ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের দায়ে ১ লাখ ইউরো বা ৮৭ হাজার পাউন্ড জরিমানা গুনতে হতে পারে সামাজিক নেটওয়ার্ক জায়ান্ট ফেসবুক-কে। ম্যাক্স স্ক্রিম নামের এক অস্ট্রেলীয় ছাত্রের ১২০০ পেজ ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার অভিযোগে এ জরিমানা দিতে হতে পারে। গত জুনে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ফেসবুক এক্সিকিউটিভ-এর এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নেন ২৪ বছর বয়সী ছাত্র ম্যাক্স স্ক্রিম। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন ফেসবুকের তথ্য সংরক্ষণ বিষয়টি।
এরপর তিনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে তার জমানো তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। পরে ফেসবুক তার আবেদনে সাড়া দেয় এবং তাকে তার তথ্যসংবলিত একটি সিডি দেয়। সিডিতে তিনি দেখেন, সেখানে গত তিন বছরের (যখন থেকে তিনি ফেসবুকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট) সব মেসেজ, স্ট্যাটাসই নয়, তার ব্যক্তিগত সব তথ্যও রয়েছে। বিষয়টি তাকে রীতিমতো বিস্মিত করে। এতদিন পরেও ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করলো সে বিষয়ে তার মধ্যে নেতিবাচক প্রশ্নের জন্ম দেয়।
এরপর এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্তের জন্য আইরিশ ডাটা প্রটেকশন কমিশনারের কাছে ২২টি আলাদা আলাদা অভিযোগ করেন মাক্স। অভিযোগপত্রে তিনি জানান, ১২০০ পেজের যে তথ্য তিনি পেয়েছেন, এর মধ্যে রিজেকটেড ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, ডিলিট ফ্রেন্ড, কতগুলো ছবি থেকে তিনি নিজেকে ট্যাগ রিমুভ করেছেন, কোন কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে প্রতিবার লগ-ইন করেছেন সেসব তথ্যসহ অনেক স্পর্শকাতর তথ্য রয়েছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন জানায়, ফেসবুকের কোনো কর্মচারী অথবা অন্য কোনো কেউ যদি ডাটা প্রটেকশন আইন ভাঙে তবে সর্বোচ্চ এক লাখ ইউরো বা ৮৭ হাজার পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে।
ইউরোপের ব্যবহারকারীরা আয়ারল্যান্ডের ফেসবুক সাবসিডির অধীনে পরিচালিত। ফলে আগামী সপ্তাহেই আয়ারল্যান্ডের ডাটা প্রটেকশন কমিশন ফেসবুকে তাদের প্রথম অডিট করবে।
ইন্টারনেট
আমি ব্লগার খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 167 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
i m good,so not bad
😮