“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”
প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। ইনশা-আল্লাহ্ আমিও অনেক ভালো আছি। আমার মিডটার্ম এক্সাম চলার কারণে অনেকদিন থেকে লিখতে পারিনি তাই টিউনও করা হয়নি। এখন থেকে একটু দেরীও হতে পারে টিউনগুলো দিতে (মিনিমাম ৭ দিন পরপর)। কিছু মনে করবেন না প্লিজ। কথা না বাড়িয়ে চলুন টিউন শুরু করা যাক।
আজকের পর্বে আমরা বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করবো। এর মধ্যে থাকবে -
নেটওয়ার্ক কোন কাজে ব্যবহার করবো তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। একটি বিল্ডিং তৈরি করতে যেমন আর্কিটেক্টের পরিকল্পনার দরকার পড়ে তেমনি একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দরকার সুচিন্তিত পরিকল্পনা। কোনো বিল্ডিং তৈরির আগে দরকার পড়ে ব্লু-প্রিন্টের। তেমনি কোনো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার আগে তার নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার সম্পর্কে পুরো ধারণা থাকা দরকার। নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার বলতে আমরা বুঝব নেটওয়ার্কটি কীরকম হবে, এর ব্যবহার ও তথ্য পরিবহন পদ্ধতি কী হবে, ইত্যাদি। এখানে আমরা জানব কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরনের নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার উপযোগী, পিয়ার-টু-পিয়ার, ক্লায়েন্ট-সার্ভার ও হাইব্রিড নেটওয়ার্ক কাকে বলে ও এদের সুবিধা ও অসুবিধা কী কী।
কম্পিউটারের অংশগ্রহণের ফলে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের কাজের রকমফের দেখে নেটওয়ার্ককে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এগুলি হলো -
এ তিন ধরনের নেটওয়ার্কের কোনটি কার জন্য উপযোগী সেটি নির্ভর করে বেশ কটি নিয়ামকের উপর। এসব নিয়ামকের মধ্যে আছে ভৌগলিক অবস্থান, ব্যবহারকারীর সংখ্যা, কোন ধরনের অ্যাপলিকেশন চালানো হবে, সেই নেটওয়ার্ক কে চালাবে, ইত্যাদি।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে প্রত্যেক ইউজার তাদের নেটওয়ার্ক রিসোর্স অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। তার মানে প্রতিটি কম্পিউটার একইসাথে সার্ভার এবং ওয়ার্কস্টেশন। এখানে প্রতিটি রিসোর্স ডিসেন্ট্রালাইজড বা ছড়ানো-ছিটানো।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যাবে -
আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ হিসেবেই পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কিং কাজ করে। এর জন্য সাধারণত ভিন্ন কোনো সফটওয়্যার কিংবা নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার দরকার পড়ে না। যেমন আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ এক্সপি, ৭, ৮, ১০ এর যেকোনো একটি ইনস্টল থাকলে সহজেই একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনার কম্পিউটারকে অন্য কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে হবে এবং একে ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কনফিগার করতে হবে। ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কনফিগার করা হলেই এটি অন্য ওয়ার্কস্টেশনের সাথে যোগাযোগ গড়তে পারবে।
চিত্র ১.১ - পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে প্রত্যেক ওয়ার্কস্টেশন তাদের রিসোর্স অন্য ইউজারের জন্য শেয়ার করতে পারে।
একই পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণকারী কম্পিউটারগুলোকে নিয়ে গড়ে ওঠে ওয়ার্কগ্রুপ (ম্যাকিন্টোশে বলা হয় গ্রুপ)। প্রতিটি ওয়ার্কগ্রুপের একটি নাম দেয়া হয়। যেমন webdesign ওয়ার্কগ্রুপের মাধ্যমে বোঝানো যেতে পারে একদল কর্মীকে যারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে থাকেন। একই নেটওয়ার্কে একাধিক ওয়ার্কগ্রুপ থাকতে পারে এবং কোনো অফিসে এরকম বিভিন্ন ওয়ার্কগ্রুপ দেখে বলে দেয়া যায় কোন কম্পিউটার কোন ডিপার্টমেন্ট কিংবা কোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইলে ভালোভাবে ভেবে নিতে হবে। আপনার নেটওয়ার্ক বর্তমানে কত বড় হবে, ভবিষ্যতে এটি বাড়ার সম্ভাবনা কতটুকু, এর ইউজার সংখ্যা কত, ইউজাররা নেটওয়ার্ককে কীভাবে ব্যবহার করবে, ইউজারদের নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা কেমন, ইত্যাদি ভেবে দেখতে হবে। স্বল্প ব্যয়ে স্বল্প সংখ্যক ইউজারের জন্য নেটওয়ার্ক গড়তে চাইলে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক উপযোগী হবে। কিন্তু ইউজারের সংখ্যা বেড়ে গেলে কিংবা কম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে গেলে এটি ভালো কাজ করবে না। তাছাড়া পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের ইউজাররাই যেহেতু অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তাই এতে প্রত্যেক ইউজারকে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক ব্যবহারে দক্ষ হওয়া দরকার।
