল লাগছে না। জানালাকে পুরাপুরি বিদায় জানাতে চাই। যদিও আমারটা জেনুইন। কোন সাজেসন?

    পয়সা দিয়ে কেনা জিনিষ ফেলবেন কেন! এক কোনায় পড়ে থাকুক — কখনো কোনো কাজে লাগতে পারে।

    লিনাক্সের গেমগুলো আমার কাছে ভালই লাগে। অবশ্য বয়স ফ্যাক্টর আছে এখানে। আপনি কোন ধরণের গেম খেলেন?

    রেসিং – vdrift
    সিটি সিমুলেশন – simutrans, lincity-ng
    ফার্স্ট পার্সন শুটিং – openarena

    ইত্যাদি ট্রাই করে দেখতে পারেন।

    উইন্ডোজ পয়সা দিয়ে কিনিনি। ল্যাপটপের সাথে ফ্রী দিয়েছিল। আমারকি খেয়েদেয়ে কাজ নেই? 😛

    জেনুইন যদি হয়, তবে পয়সা ঠিকই নিয়েছে। ওটা ছাড়া কিনলে দাম ৫০ ডলার হলেও কম পড়তো। তবে হয়তো ঐ মডেলে কাস্টম করার অপশন নাই কিন্তু বাইরের কিছু ওয়েবসাইটে অর্ডার দিয়ে কাস্টম করার অপশন আছে (ডেল, এইচপি ইত্যাদিতে) … … ওসব সাইটে গেলে দামের পার্থক্যটা বোঝা যায়।

    জ্বী, ল্যাপটপ নির্মাতাগুলা প্রোডাক্ট এর সাথে OS দিয়ে দিচ্ছে। এর জন্য অবস্যই দাম নিবে। ৮০০ ডলারের ল্যাপটপ এ উইন্ডোজ হোম প্রিমিয়ামের মুল্যই ২৫০ ডলার (১৮০০০ টাকা)। তাহলে বুঝুন। অনেকে মনে করে যে ল্যাপটপ, তাই OS ফ্রী। কিন্তু সেটার দাম ঠিকই বুঝে নিবে ওরা। ওয়েবসাইট দেখে বুঝতে পারবেন কোন কোন খাতে কত নিলো। তবে ডেল এর কিছু মডেল দেখেছি যেগুলায় উবুন্টু দেওয়া, দামেও কম। এগুলা এশিয়ার জন্য। অর্থাৎ ৮০০-২৫০=৫৫০ ডলার দাম, বাংলাদেশে ৪০-৪৫ হাজার টাকা 😛

বিচার মানি তবে তালগাছ আমার।

বিচার মানি, তবে তালগাছ আমার

Level 0

ভাই…।আপ্নের কথা তো সম্পুর্ন ভুল……কেন জানেন? কারন তাল গাছ টা আমার………।হেহেহেহেহিহিহিহিহিহি

Level 0

হুম,বুঝলাম,কিন্তু আপনিও নিশ্চয়ই এটা বুঝেন যে, সফটওয়্যার,সিডি ডিভিডি আসার এই দুই নম্বর পথ না থাকলে আমাদের মত এই গরীব দেশের মানুষ এই কম্পিউটার চালাতেই জানতো না। আই টি সেক্টরে এক পাও এগুতো না। আর ফ্রিল্যান্সিং এর নাম শুধু কান দিয়ে শুনার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারত না।

    তাই নাকি!
    ওয়েব ডেভেলপারদের মুখে তো খালি php, mysql ইত্যাদির নাম শুনি – ওগুলো তো পাইরেটেড না।
    ব্রাউজারে ফায়ারফক্স, ক্রোম, অপেরা – সবইতো ওপেনসোর্স।
    তথ্য – উইকিপিডিয়া।
    অফিস – লিব্রে অফিস, ওপেন অফিস : আমি সমস্ত কাজ করি এগুলো দিয়ে। আমার কাজই ডকুমেন্টেশন ধরণের।
    প্রোগ্রামিং – লিনাক্সের কোডারা কী কী ব্যবহার করে? আমি ঐ লাইনের না তাই খুব একটা জানি না, তবে সি, বেসিক ইত্যাদি যে আছে তা জানি।
    ছবি – GIMP, Inkscape ইত্যাদি
    এনিমেশন – Blender ….. হলিউডের সব বড় বড় ব্লকবাস্টার মুভির এনিমেশন এগুলো দিয়ে তৈরী হচ্ছে। আমার একটা টিউনও ছিল এই বিষয়ে: https://www.techtunes.io/linux/tune-id/16921/

    এক নম্বর পথেই সবকিছুর উপায় আছে। শুধু দরকার এই খবরটা সকলের সাথে শেয়ার করা, আর সত্যিকারের ইচ্ছা (জটাধারীর মত না)।

    মিঠু ভাই আপনি যেসব সফট ব্যবহার করেন অনেকগুলোই কিন্তু ওপেনসোর্স।আপনি ফটোশপ এর যে টিউটোরিয়াল লিখছেন ওটার বিকল্প গিম্প যেটাও ওপেনসোর্স।লিনাক্স ব্যবহার যদি আইটি সেক্টরের সব জায়গায় হত তাহলে অনেক আগেই দেশ আরো এগিয়ে যেত।যেমন বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং,রেলওয়ে-বাস এসবের সয়ংক্রিয় টিকেট কাটার ব্যবস্থা সব কিন্তু লিনাক্স দিয়েই চলতেছে।ওইখানে উইন্ডোজের কোন বেইল নাই।আমরা পার্সোনাল উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজকে এত পাত্তা দেয় বলে সফটওয়ার কোম্পানীগুলো লিনাক্সের উপযোগী সফটওয়ার বানায় না।তবে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।লিনাক্স ব্যবহার করে দেখুন অনেক ভাল লাগবে।এছাড়া কোন সমস্যা হলে বাংলা ফোরামগুলোতে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

    http://forum.projanmo.com/forum53.html

    http://www.rongmohol.com/forum66.html

    http://forums.linuxdesh.com/

    Level 0

    হুমমমম।

অনেক সুন্দর আর মজার পোস্ট। তবে কিছু কথা। লিনাক্স এ প্রায় সবকিছুরই বিকল্প আছে। নিজেও প্রথমে উবুন্টু আর এখন লিনাক্স মিন্ট ব্যাবহার করছি। প্রধান সমস্যা ইন্টারনেট। লিনাক্স এ সব পাওয়া যায়, তবে সেগুলা পাবো কিভাবে? সবাই উইন্ডোজ ইউজার, হা করলেই সিরিয়াল সহ সফটওয়্যার পাবেন। কিন্তু লিনাক্স এর কী হবে? সবাই সোর্স থেকে ইন্সটল করতে পারেনা। ডেব ফরম্যাট এ কয়জন দিবে? আর ইন্টারনেট ব্যাবহার করবেন, কোম্পানীগুলা ম্যাকের ড্রাইভার দিবে, তবুও লিনাক্স এর সাপোর্ট দিচ্ছেনা। Qubee মডেম চালানোর উপায় একজন বের করেছেন। কিন্তু বাংলালায়নের কি হবে? আর সবাই চেষ্টা করছে দেশটাকে পঙ্গু করার। উইন্ডোজ উইন্ডোজ করে মাথা খারাপ সবার। অফিস এ কাজ করা মানেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড লাগবেই, ডিভিডি বার্ন করতে নিরো না হলে হবেইনা। গান শুনতে উইনঅ্যাম্প বা জেটঅডিও লাগবে। অথচ ওপেন অফিস, ভিএলসি, রিদমবক্স – এগুলা চেনাবে কে? এখন অনেকে আছে জানি যাদের নাকি অভ্র দিয়ে লিখতে সমস্যা হয় (লেআউট মনে থাকেনা!!!)। বিজয় ছাড়া তাদের চলেনা। পিসি কিনলেই এক্সপি, আর চালু হউয়ার সময় ম্যাকাফি বা ক্যাস্পারস্কাই চালু না হলে মানায় না। আর পিসি কেনার সময় থেকেই সবার মনে উইন্ডোজ উইন্ডোজ ভাব ধুকিয়ে দেওয়া হয়। অনেক খারাপ লাগে এসব দেখে। আমি লিনাক্স পছন্দ করি কারণ পুরোটাই সি। সোর্স কোড পাওয়া যায়, কাস্টোমাইজ করা যায়। বাংলালায়নের মডেমটা চালানোর উপায় পেলে উইন্ডোযে আর হাত দিবইনা 😐

    আমার একজন আত্বীয় সংসদে কাজ করেন। একদিন তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। অফিস আওয়ার শুরু হয়েছে তাই কম্পিউটারগুলো চালু হচ্ছে আর ম্যাসেজ দেখছি, "You may be a victim of software…".

    বাংলালায়নের কারণে আমাকেও এখন উইন্ডোজ ব্যবহার করতে হচ্ছে।আগে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতাম তাই সেটাপ দিতে তেমন সমস্যা হয় নি।কিউবি দিতে সমস্যা হয় না কিন্তু এটা এখনো সংযোগ দিতে পারিনি।

    হুঁ আনকম্পাটিবল হার্ডওয়্যার একটা সমস্যা। লিনাক্স ব্যবহার শুরুর পর থেকে গত চার বছরে আমি সবসময় হার্ডওয়্যার কেনার সময় কম্পাটিবিলিটি খোঁজ নিয়ে কিনি।

    বিভিন্ন ফোরামে ঘোরাঘুরি করে যা বুঝলাম – বাংলালায়ন ও কিউবির ইউএসবি ডঙ্গলগুলো অখ্যাত চাইনিজ ব্র্যান্ডের মাল জন্য এগুলো লিনাক্স ডেভেলপারদের হাত পর্যন্ত পৌঁছায়নি; তবে কেক মডেম আর গিগাসেটগুলো অপেক্ষাকৃত ভাল কম্পানির, তাই এগুলো ডেভেলপারগণ হাতে পেয়েছিল – ফলে এগুলো লিনাক্সে প্লাগ এন্ড প্লে।

    Level 0

    আমি তো বাংলালায়ন উবুন্টু ৯.০ তে ব্যবহার করেছি। কোন সমস্যা হয় নাই। উল্লেক্ষ্য আমি পোস্ট পেইড ৫ গিগা ব্যবহার করি। আমি উবুন্টু কে আলাদা পার্টিশনে সেট আপ করতে পারি না। সেটআপ করলে উইন্ডোজ এর ভেতর ইন্সটল হয়। একটু সাহায্য আশা করতে পারি কি বলেন !!!!!!!!!!!!!!

      সারিমও বলেছিল যে পুরাতন একটা কার্নেলে USB মডেমটা কাজ করে। নতুন কার্ণেলে কাজ করে না। তবে কেক মডেম আর গিগাসেট মডেম দুইটা কোথাও সমস্যা করে না। আপনারটা কি USB ড্রাইভের মত দেখতে ছোট মডেমটাই?

      আলাদা পার্টিশন করে ইনস্টল করতে হলে সিডি/USB থেকে সরাসরি বুট করতে হবে। উইন্ডোজ চালু করে তারপর সিডি ঢুকালে হবে না। এজন্য প্রথমে কম্পিউটার চালু করে F2 কীটা চেপে বায়োসে প্রবেশ করতে হবে। তারপর বুট সিকোয়েন্সের অপশন থেকে সিডি অথবা USB থেকে বুট করার অপশনটা আগে নিয়ে আসতে হবে। তারপর সিডি বা USB লাগিয়ে বুট করাতে হবে মেশিন। এতে উইন্ডোজে না ঢুকে সরাসরি লাইভ সিডি থেকে বুট করবে। এরপর ইনস্টল করলে আলাদা পর্টিশন করে করার অপশন পাবেন। তবে, এটা করার সময়ে খুব সতর্ক ভাবে করতে হবে; কোন কিছু না পড়েই নেক্সট বা ওকে বা ফরোয়ার্ড বাটন টেপা ঠিক হবে না – পুরা হার্ডডিস্ক ফরম্যাট করে ফেলতে পারেন।

      আপনি যদি এভাবে ইনস্টল করতে চান, তবে ৯.০৪ এর বদলে লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহার করুন। লিনাক্স মিন্টও দিতে পারেন – এতে ইনস্টলের পর আলাদা করে রেস্ট্রিকটেড এক্সট্রা নামাতে হবে না, এম্নিতেই সব মিডিয়া চলবে। মিন্টের ডিভিডি চাইলে আমার সাথে বা অন্য মন্তব্যে দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।

    Blogger O ভাই, আমার কাছে সবচেয়ে সহজ উপায় এটা – উইন্ডোজ ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট থেকে ৬/৮ জিবি এর একটা আলাদা পার্টিশন বানিয়ে নেওয়া। তাহলে লিনাক্স এর সিডি থেকে বুট করে সহজেই অই পার্টিশন এ ইন্সটল করা যায়। আর আপনি প্লিজ বলবেন কীভাবে বাংলালায়ন ব্যাবহার করলেন???? খুব উপকার হয়।

    আর শামীম ভাই, আমারটা ZTE AX226 মডেলের। এই পোস্ট এ বলেছিলাম মডেমের ব্যাপারে http://forum.amaderprojukti.com/viewtopic.php?f=42&t=6533

      আমাদের প্রযুক্তির ঐ পোস্টের লিংক রিং ভাইকে পাঠালাম। দেখি কিছু করতে পারে কি না। তবে ওনার কাছে ঐ মডেম একটা থাকলে আরো ভালো হত।

    অর্থাৎ ব্যাপারটা হবে এই ছবির মত http://sites.google.com/site/fortechtunes/home/data/ext4.linux.png

    তাহলে লিনাক্স ইন্সটল করার সময় Use maximum free space দিলেই হবে। অথবা 8GB এর ড্রাইভ টা sda7 হিসেবে দেখাবে। তাইনা শামীম ভাই?

    @মিনহাজুল হক শাওন: Qubee মডেম চালানোর link টা দিবেন দয়া করে?

Level 0

Windows 7 setup kortey hoy kivabey amamey kew ki A-Z sceenshot soho janate parben ki. plz plz

    আপনি ভুল নাম্বারে ডায়াল করেছেন … … 😉

পড়ে খুব ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ ।

    জেনে আমারও ভাল লাগলো।
    আপনাকেও ধন্যবাদ।

সুন্দর একটি পোষ্ট এর জন্য শামীম ভাইকে ধন্যবাদ 🙂

    আপনাকেও ধন্যবাদ প্রদানপূর্বক কৃতজ্ঞতার সাহিত ধন্যবাদ গৃহিত হইল। 😀

পোষ্ট টা ভালই লাগল। তবে সমস্যা হল লিনাক্স চালাতে হলে নেট কানেকশন লাগবেই। কারন এর সফটওয়্যার গুলো বাজারে সিডি আকারে এখনো পাওয়া যায় না। এছাড়া এর সেটআপ সিডিও বাজারে পাওয়ার যায় না।
আমাদের দেশে এখনও সব কম্পিউটার ব্যবহারকারীর হাতে ইন্টারনেট পৌছায় নাই। তাই লিনাক্সের প্রতি আগ্রহ থাকলেও অনেকে ব্যবহার করতে পারছে না।
তবে আশার কথা হল সেদিন মার্কেটে দেখলাম উবুন্টুর ১০.০৪ এর সিডি পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি সামনে এর সফটওয়্যার গুলোও বাজারে পাওয়া যাবে। আশা করি তখন নেট কানেকশন ছাড়াই সবাই ব্যবহার করতে পারবে।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।

    আসলে উইন্ডোজও ঠিকভাবে চালাতে গেলে নেট লাগে – কারণ উইন্ডোজ ইনস্টল করার পর এক্টিভেশন করা এবং সময় সময় আপডেট নিতে নেট লাগবেই। আর এন্টিভাইরাস আপডেট না করলে কী সমস্যা হয় সেটা বোধহয় কারও অজানা নাই।

    লিনাক্সের ডেভেলপারগণ খুবই সতর্ক। যখন একটা সফটওয়্যার অফলাইনে সিডিতে কপি করা হবে তখন কে কোথায় কীভাবে এর মধ্যে ক্ষতিকারক কোড ঢুকিয়ে দেয় তার হদিস থাকবে না – ক্ষতিগ্রস্থ হবে ব্যবহারকারী। তাই নেট থেকে চেক করা জিনিষপাতি নামানোর পরামর্শ দেয়া হয়।

    আপনি দেশে প্রচলিত উইন্ডোজের মতই অফলাইন লিনাক্স চাইলে যোগাযোগ করুন এখানে:

    যোগাযোগ
    ফোন : ৮৮-০২ – ৯০১৫৮১৬ (মেহদী ভাইয়ের অফিস)
    মুঠোফোন : ০১৬৭১৪১১৪৩৭ (রিং ভাই) , ০১৬৭৮৭০২৫৩৩ (মেহদী ভাই)
    ওয়েব সাইট : http://www.fossbd.org

