কম্পিউটার কিনলে এখন থেকে ৪ শতাংশ ভ্যাট

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

কম্পিউটার ও কম্পিউটার পণ্যে এখন থেকে ৪ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) দিতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার বাজার রাজধানীর বিসিএস কম্পিউটার সিটি এবং এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটির দোকানগুলোতে পাঠিয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানেও ভ্যাট আদায়ের এই চিঠি পাঠানো হবে।
১৯৯৮-৯৯ সালে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের জন্য কম্পিউটার পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকেই দেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে খুচরা বিক্রির সময় পণ্যের সঙ্গে বাড়তি মূসক এখন পর্যন্ত যোগ করা হয়নি। কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা জানান, মূসক আরোপ করা না হলেও ‘প্যাকেজ মূসক’ হিসেবে প্রত্যেক ব্যবসায়ী বছরে ১১ হাজার টাকা এনবিআরকে দিয়ে আসছিলেন। তবে এর পরিবর্তে এখন থেকে ৪ শতাংশ হারে মূসক দিতে হবে।
এ ব্যাপারে মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট) নির্ঝর আহমেদ গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ভ্যাট প্রদান করবে ক্রেতা। সেটা সংগ্রহ করে গ্রহীতা হিসেবে কোষাগারে জমা দেবেন বিক্রেতা। এ ক্ষেত্রে এই ভ্যাট কম্পিউটার ক্রেতাকে দিতে হবে। তবে এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এখানে আইনি বিষয়, ভোক্তার অধিকার ইত্যাদি বিষয় রয়েছে।
কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতা পর্যায়ে ৪ শতাংশ মূসক আরোপ হলো ৩০ হাজার টাকার একটি ল্যাপটপ কিনতে ক্রেতাকে আরও ১ হাজার ২০০ টাকা মূসক দিতে হবে। শূন্য শতাংশ শুল্ক থাকায় প্রতিযোগিতামূলক দামে কম্পিউটার পণ্য বিক্রি হয়। ক্রেতা ১০০ বা ২০০ টাকা কম পাওয়ার জন্য একাধিক দোকানে ঘুরতে থাকেন। সেখানে বাড়তি ভ্যাট ক্রেতাদের নিরুৎসাহিত করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম।
যে পণ্যের আমদানি শুল্ক রহিত রয়েছে, সেই পণ্যে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিসিএস কম্পিউটার সিটি পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আহমেদ হাসান বলেন, কম্পিউটারে শুল্ক ও ভ্যাট না থাকার কারণে এতে বেশি লাভ করা যায় না। ক্রেতা প্রতিযোগিতামূলকভাবে কম দামেই কম্পিউটার পণ্য কিনতে পারেন।
নতুন করে ভ্যাট সংগ্রহের এ উদ্যোগ বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে বলে টিউমেন্ট করলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কতগুলো জায়গাকে রাজস্ব খাত হিসেবে দেখা ঠিক নয়। ডিজিটাল পণ্য ছাত্ররা কেনে, স্কুল-কলেজে কম্পিউটার দরকার—তাই এসব পণ্যে ভ্যাট আরোপ করা ঠিক হবে না। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট দেশের জিডিপি বাড়াতে সাহায্য করে। কোনোভাবেই ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপ গ্রহণযোগ্য নয়।’

Level 0

আমি ডিজিটাল রায়হান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 23 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

প্রযুক্তি ভালোবাসি


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এইডা কি শুনাইলেন…. তাহলেতো এক লাখ টাকার কম্পিউটারে 4000 টাকা ভ্যাট..
ওরে বাপরে… আমরা বাঙ্গালী যেখানে 2-3 টাকা কম দেওয়ার জন্য পুরো বাজার ঘুরাঘুরি করি সেখানে এত টাকা ভ্যাট 🙂
কেমনে কি?? বাংলাদেশ যেভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়ে এসেছিল আশা করছি তেমনি আবার ঐ একই স্থানে ফিরে যাবে.. খুব অল্প সময়েই আদিম যুগে পরিণত হতে পারে। আমার মনে হয় সরকার জনগনকে ভিক্ষা করাইয়া ছাড়বে 🙂 🙂 🙂
এবারের আন্দোলনের স্লোগান হবে : No VAT on Computer!!!

সংবাদটা কপিপেস্ট করে ফেসবুকে দিলাম। আপত্তি থাকলে মুছে দেব।

Level 0

এরই নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ

শেষমেশ কম্পিউটার কিনতেও VAT। এ কি VAT MAN এর রাজ্যে বসবাস !!!!! যদি তাই হয় তবে MP দের শুল্ক মুক্ত কোটি টাকার গাড়ির উপর ও ভ্যাট বসানোর আন্দোলন করা হউক। যারা কোটি টাকার গাড়ী কিনতে পারে তারা ওইটুকু ভ্যাট ও দিতে পারবে।

ঠিক বলেছেন

Level New

মানি না, মানব না!

শালার এক আজব বাঙ্গালী। মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষার উপরেই VAT আরোপ করে আর এই গুলো তো ব্যাবহার্য জিনিসপত্র মাত্র। এইসব নিয়ম যারা তৈরী করে তাদের লাত্থি দিয়া দেশ থেকে বাহির কইরা দেয়া উচিৎ.
No VAT On Education & No VAT on Computer
VAT মানি না, মানব না —

Level New

ভ্যাট ম্যান রে কেউ মাইরালা ।

Level 2

এভাবে ভ্যাট বাড়িয়ে দেশকে ডিজিটাল করা সম্ভব নয়।

বিয়া করতে কত ভ্যাট দিতে হবে???? !!! 😀

লাখ টাকার কম্পিউটার কিনতে পার , আর ৪% ভ্যাট দিতে পারবা না 😛 😛

কদিন পর পাবলিক টয়লেটে ভ্যাট বসবে।

VAT …………এইডা তো আমি অ্যামনি অ্যামনি খাই 🙂

ভ্যাটম্যান!