নিম্নোক্ত কারণে আপনি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক নিতে পারেন -
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের সুবিধাগুলো হলো -
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের অসুবিধাগুলো হলো -
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক বা ওয়ার্কগ্রুপ মডেলে আসলে সিকিউরিটি বলতে তেমন কিছুই নেই। এধরনের নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা হয় শেয়ার-লেভেল সিকিউরিটি। শেয়ার লেভেল সিকিউরিটিতে প্রতিটি শেয়ারড রিসোর্সের জন্য একটি করে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। সেই পাসওয়ার্ড যেসব ব্যবহারকারী জানবে তারা সেই রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবে। কোন কোন ইউজার সেটি ব্যবহার করতে পারবে তা আমরা নির্দেশ করতে পারব না।
এধরনের নিরপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ইউজার কোনো রিসোর্স শেয়ার করে তার জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে পারে কিংবা কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার নাও করতে পারে। কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা হলে ওয়ার্কগ্রুপের সবাই সেটি ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু পাসওয়ার্ড দেয়া হলে সেই পাসওয়ার্ডটি অন্য ইউজারদের জানাতে হবে। এভাবে অনেকজনকে পাসওয়ার্ড বলে দিলে আসলে সেটি আর গোপন থাকে না। আবার শেয়ারের সংখ্যা বেশী হলে প্রতিটি শেয়ারের পাসওয়ার্ড মনে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে।
চিত্র ১.২ - পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন নিজ নিজ সিকিউরিটি পলিসি মেইনটেইন করে। সেকারণে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না।
অনেক পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য অনেকে প্রতিটি রিসোর্সের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে। এটি আসলে কোনো নিরাপত্তা দেয় না। আপনি যদি আপনার বিল্ডিঙের প্রতিটি কক্ষে তালা লাগান কিন্তু প্রতিটি তালা যদি একই চাবি দিয়ে খোলা যায় তাহলে এতগুলি তালা লাগানোর কোনো অর্থ হয় না। তেমনি কম্পিউটারে প্রতিটি রিসোর্সের জন্য একই পাসওয়ার্ড দেয়া এবং সেই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন ইউজারকে জানিয়ে দেয়া কীরকম নিরাপত্তা দিতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে ডাটা স্টোর, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন চালনা এবং নেটওয়ার্ক পরিচালনার উপযোগী একটি মডেল হলো ক্লায়েন্ট-সার্ভার মডেল। এই মডেলে একটি কম্পিউটারে থাকবে রিসোর্স, আর নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার সেসব রিসোর্স ব্যবহার করবে। যে কম্পিউটার রিসোর্স শেয়ার করবে সেটি হলো সার্ভার, আর যেসব কম্পিউটার সেই রিসোর্স ব্যবহার করবে তারা হলো ক্লায়েন্ট। নেটওয়ার্কের সমস্ত রিসোর্স সার্ভারে জমা থাকায় রিসোর্স ম্যানেজ করা যেতে পারে কেন্দ্র থেকে। তেমনি সব ইউজার একই সার্ভারে লগ-ইন এবং সার্ভারের সিকিউরিটি পলিসি মেনে চলে বলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ককে সার্ভার-বেজড নেটওয়ার্কও বলা হয়।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো -
ক্লায়েন্ট-সার্ভার মডেলে বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দরকার পড়ে। এই মডেলে ইউজার ওয়ার্কস্টেশনের ক্ষমতা এবং সার্ভারের ক্ষমতা দুটোই কাজে লাগে। সার্ভার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে কাজ বিভক্ত থাকে। যেমন কোনো ক্লায়েন্ট মেশিন থেকে যোগাযোগ করা হলো সার্ভারের সাথে। সার্ভারে আছে প্রয়োজনীয়া ফাইল। এর জন্য ক্লায়েন্ট মেশিনে ইউজারকে অবশ্যই সেই ফাইল পাওয়ার জন্য কমান্ড দিতে হবে। এটি দেয়া হয় সেই রিসোর্সের ইউনিভার্সাল নেমিং কনভেনশন (UNC) পাথ উল্লেখ করে। ইউজার যখন সেই UNC পাথ উল্লেখ করেন তখন ক্লায়েন্ট ওয়ার্কস্টেশন সেই ফাইলের জন্য অনুরোধ পাঠায় সার্ভারে। সার্ভার সেই ফাইল খুঁজে বের করে এবং তাতে ইউজারের অ্যাক্সেস আছে কিনা তা যাচাই করে দেখে। যদি ইউজারের অনুমতি থাকে তাহলে সার্ভার সেখানে ইউজারকে প্রবেশ করতে দেয়। এখানে সেই ফাইলে প্রবেশের জন্য সার্ভার ও ক্লায়েন্ট উভয়কেই প্রসেসিং পাওয়ার ব্যয় করতে হয়।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার বেজড অ্যাপলিকেশনসমূহও একই পদ্ধতিতে কাজ করে। এধরনের অ্যাপলিকেশনে একটি অংশ রান করে ক্লায়েন্ট মেশিনে আরেকটি সার্ভারে। সার্ভারেই থাকে আসল তথ্য। ক্লায়েন্ট মেশিনের অ্যাপলিকেশন থেকে সেসব তথ্যে প্রবেশ করা হয় কিংবা সেসব তথ্যকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা হয়।
