ফেইসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগে রাজধানীতে একজনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল।
১০-১২টি কথিত নিউজ পোর্টাল সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
মনিরুল বলেন, সাম্প্রদায়িক উসকানি ছাড়ানোর অভিযোগে ওই ১০-১২টি পোর্টাল গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে।
বিদ্বেষমূলক লেখা বা ছবিতে না বুঝেও যদি কেউ লাইক দেয় তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “‘বিদ্বেষমূলক’ ছবিতে কেউ লাইক দিলে বা সেই টিউন শেয়ার করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে কাউকে ট্যাগ করা কোনো টিউন সেই ব্যক্তির অজান্তে শেয়ার করা হলে তা অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে না।”
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বসতি ও মন্দিরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের আগেও ফেইসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
বিদ্বেষ ছাড়ানোর অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে পল্টন এলাকা থেকে ওই যুবকের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পল্টন এলাকার ৮৫/১ থেকে এস এম সাখাওয়াত হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
“সে ফেইসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত প্রচার চালিয়ে মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।”
ব্রিফিংয়ে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ইসলামিক নিউজ২৪ নামের একটি অনলাইন পত্রিকার ‘কথিত’ সম্পাদক সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
মনিরুল বলেন, “আমাদের ধারণা, একটি মহলের ইন্ধনে সে তার অনলাইন পোর্টালে মিয়ানমারে মুসলমানরা বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে এমন ছবি টিউন করেছে, যদিও ছবিগুলো মিয়ানমারের না। সেগুলো বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার ছবি।
“২০১০ সালে কঙ্গোতে তেলবাহী একটি গাড়ি বিস্ফোরণে কয়েকজন নিহতের ঘটনার ছবি, কয়েক বছর আগে থাইল্যান্ড পুলিশের হাতে অনুপ্রবেশকারীদের আটকের একটি ছবিসহ বেশ কয়েকটি ছবি সে মিয়ানমারের ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছিল।”
মনিরুল বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে সাখাওয়াত জানিয়েছে, মিয়ানমারে বৌদ্ধরা মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করছে, এটি সে মেনে নিতে পারছে না। তাই এর প্রতিবাদে সে এই প্রচারণায় নিজের উদ্যোগে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ছবি সে নিজেই সংগ্রহ করত।”
অনলাইন পোর্টালটিতে কারা অর্থায়ন করে ধর্মীয় উসকানির চেষ্টা করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
(পূর্বে আমার ব্লগে প্রকাশিত)
এই সরকারের আমলে বাকস্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই।