বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছে যে ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিক হওয়া, সুরক্ষা প্রদান বা লেনদেন করা কোনো অপরাধ নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) পাঠানো চিঠিতে এই অভিমত প্রকাশ করেছে।
সহকারী পরিচালক, শফিউল আজম, ১৮ মে সিআইডিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে ব্যাংকের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানান। তিনি চিঠিতে জানান, “ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটি অপরাধ বলে মনে হয় না। ”
চিঠিতে তিনি জানান যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনকে বিদেশী এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৪, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর দ্বিতীয় ধাপের অপরাধ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে।
তিনি আরো জানান, “সম্ভব হলে সিআইডি এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ” একই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় যে বিশ্বে বর্তমান ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজার দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রচলনের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো আইনী কর্তৃপক্ষ দ্বারা এসব মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বেশ কয়েকটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং কারেন্সি রেগুলেটর (যেমনঃ জাপান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে বৈধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো পর্যন্ত এই ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই মুদ্রা লেনদেন বা সংরক্ষণের অনুমতি দেয়নি।
পূর্বে বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের উদ্যোগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের তাদের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কতা জারি করে যেনো মানুষ আর্টিফিশিয়াল মুদ্রায় (যেমনঃ বিটকয়েন) লেনদেন থেকে বিরত থাকে। সেই সময় বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানায়, “ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন অর্থ পাচার বিরোধী এবং সন্ত্রাস বিরোধী অর্থায়ন আইন লঙ্ঘন করতে পারে। ”
অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান না করার বিষয়ে সরকারী সংস্থাগুলির মধ্যে আলোচনা চলছে। উদাহরণস্বরূপ, আইসিটি বিভাগ ২০২০ সালের মার্চ মাসে জাতীয় ব্লকচেইন স্ট্রেটেজি চালু করেছিল। ঐ স্ট্রেটেজি পেপারে আইসিটি বিভাগ জানায় যে ২০১৩ সাল থেকে ব্লকচেইন স্টার্টআপগুলিতে ২৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এর আগে জুন মাস জুড়ে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অভিযোগে রাজধানী থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা পণ্য ও সেবা কেনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে. অনলাইন লেনদেন সুরক্ষিত লক্ষ্যে শক্তিশালী ক্রিপ্টোগ্রাফি সহ একটি অনলাইন লেজার ব্যবহার করে থাকে এই ভারচুয়াল মুদ্রা। অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রা হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এই মুদ্রায় ব্যবসা করতে আগ্রহী। কখনো কখনো এইসবের চক্করে ক্রিপটোকারেন্সির দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন এর দামের ক্ষেত্রে এই বছর অস্থিতিশীলতা চোখে পড়ে। মে মাসে প্রায় অর্ধেক মূল্য হারানোর আগে এপ্রিল মাসে বিটকয়েন এর মুল্য ৬৫হাজার ডলারে গিয়ে পৌঁছে।
তথ্যসূত্রঃ দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
আমি সাজিদ কবির। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।