স্যাটেলাইট থেকে সাইবেরিয়াতে দেখা গেছে কিছু বিশাল গর্ত বা ক্রেটার। এর আগে রাশিয়াতে জুলাই মাসের দিকে এমন কিছু ক্রেটার দেখা যায়। জুওলসিস্টরা মনে করছেন যে এমন আরো ক্রেটার পাওয়া যেতে পারে। আপাতত সেখানে চারটি বিশাল ক্রেটার পাওয়া গিয়েছে। এবং আশেপাশে আরো ডজন খানেক ছোট ছোট ক্রেটার দেখা গিয়েছে। তারা বলছেন যে যদি কোথাউ মাশরুম পাওয়া যায় তার মানে এই যে এর আশেপাশে আর মাশরুম রয়েছে। ঠিক সেরকমই এর আশেপাশে আর ক্রেটার পাওয়া যেতে পারে।
এই ধরনের ক্রেটারের সন্ধান পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বিপদ জনক। কারন এরাই অনেক সময় মাস এক্সটিঙ্কশন বা গণমৃত্যুর কারন হয়। আমাদের উপগ্রহ চাদে এমন অসংখ্য ক্রেটার দেখা যায়। সাধারণত বিশাল বিশাল উল্কাপাতের ফলে এদের সৃষ্টি হয়। এতে বিশাল পরিমান ধুলা বালি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে মিশে যেতে পারে। যা পৃথিবীর মানুষের জন্য ভয়ংকর ব্যাপার হতে পারে। কারন ঐ ধুলো বালির কারনে বায়ুমন্ডল ঢেকে গিয়ে আসতে পারে তুষার যুগ। এতে মানুষ পৃথিবী থেকে নিশ্চিনহ হয়ে যেতে পারে। পৃথিবীতে বেশ কিছু ধ্বংসের কারন এসব ক্রেটারের সৃষ্টি। তাই এসব ক্রেটারের সন্ধান পাওয়া আমাদের জন্য দুঃসংবাদ বটে। আমাদের উপগ্রহ চাদেও এমন অসংখ্য ক্রেটার দেখা যায়। চাদের কারনেই আমাদের পৃথিবীতে উল্কাপাতের পরিমান অনেক কম।
তাই বিজ্ঞানীরা এইসব ক্রেটার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। যদিও এখানে গবেষণা চালানো অনেক রিস্কের ব্যাপার, তবুও এধরনের গবেষণা চালানো দরকার বলে বিজ্ঞানীরা জানান। কারন এর উপরে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব অনেকটাই নির্ভর করছে।
আমি কামরুজ্জামান ইমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 124 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
বিজ্ঞানকে ভালবাসি। চাই দেশে বিজ্ঞান চর্চা হোক। দেশের ঘরে ঘরে যেন বিজ্ঞান চর্চা হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
ভালই তো মানব জাতি সেস হয়ে যাবে – কারন পৃথিবীর কোন মানুষই ১০০% জিবিত না