Honda কোম্পানির নাম শোনে নি, এমন মানুষ খুব কমই আছে। সেই Honda কোম্পানির মালিক Soichiro Honda. মজার ব্যাপার হল, প্রথম জীবনে তিনি গিয়েছিলেন সার্টিফিকেট হাতে Toyota কোম্পানিতে চাকরির আশায়। কিন্তু তাঁকে চাকরি লাভে অযোগ্য বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। রাগের মাথায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি নিজেই একটা কোম্পানি বানাবেন। তার বানানো Honda আজ দুনিয়ার অন্যতম নামকরা ব্রান্ড...
সাহিত্যিক, লেখক Stephen king এর নাম তো শোনার কথা। Imdb তে নাম্বার ওয়ান মুভি "The Shawshank Redemption" কিন্তু তার লিখা। এছাড়া সিরিয়াল Under the dome, মাইকেল জ্যাকসনের সাথে বানানো The Ghost মিউজিক ভিডিও সহ আরো অনেক মুভি সিরিয়াল তার লিখা বই এর কাহিনী অবলম্বনে বানানো। তো স্টিফেন কিং তার প্রথম পান্ডুলিপি নিয়ে প্রকাশক'দের দরজায় দরজায় ঘুরে ছিলেন। কাজ হয়নি। কেউ তার বই প্রকাশ করতে চান নি। প্রকাশক'দের মতে লিখার মান নিন্মমানের। রাগের মাথায় নিজের লিখা প্রথম পান্ডুলিপি ডাস্টবিনে ফেলে দেন স্টিফেন কিং। তার আর লেখক হবার শখ নেই। কিন্তু তার স্ত্রী ডাস্টবিন থেকে সেটা আবার তুলে আনেন। ভাগ্যিস, নষ্ট করেন নি। নদীতে ফেলে দেন নি। আগুনে পুড়িয়ে দেন নি।
স্টিফেন কিং এর স্ত্রী সেই পান্ডুলিপি নিয়ে স্টিফেন কিং-এর হাতে আবার তুলে দেন। অনেক কষ্টে এক প্রকাশক যোগাড় করেন দুজন মিলে। অবশেষে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই। এরপর সব ইতিহাস... !!
Oprah Winfrey কে সবার চেনার কথা। নাম তো শুনেছেন অনেকেই। একসময়ের জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপিকা এবং দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী মহিলাদের একজন। তো Oprah প্রথম জীবনে একটা টিভি চ্যানেলে কাজ নেন। টিভি চ্যানেল তাঁকে বরখাস্ত করে। কারণ, টিভিতে উপস্থাপনা করার কোনো যোগ্যতা নাকি তার নেই। যোগ্যতা ছিলো কি ছিলো না, সেটা আজ সবাই জানে !!
Akio Morita নামটা না শোনাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার কোম্পানির নাম দুনিয়ার সবাই জানে !
Sony
তো Sony কোম্পানির প্রথম প্রোডাক্ট ছিলো রাইস কুকার। ভাত রান্না করার বদলে ভাত পুড়িয়ে ফেলতো। ফলাফল, মাত্র ১০০ পিচ বিক্রি হয়েছিলো শুরুতে। এবং সেই বিক্রি হওয়া রাইস কুকারগুলোও ফিরিয়ে নিতে হয়। কাস্টমাররা টাকা ফেরত নিয়ে যায়। সনি কোম্পানির কোনো আশা ছিলো না। কিন্তু Akio Morita ভেঙ্গে পড়েন নি। লেগে ছিলেন। আর আজ ? আজ Sony কোম্পানির কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন মনে হয় না কোনো পাগলও করবে।
Harland David Sanders নামটি না শুনলেও তাঁকে দেখেছেন। কোথায় ? KFC তে...
প্রথম জীবনে ভদ্রলোক তার স্পেশাল রেসিপি চিকেন এক রেস্টুরেন্টে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। ১০০৯ বার রিজেক্ট হবার পর সেই রেস্টুরেন্ট তার রেসিপি গ্রহন করে। এরপর টাকা জমিয়ে তিনি নিজের রেস্টুরেন্ট খোলেন। আর আজ ? আজ দুনিয়ার এখন দেশখুব কম পাবেন যেখানে কেএফসি নাই...
Walt Disney প্রথম জীবনে চাকরি করতেন এক নিউজ পেপারে। নিউজপেপার এডিটর তাঁকে বরখাস্ত করে। কারণ, তার নাকি ইম্যাজিনেশন ক্ষমতা কম। লেখার মান ভালো নয়। যাই হোক, ইম্যাজিনেশন ক্ষমতা কম নাকি বেশি, সেটা আজ দুনিয়ার সবাই জানে।
আইনস্টাইন প্রথম কথা বলতে শুরু করেন চার বছর বয়সে। (সেটা নিয়ে বহুল প্রচলিত একটা কৌতুক প্রচলিত আছে। যদিও সেটা কেবলই কৌতুক) আইনস্টাইন পড়তে শেখেন ৭ বছর বয়স থেকে। স্কুলের শিক্ষকরা তাঁকে mentally handicapped, slow and anti-social বলেছিলেন।
একসময় স্কুল থেকে তাঁকে বের করে দেয়া হয়। স্কুলে পড়ালিখাই মোটেই ভালো ছিলেন না আইনস্টাইন। বিয়েশাদি করে ২২ বছর বয়সে সুইজারল্যান্ডের পেটেন্ট অফিসে assistant examiner কাজ করতে হয়েছিলো আইনস্টাইনকে সংসার চালানোর জন্য। বিভিন্ন নামকরা ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করে রিজেক্ট হয়েছিলেন তিনি। অথচ একটা সময় এই আইনস্টাইন সারা দুনিয়াতে নাম করে। তখন সেইসব ইউনিভার্সিটি আইনস্টাইনের আবেদন ফর্ম খুঁজে খুঁজে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতো। সবাইকে দেখাতো, মহামতি আইনস্টাইন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলেন ! অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়টি খোদ আইনস্টাইনের চোখে ভালো। এটাই মুল ম্যাসেজ!
আজ আইনস্টাইনকে বলা হয় গত শতাব্দীর সবচেয়ে মেধাবি মানুষ।
Winston Churchill লিখাপড়াতে ভালো ছিলো না। Sixth grade এ এসে ফেল মারলো। রাজণীতিতে এসেও শুরুটা ছিল চরম হতাশাজনক।
সেই চার্চিল কেবল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পর্যন্ত পেয়েছেন।
বিখ্যাত পরিচালক স্টিফেন স্পিলবার্গ পরপর তিনবার ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার Theater, Film and Television বিভাগে অ্যাডমিশন নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। অবশেষে যখন ভর্তি হলেন, তখন অর্ধেক পড়েই অফ গেলেন। ৩৫ বছর পর, ২০০২ সালে আবার সেই অসমাপ্ত লিখাপড়া শুরু করেন। এবার তিনি কোর্স শেষ করেন। এবং BA ডিগ্রি পান অবশেষে। অবশ্য তখন আর স্টিফেনের ডিগ্রি না হলেও চলে। অস্কারসহ যাবতীয় যত পুরস্কার সম্মাননা পাওয়া সম্ভব, পেয়ে গেছেন আগেই।
বিখ্যাত মার্কিন গায়ক Elvis Presley
জীবিত দশায় তো বটেই, আজ মৃত্যুর এতো বছর পরও পশ্চিমা মুল্লুকে এলভিস জনপ্রিয়। তো প্রথম জীবনে Grand Ole Opry নামের এক country music এর কনসার্টে গান গেতে অডিশন দিতে আসেন এলভিস। সামান্যকিছু টাকার জন্য। Jimmy Denny ছিলো সেই কনসার্টের ম্যানেজার। এলভিসের গান শুনে এলভিসকে বললো, " You ain’t going nowhere, son. You ought to go back to driving a truck." ভাগ্যিস, সেদিন মনমরা হয়ে এলভিস গান ছেড়ে দেন নি। অন্যথায় আজ "I can't help falling in love with you", "you are always on my mind" এর মত গানগুলো আমরা পেতাম না।