চিত্র ১.৩ - ইউজার মেসেজিং সার্ভারের সাথে সংযোগ গড়ে জেনে নিতে পারে তার কোনো মেইল আছে কিনা। এজন্য ক্লায়েন্ট মেশিনে তাকে মেইল ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার চালাতে হবে।
ইন্টারনেট ই-মেইল এধরনের একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার অ্যাপলিকেশনের উদাহরণ। কোনো ইউজারের কাছে আসা মেইল জমা থাকে মেইল সার্ভারে ইউজারের মেইলবক্সে। ইউজার সেই মেইলবক্সের সাথে সংযোগ গড়ে তার ই-মেইল ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশন দিয়ে। সার্ভার চেক করে দেখে ইউজারের মেইলবক্সে কোনো মেইল আছে কিনা, থাকলে ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশনকে জানায় এবং ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশন সেই মেইল ক্লায়েন্টের মেশিনে ডাউনলোড করে নেয়।
আপনার নেটওয়ার্কের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে নেটওয়ার্কে সার্ভারের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। আর সেসব ক্ষেত্রে একেকটি সার্ভারের কাজ ভিন্ন করে দেয়া যেতে পারে। প্রতিটি সার্ভার থাকবে বিশেষ ধরনের কাজের জন্য। যেমন কোনো সার্ভারকে ব্যবহার করতে পারেন কেবল লগ-অন সার্ভার হিসেবে, কোনোটি প্রিন্ট সার্ভার হিসেবে, আর কোনোটি ফাইল সার্ভার হিসেবে। যখন কোনো ইউজার নেটওয়ার্কে লগ-ইন করছে তখন তার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড যাচাই করবে লগ-অন সার্ভার, যখন প্রিন্ট করতে চায় তখন সে প্রিন্ট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত প্রিন্টারে প্রিন্ট পাঠাবে, আর যখন কোনো ফাইলে অ্যাক্সেস করতে চাইবে তখন ফাইল সার্ভারের সাথে সংযোগ করবে। এভাবে একেকটি সার্ভারের রোল বা ভূমিকা ভিন্ন করে দিয়ে নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স উন্নত করা যেতে পারে।
চিত্র ১.৪ - সার্ভারের কাজ অনুসারে একে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যেতে পারে। ফাইল সার্ভার ফাইল শেয়ারিঙের কাজ করে, প্রিন্ট সার্ভার দেয় প্রিন্ট সার্ভিস আর ডাটাবেজ সার্ভার ক্লায়েন্টের জন্য ডাটাবেজ সার্ভিস দিয়ে থাকে।
একটি নেটওয়ার্কে সার্ভারের ভূমিকা বা কাজ অনুসারে সার্ভারসমূহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এরকম কয়েকটি সার্ভার সম্পর্কে জানব এখন।
ফাইল সার্ভারের কাজ হলো নেটওয়ার্ক ইউজারদের জন্য বিভিন্ন ফাইল শেয়ার করা যাতে ইউজাররা সহজে যেকোনো সময় তাদের প্রয়োজনীয় ফাইলে প্রবেশ করতে পারে। ফাইল সার্ভারে চলে এমন এক নেটওয়ার্ক সার্ভিস যার মাধ্যমে কোনো সার্ভারে ডাটা স্টোর করা যায়, সেই ডাটাকে পড়া যায় এবং প্রয়োজনে অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়। বেশিরভাগ নেটওয়ার্কেই এধরনের সার্ভার ব্যবহার করা হয়। কারণ ডাটা শেয়ারিঙই বেশিরভাগ নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য। ফাইল সার্ভিস থাকার ফলে আপনি সেই সার্ভারে ডাটা জমা রাখতে পারবেন, সেই ডাটা পড়তে পারবেন, সেখানে প্রয়োজনীয় পারমিশন সেট করতে পারবেন এবং প্রয়োজনমতো সেই ডাটার ব্যাকআপ নিতে পারবেন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফাইল সার্ভার রয়েছে, যেমন উইন্ডোজ এনটি, উইন্ডোজ ২০০০, উইন্ডোজ ২০০৩, নভেল নেটওয়্যার, অ্যাপলশেয়ার এবং ব্যানিয়ান ভাইনস।
ফাইল সার্ভারের জন্য সেই সার্ভারে পর্যাপ্ত হার্ডডিস্ক স্পেস থাকতে হবে। সেইসাথে দরকার পড়ে প্রচুর মেমরি বা RAM। কারণ ফাইল সার্ভারে কোনো ইউজার যখন কোনো ফাইলে প্রবেশ করে তখন সার্ভার সেই ফাইলটি প্রথমবার হার্ডডিস্ক থেকে ইউজারকে দেয় এবং সেই ফাইলকে ক্যাশ (cache) করে রাখে যাতে পরবর্তীতে কেউ সেই ফাইল চাইলে পুনরায় হার্ডডিস্কে সেই ফাইল খুঁজতে যেতে না হয়। এই ক্যাশিঙের জন্য প্রচুর RAM দরকার পড়ে। আপনার সার্ভারে যত বেশি RAM থাকবে তত ফাইল ক্যাশিং বেশি হবে এবং সচরাচর ব্যবহৃত ফাইলগুলিতে ইউজাররা খুব দ্রুত প্রবেশ করতে পারবে। উইন্ডোজ এনটি সার্ভার, উইন্ডোজ ২০০০ ও উইন্ডোজ ২০০৩ এ পদ্ধতিতে ফাইল সার্ভারের কাজ করে।
চিত্র ১.৫ - উইন্ডোজ সার্ভার বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্ট অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে এবং এটিকে একইসাথে ফাইল, প্রিন্ট, অ্যাপলিকেশন, মেসেজিং, ওয়েব, ইমেইল ইত্যাদি সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
একটি প্রিন্টার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের সবাই যাতে প্রিন্ট করতে পারে সেজন্য নেটওয়ার্কে প্রিন্টার শেয়ার করা হয়। প্রিন্ট সার্ভারের কাজ হলো নেটওয়ার্কের জন্য প্রিন্ট সার্ভিস দেয়া।
প্রিন্ট সার্ভার ব্যবহারে মাধ্যমে আপনি নিচের সুবিধাগুলি পেতে পারেন -