    এখানে কাস্টমাইজ করা লিনাক্স মিন্ট জুলিয়ার (জুলিয়া – উবুন্টু ১০.১০ থেকে ডেভেলপ করা) ডিভিডি পাবেন যাতে প্রচুর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার এবং থ্রীডি গেম দেয়া আছে। ডিভিডির সাইজ প্রায় ৮গিগা। সম্ভবত কুরিয়ারে পেতে হলে কুরিয়ার খরচসহ ৮০ বা ৭০ টাকা লাগবে। (ডিভিডির মূল্য ৫০ টাকা)। আমার কাছেও বেশ কয়েকটা এই ডিভিডি আছে, কিন্তু কুরিয়ার করতে যাইতে আলসেমী লাগে মাঝে মাঝে। আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আছে কি না সেটা জানতে উপরে দেয়া রিং ভাইয়ের নম্বরে ফোন দিতে পারেন।

    শামীম ভাই, ঠিকানা লিখে রাখলাম। ডিভিডি চেয়ে পাঠাব শীঘ্রই 🙂

      আপনি আমার কাছ থেকেও সরাসরি নিতে পারেন। দেখেন কোথায় সুবিধা হয়।

      আমি ( ফোন নং ) : ফার্মগেট (বাসা ), গুলশান-২ (অফিস)
      রিং ভাই: সাভার (বাসা), মতিঝিল (অফিস), ঢাকা ইউনিভার্সিটি (আড্ডাবাজি)
      মেহদী ভাই: মিরপুর-২

samim bhaier lekhate kichuta batikkrom thakbei. Er se jonnoy onar lekha amar valo lage. Amio linux baboher korci. Cammand gulo puropuri attosto korte parle aro besi moja pabo.

    কমান্ডের কথা শুনলে আমার ভয় লাগে। ৪ বছরে ঐ বস্তু তেমন একটা লাগে নাই।

হুম! বিচার তো ভালই করলেন। কিন্তু আমার এত সাধের তালগাছটা ছাড়ি কিভাবে বলেন তো? হাজার হলেও ১০ বছর ধরে তিলে তিলে মানুষ করেছি ত্থুক্কু তালগাছ করেছি। আর আপনার একটা বিচারের জন্য এটা আপনাকে দিয়া দিতে হবে? হু এত সোজা! বললেই হল। হি হি হি। উইনডোজ ৭ অবশ্য ল্যাপটপের সাথে পেয়েছি। তার মানে কিনেই ব্যাবহার করছি। 😉 সাথে উবুন্টুও প্রাকটিস করতেছি। উইনডোজ চালাইছি ১০ বছর ধরে আর উবুন্টু ধরছি ৬-৭ মাস আগে। ফটোশপ, আইডিএম, অফিস চুরি করেছি। ফায়ারফক্স, ভিএলসি ফ্রীওয়্যার। আর বাকি গুলো ট্রায়াল ভার্সন। হা হা। মোটকথা কমপক্ষে আরো ২-৩ বছর লাগবে এই খাতে পুরোপুরি নীতিবান হতে। হা হা 😀
তবে ততদিন পর্যন্ত তালগাছটা আমার। 😛

    ‌ভাই আপনি উইন্ডোজেই অফিসের বদলে লিব্রেঅফিস আর ফটোশপের বদলে গিম্প এবং আইডিএম এর বদলে ফায়ারফক্সের এডঅন ডাউনদেমঅল ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

    লিব্রে অফিস (২১৪ মেবা):
    http://download.documentfoundation.org/libreoffice/stable/3.3.2/win/x86/LibO_3.3.2_Win_x86_install_multi.exe

    গিম্প (১৯।৪ মেবা):
    http://gimp-win.sourceforge.net/stable.html

    ডাউনদেমঅল:
    https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/201/

    আমার শিক্ষকগণ বাঁশঝাড়ের মালিক ছিলেন। আমাদের অকাতরে বাঁশ দিতেন। আমিও না হয় তালবাগানের মালিক হই এবং অকাতরে তালগাছ দান করি —- তয় মাঝে মইধ্যে তালপিঠা পাঠাইয়েন।

অভ্যাস একটা খারাপ জিনিস। কম্পিউটার কেনার সময় যদি উইন্ডোজ ধরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে আমাদের দেশ ওপেন সোর্সে এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটও সহজলভ্য হতে হবে।
সুন্দর টিউনের জন্য ধন্যবাদ।

    চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। 🙂

প্রজন্ম ফোরামে লেখাটা পড়েছিলাম। ধন্যবাদ শামীম ভাইকে টেকটিউনসে ও শেয়ার করার জন্য।