দুনিয়া কাপানো ব্যান্ড The Beatles
প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের জন্য গিয়েছিলো এক মিউজিক রেকর্ডিং কোম্পানির কাছে। কোম্পানির লোকেরা গান শুনে বলেছিলো, "we don’t like their sound, and guitar music is on the way out,” সেই কোম্পানির হর্তাকর্তারা যে পরে মাথা ঠুকে ঠুকে ফাটিয়ে ফেলেছে, এব্যাপারে সন্দেহ নেই।
মাইকেল জর্ডান, বাস্কেটবলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা। অথচ সে কিনা স্কুল জীবনে স্কুল বাস্কেটবল টিম থেকে বাদ পড়েছিলো !!! কেমন হইতো যদি সে রাগ করে খেলাটা বন্ধ করে ভিন্ন কোনো খেলায় মন দিতো... অথবা লিখাপড়ায় মন দিতো !!এই রকম যদি আমি লিখতে থাকি, তাহলে লিখে শেষ করা যাবে না।
আমাদের হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো ১৯৮৬ সালের আগেও তেমন বেশি বিক্রি হত না। কিন্তু টিভি'তে নাটক হিট করার পর তার বই এর বিক্রি বেড়ে যায়। এবং তার প্রথমদিকে লিখা বইগুলোই সবাই কেনা শুরু করে। এই রকম প্রচুর উদাহারণ আছে।
এবার একেবারে বিপরীত ধর্মী কিছু উদাহরণ দেয়া যাক
জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক,
তার IQ 200 .
দুই বছর বয়স থেকে সে পড়তে শুরু করে,
তিন বছর বয়সে লিখতে,
চার বছর বয়সে ক্লাসিক্যাল মিউজিক প্লে করতে শিখে,
পাঁচ বছর বয়সে মিউজিক কম্পোজ করতে শুরু করে সে।
৮ বছর বয়সে SAT পরীক্ষায় ১৬০০ এর ভেতর পেয়েছিলো ১৫০০
১৮ বছর হতে না হতে molecular genetics and cell biology বিষয়ে University of Chicago থেকে পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
তিনি বলাটা ভুল। কারণ সে আমার চেয়ে বয়সে ছোট। এক বছরের।
ছেলেটি জন্ম নিয়েছে ১৯৯০ সালে।
আবার Kathleen Holtz মাত্র ১০ বছর বয়সে California State University তে ভর্তি হন।
১৫ বছর বয়সে দর্শনে এবং ১৮ বছর বয়সে আইনে ডিগ্রি নিয়ে
২০০৭ সালে উকালতি পেশায় যোগ দেন।
যেখানে আমেরিকাতে bar Exam এ অংশনেবার ক্ষেত্রে গড়পড়তায় পরীক্ষার্থীর বয়স হয় ৩০
Gregory Smith মাত্র ১০ বছর বয়সে Randolph-Macon college এ ৭০ হাজার ডলারের স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। B.Sc করেন গণিত, ইতিহাস ও বায়োলজিতে। ১৬ বছর বয়সেই বিল ক্লিনটন ও সাবেক সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্ভাচভের সাথে আলোচনায় বসেন, এবং জাতিসংঘে ভাষণ দেন। সে বছর তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেও পান নি। সে বছরেই আবার তিনি University of Virginia তে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের জন্য ভর্তি হয়ে যান। বিষয়, mathematics, aerospace engineering, international relations and biomedical research.
১৯৮৯ সালে জন্ম নেয়া এই ছেলে এখন পর্যন্ত মোট চারবার নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেও পায় নি। হয়ত ভবিষ্যতে পাবে। পূর্ব তিমুর, রুয়ান্ডা, কেনিয়াতে মানবিক কাজকর্মের জন্য তাঁকে বিভিন্নসময় মনোনিত করা হয়।
Jacob Barnett মাত্র আট বছর বয়সে Indiana University-Purdue University Indianapolis এ ভর্তি হন। তখন তার IQ 170 (অর্থাৎ তখনই বিল গেইটস এবং খোদ আইনস্টাইনের চাইতে বেশি)। ১৯৯৮ সালে তার জন্ম। অর্থাৎ এই টিউন যখন লিখতেছি, তখন তার বয়স ১৬। Savant বাচ্চা হবার কারণে ছোটবেলা স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বসেই লিখাপড়া করেছে সে। এরপর সরাসরি ভার্সিটি।
বর্তমানে আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি এবং Big Bang থিওরি নিয়ে নিরলস গবেষণা করছে এই ১৬ বছরের বালকটি। তার দেখভাল এখনো তার মা করে। বর্তমানে এইসব নিয়েই Perimeter Institute এ ডক্টরেট করতেছে সে।
ভারতের Akrit Jaswal
মাত্র ৭ বছর বয়সে রীতিমত ‘Surgeon’. ১৯৯৩ সালে জন্ম নেয়া এই ছেলেটি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী সার্জন এবং সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়া ছাত্র।
তার IQ এখন ১৪৬। Oprah Winfrey টক’শোতে তাঁকে আমন্ত্রন করা হয়েছিলো।
ছবিতে যে বাবুটাকে মা বাবা’র সাথে দেখতেছেন, বাবুটার নাম Saffron Pledger. তিন বছর বয়সে যার ছিলো IQ 140. ফলাফল, তিন বছর বয়সে বাবু’টা Mensa তে সদস্যপদ লাভ করে। Mensa হল দুনিয়ার ১০০টি দেশের সদস্য নিয়ে গড়া Intellectual high IQ society, যার সদস্যপদ হওয়া মানে দুনিয়ার টপ ২% আইকিউধারী মানুষের কাতারে নাম লিখানো।
মাত্র ১০ বছরে ভর্তি হওয়া নয়, রীতিমত স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে গিনিস বুকে নাম লিখেছিলেন Michael Kearney. University of South Alabama থেকে তিনি এই ডিগ্রি লাভ করেন। ১৭ বছর বয়সে দ্বিতীয় গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন Vanderbilt University থেকে। ২১ বছর বয়সে মোট চারটি গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনের পর রসায়নে ডক্টরেট করেন।
২০০৬ সালে AOL’s Gold Rush জিতে ১ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। বর্তমানে তার বয়স ৩১ বছর।
গিনেস বুক অনুসারে সবচেয়ে বেশি IQ ধারী ব্যক্তির নাম Kim Ung Yong একজন কোরিয়ার নাগরিক। ৬ মাস বয়সে কথা বলতে শুরু করেন, এবং তিনবছর বয়স হতে না হতেই কোরিয়ান, জাপানিজ, জার্মান, ইংলিশ ও চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। চার বছর বয়সে ইংলিশ আর জার্মান মোট ২০০০ শব্দের অনুবাদ সে করতে পারতো। কোরিয়ান, চাইনিজ ভাষায় তার কবিতার বই প্রকাশিত হয়। তার বয়স যখন ৮ বছর, আমেরিকার NASA তাঁকে মার্কিন মুল্লুকে পড়ালিখা করার জন্য আমন্ত্রন জানায়। ১৬ বছর বয়সে নাসা ছেড়ে দিয়ে !!!! তিনি আবার কোরিয়া ফিরে জান। সেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর PhD করেন। Chungbuk University তে ২০০৭ সাল থেকে তিনি অধ্যাপনা করছেন। ৯০ খানার উপর পেপার পাবলিশ করেছেন হাইড্রোলিক্সের উপর।
আসলে এই রকম উদাহারন আরো অনেক আছে। কেবল বর্তমান কালেই নয়, অতীতেও ছিলো।