প্রিন্ট সার্ভারে নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ইউজার একইসাথে প্রিন্ট পাঠাতে পারে। প্রিন্ট সার্ভার সেসব প্রিন্ট জব গ্রহণ করে এবং প্রিন্ট কিউ তৈরি করে। প্রিন্ট কিউ এর প্রতিটি ডকুমেন্ট স্পুল হয়ে জমা থাকে প্রিন্ট সার্ভারের ডিস্কে যতক্ষণ না পুরো প্রিন্ট জবটি শেষ হয়। ইউজার ওয়ার্কস্টেশন থেকে প্রিন্ট জবটি প্রিন্ট সার্ভারের প্রিন্ট কিউ এ চলে গেলেই ইউজার ওয়ার্কস্টেশন ফ্রি হয়ে যায়। প্রিন্ট সার্ভারে সেই জবটি প্রিন্ট হবে আগের জবগুলি শেষ হওয়ার পর। তবে কোন ইউজারের প্রিন্ট জব আগে প্রিন্ট হবে তাও নির্দেশ করা যেতে পারে কোনো কোনো প্রিন্ট সার্ভারে।
নেটওয়ার্কে ইউজারদের ওয়েবপেজ দেখানোর কাজটি আপনি ওয়েব সার্ভার দিয়ে করতে পারেন। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইউজারদেরকে ওয়েব পেজ দেখানোর কাজ করে ওয়েব সার্ভার। ওয়েব সার্ভার প্রয়োজনীয় ওয়েব পেজ (এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট), টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ফ্ল্যাশ ফাইল ইত্যাদি জমা করে রাখে হার্ড ডিস্কে। ইউজার যখন কোনো ওয়েবপেজ দেখার জন্য ওয়েব সার্ভারের নিকট রিকুয়েস্ট পাঠায় তখন ওয়েব সার্ভার সেই রিকুয়েস্ট গ্রহণ করে ইউজারকে ওয়েবপেজটি দেখায়।
ওয়েব সার্ভার ব্যবহারে মাধ্যমে আপনি নিচের সুবিধাগুলি পেতে পারেন -
চিত্র ১.৬ - ওয়েব সার্ভার আসলে একধরনের ফাইল সার্ভার। এখানে ইউজার কোনো ফাইলের অনুরোধ পাঠায় সার্ভারে, সার্ভার সেই ফাইল ইউজারের নিকট পাঠায়।
নেটওয়ার্কে ইউজারদের মেসেজিং সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় মেসেজিং সার্ভার। এই মেসেজিং সার্ভার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কোনটি ইলেকট্রোনিক মেসেজ ট্রান্সফারের সুবিধা দেয়, কোনটি দেয় গ্রুপওয়্যার চালানোর সুবিধা। মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফরম্যাটে, যেমন গ্রাফিক্স, ডিজিটালাইজড ভিডিও, অডিও এবং টেক্সট হিসেবে ডাটা প্রবাহিত হতে পারে। মেসেজ সার্ভিসের মাধ্যমে ইলেকট্রোনিক নোট, সংযুক্ত ভয়েস মেইল, ইত্যাদি অন্য ইউজারের নিকট পাঠাতে পারেন।
মেসেজিং সার্ভারকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে - ইলেকট্রোনিক মেইল ও ওয়ার্কগ্রুপ অ্যাপলিকেশন।
ইলেকট্রোনিক মেইল সার্ভিসে নেটওয়ার্কের ইউজাররা একজন আরেকজনের নিকট ইলেকট্রোনিক ফরম্যাটে মেসেজ পাঠাতে পারে। মাইক্রোসফট মেইল, লোটাস সিসি মেইল, মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভার, নেটস্কেপ মেসেজিং সার্ভার ইত্যাদি এ ধরনের সার্ভার হিসেবে কাজ করে।
চিত্র ১.৭ - মাইক্রোসফট আউটলুকের মতো গ্রুপওয়্যার ব্যবহার করে ক্যালেন্ডার শিডিউল মেইনটেইন এবং অন্যদের সাথে তা শেয়ার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে কোনো টাস্ক নেটওয়ার্কের কাউকে এসাইন করা, সেই টাস্কের রিপোর্ট সংগ্রহ, মিটিং প্ল্যানিং ও বিভিন্ন ইউজারকে মিটিঙে আমন্ত্রণ জানানো, ইত্যাদি কাজ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা যায়।
ওয়ার্কগ্রুপ অ্যাপলিকেশনসমূহে শুধু ইলেকট্রোনিক মেইলই আদান-প্রদান করা যায় না, সেই সাথে বিভিন্ন ডকুমেন্ট শেয়ার ও রিভিউ, টাস্ক শিডিউল মেইনটেইন, মিটিং প্ল্যানিং, ইত্যাদি কাজ করা যায়। মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভার, লোটাস সিসি মেইল ও নভেল গ্রুপওয়াইজ কে এধরনের মেসেজিং সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ওয়ার্কগ্রুপ ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে মাইক্রোসফট আউটলুক ৯৭/৯৮/২০০০/এক্সপি।
নেটওয়ার্কের ইউজাররা যাতে একটি সার্ভার থেকে বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করতে পারে সেজন্য অ্যাপলিকেশন সার্ভার ব্যবহার করা হয়। নেটওয়ার্কে প্রতিটি মেশিনে একই অ্যাপলিকেশন ভিন্নভাবে ইনস্টল করা ও তা ম্যানেজ করার বহুবিধ সমস্যা আছে। প্রথম সমস্যা হলো এভাবে প্রতিটি মেশিনের জন্য ওই সফটওয়্যার ভিন্নভাবে কিনতে হবে। দ্বিতীয় সমস্যা হলো প্রতিটি মেশিনে তা ইনস্টল করা, মেইনটেইন করা ও প্রয়োজনে আপগ্রেড করা। পাঁচটি মেশিনে মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ ইনস্টল করা সহজ হলেও আপনার নেটওয়ার্কে যদি এক হাজার মেশিন থাকে এবং এসব মেশিন ব্যবহারকারীদের মাঝে মধ্যে মাইক্রোসফট অফিসের কোনো অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করার দরকার হয় তাহলে কী করবেন ? এক হাজার মেশিনে শুধু অফিস ইনস্টল করতেই কয়েকদিন লেগে যাবে। আবার কখনও আপগ্রেড করার দরকার পড়লে আরেক ঝামেলা। এ সমস্যার সমাধান হলো নেটওয়ার্ক থেকে সেই অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করা। নেটওয়ার্কের অ্যাপলিকেশন সার্ভারে অফিস ইনস্টল করে তা অন্যদের জন্য শেয়ার করে দেয়া যেতে পারে। তাহলে যখন যার প্রয়োজন সার্ভার থেকে সেই অ্যাপলিকেশন চালাতে পারবে।
চিত্র ১.৮ - অ্যাপলিকেশন সার্ভারের প্রধান গুরুত্ব হলো প্রসেসর। এরপর এর মেমরি ও ডিস্ক সাবসিস্টেম ভাল হওয়া দরকার।
