“বাংলাদেশ” এখন আর একটি নামের মদ্ধে সীমাবদ্ধ না, কথাটি অনেক আগেই আমরা প্রমান করে দেখিয়েছি। ভোলার একটি ক্ষুদে বিজ্ঞানি “রাজু” তৈরি করেছে জ্বালানী বিহীন মোটরসাইকেল। এটি সম্পূর্ণ জ্বালানী ছাড়া অর্থাৎ তেল গ্যাস বিহীন চলবে যার ফলে এটি শতভাগ পরিবেশ বান্ধব। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মোটরসাইকেলটি ১৫০কিলোমিটার পথ পাড়ি দিবে মাত্র ১২ টাকা খরচ করে। মোটরসাইকেলটি রাজু সম্পূর্ণ নিজেস্ব প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করেছে আর এটি করতে তার সময় লেগেছে পুরো ২ বছর। রাজু ভোলা সদর উপজেলার উকিল পাড়ার মোটর মেকানিক মৃত মীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
ওর ছোটবেলা থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল আর লেখাপড়ার পাশাপাশি সে গ্যারেজে আসতো বাবার হাতে হাতে কাজ করে দিতে। অবশেষে মাধ্যমিকের পড়াশোনা শেষ করে সে যখন ভোকেশনালে ভর্তি হয় তখন তার বাবা মারা যায়। পরবর্তীতে রাজুর আর লেখাপড়া করা হয় না কারন বাবার অবর্তমানে সংসারের সব দায়িত্ব তার কাধের ওপরে এশে পরে। শেষমেশ অনেকটাই বাধ্য হয়ে তাকে মোটর ম্যাকানিকের কাজ শুরু করতে হয়। অল্পকিছুদিনের ভেতরেই সে ভালো করতে থাকে আর তখন থেকে তার মাথায় এই উদ্ভাবনী বুদ্ধিটি আসে। রাজু তার কাজের ফাকে সময় বের করে তার বাইকটি তৈরি করতে থাকে।
রাজু বলে, ২০১২ সালে সে এটি নিয়ে কাজ শুরু করে আর টানা ২ বছর কঠিন পরিশ্রম করার পরে তার স্বপ্নটি বাস্তবে রুপ নেয়। ওর গবেষণা চলাকালীন এটির পেছনে সর্বমোট প্রায় দেড় লক্ষাদিক টাকা খরচ হয়েছে বলে সে দাবি করেছে। কিন্তু বর্তমানে তার একটি সম্পূর্ণ মোটরসাইকেল তৈরি করতে খরচ হবে ৮৫ হাজার টাকার মতো। এই মোটরসাইকেলটি তৈরিতে ব্যাবহার হয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মোটর, ৪ টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি এবং একটি কন্ট্রোল বোর্ড। মোটরসাইকেলের ব্যাটারি গুলো সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে এবং একবার ফুল চার্জ হয়ে গেলে প্রাই ১৫০ কিমি পর্যন্ত পথ পাড়ি দেয়া যাবে বলে রাজু জানিয়েছে।
রাজু আশা করছে যদি সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে তবে বাণিজ্যিকভাবে এই বাইক উৎপাদন করা এবং দেশের পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখা সম্ভব।
পোস্টটি প্রথম প্রকাশিত এখানে
আমি দেলোয়ার হোসেন দিহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 79 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
torun rai parba desh k agia nita ././././././././././../