    ধন্যবাদ। 🙂
    হ্যাঁ, প্রজন্মে লেখাটার লিংক শেয়ার করেছিলাম। এছাড়া আমার ব্লগস্পটের ব্লগেও সংরক্ষিত আছে।

Level 0

shamim ভাই downthemall আর idm আলাদা জিনিস। Jdownloader এর কথা বলুন এটা open source. আর এটা জানালা ও লিনাক্স/উবুন্তু তে চালান যায়।

ষামিম ভাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    ধন্যবাদ ডা. শামীম ভাই।
    আমি আসলে জেডাউনলোডার ব্যবহার করি নাই কখনো, তাই জানতাম না। আমার ডাউনলোড করার মত জিনিষ খুব বেশি নাই, যা থাকে সেই সব কাজ ডাউনদেমঅল দিয়েই হয়ে যায়, এছাড়া টরেন্ট নামাই ট্রান্সমিশন দিয়ে। আর আইডিএম এর স্ক্রিনশট দেখে এটা ডাউনদেমঅলের মতই ভেবেছিলাম।

    পাইরেসীর আশংকায় – মুভি, গান, নাটক কিছুই নামাই না আমি। সজ্ঞানে পাপ করতে চাই না।

উবুন্টু সিডি আমার চাই, আমাকে সাহায্য করবেন। আর ভাইয়া আপনার কথা ঠিক আছে আমাদের দেশের লোক চুরি করে সব সফটওয়্যার ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদের এখানে একথা বললে আমাকে পারেনা যে মারে। কেউ বিশ্বাস করে না আমার কথা। কিন্তু আমার ধারণা কোন দিন না কোন দিন কি উইন্ডোজ বন্ধ হবে। সে দিন আমি সার্থক হব তাদের কাছে। আমার বাড়ি শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাগঞ্জ। আমি একদিন উবুন্টু ব্যবহার করেছি একজনের কাছে চেয়ে আমাকে অনেক ভাল লেগেছে। কিন্তু আমি এটা ব্যবহার করতে চাচ্ছী কিন্তু পারছি না কেননা এখানে উবুন্টু সিডি পাই না। আমি মূলত এডিটিং করি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আমার এই দুটি এখন আমার প্রিয় উবুন্টুতে চলবে। আমাকে যত টাকা লাগুক উবুন্টুর সিডি ও এডিটিং করা সফটওয়্যার টা দিবেন কুরিয়ারে। আমার ঠিকানা :আব্দুর রব, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাগঞ্জ। মোবাইল : ০১৭২২-৫০২৪৫১ আমাদের এখানে সুন্দর বন বা করোতয়াতে দিলে আমার খুব ভাল হয়।

অনেক নীতিবান কথাই তো বললেন।আপনি কি ভার্সিটিতে লেখা পড়া করেন না?অইখানে তো পাইরেসি করা বই লাগে।কারন ঢাকার সবচেয়ে বড়লোক মানুষ অই পাইরেসি বই কিনে পড়ে?আপনি কি ইংলিশ গান,মুভি দেখেন না?কিভাবে দেখেন?হয়তো বলবেন টিভিতে যখন দেখায় শুধু তখন-ই দেখেন।এই কথা বললে আমার কিছু করার নাই।আপনি সত্যি বলছেন কিনা?আমজান,আই-টিউন্স এ গান কিনতে হয় আমার মনে হয় না আমারা কেও সেইটা কিনি।যেগুলা সবার মোবাইল এ কম্পিউটার এ বাজে।শুধুমাত্র লিনাক্স এ আসলে আমারা বাংলাদেশ কে বদনাম এর হাত থেকে বাচাতে পারবো এইটা আপনার ভুল ধারনা।পাইরেসি কমবেশি সব দেশেই হয়।

আপনার টিউন এর সাথে আমি পুরো একমত হতে পারলাম না।এখন ও আমাদের দেশে পাইরেসি হবার প্রধান কারন একটাই।বাহিরের সফটয়্যার নির্মাতারা আমাদের দেশে তাদের পণ্য বিক্রি করার সেরকম সুযোগ পান না।কারন দেশের সরকার এখন দেশের অর্থণৈতিক অবস্থা সেরকম ভাবে গড়ে তুলতে পারেনি।

আপনার তালগাছের ব্যাপারে আমার কোন আগ্রহ নেই।ধন্যবাদ।

    @শরীফ আহমেদ জনম: বিচারই মানেন না, তালগাছ তো পরের ব্যাপার!!

    ভার্সিটির লেখাপড়া শেষ করেছি। আপনার পয়েন্টে একমত, ওখানে বই পাইরেসীর ছড়াছড়ি। তখন না বুঝলেও এখন বুঝি যে স্যাররা কেন ঐসব নিরামিষ কাগজে লেখা নিজেদের টাইপ করা নোট সাপ্লাই করতেন। আমি নিজেও এখন মাস্টারি করি, লিখে ক্লাসনোট দেই, ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মুক্ত ও শেয়ার্ড লেকচার নোট হিসেবে দেই।

    ভার্সিটিতে পড়ার সময়ে না বুঝেই আমি বেশিরভাগ অরিজিনাল প্রিন্টের বই কিনতাম। কারণ ওগুলোর গন্ধ আর ছাপা পড়তে আমার ভাল লাগতো। এতে ফটোকপি বইয়ের চেয়ে ৩ থেকে ৫ গুন বেশি দাম দিতে হত, তবে বিড়ি সিটারেট পান কোন বদভ্যাস ছিল না দেখে ওটাই টিউশনির টাকা নষ্ট করার একমাত্র বদঅভ্যাস (!) ছিল। তবে বই থেকে কিছু অংশ কপি করার পারমিশন আইনেই দেয়া আছে (খুব সম্ভবত সর্বোচ্চ এক দশমাংশ)। বর্তমানে অরিজিনাল ছাড়া কোন বই কিনি না। ইন্ডিয়ান প্রিন্ট না পেলে বেশি দাম দিয়ে বাইরেরগুলোই কিনি। নিউমার্কেটে আলীগড়, আইডিয়াল লাইব্রেরী সহ কয়েকটা দোকানে বাইরে থেকে বই আনানোর অর্ডার নেয়।

    চেতনা হওয়ার পর এখন মুভি দেখি HBO, স্টার মুভিজ আর সিনেপ্লেক্সে। কেনা অনেকগুলো মুভি আছে — এগুলো সিঙ্গাপুর থেকে কেনা, ম্যালা টাকা (সিঙ্গাপুরি ডলাম) লেগেছিলো; দেশের নাটকগুলো অরিজিনাল ডিভিডিতেই পাওয়া যায়। স্বীকার করছি যে বাসায় খুঁজলে অবশ্য এদেশে পাইরেটেড কিছু মুভি পাওয়া যাবে (বউয়ের কাজ) – তবে সেটা অরিজিনালের চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম।

    একটা মুভির চেয়ে সফটওয়্যার অনেক বেশি দামী। বিদেশী বইগুলোও সফটওয়্যারের মতই দামী; তবে ইন্ডিয়ান প্রিন্ট ভার্সন সস্তা। বইয়ের বিকল্প ইন্টারনেট আছে এখনকার যুগে; প্রোপাইটারী সফটওয়্যারের বদলে ওপেন সোর্স এবং ফ্রী সফটওয়্যার আছে। তাহলে আর জেনেশুনে ঐ পঙ্কিল পথে যাব কেন!

    এই টেকটিউন্সও কিন্তু ওয়র্ডপ্রেসে চলে, যা ফ্রী সফটওয়্যার।

      @শামীম:

      বুজলাম ভাই।মনে কিছু নিয়েন না।চোর তো ভাই শখ করে হতে চাই না।কিছ ই করার নাই।

      kaspersky internet security 2012 এর একটা লাইসেন্স কী এর দাম ৬০ ডলার।১ ডলার ৭০ টাকা হলে বাংলাদেশের অইটার দাম হবে ৪২০০টাকা।কিন্তু office extracts বাংলাদেশে সেই Antivirus আসল কপি বিক্রি করছে ১১০০ টাকা।আর যাদের পরিচিত তাদের কাছে বিক্রি করছে ৮৮০টাকা।মনে মনে ৯০০ টাকাই ধরেন।

      সুতরাং দেখা যাচ্ছে ৬০ ডলার = ৯০০ বা ১১০০ টাকার সমান।

      Best selling Video game Call Of Duty : Black Ops যখন বের হয়েছিল এর দাম ছিল ৬০ ডলার।যদি বাংলাদেশে office extarcts এর মত কোন কোম্পানি latest video games সকলের নিকট সরবরাহ করত তাহলে গেমস গুলার দাম মনে হয় এক হাজার টাকার বেশি হত না।

