যেভাবে ১৯৭৭ সালে অল্পের জন্যে আমেরিকা ধ্বংস হতে যেয়েও হয়নি! স্নায়ুযুদ্ধের অজানা অধ্যায়

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

বেশি আগের কথা নয়।
সালটা ১৯৭৭ ... মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন জিমি কার্টার। আর কেজিবি Boss, ইউরি আন্দ্রোপভ।

সেই ১৯৬৭ সাল থেকেই RORSAT নামের এক space program গোপনে চালিয়ে আসতেছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন। তাঁরা নিউক্লীয়ার পাওয়ার্ড !! স্পাই স্যাটেলাইট আকাশে পাঠাচ্ছিল একটার পর একটা। এই স্যাটেলাইটগুলো দিয়ে তাঁরা মার্কিন নৌবাহিনী আর নিউক্লীয়ার সাবমেরিনগুলোকে নজরে নজরে রাখতো।

তো ১৯৭৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ৪৬ ফুট লম্বা আর ৪ টন ওজনের এক নিউক্লিয়ার স্পাই স্যাটেলাইট Kosmos-954 উৎক্ষেপণ করল রাশিয়া। আমেরিকা তো আর অন্ধ না। তাঁরা এসব জানে। তো এই স্যাটেলাইটটি ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরের দিকে বিশেষভাবে তাঁদের নজরে এলো। কারণ, এই স্যাটেলাইটটি ক্রমশ তাঁর অরবিট চুত হতে শুরু করল ! মার্কিনীরা উঠে পড়ে লাগলো। this is something serious… very serious… এই ৪ টন ওজনের নিউক্লীয় স্যাটেলাইট যদি কক্ষচ্যুত হয়ে পৃথিবীতে ঢুকে পড়ে তাহলে সর্বনাশ। সেটা পড়বে নর্থ আমেরিকার উপর !! হয় জিনিসটা VKO ইন্টেনশন্যালি করেছে। অথবা তাঁদের এই স্যাটেলাইটের উপর নিয়ন্ত্রন নাই। নিউক্লীয় রিয়াক্টর সেপারেশনে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে স্যাটেলাইটটি এখন পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ! তাঁর নিউক্লীয়ার রিয়াক্টর সহ !! VKO হল রাশিয়ার Aerospace Defence Forces (এটা মিলিটারি নিয়ন্ত্রিত এবং সামরিক স্যাটেলাইটগুলো এরাই পরিচালনা করে) VKO আসলেই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ছিলো। সম্ভবত। কেউ আবার বলে ইন্টেশন্যালি। সে যাই হোক। তো CIA সিদ্ধান্ত নিলো, যে করেই হোক, এই খবর মিডিয়াতে আসতে দেয়া যাবে না। কারণ এতে পাবলিক প্যানিক, অর্থাৎ হাউখাউ শুরু হবে tongue emoticon NRO আর সিআইএ মিলে অন্যান্য এজেন্সিগুলোকে নিয়ে কাজ করল। স্যাটেলাইটের ইম্প্যাক্ট ট্রেজিক্টরি পরিবর্তন করার জন্য। যাই হোক, যেভাবেই হোক, লাইভ নিউক্লীয় রিয়াক্টর সমেট ৪৬ ফিট লম্বা স্যাটেলাইটটি কানাডার Great Slave Lake এর পাশে বরফে আছড়ে পড়লো। জনমানব সেখানেই নেই। এটাই রক্ষা।

আমেরিকা তো আমেরিকা ! glasses emoticon
তাঁর সব কিছু ম্যানেজমেন্ট করার জন্য বিশেষ বাহিনী আছে। যেমন এই টাইপের ঝামেলা ম্যানেজ করার জন্য আছে NEST team. শুরু হয় operation morning light. C-130 বিমানে তুলে যন্ত্রপাতি সমেত তাঁদের পাঠানো হল কানাডা। তিন মাস ধরে তাঁরা ৪০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে অভিযান চালিয়ে ৯০% radioactive debris উদ্ধার করলো। Kosmos-954 যখন কক্ষচ্যুত হয়, তখন NRO ক্যালকুলেট করেছিলো, লাইভ নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর সমত সেটা এসে পড়বে আমেরিকা ইস্ট কোস্টের জনবসতিপূর্ণ যেকোনো একটি শহরে। tongue emoticon দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছিলো বলেই বলতে হবে। গিয়ে পড়েছিলো কানাডার বরফে।

যাই হোক, রাশিয়া এটাকে নিছক এক দুর্ঘটনা বলেছিলো। মার্কিন প্রশাসনের রাশিয়ার সাথে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করে। তো RORSAT program সচল ছিলো ১৯৮৮ পর্যন্ত। এর তিনবছর পর হারিয়ে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন।

যাই হোক, আজ এই পর্যন্ত থাক। ধন্যবাদ।

*Credit: ইন্টারনেট ও ফেসবুক(ফেসবুক আইডি প্রকাশ করছি না প্রাইভেসির কারনে) থেকে সংগৃহীত ও কপিকৃত।

আগের টিউনগুলোঃ

হিটলারের সোনা চুরির কাহিনী [Hints: ২৮০ ট্রাকের বেশি!]

কিছু দৃষ্টান্ত, কিছু অনুপ্রেরণা আর কিছু ব্যতিক্রম যার একটিঃ ২১ বছর বয়সে মোট চারটি গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন!

 

Level New

আমি টেকপোকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 202 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

hum এদের তো আদি কাল থেকেই চুলাচুলি

Level 2

ভালো লাগলো, আর একটি কথা রাশিয়া কি যেন একটা অশ্র বানিয়েছে বলে শুনি, বিশেষ করে করে সিনিয়র ব্যক্তিরা বলে অথ্যাৎ এই অশ্রটির সুইচ রাশিয়ায় বসে টিপলে এ্যমেরিকার বিভিন্ন শহরে পড়বে। এবং এই অশ্র নাকী শুধু মাত্র রাশিয়ার কছেই আছে। এই বিষয়ে কিছু জানতে চাই। অবশ্য এই বিষয়ে এখোনো নেটে তেমন কোন তথ্য পাইনি। আপনার সব সিরিজ গুলোই পড়েছি ভালো লাগে এসব বিষয়। বিশেষ করে হিটলার সম্পর্কে আরো টিউন চাই। ধন্যবাদ ব্যতক্রম একটি পোস্ট এর জন্য।

    আপনি সম্ভবত Tsar Bomba এর কথা বলছেন :D। এটা hydrogen bomb। এখন পর্যন্ত মানুষের বানানো সবচেয়ে powerful nuclear weapon. Hiroshima ও Nagasaki তে ফেলা পারমানবিক বোমাদুটির সম্মিলিত শক্তির চেয়েও কমপক্ষে ১৩০০-১৪০০গুন শক্তিশালি এই Tsar Bomba

Level 2

@ টেকপোকা = আমি শুনেছি এই বোমা নাকী রাশিয়ায় বসে সুইচ টিপলে এ্যমেরিকার নিচ থেকে বোমগুলো উঠবে।এবং পৃথিবীতে শুধু মাত্র রাশিয়াই এই বোম তৈরি করেছে অন্য কোন রাষ্ট্র এই বোম তৈরি করতে পারেনি।

আর আপনার এই টিউনের শিরোনাম আমসার ভালো লাগেনি, শিরোনামটা এরকম হলে হয়তো যুক্তিযুক্ত হতো,

১৯৭৭ সালে যেভাবে এ্যমেরিকা রাশিয়ান স্যটেলাইট দূঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে ছিলো।

শিরোনাম টা যে জন্য যুক্তি যুক্ত মনে হয়নি, কারণ একটা স্যটেলাইট দূঘটনা দ্বারা এ্যমেরিকাকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়।আল্লাহ্ না করুক,
এ্যমেরিকা ৫২টা অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত বৃহৎ একটা রাষ্ট্র। এ্যকটা স্যটেলাইট দূঘটনার দ্বারা এত বড় একটা রাষ্ট্র ধ্বংশ হতো বলে মনে হয়না।

    এই ধরণের কোনো বোমার কথা শুনিনি। আর এরকম বোমা রাশিয়া বসালে আমেরিকা নিশ্চয় বসে থাকবে না, তাছাড়া রাশিয়ার এরকম বোমা থাকলে অনেক আগেই আমেরিকাকে উড়িয়ে দিতো।

    স্যটেলাইটটি nuclear powered. মাটিতে নিয়ন্ত্রিত পারমানবিক বিস্ফোরণ আর আকাশে অপরিকল্পিত পারমানবিক বিস্ফোরণের মাঝে আকাশ-পাতাল তফাত।