সম্প্রতি চীন সরকারের প্রতি গুগলের ইনডাইরেক্ট হুমকির কথা আমরা প্রায় সবাই জানি। চীনে সব ওয়েবসাইট আনব্লক করে ফেলে গুগল এবং জানিয়ে দেয় যে এতে বাধা আসলে চীনের মাটি ছাড়বে প্রতিষ্ঠানটি। গুগলের এরূপ হঠাৎ রেগে যাওয়ার পেছনে একমাত্র কারণ চায়নিজ মানবাধিকার কর্মীদের জিমেইল একাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা। গুগল দাবি করেছে, চীন থেকেই হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে গুগলের কঠোর সিদ্ধান্ত জানানোর কয়েকদিন পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট স্বীকার করলো যে, হ্যাক সফল হওয়ার পেছনে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নিরাপত্তায় দুর্বলতা দায়ী ছিল। মাইক্রোসফট সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের ব্রাউজারে কিছু ত্রুটি ছিল যার মাধ্যমে হ্যাকাররা আক্রান্ত কম্পিউটার দূরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো। মাইক্রোসফটের ভাষায়, 'সাইবার অপরাধ বা সাইবার আক্রমণ ইন্টারনেট জগতে দৈনন্দিন ঘটনা। এটি দুঃখজনক যে, সাইবার অপরাধ সংঘটনে আমাদের পণ্য [সফলতার সঙ্গে] ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ জাতীয় আক্রমণ ঠেকাতে আমরা গুগল এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাবো।'
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ত্রুটির কারণে জিমেইল হ্যাকিং সম্ভব হয়েছে, মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে দাপ্তরিকভাবে এ কথা স্বীকার করার প্রায় পরপরই জার্মান সরকার সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বিকল্প কোনো ব্রাউজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। ফেডারেল অফিস ফর ইনফরমেশন সিকিউরিটি থেকে এই "ওয়ার্নিং" এসেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
তবে বরাবরের মতোই মাইক্রোসফট বিরোধিতা করেছে এই ওয়ার্নিংয়ের। তাদের মতে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার "এতো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয় যে বিকল্প ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে"। জিমেইল হ্যাক করার বিষয়টি আসলে জার্মানীর মাইক্রোসফট মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটে না। জিমেইল হ্যাক করার ঘটনা যাদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে তারা "highly motivated people with a very specific agenda", মন্তব্য মাইক্রোসফট মুখপাত্রের।
উল্লেখ্য, জার্মান সরকারের উক্ত ওয়ার্নিংয়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ৬, ৭ এবং ৮ নং সংস্করণগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে যে, জার্মান সরকার আশা করছে মাইক্রোসফট শিগগিরই ত্রুটি ঠিক করার জন্য প্যাচ (Patch) রিলিজ করবে।
তবে কাজটি মোটেই সহজ নয়। তিনটি আলাদা সংস্করণের ব্রাউজারের জন্য প্যাচ রিলিজ করা বেশ কঠিন কাজ। এছাড়াও তা সব কম্পিউটারে কাজ করবে কিনা এমন প্রশ্নও রয়ে যায়। এক্ষেত্রে মাইক্রোসফট বলছে, ব্যবহারকারীদের উচিৎ সর্বশেষ সংস্করণগুলো ব্যবহার করা। কেননা, এগুলো "কম ঝুঁকিপূর্ণ"।
লক্ষ্য করেছেন কি, মাইক্রোসফট একবারও বলেনি যে তাদের ব্রাউজার ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এমনকি সর্বশেষ সংস্করণকেও তারা ঝুঁকিহীন বলতে পারেনি। এ থেকেই বোঝা যায় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার কতোটা মারাত্মক।
তবে দুঃখের বিষয়, বিশ্বের সাধারণ জনগণ এখনো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার নিয়েই পড়ে আছেন। বাংলাদেশেও এর সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। আসুন জরিপ হয়ে যাক। আপনি কি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে এর কারণ কী?
আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ছবিগুলোকে সেন্টার করার এতো চেষ্টা করলাম, হইলো না। 🙁