আসছে গ্রীষ্মকাল, গ্রীষ্মকাল এলেই যেনো আমাদের সবার কপালে চিন্তার রেখা দেখা দেয়। কারণ আর কিছুই নয়, কারণ লোড শেডিং যা আমাদের দেশের সারা বছরের অনাকাংক্ষিত সঙ্গী। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে লোড শেডিং এর কারণে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। আর তাই এর হাত থেকে বাঁচতে আমাদেরও প্রচেষ্টারও শেষ নেই , আইপিএস, জেনারেটর তো আছেই। কিন্তু এগুলো যেমন ব্যয়বহুল তেমনি জেনারেটর চালাতে প্রয়োজন হয় জ্বালানীর। এসকল সমস্যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেরই এক যুবক নিজস্ব উদ্যোগে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন , প্রচেষ্টায় রত আছেন যুগান্তকারী কিছু উদ্ভাবনের। বন্ধুরা, আজ তারই সফলতার গল্প শোনাব আপনাদের।
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার সিংজুরী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের দেওয়ান মো. শওকত ওসমানের ছেলে ডি এম আশরাফুল আলম। তিনি তার ভগ্নীপতি দেওয়ান মো. ফরিদ উদ্দিনের সহায়তায় দীর্ঘদিন গবেষণার পর মো. আবুল হোসেন, মো. বাবুল হোসেন এবং আ. ছাত্তার নামের ৩ জনকে নিয়ে কাজ করে আবিষ্কার করেন এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান বা সংক্ষেপে ইপিএফ (EPF)। আহামরী কোনো চেহারা নয়, সাধারণ ফ্যানের মতই দেখতে এই ফ্যানটি তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কেমিক্যাল এবং নিজের তৈরি কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র (বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল, বিজ্ঞানী ডেনিয়েল এবং নিজের আবিষ্কৃত কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র )। এই ফ্যানের বৈশিষ্ট্য এটি বাইরের কোনো বিদ্যুৎ সাহায্য ছাড়াই দুটি বাল্ব জালাতে সক্ষম। তবে এই ফ্যান চালাতে খুব বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। শুধু তাই নয়, এই ফ্যান বিদ্যুৎ সঞ্চয়ও করে রাখতে পারে। যখন বাল্বগুলো বন্ধ থাকবে তখন এই ফ্যান বাল্বের জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখতে পারবে যা পরবর্তীতে বাল্ব জালাতে ব্যবহার করা যাবে। এটি তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেন স্টেপ আপ ডিভাইস যা ইনপুট হিসেবে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ শক্তিকে বহুগুনে বৃদ্ধি করে। ৫বছর যাবত পরিচালনা পর সফলতার সাথে গবেষনাটি শেষে তিনি জানান, এই পদ্ধতিটি যদি মিল, কল-কারখানা বা অন্যান্য কোনো বড় প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যায় তবে সেখানকার বিদ্যুৎ এর ব্যবহার শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কমানো সম্ভব। তাছাড়া এতে থাকবে ব্যাক আপ সিস্টেম যার মাধ্যমে লোড শেডিং এ ৬০ থেকে ৯০ মিনিট ব্যাক আপ পাওয়া যাবে। তার এ প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের সমস্যা দূর করতে তিনি যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন করেছেন তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য তিনি সরকারি-বেসরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ এখানে
আমি MITHU। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 1232 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জটিল।