যারা পৃথিবীর নতুন নতুর বিশ্ব রেকর্ডের খবর রাখেন তাদের কাছে "গিনেজ বুক অব ওযার্ল্ড রেকর্ড" একটি অতি পরিচিত নাম। বিশ্বের দ্রুততম মানব, দ্রুততম কম্পিউটার প্রভৃতি রেকর্ডে এটি পরিপূর্ন। এই টিউনের মাধ্যমে প্রযুক্তির নতুন কিছু রেকর্ড নিয়ে আপনাদের কে জানাব। প্রযুক্তির রেকর্ডগুলো মূলত সর্বোচ্চ গতি, সর্বোচ্চ সামর্থের উপরই ভিত্তি করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ড রেকর্ড রাখা হয়। কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও সফটওয়ারের এমবর্ধমান উন্নতির ফলে একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ার ফলে এই সব রেকর্ড বেশিদিন টিকে থাকবে তা মনে হয় না। রেকর্ডের ভাঙা গড়ার খেলা চলছে প্রতি নিয়তই।
জাপানের ডোকোমো (DoCoMo) প্রতিষ্ঠানের অধীনে গড়া হয় এই বিশ্বরেকর্ডটি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটিরও বেশী। যা ২০০৬ সালে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রুকে স্থান করে নেয়। এখনও এই রেকর্ডটি তাদের দখলে। তাদের ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম I-mode।
ইন্টেল কোম্পানীর তৈরীকৃত Core i7 প্রসেসরটি হচ্ছে এখনকার সবচেয়ে দ্রতগতির ডেস্কটপ প্রসেসর। এই প্রসেসরটি সর্বোচ্চ ৩.২০ গিগাহার্জ গতিতে চলতে পারে। Specint_base_rate এর ২০০৬ সালের পরীক্ষায় এর স্কোর হচ্ছে ১১৭। যা এই পরীক্ষার সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে কোন প্রসেসর ১০০ এর বোশী স্কোর অতিক্রম করতে পারে নি। তবে ওভারক্লকড সিপিউর ক্ষেত্র এমডি Phenom II X4 গতির রেকর্ড গড়েছে।
২০০৮ সালে বিশ্বের বৃহত্তম ডাটা অয়্যার হাউস হিসেবে সাইবেস আইকিউ অ্যানালিটিজ সার্ভার গিনেজ ওয়াল্ডবুকে রেকর্ডের নাম লেখায়। Sun Sparc Enterprise M9000 সার্ভারে ১ পেটাবাইট ডাটা সংরক্ষিত রয়েছে। ১ পেটাবাইট = ১,০০০,০০০ গিগাবাইটের সমান। আর বাইটের হিসেব করলে ১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ বাইট হিসেবে। এই ডাটা অয়্যারহাউজ থেকে প্রতি বছর ৫০০টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। এই ডাটা অয়্যারহাউসে ৬ ট্রিলিয়ন সারি ট্রানজেকশনাল ডাটা এবং ১৮৫ মিলিয়ন ডকুমেন্ট সরক্ষিত আছে।
যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত আইবিএম রোডরানার প্রযেক্টে কাজ করছে আইবিএম রোডরানার। যা বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটার। এই সুপার কম্পিউটারটি ১.১০৫ পেটাফ্লপ গতিতে কাজ করতে পারে। পেটা ফ্লপ হচ্ছে ১.৫ লক্ষ গননা করতে পারে প্রতি সেকেন্ড। তবে ২০১২ সালে একে স্থান ছেড়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে যেতে হবে। কারন ২০১২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাব "ডন" নামের সুপার কম্পিউটার তৈরি করবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে হালকা মোবাইল ফোনের নাম মোডু (modu) অ্যাপল এর জনপ্রিয় আইফোনের ওজন যেখানে ১৩৫ গ্রাম সেখানে মোডু মোবাইল ফোনের ওজন মাত্র ৪০ গ্রাম। এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মোবাইল ফোনও বটে। এতে রয়েছে ১.৩ ইঞ্চি মনিটর এবং ২ গিগাবাইট ফ্লাস মেমোরি।
বিশ্বের বৃহত্তম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট হচ্ছে Terrestar-1 নামের স্যাটেলাইটটি। যেটা ২০০৯ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়েছে। যার প্রধান উদ্ধেশ্য হচ্ছে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করা। স্যাটেলাইটটির ওজন প্রায় ৭০০০ কেজি। যার ১৮ মিটার দীর্ঘ্য একটি এন্টেনা রয়েছে। যেটি ২ গিগাহার্টজ স্পেকট্রামে সিগনাল প্রেরন করে।
সকলকে ধন্যবাদ.................
আমি রাখাল বালক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 202 টি টিউন ও 1117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এদেশের ৯৯% মানুষই কোন না কোন ভাবে দূর্নীতির সাথে জড়িত। হয়ত কেউ ঘুষ দেয় অথবা কেউ নেয় দুটোই তো সমান অপরাধ। আর মায়ের পেটে থাকা শিশুটিও দূর্নীতির অর্থে কেনা খাবার খেয়ে বড় হয়ে উঠে। আর আমরা আশা করছি দেশপ্রেমিক এক নেতা। এটা নিম গাছ লাগিয়ে আম আশা করার মত হয়ে...
সবচেয়ে হালকা মোবাইলের নাম কি MODU নাকি? 😀