বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে কোন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দৌড়বীদদের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কাড়ি খেলোয়াড়দের (শিক্ষার্থীরা) প্রত্যেকের লক্ষ্যই থাকে A+। অবশ্য খেলোয়াড় নয় বরং তাদের কোচ অথাৎ বাবা মায়ের চাপিয়ে দেওয়া এ এক চরম পলিসি।
আমরা শিক্ষার্থীরা হলাম বাবা-মা, স্কুল শিক্ষক, প্রাইভেট টিউটরদের শক্তি প্রদর্শনের হাতিয়ার মাত্র। যা বর্তমান সময়ের কঠোর বাস্তবতা। বর্তমানে আপনাকে কেউ আপনার ব্যবহার বা গুনাবলি দিয়ে পরিমাপ করবে না সবাই আপনার পরিক্ষার গ্রেড এর দিকে তাকাবে। একটা ছোট বাচ্চাকে আজ আমাদের দেশে স্কুলে ভর্তি হতে হলে পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। কি আজব শিক্ষাব্যবস্থা তাই না। যে বয়সে স্কুলগুলো তাকে পেন্সিল ধরানো শিখাবে সে বয়সে স্কুল গুলো তার হাতে পরিক্ষার খাতা ধরিয়ে দিচ্ছে। সে বাচ্চাটি কি বুঝে পরিক্ষা কি। কিন্তু তারপরও তাকে পরিক্ষায় প্রথম না হতে পারায় বাবা মায়ের কথা শুনতে হচ্ছে।
আসলে একটা কথা কি জানেন?
ছোটবেলায় পড়া গরুর রচনা আর হাইস্কুলে ওঠে আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা পড়া দুইটাই কোন কাজের নয়। কারন দুটাতেই বাস্তবতার কোন মিল থাকেনা। এগুলো শুধু আমরা পড়ি দায়ে পরে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য। জীবনে এর কোন মুল্য নেই। গাইডবই পড়ে আপনি একজন ভালো স্টুডেন্ট হতে পারবেন ঠিকই কিন্তু একজন
ভালো মানুষ আপনাকে গাইড বই কখনোই বানাতে পারবে না। আজ অনেক শিক্ষার্থীই মানসিক অবসাদে ভুগছে।
এর কারণ কি?
এর কারণ হলো আমাদের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা। বর্তমান এ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমি বলবো, ইতিহাস এর অন্য যেকোন সময় থেকে বেশি দূষিত। কারন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক টা রাতে পেট ভরে খেয়ে সকালে শৌচাগারে ডেলে দেওয়ার মতো। পরিক্ষার আগে নোট বইমুখস্থ করে পরিক্ষার দিন সব বের করে দিচ্ছে পরিক্ষার খাতায়। তাই এধরনের শিক্ষা কাঠামোতে গড়ে ওঠা একটা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দেশ কিইবা আসা করতে পারে। তাই আমাদের অতি শীঘ্রই শিক্ষা কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে।
কিভাবে পরিবর্তন আনবো?
আমাদের শিক্ষা কাঠামোতে পরিবর্তন আনার আগে আমাদের বাবা মায়েদের মনের পরিবর্তন আনা অতিব জরুরী। একটা শিক্ষার্থীকে যখন অষ্টম শ্রেণি পাসের পর নবম শ্রেণীতে তাদের গ্রুপ নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হয়, তখন বেশিরভাগ বাবা মাই তাদের সন্তানদের বিজ্ঞান বিভাগে দিতে চান। কারন তাদের বিশ্বাস তাদের সন্তান বড় হয়ে ভালো কিছু করবে। কিন্তু বাস্তবতা হয় এর পুরোপুরি বিপরীত। কারণ বেশিরভাগ বাবা মা সন্তানের লক্ষ্য কি বা সে কি হতে চায় তা, না জেনেই নিজের মর্জি চালায়। যদি প্রয়োজন হয় তো পিঠেও দু চার ঘা দিয়ে দেয়। অর্থাৎ সে (বাবা-মা) জীবনে ডাক্তার হতে পারে নি তো কি হয়েছে তার সিঙ্গার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বসে থাকা তার ছেলে তো আছেই। অর্থাৎ অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমাদের বাবা মায়ের সখ পূরণ এর মাধ্যমেও পরিনত হচ্ছি। It should be changed.
আমি মনিরুজ্জামান মুন্না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।