কিছু কিছু অ্যাপলিকেশন আছে যা নেটওয়ার্কে ব্যবহারের জন্য তৈরি, আবার কোনোটির জন্য নেটওয়ার্ক ভার্সন রয়েছে। প্রতিটি মেশিনে ভিন্নভাবে এসব সফটওয়্যার ইনস্টল করার চেয়ে নেটওয়ার্ক থেকে চালানো সুবিধাজনক। ওয়েব সার্ভার, এফটিপি সার্ভার এগুলিও একধরনের অ্যাপলিকেশন সার্ভার।
অ্যাপলিকেশন সার্ভার যেহেতু বিভিন্ন ইউজারের জন্য অ্যাপলিকেশন চালায় তাই এর কনফিগারেশন হওয়া দরকার উঁচুমানের। অ্যাপলিকেশন সার্ভার কনফিগারেশনে মূল গুরুত্ব হলো প্রসেসর, তারপর আছে মেমরি। কারণ প্রতিটি অ্যাপলিকেশন চালানোর জন্য অবশ্যই সার্ভারকে প্রসেসিং শক্তি ব্যয় করতে হয়। অ্যাপলিকেশন সার্ভার হিসেবে ডিজাইনকৃত সার্ভার সাধারণত একাধিক প্রসেসরযুক্ত হয়ে থাকে।
ডাটাবেজ সার্ভার অন্য ক্লায়েন্ট ওয়ার্কস্টেশনের জন্য ডাটাবেজ ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। ডাটাবেজ সার্ভারে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট-সার্ভার রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS) চলে যা সাধারণ ওয়ার্কস্টেশনে চালানো সম্ভব হয় না। এরকম ডাটাবেজ অ্যাপলিকেশন হলো মাইক্রোসফট এসকিউএল (SQL) সার্ভার এবং ওরাকল সার্ভার। ক্লায়েন্ট-সার্ভার আরডিবিএমএস এ ডাটাবেজ দুটি ভিন্ন অংশে চলে -
বড় বড় কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য রাখার জন্য ডাটাবেজের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তাই বড় নেটওয়ার্কে দু'একটি ডাটাবেজ সার্ভার নজরে পড়বে। ডাটাবেজের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে ডাটাবেজ সার্ভারগুলো ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বর্তমানে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সার্ভার হলো মাইক্রোসফট এসকিউএল সার্ভার ২০০৮ এবং ওরাকল ১১জি। দুটিতেই নিরাপত্তা, ডাটা অপটিমাইজেশন এবং ডাটা ডিস্ট্রিবিউশনের সুযোগ রয়েছে। লিনাক্স ও ইউনিক্স কম্পিউটারে এরকম দুটি ডাটাবেজ সার্ভার হলো PostgreSQL ও MySQL।
ডাটাবেজ সার্ভার হিসেবে কোনো কম্পিউটারকে ব্যবহার করতে চাইলে সেটিতে ডাটা স্টোরেজের জন্য পর্যাপ্ত হার্ডডিস্ক স্পেস, উচ্চশক্তির প্রসেসর এবং সাধারণ ওয়ার্কস্টেশনের চেয়ে বেশি মাত্রার মেমরি থাকা দরকার।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার মডেলের আগে ছিল মেইনফ্রেমভিত্তিক কম্পিউটিং। এক্ষেত্রে বড় মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় সকল অ্যাপলিকেশন চালানোর জন্য। অন্যদিকে এই মেইনফ্রেমে কোনো অ্যাপলিকেশন চালানোর কমান্ড দেয়ার জন্য প্রতিটি ইউজার ব্যবহার করে একটি টার্মিনাল। টার্মিনাল হলো কম্পিউটার মনিটর ও অন্যান্য ইনপুট ডিভাইসের সমন্বয় যেখান থেকে ইউজার কোনো মেইনফ্রেম কম্পিউটারে কোনো অ্যাপলিকেশন চালানোর জন্য কমান্ড দিতে পারে। টার্মিনালের নিজের কোনো প্রসেসিং শক্তি নেই, এটি প্রসেসিঙের জন্য পুরোপুরি মেইনফ্রেমের উপর নির্ভরশীল। এটির কোনো হার্ড ডিস্কও থাকে না, কেবল আউটপুট ও ইনপুট ডিভাইস হিসেবে মনিটর, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি থাকতে পারে। এখানে মেইনফ্রেম কম্পিউটার হলো হোস্ট। কারণ এখান থেকেই ইউজাররা বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন চালিয়ে থাকে।
চিত্র ১.৯ - মেইনফ্রেম কম্পিউটারে কোনো অ্যাপলিকেশন চালানোর কমান্ড দেয়া হয় টার্মিনাল থেকে। টার্মিনালের কোনো প্রসেসিং পাওয়ার কিংবা হার্ডডিস্ক স্পেস নেই।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার বেশ ব্যয়বহুল এবং পার্সোনাল কম্পিউটার সহজলভ্য হওয়ায় বর্তমানে টার্মিনাল ব্যবহারের চেয়ে ওয়ার্কস্টেশনের ব্যবহারই বেশি। ওয়ার্কস্টেশন নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার। এতে থাকে প্রসেসর, হার্ডডিস্ক, মেমরিসহ অন্যান্য অংশ। এটি নিজেই কোনো অ্যাপলিকেশন চালাতে পারে এবং প্রয়োজনে সার্ভার থেকে কোনো অ্যাপলিকেশন চালায়। ক্লায়েন্ট-সার্ভার অ্যাপলিকেশনে সার্ভারের কিছু প্রসেসিং পাওয়ারের সুবিধা ক্লায়েন্ট ওয়ার্কস্টেশন নিতে পারলেও এখানে কোনো অ্যাপলিকেশন চালানোর জন্য ওয়ার্কস্টেশন পুরোপুরি সার্ভারের প্রসেসিং পাওয়ার কিংবা মেমরি ব্যবহার করতে পারে না।
কোন ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। আপনার নেটওয়ার্কের ইউজার যদি দশজনের বেশি হয় কিংবা ভবিষ্যতে বাড়তে পারে তাহলে ভালো অপশন হবে ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক। তবে কীভাবে সেই ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যিই বেশ কঠিন। কারণ বেশ কয়েক প্রকারে ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায়।
নিম্নোক্ত কারণে আপনি ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবেন -
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের সুবিধাসমূহ হলো -
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের অনেক সুবিধার মাঝে অসুবিধাগুলো হলো -
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের চেয়ে অনেক সিকিউর হলো ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক। আমরা আগেই জেনেছি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে প্রতিটি রিসোর্সের জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। এটি করার কারণ পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা হয় শেয়ার লেভেল অ্যাক্সেস। কিন্তু ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যায় ইউজার লেভেল সিকিউরিটি। ইউজার লেভেল অ্যাক্সেস এ আমরা প্রতিটি ইউজারের জন্য কোনো রিসোর্সে পারমিশন দিতে পারি।
চিত্র ১.১০ - ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কে ইউজার ডাটাবেজ ও সিকিউরিটি পলিসি মেইনটেইন করে সার্ভার। সেকারণে কেন্দ্রীয়ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
ধরা যাক, আপনি একটি ফোল্ডার শেয়ার করতে চান। শেয়ার লেভেল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করলে আপনি যখন সেই ফোল্ডারটি শেয়ার করছেন তখনই তার জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে পারেন। এই পাসওয়ার্ড যেসব ইউজার জানবে তারা সেই শেয়ারে অ্যাক্সেস করতে পারবে। যারা জানবে না তারা পারবে না। এখানে সেই শেয়ারে কোন কোন ইউজার অ্যাক্সেস করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারছেন না। কিন্তু ইউজার লেভেল অ্যাক্সেস কন্ট্রোলে এটি সম্ভব। এক্ষেত্রে শেয়ার তৈরির সময় আপনি পারমিশন নির্ধারণ করে দিতে পারেন কোন ইউজার বা ইউজার গ্রুপ সেই শেয়ার নিয়ে কি করতে পারবে। এখন নেটওয়ার্ক থেকে কোনো ইউজার সেই শেয়ারে অ্যাক্সেস করতে চাইলে সার্ভার কোনো পাসওয়ার্ড না চেয়ে দেখবে সেই ইউজারের নাম অ্যাক্সেস কন্ট্রোল লিস্ট (ACL) এ আছে কি না। যদি থাকে তাহলে সেই শেয়ারে ওই ইউজারের কি পারমিশন আছে তা চেক করে দেখবে সার্ভার। ইউজার সেসব পারমিশন অটোমেটিক পেয়ে যাচ্ছে কোনো প্রকার পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়াই। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো সেই ইউজারকে অবশ্যই নেটওয়ার্কে লগড-ইন থাকতে হবে।
ইউজার লেভেল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করা হলে ইউজারকে কেবল নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস করার জন্য ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে। একবার নেটওয়ার্কে লগ-ইন করতে পারলে সে অতিরিক্ত কোনো পাসওয়ার্ড টাইপ করা ছাড়াই অন্যান্য রিসোর্সে প্রবেশ করতে পারবে। এটিই নেটওয়ার্ক জগতে সিঙ্গল লগ-অন সাপোর্ট বলে পরিচিত। সিঙ্গল লগ-অন নেটওয়ার্কের নিরাপত্তাকে জোরদার করে। কারণ দেখা গেছে ইউজারকে যখন একাধিক ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হয় তখন সে সহজে মনে রাখা যায় এমন পাসওয়ার্ডই বেছে নেয় এবং সেসব পাসওয়ার্ডকে হাতের কাছে কোথাও লিখে রাখে। এসব অভ্যাস নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।
কোন ধরনের নেটওয়ার্ক আপনার উপযোগী হবে তা নির্ধারণের পর কাজ হবে সেই নেটওয়ার্ককে বাস্তবায়ন করা। ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের উপযোগীতা সহজে অনুভূত হলেও এটি বাস্তবায়ন করা কিন্তু খুব সহজ নয়। এটির জন্য বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। কোন ধরনের সার্ভার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে আপনার সংস্থার আকার, প্রয়োজন এবং বাজেটের উপর।
সার্ভার-বেজড নেটওয়ার্ক নিম্নোক্ত নিয়ামকের উপর নির্ভর করে –
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের আকার অনুসারে একে তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে -
এটি প্রাথমিক স্তরের নেটওয়ার্ক। প্রথমদিকে ছোটখাটো কোম্পানি সাধারণত পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। তারপর এর একটু স্ফীতি ঘটলে যোগ করে একটি সার্ভার। তখনই এক মডেল থেকে আরেক মডেলের পদার্পণ ঘটে। একটিমাত্র সার্ভার থাকায় সেই সার্ভার একইসাথে একাধিক ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি একইসাথে ফাইল সার্ভার, প্রিন্ট সার্ভার, অ্যাপলিকেশন সার্ভার এমনকি মেসেজিং সার্ভার কিংবা ডাটাবেজ সার্ভার হিসেবেও কাজ করে।
এক সার্ভারবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক খুব সহজেই ম্যানেজ করা যায়, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে কেবল একটি সার্ভার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, কোন সার্ভারে কি কাজ হবে সে নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। কিন্তু এটি আসলে খুবই বিপদজনক। সব ডিম একই ঝুড়িতে রাখলে যেমন বিপদ ঘটতে পারে, তেমনি একটিমাত্র সার্ভারে পুরো নেটওয়ার্কের রিসোর্স রাখলে বিপদ দেখা দিতে পারে। সেই সার্ভার কোন কারণে বিকল হয়ে গেলে নেটওয়ার্ক ইউজাররা পুরোপুরি রিসোর্স থেকে বঞ্চিত হবে, এমনকি নেটওয়ার্কে লগ-ইন পর্যন্ত করতে পারবে না। ছোটখাটো অফিসে, যেখানে বিজনেস কিংবা মিশন ক্রিটিক্যাল কোনো কাজ হয় না কেবল সেখানেই এক সার্ভারবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। এক সার্ভারবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক হতে পারে চিত্র ১.১১ - এর মতো।
চিত্র ১.১১ - এক সার্ভারবিশিষ্ট ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক।
নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারী এবং ব্যবহার বাড়ার সাথে নেটওয়ার্কে সার্ভারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেসময় বিভিন্ন সার্ভারকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের জন্য কনফিগার করা হয়। কোনোটিকে বানানো হয় ফাইল সার্ভার, কোনোটিকে অ্যাপলিকেশন সার্ভার আবার কোনোটিকে প্রিন্ট সার্ভার। এধরনের নেটওয়ার্ককে বলা হয় মাল্টিসার্ভার নেটওয়ার্ক। সাধারণত ৫০ থেকে ৫০০ ইউজারের জন্য মাল্টিসার্ভার নেটওয়ার্ক দরকার হয়।
মাল্টিসার্ভার নেটওয়ার্কের বড় সুবিধা হলো একটিমাত্র সার্ভারের উপর পুরো নেটওয়ার্ক নির্ভরশীল নয়। কোনো একটি সার্ভার নষ্ট হয়ে গেলে কেবল সেই সার্ভারের সার্ভিস পাওয়া যাবে না, কিন্তু পুরো নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে পড়বে না। আবার একটি সার্ভারের দায়িত্ব অন্য সার্ভারকেও দেয়া যেতে পারে। যেমন লগ-অন সার্ভারের বিকল্প লগ-অন সার্ভার রাখা হয় যাতে প্রথম লগ-অন সার্ভার কোনো কারণে অকেজো হয়ে গেলে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড যাচাইয়ের কাজটি দ্বিতীয় লগ-অন সার্ভার সারতে পারে। এতে নেটওয়ার্কে ইউজার লগ-অন অব্যাহত থাকবে। আবার বিভিন্ন সার্ভার কেবল একটি বা দুটি কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে তাদের পারফরম্যান্সও ভালো হয়ে থাকে। চিত্র ১.১২ - এ একটি মাল্টিসার্ভার নেটওয়ার্ক দেখানো হলো।
চিত্র ১.১২ - মাল্টিসার্ভার নেটওয়ার্ক।
এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক তৈরি হয় খুবই বড় কোম্পানির জন্য যাদের কর্মক্ষেত্র শহর থেকে শহরে, দেশ থেকে দেশান্তরে বিস্তৃত। এধরনের নেটওয়ার্ক ডিজাইন, বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করা সত্যিই বেশ কঠিন। যেমন ধরা যাক মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের কথা। বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফটের আছে বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিস। এসব অফিসের ইউজাররা যদি কেন্দ্রীয়ভাবে কোম্পানির তথ্য ব্যবহার করতে চায় তাহলে এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
হাজার হাজার ইউজার ও শত শত সার্ভারের সমন্বয়ে এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক সত্যিই বেশ বিশাল আকার ধারণ করতে পারে। এধরনের নেটওয়ার্কে প্রতিটি অফিসকে মনে হয় একেকটি সিঙ্গল অথবা মাল্টিসার্ভার নেটওয়ার্ক। এসব নেটওয়ার্ক আবার পরস্পরযুক্ত হয় গড়ে তোলে এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক। একটি নেটওয়ার্ক যখন আরেকটি নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করে তখন তাকে বলা হয় ইন্টারনেটওয়ার্ক। এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক হলো এধরনের ইন্টারনেটওয়ার্ক।
এতক্ষণ আমরা পিয়ার-টু-পিয়ার ও ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনেছি। এই দুই ধরনের নেটওয়ার্কের সুবিধাই যাতে পাওয়া যেতে পারে সেজন্য উভয় নেটওয়ার্কের ভালো ফিচারগুলো নিয়ে গড়ে ওঠে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক। এটি একইসাথে পিয়ার-টু-পিয়ার এবং ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক। হাইব্রিড নেটওয়ার্কে রিসোর্স ও ইউজার ম্যানেজমেন্ট কেন্দ্রীয়ভাবে সার্ভার-বেজড রাখা হয়, একইসাথে ইউজাররা নিজ নিজ কম্পিউটারের রিসোর্স শেয়ার ও ম্যানেজ করতে পারে। এখানে ওয়ার্কগ্রুপের ইউজাররা সার্ভারের রিসোর্সে অ্যাক্সেস করতে চাইলেই কেবল সেই সার্ভার বা ডোমেইনে লগ-অন করার দরকার পড়ে। কিন্তু ওয়ার্কগ্রুপের রিসোর্সে প্রবেশ করতে চাইলে সার্ভারে লগ-অন না করেই সেই ওয়ার্কস্টেশনে লগ-অন করলেই চলে।
চিত্র ১.১৩ - হাইব্রিড নেটওয়ার্কে সার্ভারও থাকতে পারে, আবার অন্য ক্লায়েন্টরা পিয়ার হিসেবেও কাজ করতে পারে।
হাইব্রিড নেটওয়ার্কের সুবিধাগুলো হলো -
হাইব্রিড নেটওয়ার্কের অসুবিধা হলো -
এখানে আমরা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার সম্পর্কে জানলাম। এর মধ্যে আছে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক এবং হাইব্রিড নেটওয়ার্ক। প্রতিটি নেটওয়ার্কেরই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে। আপনার সংস্থার প্রয়োজন অনুসারে এবং এসব সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন নেটওয়ার্ক মডেল আপনি বেছে নেবেন।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে ইউজাররা নিজ নিজ রিসোর্স শেয়ার ও ম্যানেজ করতে পারে। এখানে প্রত্যেকেই নিজ নিজ ওয়ার্কস্টেশন ম্যানেজ করে এবং নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলে কেউ থাকে না। এর সুবিধা হলো সার্ভার হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম লাগে না। তবে এটি কেবল ১০ বা তার কমসংখ্যক ইউজারের জন্যই উপযোগী। শেয়ার-লেভেল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করায় এতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেই।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কে রিসোর্স সংরক্ষণ করা হয় সার্ভারে, ইউজাররা রিসোর্স শেয়ার বা ম্যানেজ করতে পারে না। কোনো রিসোর্স শেয়ার, ম্যানেজ এবং পুরো নেটওয়ার্ককে পরিচালনার জন্য ডেডিকেটেড নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দরকার পড়ে। সার্ভার হিসেবে উন্নতমানের হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়। এটি অনেক বেশি ইউজার সাপোর্ট করে। ইউজার-লেভেল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করে বলে এতে নিরাপত্তা অনেক শক্তিশালী।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কে একাধিক সার্ভার থাকতে পারে এবং একেকটি সার্ভারের একেকরকম ভূমিকা থাকতে পারে, যেমন - ফাইল সার্ভার, অ্যাপলিকেশন সার্ভার, প্রিন্ট সার্ভার, মেসেজিং সার্ভার, ডাটাবেজ সার্ভার, ইত্যাদি। আবার ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের আকার অনুসারে একে তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে - এক সার্ভারবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক, একাধিক সার্ভারবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক, এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক। এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক আসলে একাধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয় যাকে বলা হয় ইন্টারনেটওয়ার্ক।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক ও ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক। এতে রিসোর্সকে সার্ভারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং ইউজাররা ওয়ার্কগ্রুপে নিজ নিজ ওয়ার্কস্টেশনের রিসোর্স শেয়ার ও ম্যানেজ করতে পারে। এতে পিয়ার-টু-পিয়ার এবং ক্লায়েন্ট-সার্ভার উভয় ধরনের নেটওয়ার্কের সুবিধা-অসুবিধা বিদ্যমান।
আজকে এখানেই শেষ করছি। কোন প্রকার ভুল ত্রুটি ধরা পড়লে বা মনে হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই অবশ্যই টিউমেন্টে আমাকে জানাবেন প্লিজ। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সংশোধন করতে। আগামী পর্বে ইনশা-আল্লাহ্ আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
[ বিঃদ্রঃ ] আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে যে, আমার এই লিখাগুলো/টিউনগুলো কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও (নিজের বা অন্যের ব্লগ/ওয়েবসাইট/ফোরাম) নিজের নামে চালিয়ে দেবেন না প্লিজ। যে একবার লিখে সেই বুঝে লিখার মর্ম আসলে কি এবং সেই জানে যে লিখতে আর একটা টিউন পুরোপুরি বানাতে কি পরিমাণ কষ্ট হয়। তারা কখনও কপি পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেয় না যারা একবার একটা সম্পূর্ণ টিউন তৈরি করে। কোনো লিখা/টিউন কপি পেস্ট করে লেখকের নাম বা আসল সোর্স উল্লেখ না করে নিজের নামে চালিয়ে দিলে মূল লেখকের পুরো লিখাটাই ব্যর্থ হয় এবং সে পরবর্তীতে লিখার মন মানসিকতা হারিয়ে ফেলে। তাই আমরা প্লেজারিজম থেকে সবসময় বিরত থাকার চেষ্টা করবো এবং মূল লেখককে সবসময় ম্যানশন করার চেষ্টা করবো যাতে সে বেশী বেশী অনুপ্রেরণা পায়। আপনারা লিখাগুলো শুধুমাত্র নিজেদের সংগ্রহে রাখতে পারেন কিন্তু কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও চালিয়ে দিতে পারেন না। এই লিখাগুলো একান্তই আমার লিখা তাই আমার অনুমতি ছাড়া টেকটিউনস এ লিখা আমার এ টিউনগুলো অন্য কোথাও কপি পেস্ট করে হুবহু দিয়ে দিবেন না প্লিজ। আর যদি একান্তই দিতে চান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমার নাম এবং টেকটিউনস এর সোর্স বা টেকটিউনসে পূর্বে প্রকাশিত উল্লেখ করে দিয়ে দিবেন প্লিজ।
আমি মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 145 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Studying B. Sc in Computer Science and Engineering at Daffodil International University. I Want to Buildup My Career as an Expert and Professional Network Engineer. Please Everyone Pray for Me. Thanks.
অনেক ধন্যবাদ , অনেক সুন্দর করে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য । অনেক বড় একটি টিউন লিখেছেন , কিন্তু মনে হল খুব ছোটোই হয়েছে , বলা যায় পড়তে পড়তেই শেষ হয়ে গেল । পরবর্তী টিউনের অপেক্ষায় রইলাম ।