এক্সপার্ট নেটওয়ার্কিং – বিগিনার টু প্রফেশনাল [ পর্ব – ০২ ] – নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ?

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

 

সবাইকে সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গত পর্বে বলেছিলাম আজকের পর্ব থেকে ইনশা-আল্লাহ্‌ আমরা নেটওয়ার্কিং শুরু করবো। অবশেষে শুরু করতে পারলাম আর এজন্য মহান আল্লাহ্‌ তা'য়ালাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি এগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

আজকের পর্বে আমরা নেটওয়ার্কিং এর বেসিক কিছু ইনফরমেশন ও তার সাথে নেটওয়ার্ক তৈরির এবং ইন্টারনেটের ইতিহাস জানব। এর মধ্যে থাকবে -

  • নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ?
  • নেটওয়ার্কিং এর মূল ধারণা
  • নেটওয়ার্কের উৎপত্তি
  • ইন্টারনেটের উৎপত্তি

 

নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ?

 

দৈনন্দিন জীবনে আমরা নেটওয়ার্ক কথাটি শুনে থাকি। নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি সিস্টেম যেখানে সবাই মিলে তথ্য শেয়ার করা যায় বা একসাথে কাজ করা যায়। একটি কম্পিউটার যখন এক বা একাধিক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে তখন বলা হয় সেই কম্পিউটারটি নেটওয়ার্কের অংশ। নেটওয়ার্ক করার জন্য ন্যূনতম দুটি কম্পিউটার দরকার পড়বে। এসব কম্পিউটার পরস্পর তথ্য আদান প্রদানের জন্য বিশেষভাবে বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত হয়। এছাড়া এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে কীভাবে যোগাযোগ গড়বে, কী হবে তাদের ভাষা, ইত্যাদি নিয়মকানুন আগেই নির্দিষ্ট করা থাকে।

 

চিত্র ১.১ - খুবই সাধারণ একটি নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার, সার্ভার এবং প্রিন্টার কে একটি হাব অথবা সুইচ দিয়ে সংযোগ করে একটি ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

 

নেটওয়ার্কিং এর মূল ধারণা

 

আমাদের দৈনন্দিন কাজসমূহকে সহজ করার জন্যই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। দুটি কম্পিউটারকে যখন নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হয় তখন আমরা যে প্রধান সুবিধা পাই তা হলো দুটি কম্পিউটার পরস্পরের রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। রিসোর্স বলতে এখানে তথ্য এবং হার্ডওয়্যার দুটোই বোঝায়। এক কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটা বা তথ্য অন্য কম্পিউটার থেকে দেখা যেতে পারে যদি সেই তথ্য শেয়ার করা থাকে এবং উপযুক্ত পারমিশন দেয়া হয়। তেমনি এক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হার্ডওয়্যার ডিভাইস, যেমন - প্রিন্টার, সিডিরম ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক স্পেস ইত্যাদি অন্য কম্পিউটারের সাথে শেয়ার করা যেতে পারে। তার মানে আপনার নেটওয়ার্কে একটি প্রিন্টার থাকলে নেটওয়ার্কের সব মেশিন সেটি ব্যবহার করতে পারবে। নেটওয়ার্কিং এর প্রধান সুবিধা এটি এবং এর জন্যই আমরা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করি। কেবল হার্ডডিস্ক কিংবা ডিভাইস শেয়ার করা নয়, মূল গুরুত্ব দেয়া হয় তথ্য শেয়ারিঙের উপর।

নেটওয়ার্ক ব্যবহারের আগে এক কম্পিউটারের সাথে আরেক কম্পিউটারের তথ্য বিনিময়ের তেমন সুবিধা ছিল না। যেমন ধরা যাক, আপনি একটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি করলেন কোনো একটি কম্পিউটারে যার সাথে প্রিন্টার সংযুক্ত নেই। এখন সেই ডকুমেন্টকে প্রিন্ট দিতে চাইলে এমন কম্পিউটারে যেতে হবে যেখানে প্রিন্টার যুক্ত আছে। সেই ফাইলটি ওই প্রিন্টার যুক্ত মেশিনে নেয়ার জন্য সাধারণত পেনড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয় (অনেক আগে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো)। প্রথম কম্পিউটার থেকে সেই ফাইলটি পেনড্রাইভ এর মাধ্যমে দ্বিতীয় কম্পিউটারে নিতে হবে এবং সেখান থেকে প্রিন্ট দিতে হবে। এরকম সবাই যদি প্রিন্ট দিতে চায় তাহলে তা খুবই অসুবিধাজনক পরিস্থিতির দিকে মোড় নেবে। এভাবে প্রিন্টার যুক্ত নেই এমন কম্পিউটার থেকে ফাইল নিয়ে প্রিন্টার যুক্ত কম্পিউটারে যাওয়াকে ব্যঙ্গ করে বলা হয় স্নিকারনেট (sneakernet)। এই স্নিকারনেট অসুবিধা থেকে বাঁচার জন্য অনেক সময় প্রত্যেক কম্পিউটারের সাথে ভিন্নভাবে ডিভাইস দেয়া হতো যা ছিল অত্যন্ত ব্যায়বহুল।

