নোকিয়া মোবাইল ফোন কেন সবধরনের মানুষ ব্যবহার করতে পারে জানেন?

আপনার কি মনে পরে এই মোবাইল ফোনটির কথা, এর মডেল নোকিয়া ৩৩১০

"নোকিয়া" ব্যাপক সাড়াজাগানো ফোনের জগতে অন্যতম. More Info Click Here  

নোকিয়া হল ফিনল্যান্ড ভিত্তিক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত একটি বৃহৎ কোম্পানি, এটি পৃথিবীর বৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালে নোকিয়া সর্বপ্রথম ডিজিটাল জিএসএম মোবাইল ফোন নির্মান করেছিল যার মডেল ছিল নোকিয়া ১০১১।
নোকিয়া ২০১১ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ মোবাইল ফোন কোম্পানি হিসাবে রাজত্ব করে আসছিলো। পরবর্তীতে টাচ স্ক্রিন ফোন বাজারে আসায় এর চাহিদা অনেকাংশে কমে যায়, এদের একটা ভুল আছে সেটা হল, গুগলের  তৈরী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার না করার ঘোষনা দেয়া, এর কারনে নোকিয়ার শেয়ারের দাম ৪০ মার্কিন ডলার থেকে  মাত্র ২ মার্কিন ডলারে নেমে আসে। এটাও একটা বড় ধাক্কা নোকিয়ার জন্য।

একসময় সবার মুখেই নোকিয়ার গুণের কথা শোনা যেত কেন

কারণ হচ্ছে নোকিয়া ফোন এর অপারেটিং সিস্টেম খুবই সহজ, এটার ফাংশন ছোট বড় সবাই বুঝতে পারে। উদাহরণ সরূপ একটা কথা বলি, ধরেন ফেসবুকের কথাই বলি, বেসবুক কেন এত জনপ্রিয়? এর মত আরোও অনেক সোস্যাল মিডিয়া সাইট আছে কিন্তু তাদের সবাই চেনে না।

তার মানে ফেসবুক বুহুদিন যাবৎ বলিষ্ঠ ভাবে পুরো পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে, কারণ, সোস্যাল মিডিয়ার জগতে ফেসবুকের ন্যায় এত জনপ্রিয় কোনো সোস্যাল সাইট নেই, কেননা এটাকে খুব দ্রুত  মানুষ ব্যবহার করতে শিখে গেছে, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সবাই এটা ব্যবহার করতে পারে, তাহলে কি বুঝলেন আপনি? যে কোনো মানুষ নিজের নাম বানান করা না জানলেও ফেসবুকে ঠিক একটা লাইক, কিংবা টিউন দিতে পারছে অতি সাধারনভাবে, ঠিক যেন নোকিয়া 5110, 3310, 1100, এইসব ফোনের মত।

আসলে নোকিয়া ফোন যখন আমাদের বাংলাদেশের বাজারে আসে তখন এর মত সহজ ফাংশনের ফোন আর অন্য কোনোটা ছিলনা। সহজেই ডায়েল করা যায়, মিসকল সহজেই বের করা যায়, নাম্বার সেভ করাটাও অনেক সহজ ছিল,

এখন কি আর সেই নোকিয়াপ্রেমি মানুষ আছে?

হ্য নিশ্চই আছে, কিন্তু সেই নোকিয়া মোবাইল ফোন আজ আর নেই, যেটা আমার বৃদ্ধ নানাও চালাতে পারত। ওইরকম ফোন আর কখনই আমরা পাবনা, হয়ত তার চাইতে অনেক সহজ আর সাবলীল ভাবে চালানো যাবে এরকম ফোন বাজারে ছাড়া হতে পারে, কিন্তু সেই মনমুগ্ধকর ফিচারের নোকিয়া ফোন আর পাওয়া যাবেনা। এখনকার নোকিয়া আর আগের ফিনল্যান্ড আর হাংগেরির তৈরি সেই নোকিয়ার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। বর্তমান সময়ের ফোনগুলো অনেক কম যন্ত্রাংশের মাধ্যমে তৈরি করার ফলে এইসব ফোন আগের মত আর দীর্ঘস্থায়ী হয়না। এগুলোর অপারেটিং সিস্টেমও আগের মত নেই।

কিন্তু সেই নামের উপর ভিত্তি কর অনেকেই ঝুকে পরেন নোকিয়া ফোন কেনার জন্য। এখনো কিছু কিছু নোকিয়া ব্যান্ডের ফোন আছে যেগুলো তুলনামূলক বেশ ভালো সার্ভিস দেয়। আসলে আমি বলতে চাচ্ছি আগের নোকিয়া আর পাওয়া যায় না, সেই মজা আর পাওয়া যায়না এই ফোনে।  নোকিয়া বর্তমানে বেশ কিছু স্মার্ট ফোন বের করেছে, এগুলো যদি দেখতে চান এখানে দেখুন।

এখনো অনেকের কাছে সেই আগের nokia 1100-1110 মডেলের ফোন রয়েছে, এবং অন্যান্য মডেলের নোকিয়া ফোন আছে, সেসব ফোনের মায়া এখনো কেউ ছাড়তে পারেনি, যত্ন করে রেখে দিয়েছে আলমারিতে।

মোবাইল ফোন কেনার আগে একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নিন। শুধু দাম আর ফিচার দেখলেই হবেনা, এর গুণগত মান সম্পর্কে আগে খোঁজ নিন।

যদি নোকিয়া ফোনের সফটওয়্যারগত কোনো সমস্য থাকে (যদি চালু না হয়) আর সেটাকে সমাধান করার জন্য ফ্ল্যাশ করতে হয় তাহলে নোকিয়ার অফিসিয়াল সাইট থেকে ফ্ল্যাশ টুল এবং ফ্ল্যাশ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন, নোকিয়া মোবাইল ফোন কিভাবে ফ্ল্যাশ করবেন এখানে দেখুন।

NOKIA BB5 ALL MODEL FLASH DOWNLOAD CLICK HERE

NOKIA DCT4 ALL LATEST FLASH FILE FREE DOWNLOAD  CLICK HERE

AND HOW TO FLASH NOKIA

Level 1

আমি এইচ এম লিয়াকত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

নিজেকে নিয়ে বেশি কিছু লেখার নেই আমার, আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। মোবাইল ফোন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা আছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এর সাথে জরিত ছিলাম, বর্তমানে এ্যাফিলিয়েট নিয়ে একটু কাজ করছি অ্যামাজনের সাথে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস