ক্ষুদে প্রোগ্রামার রূপকথাকে হার মানাবে কে?

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

ঢাকা, ৩০ মার্চ: ওয়াসিক ফারহান রূপকথা। ছয় বছর বয়সী এক বাংলাদেশী বালক। এই বয়সেই বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামারের পদবীটি দখল করে রূপকথা বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শিরোনাম হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

রূপকথার এই গল্প বাংলা রূপকথাকেও হার মানিয়েছে। দি নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন, ক্যালিফোর্নিয়া অবজারভার, এস্টেট নিউজ, চিল্ড্রেন পোস্ট এবং অনেক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট তাকে বিশ্বে সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসাবে অভিহিত করেছে।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্বনন্দিত টিভি অনুষ্ঠান ‘রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট’ তার বাবা-মা’কে সম্প্রতি অবহিত করে যে রিপ্লিস তাদের নতুন বইতে রূপকথার নাম অন্তর্ভুক্ত করবে। এবছরের সেপ্টেম্বরে বইটি বিশ্বব্যাপী বইয়ের দোকানগুলোতে পাওয়া যাবে। তার বাবা-মা এ ব্যাপারে রিপ্লিস-এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন।

ছয় বছরের এই বয়সে অধিকাংশ শিশু যখন খেলনাপত্র নিয়ে খেলাধুলা করে তখন রূপকথা তার নিজস্ব কম্পিউটার সিস্টেম (উইন্ডোসসহ) তৈরি করে এবং একজন বিশেষজ্ঞের মতো কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করে।

জন্মগতভাবে মেধাবী রূপকথার বাসা রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকায়। অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র সাত মাস বয়স থেকেই সে কম্পিউটার নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে এবং মাত্র দুই বছর বয়সে সে কম্পিউটারে লেখালেখি করা শিখে ফেলে। তার গর্বিত মা সিন্থিয়া ফারহিন রিসা একথা জানান।

তিনি বলেন, “এই বিস্ময় বালক প্রতিদিন ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় কম্পিউটারের পেছনে ব্যয় করে এবং গেম-এর কারেক্টর কিভাবে পরিবর্তিত হয় তা জানার চেষ্টা করে।” কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (সি এন্ড সি++)-এর ওপর তার চমৎকার কমান্ড রয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রথম দিকে তার বাবা-মা তাকে কম্পিউটারে গেম খেলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। তারা মনে করতেন বেশি সময় কম্পিউটারের সামনে থাকলে তার চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
রিসা বলেন, “একথা বলায় সে ভাঙচুর, হৈ-হুল্লোড় করে এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। অবশেষে আমরা তাকে কম্পিউটারে খেলার অনুমতি দিতে বাধ্য হই। এখন সে প্রতিদিন ১২/১৩ ঘণ্টা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকে।”

http://www.youtube.com/watch?v=89odqfWNT80
তিনি জানান, জন্মের পর থেকেই কম্পিউটারের প্রতি তার সন্তানের আগ্রহ শুরু হয়। কম্পিউটারের মনিটরের দিকে সে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত কম্পিউটারের সুইচ অন না করা পর্যন্ত সে খেতে চাইত না।

তিনি বলেন, “রূপকথা কখনও আইটি’র ওপর কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি এবং কারো কোন সাহায্য ছাড়াই সে সবকিছু শিখেছে।”

তার মা জানান, সে ইতোমধ্যেই সাত শতাধিক গেম খেলেছে এবং অনেক জটিল গেমও খেলতে সক্ষম হয়েছে।

বিভিন্ন ইমিউলেটর ব্যবহার করে সে সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে পারে। সে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিতে পারে এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি সারতে পারে। পাঁচ সহস্রাধিক ইংলিশ ওয়ার্ড সে জানে এবং তা দিয়ে সে বাক্য রচনা করতে পারে।
টাইপ করা তার জন্য একটি সাধারণ ব্যাপার। কিবোর্ড না দেখে সে দক্ষ টাইপিস্টের টাইপ করতে পারে।

রূপকথা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারে এবং কারো সাহায্য ছাড়াই ই-মেইল পাঠাতে পারে। যেকোনো ওয়েবসাইটে সে ঢুকতে পারে। হার্ডওয়্যার সম্পর্কেও তার ভালো জ্ঞান রয়েছে। পাশাপাশি এমএস ওয়ার্ড, উইন্ডোজ এক্সপি, পাওয়ার পয়েন্ট, এ্যাঙ্গাল এবং ফটোশপ-এর তার চমৎকার কমান্ড রয়েছে।
রূপকথা যে কোনো ছবি এডিট করতে পারে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) সম্প্রতি তাকে একজন সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসাবে সংবর্ধনা দিয়েছে।

মিডিয়াসফট-এর প্রোগ্রামার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার আকসাদুর রহমান বলেন, “প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমি অবশ্যই বলতে পারি যে রূপকথা এক বিস্ময় বালক। কম্পিউটারে তার দক্ষতা দেখে আমি অবাক।”

রূপকথার ব্যবসায়ী বাবা ওয়াসিম ফারহান ও মা রিসা আশা প্রকাশ করেন যে তাদের ছেলে ভবিষ্যতে একজন বড় প্রোগ্রামার হবে এবং সাইবার জগতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। সূত্র: বাসস

Barta24.net থেকে।

অরিজিনাল লিংক ঃhttp://barta24.net/index.php?view=details&data=Politics&data=Politics&menu_id=75&news_type_id=1&news_id=37917

Level 0

আমি Mask। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 132 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

কঠিন চিজ। বড় হইলে কি হবে আল্লাই জানে :O

এর কথা পত্রিকায় ২ বার পড়ছি। একবার প্রথম আলো আরেকবার কথায় জানি মনে নাই।

মিডিয়াসফট-এর প্রোগ্রামার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার আকসাদুর রহমান বলেন, “প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমি অবশ্যই বলতে পারি যে রূপকথা এক বিস্ময় বালক। কম্পিউটারে তার দক্ষতা দেখে আমি অবাক।”

মোস্তফা জাব্বার এ সম্পর্কে কিছু বলেন নাই?

    @Mashpy Says: জব্বর কাগু মামলা করতে পারে।

    @Mashpy Says:
    মোস্তফা জাব্বার ??? বিজয়ের মত ফালতু সফট যে বানাইছে সেই লোক ??? ওর সফট দিয়া লেখতে হইলে
    অক্সফোর্ড ডিগ্রী লাগে!! শালা এক নাম্বারের ধইনচা

বাহ… বেশ। ওর জন্য শুভকামনা থাকল।

মাশাল্লাহ।

মনুষ্যজগতের এক চরম চিজ!

Level 0

ব্যাপার টা নিয়া বেশি বাড়াবাড়ি হইতেসে, যারা এসিএম প্রোগ্রামিং / প্রব্লেম স্লভিং করে,তাদের অনেকেই জানে, রাশিয়া, বেলারুশ দেশে ৬-৭ বছর বয়সে স্কুল থেকেই প্রোগ্রামিং এর শিক্ষা পায়ে। যেটা বাংলাদেশ এ হয় না। এ কারনে বলা যায় যে, রুপকথা lucky । কারন সে এই বয়সেই প্রোগ্রামিং এ হাতে খড়ি দিতে পারসে, কিন্তু সর্বকনিষ্ঠ প্রগ্রামার এইতা একটা হাস্যকর কথা।

যাই হোক , আমার মতে রুপকথা কে IOI [http://en.wikipedia.org/wiki/International_Olympiad_in_Informatics ] এর জন্য গড়ে তোলা উচিত, তাহলেই তার প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন হবে , নাইলে এসব ভুজুং ভাজুং খবর এই তার প্রতিভা হারায়ে যাবে, যেটা বাংলাদেশ এ বেশি হয়।

দারুন……………
এই দেশের শিক্ষার পরিবেশ এই ধরণের মেধাবীদের জন্য কখন ও ভাল হবে না।
cse তে পড়ি দেখি ৩.৭৯ cgpa out of 4.00 ধারী teacher রা ক্লাস এ এসে ভুল পড়ায়,তারা নিয়োগ পায় দলীয় ভাবে,এবার বলুন তাহলে আমরা তাদের কাছ থেকে কি শিখব ?
কি ভাবে হব প্রোগ্রামার ?

Level 0

আর কি বলবো বাংলাদেশের কথা! একবার ট্রেনিং করতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে তো এক সার আসলো ইন্টানেট এর ক্লাস নিতে তার খুব ভাব বলতেছে আমি বুয়েট থেকে পাশ করেছি এবং ২৮তম বিসিএস দিয়ে চান্স পেয়েছি। তো ইমেইল কিভাবে পাঠায় সেটা শিখাচ্ছেন আমি একজন কে বললাম প্রশ্ন করেন বাংলায় কিভাবে ইমেইল পাঠাবো ? কিন্তু বাংলা কিভাবে ইমেইল পাঠাতে হয় সার সেটা জানে না। আরেকটা জিনিস দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হলাম সেটা হল তিনি ইমেজ সার্চ ! গুগল ইমেজ সার্চ করলেন ডাউনলোড করলেন ও ভিউ করলেন কিন্তু ইমেজ সাইজ খুব ছোট একজন বলল সার ইমেজ বড় করবো কিভাবে? সার জুম করতে শুরু করলেন কিন্তু জুম করলে ইমেজ ফেটে যায়! এখন সার নেটে এমন ছোট ইমেজ পাওয়া যায়। আমি পেছন থেকে বললাম নিউ ট্যাব অপেন করলে ফুল সাইজ ইমেজ পাওযা যায়। সার তো গেলো আমার উপর খেপে। এই হলো অবস্থা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

Level 0

দারুন তো।

Level 0

awesome …

Level 0

কঠিন ওর জন্য শুভকামনা

@Tuhin vi,মহা একখান ধইনচা উপহার দিলাম আপনার সেই ট্রেনিং sir কে দেওয়ার জন্য।
বুঝেন এই দেশের শিক্ষার কি করুণ অবস্থা ?

Level 0

জানতে পেরে ভালই লাগল। তবে ভয় লাগে এরকম মেধা আবার পাচার হয়ে যায় কিনা। কেন জানি আমরা আবার টাকার কাছে বড্ড অসহায় কিনা?????????????????????????????????

Interesting news. Thanks for sharing.

@faiyaz26
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত।

@Tuhin
আমার একই অবস্থা হয়েছিল 😀 পরে আমাকেই লাগিয়ে দিলো শিক্ষকতায়। 😛

@ মম
পিচ্ছিরতো এখন ও অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি। তাছাড়া ভবিৎষতে কোনদিকে ক্যারিয়ার গড়ে তাও একটি বিষয়। ব্যাপারটা অনেকটা গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল হয়ে গেল না। 😀 আসলে মূল সমস্যা হলো আমাদের এই ধরণের মানসিকতা। নিজেরাই একটু পরিবর্তন হলেই কিন্তু সব ঠিক। 🙂