প্রথমেই বলে নিচ্ছি আজকে টিউনটি মূলত সচেতনতামূক টিউন, এই টিউনটির ফলে আপনারা মোবাইল কোম্পানীগুলোর গোপনীয় কিছু কার্যকলাপ জানতে পারবেন।
আমার একটি সিম বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল প্রায় ৩ মাসের উপরে। ১৫-২০ দিন আগে বাংলালিংক কোম্পানীকতৃক একটি নতুন অফার চালু হল আর সেটি হল ১লা এপ্রিল এর আগে থেকে অব্যবহৃত বাংলালিংক সিম চালু করলে ২৫ পয়সা করে রাতদিন ২৪ ঘন্টা কথা বলা যাবে যে কোন বাংলালিংক নম্বরে এবং অন্যান্য অপারেটরে ৬৫ কয়সা করে। অফারটা শুনা সাথে সাথেই আমার কাছে থাকা বন্ধ বাংলালিংক সিমটি চালু করলাম এবং উপভোগ করতে লাগলাম কিন্তু বিপত্তি আসে ঠিক তার পরের দিনই।
০১৯৩৮৪৩০৭৭২ এই নম্বর থেকে আমার কাছে একটি কল আসে এবং একজন ভদ্রলোক ( মূলত ভন্ড) ভদ্রকন্ঠে বলে উঠল আমি নাকি ১৮,৭৫,০০০ টাকা দামের টয়োটা গাড়ি লটারিতে পেয়েছি এবং কতদিন মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল সে বলে দিল। আমার মোবাইল ব্যালেন্স সর্বশেষ কত রিচার্জ করেছি এবং বোনাসটিও বলে দিল। যাইহোক এইসক কথা এর আগেও বহু শুনেছিলাম কিন্ত কখনও ধরা খাই নি। আমি লোকটিকে বলে উঠলাম কতদিন ধরে এই ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দৈনিক ইনকাম কত। সাথে সাথে লোকটি মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দিল।
সাথে সাথে দিলাম বাংলালিংক কাষ্টমার কেয়ারে ফোন করলাম তখনই মেজাজটি চড়া হয়ে গেল কাষ্টমার কেয়ারের প্রতিনিধির উপর। তিনি আমাকে বললেন তাদের কিছুই করার নেই... তাদের কম্পিউটারে নাকি কাষ্টমারদের কোন কথাই সেভ হয়ে থাকে না। আমাকে তিনি থানায় একটি জিডি করতে বললেন। যা শুনে মেজাজটি আরও খারাপ হয়ে গেল..... কেননা তাদের কাছে নাকি তাদের কাষ্টমারদের কথা রেকর্ড রাখার প্রয়োজন নেই। তাহলে তো বুঝা যায় যে কেউ যেকোন ধরনের বাজে কাজ করতে পারে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এবার আলোচনায় আসি মোবাইল কোম্পানী এবং তাদের ডিলারগন
উপরের ছবিটিতে যে মেশিনটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেটি সিমের রিটেইলারদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মেশিন। কেননা এটির সাহায্যে সিমটি কোন প্রকার না ভেঙ্গে একটিভ করা যায়। যা আপনি দেখলে বুঝতেও পারবেন না। আর বুঝবেনই বা কিভাবে এর কোন প্রমানই থাকে না মানে প্যাকেটটি কোন প্রকার বিকৃত পর্যন্ত হয় না। আর এটি করার প্রধান কারন হল মোবাইল কতৃপক্ষকতৃক দ্রুত কমিশন তাদের একাউন্টে চলে আশা। যা তাদের উচ্চপর্যায় থেকে নিন্মপর্যায়ের সবাইর জানা।
বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে সংঘঠিত অপরাধের পরিমান দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে তাই সরকার একটি পদ্ধতি বের করল আর সেটি হল সিম কিনতে হলে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। বংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন একটি সিম ক্রয় করার জন্য। তবে রিটেইলারগন খুব সহজেই সেগুলো অন্যায়ভাবে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন। যার ফলে ওসব সিমগুলো দিয়ে কোন অন্যায় অপরাধ সংঘঠিত হলে অপরাধীদের ধরা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে।
এই ভোটার আইডিগুলোর ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয় স্টুডিও থেকে। আর এর বেশীরভাগ ছবির মানুষই বিদেশে যাওয়ার পূর্বে ছবিগুলো তুলে থাকে। আর ভোটার আইডি কার্ডের সিরিয়ালগুলো বসানো হয় ইচ্ছে মত করে। সরকার এই সবকিছুই জানে কিন্তু কিছুই পদক্ষেপ নেয় না মোবাইল কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে কেননা বছর শেষে তারাইতো সবচেয়ে বেশী রাজস্ব দেয় সরকারকে। আর কোন ঝামেলাতেই সাধারন মানুষ পুলিশ এবং র্যাব এর কাছে সাহায্যের জন্য যেতে চায় না এর প্রধান কারন হচ্ছে পৃথিবীর সবদেশে যেখানে পুলিশ জনগনের জন্য কাজ করে আর সেখানে আমাদের দেশে পুলিশ সরকারের তোষামোদী করতে করতেই তাদের চলতে হয়। যেদেশের সরকারের উচ্চমহল দূর্নীতিগ্রস্থ সেদেশ থেকে কিছুই আশা করা যায় না। আমাদের নিজেদেরকেই বদলাতে হবে। আর নিজে বদলালেও বা কি যারা আইন প্রনয়ন করেন তারাই মনে করেন তারা আইনের উর্ধে। বাংলাদেশে যারা রক্ষকের ভূমিকায় থাকেন তারাই ভক্ষক।
সর্বশেয়ে একটি কথা মোবাইলের জন্য সিম কিন্তে গিয়ে সর্বপ্রথম দেখুন মোবাইলে ভাংতি কোন ব্যালেন্স আছে কি না যেমন ৪৯.৫০ টাকা। এছাড়া কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জেনে নিন সিমটি আগে একটিভ করা হয়েছে কি না। সিম কিনার সময় অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি সংগ্রহ করুন কেননা পরবর্তীতে এটি আপনার সিম রিপ্লেস করার সময়ও প্রয়োজন হবে। সকলকে ধন্যবাদ..................
আমি রাখাল বালক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 202 টি টিউন ও 1117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এদেশের ৯৯% মানুষই কোন না কোন ভাবে দূর্নীতির সাথে জড়িত। হয়ত কেউ ঘুষ দেয় অথবা কেউ নেয় দুটোই তো সমান অপরাধ। আর মায়ের পেটে থাকা শিশুটিও দূর্নীতির অর্থে কেনা খাবার খেয়ে বড় হয়ে উঠে। আর আমরা আশা করছি দেশপ্রেমিক এক নেতা। এটা নিম গাছ লাগিয়ে আম আশা করার মত হয়ে...
দুরকারি কিছু তথ্য পেলাম। সিমের মেশিনের ব্যাপারটা অজানা ছিল। ডেইনজেরাস কারবার !!!!!!