যেমন, মোজার্টের মিউজিক শুনে আজও আমরা মুগ্ধ হই, সে মোজার্ট মাত্র ৬ বছর বয়সেই মিউজিক কম্পোজিশন শুরু করেছিলো। মাত্র ৫ বছর বয়সে University of Salzburg, Austria তে পিয়ানো বাজিয়েছিলেন, ১৪ বছর বয়সে অপেরা’ কম্পোজ শুরু করেন ইতালিতে। ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার আগেই ৬০০ কালজয়ী মিউজিক কম্পোজ করেন।
আয়ারল্যান্ডের Wiliam Rowan Hamilton মাত্র ৫ বছর বয়স থেকেই বহুভাষাবিদ হয়ে যান। ল্যাটিন, গ্রিক, হিব্রু আয়ত্ত করেন। ১৩ বছর বয়সেই সংস্কৃত, ফারসি, ফরাসি, ইতালিয়ান, আরবি সহ ১৩ টি ভাষার শিখে নেন। ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি The Royal Astronomer of Ireland এর সদস্য হন এবং Professor of Astronomy, Director of Dunsink observatory হিসেবে নিয়োগ পান। গণিততে তার অবদান হল Theory of Dynamics and quaternions, a method used for 3-dimensional space in Mathematics. ১৮৬৫ সালে তিনি মারা যান।
William James Sidis কে বলা হয়, The Smartest man who ever lived. মাত্র ৮ বছর বয়সে এক নতুন লগারিদমিক টেবিল (base 12) তৈরি করেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। যা রেকর্ড। তার IQ 250-300 (estimated). ৮ টি ভাষা fluent বলতে পারতেন এবং মাত্র ৭ বছর হতে না হতেই তার নিজের লিখা চারটি বই বের হয়। কম বয়সেই সেলিব্রিটি হয়ে যাবার কারণ টাকার প্রতি মোহ তৈরি হয়। উচ্চ বেতনের কর্পোরেট জব করা শুরু করেন। ফলাফল, মেধার অপচয়। অকাজে মেধানষ্ট। নিউজপেপারে তাঁকে নিয়ে ফিচার ছাপা হয় এই শিরোনামে যে, “Genius had burned out”. ১৯৪৪ সালে তিনি মারা যান।
নেট ঘাটলে এই রকম child prodigy বা savant টাইপের মানুষ অনেক অনেক পাবেন। Boby fisher এর মত বিখ্যাত দাবাড়ুকে পাবেন। এরা আগেও ছিলো। এখনো আছে। ভবিষ্যতেও এমন আসবে।
আইনস্টাইন বলেছিলেন, “দুনিয়ার সব মানুষই জিনিয়াস। তবে কেউ যদি গাছের ওঠার ক্ষমতা দিয়ে মাছের প্রতিভা যাচাই করে তাহলে মাছ সারাজীবন বানরের কাছে হারবে”। শচিন টেন্ডুলকারের ক্ষমতা ব্যাট হাতে, কলম হাতে নয়। ব্যাট হাতেই সে জিনিয়াস। আবার গ্যারি ক্যাসপারোভ বা ববি ফিশার দাবার চালে জিনিয়াস হলেও রাজনীতির চালে দুজনেই ব্যর্থ।
আসল বিষয়টি সম্ভবত বলে গিয়েছিলো Steve Jobs, “Don’t settle, stay hungry”. মুল ব্যাপারটা সম্ভবত নিজেকে চেনার ভেতরে। অর্থাৎ Know thyself. নিজে কি পারি, সেটা খুঁজে বের করার ভেতর। অন্য কেউ কি পারে, সেটা দেখে কপি করতে গেলে সারাজীবন তাঁর পেছনেই থাকতে হয়।
যাই হোক, জীবনের turning point কখন কিভাবে আসে, বলা মুশকিল। তবে আসে, এটা সত্য। সবার জন্য আসে। কেউ সেই সুযোগটা ক্যাশ করতে পারে ভালোভাবে, কেউ পারে না। তবে সবাই রাজা হলেও তো সমস্যা। তাহলে রাজার প্রজা কারা হবে !
যাই হোক, আজ এই পর্যন্ত থাক। ধন্যবাদ।
*Credit: ইন্টারনেট ও ফেসবুক(ফেসবুক আইডি প্রকাশ করছি না প্রাইভেসির কারনে) থেকে সংগৃহীত ও কপিকৃত।
আগের টিউনঃ হিটলারের সোনা চুরির কাহিনী [Hints: ২৮০ ট্রাকের বেশি!]
আমি টেকপোকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 202 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অসাধারন টিউন। ভাই একজন মানুষ কি নিজের আই.কিউ নিজে টেষ্ট করতে পারে?