      আমার মনে হয় তাই যদি হত তাহলে অনেকে গেমসগুলার legal version ই কিনত।কারন পাইরেটড গেমস থেকে লিগাল গেমস এর সুবিধা অনেক বেশি।রেগুলার গেমস আপডেট,অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

      কিন্তু সেরকম ব্যবস্থা নেই।

      আমি তো kaspersky এর উদাহারন দিলাম।এরকম যদি বেশিরভাগ নামি দামি software যদি কেনার ব্যবস্থা থাকত তাহলে পাইরেসি নিয়া আমাদের বদনাম অনেকটা কমত।

      আমাদের দেশে এখন antivirus এর সহজলভ্যতা থাকার কারনে সকলেই এর লিগাল version ই কিনছেন।যা কম্পিউটার এর মার্কেট এ গেলেই দেখা যাবে।

      আশা করি আমি কি বলতে চাচ্ছি বুঝেতে পেরেছেন।Open source Software ই শুধুমাত্র সমাধান নয়।

      আর তাল গাছের থেকে আমার আম গাছই বেশি ভালো লাগবে। 😛

      @শরীফ আহমেদ জনম: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

      তবে, সফটওয়্যার মূল সাইট থেকে না কিনে রিসেলারের কাছ থেকে কিনলে অনেক সময় কম পাওয়া যায়। এটা ভুয়া নয়, বরং মার্কেটিং টেকনিক। এই কারণে শো রূম থেকে না কিনে অন্য বিক্রেতার কাছ থেকে কমে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যায়, এয়ারলাইন্সের টিকেট ট্রাভেল এজেন্সীর কাছে সস্তায় পাওয়া যায়। কাসপারেস্কির কথাই ধরুন: http://www.buykasperskyinternetsecurity.com/?p=20 এই সাইটে বাংলাদেশের দামেই কিনতে পারবেন বলে মনে হয়। এটাতে বাংলাদেশের জন্য দাম কমায়নি কিন্তু।

      ওপেন সোর্স একমাত্র সমাধান নয় তা তো জানিই। আমার কাছে দুই কপি উইন্ডোজ আছে, এক কপি মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩ আছে — পয়সা খরচ করে জেনুইন কেনা সবই; তবে এই সমাধানে পৌছানোর সামর্থ কতজনের? এটাইতো শেষ নয়, সাথে এন্টিভাইরাস কেনা লাগবে।

      আর হ্রাসকৃত মূল্যে কাসপারেস্কি কিনবে লোকে কিন্তু অন্যগুলো কি কিনবে?
      মনে হয় না।
      কারণ ভাইরাসের কারণে ব্যক্তি লেভেলে যত ক্ষতির সম্মুখীন হয়, অন্য ক্র্যাক্ড সফটওয়্যার ব্যবহারে এখনও ততটা ক্ষতির সম্মুখীন হয় না মানুষ।

      মজার ব্যাপার হল, আপনি এ্যাত দাম দিয়ে সফটওয়্যার কিনছেন, অপারেটিং সিস্টেম কিনছেন কোথায় একটু স্বস্তিতে থাকবেন, কিন্তু তা আর হবার নয়, আপনাকে পুরা বিপদে ফেলছে, আপনি ভাইরাস মোকাবেলা করতে আবার আরেকটা সফটওয়্যার কিনছেন, ওএস চালানোর জন্য মেশিন আপগ্রেড করতে বাধ্য হচ্ছেন। ঘর কিনে নিয়ে দেখেন চালের ফুটা দিয়ে পানি ঢুকছে, যারা ঘরের জন্য টাকা নিলো তারা কোথায় লজ্জা পেয়ে নিখুত ছাদের ব্যবস্থা করবে, তা না; আপনাকে বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হওয়া ঠেকাতে আবার বালতি গামলা কিনতে বলছে!

      যা হোক যে যার মত বুঝে শুনে খুশি থাকলে আর আমার সমস্যা কি! বাঙালী হয়ে জন্মেছি যখন তখন স্বদেশী ভাইদের কর্মফলে নিজেকে বাইরের কাছে অপমানিত হয়ে যেতেই হবে – এই বাস্তবতাই বরাদ্দ। বাইরে বেরুনো বন্ধ করে নিজস্ব ঘরের গন্ডীর মধ্যে অবৈধ সফটওয়্যারের আনন্দ উপভোগ করাই বোধহয় ভাল ছিল।

      ভাল থাকুন।

সুপার লাইক