 

চিত্র  ১.২ - বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার এখানে যুক্ত আছে। সার্ভারের সাথে যুক্ত প্রিন্টার এবং ইন্টারনেট কানেকশন অন্যরাও ব্যবহার করতে পারবে।

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ধরে নেয়া হয় অবশ্যই এক পক্ষ হবে প্রেরক আর অন্য পক্ষ গ্রাহক। প্রেরক বা উৎস কম্পিউটার হলো সেই কম্পিউটার যে অন্য কোনো কম্পিউটারের নিকট তথ্য পাঠাতে চায়। আর যেই কম্পিউটারের নিকট তথ্য পাঠানো হবে সেটি হলো গ্রাহক বা গন্তব্য। নেটওয়ার্কে কেবল কম্পিউটারই যে একটি আরেকটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে তা নয়। অন্য ডিভাইস যেমন - নেটওয়ার্ক প্রিন্টার, একটি আরেকটির সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। নেটওয়ার্কের মাঝে কোনো কম্পিউটার, প্রিন্টার কিংবা অন্য যে কোনো ডিভাইস যা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তাকে বলা হয় নোড (node) বা ডিভাইস (device)।

কোনো নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইস একটি আরেকটির নিকট তথ্য পাঠাতে চাইলে অবশ্যই একটি মাধ্যম দরকার পড়বে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিভাইসসমূহকে যুক্ত করার জন্য ক্যাবল (cable) বা তার ব্যবহার করা হয়। একটি লম্বা ক্যাবলের সাথে বিভিন্ন ডিভাইস সিরিয়্যালি যুক্ত থাকতে পারে, অথবা সকল ডিভাইস থেকে একটি করে ক্যাবল নিয়ে কোন সেন্ট্রাল লোকেশনে যুক্ত করা যেতে পারে। এসব ক্যাবল সাধারণত কপার বা তামার হয়ে থাকে। এগুলি ফোন লাইনের ক্যাবলের মতোই তবে বেশ উঁচুমানের। তামার তার ছাড়াও অন্য ধরনের মাধ্যমও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাঁচ ও প্লাস্টিক হতে তৈরি ক্যাবল। এসব ক্যাবল ছাড়াও বর্তমানে বাতাসকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ডিভাইসসমূহকে যুক্ত করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এটি করা হচ্ছে রেডিও কিংবা মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে।

যখন একাধিক নেটওয়ার্ক একটি আরেকটির সাথে সংযোগ গড়তে পারে, এবং সংযোগ গড়ে তখন তাকে বলা হয় ইন্টারনেটওয়ার্ক (internetwork)। বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো নেটওয়ার্ককে অন্য নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করার পদ্ধতিই হলো ইন্টারনেটওয়ার্কিং (internetworking)। যদি দুটি ডিভাইস ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করে তাহলেও ইন্টারনেটওয়ার্কিং ডিভাইস ব্যবহার করে সে ডিভাইস দুটির মাঝে সংযোগ গড়া সম্ভব।

 

নেটওয়ার্কের উৎপত্তি

 

নেটওয়ার্কিং জগতে প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সত্যিই দুরূহ হয়ে পড়ে। তবে এসব পরিবর্তন সম্পর্কে প্রতিটি নেটওয়ার্ক পেশাজীবির সজাগ থাকা দরকার।

প্রথম দিকের নেটওয়ার্ক ছিল মেইনফ্রেম ভিত্তিক। কম্পিউটিঙের প্রথম দিকে মেইনফ্রেম কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকত বিভিন্ন টার্মিনাল। এই মেইনফ্রেমের সাথে যুক্ত হওয়ার লাইন অনেক সময় বেশ দীর্ঘ হতো, অনেক দূর থেকে সেসব মেইনফ্রেমে যুক্ত হওয়া যেত। দুটি নেটওয়ার্ক থেকে আজকের এই আধুনিক নেটওয়ার্কের জন্ম। প্রথমদিকের একটি নেটওয়ার্ক হলো সেমি অটোমেটিক গ্রাউন্ড এনভায়রনমেন্ট (SAGE) যা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় বিভিন্ন রাডার স্টেশনের সরকারি কম্পিউটারসমূহকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি করা হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। এরপর ১৯৬০ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা আইবিএম মেইনফ্রেম কম্পিউটারে কম্প্যাটিবল টাইম-শেয়ারিং সিস্টেম (CTSS) পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন। এই টাইম শেয়ারিং পদ্ধতির ফলে একই মেইনফ্রেম কম্পিউটারে একাধিক ব্যবহারকারী একাধিক কাজ একই সময়ে করতে সক্ষম হলো। এরপর এর সাথে যুক্ত হলো মডেম যাতে ব্যবহারকারীরা ডায়াল করে এতে যুক্ত হতে পারে।

 

 

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথম ডায়াল-আপ সার্ভিস ব্যবহার করা হয়েছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের নেটওয়ার্কে ১৯৬৪ সালে। আইবিএম এর রিজার্ভেশন সিস্টেম ৬৫ টি শহরের ২০০০ কম্পিউটারকে যুক্ত করেছিল কেবল দুটি আইবিএম মেইনফ্রেম ও টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে। এখানে প্রতিটি শহরের টার্মিনালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা রিজার্ভেশন সম্পর্কিত অনুসন্ধান চালাতে পারত। বিভিন্ন কোয়েরি প্রসেস করা হতো কেন্দ্রের মেইনফ্রেম কম্পিউটারে। যেকোনো ফ্লাইট সম্পর্কিত তথ্য তিন সেকেন্ডের মধ্যে পাওয়া যেত এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।

ষাট ও সত্বর দশকের নেটওয়ার্কসমূহ মেইনফ্রেম ভিত্তিক হওয়ায় এতে সকল প্রসেসিং চলত মেইনফ্রেমে। এর সাথে বিভিন্ন স্থান থেকে টার্মিনাল যোগ করা হতো। এরপর এলো ইথারনেট। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র রবার্ট মেটাকাফ তার পিএইচডি থিসিসের মধ্যে প্রথম ইথারনেটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। তারপর গড়ে ওঠে পরীক্ষামূলক ইথারনেট নেটওয়ার্ক (ALOHANet)। আজকের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক হলো এই ইথারনেট (Ethernet)।

 

ইন্টারনেটের উৎপত্তি

 

সব ইউনিভার্সিটি ও প্রাইভেট কোম্পানিগুলো যখন মেইনফ্রেমের মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার চেষ্টায় রত সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ায় মনোনিবেশ করে। ষাটের দশকের প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (ARPA) নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় যার উদ্দেশ্য ছিল এমন এক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যাতে যুদ্ধের সময়ও এক সামরিক ঘাঁটি থেকে আরেক সামরিক ঘাঁটির সাথে যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে। এই নেটওয়ার্ককে বলা হয় আরপানেট। বছর দশেকের মধ্যে এটি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করে ফেলে এবং ১৯৭১ সালের মধ্যে এর ২৩ টি নোড প্রতিষ্ঠিত হয়। এসময় এ নেটওয়ার্কের প্রধান ব্যবহার ছিল ইলেকট্রোনিক মেইল আদান-প্রদান।

 

 

আশির দশকে আরপানেট বৃদ্ধি পেতে থাকল এবং ১৯৮৯ সালে এসে এটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো ইন্টারনেট, আর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জন্য রইল ডারপানেট (ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি)। ইন্টারনেটের জন্ম এই আরপানেট থেকেই।

 

worldwide-networking

 

ইন্টারনেট আমাদেরকে দেখিয়েছে কীভাবে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ককে যুক্ত করা যায় এবং গোটাবিশ্বকে একই নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। ইন্টারনেট কেবল একটি নেটওয়ার্ক নয়। এটি হলো নেটওয়ার্কসমূহের নেটওয়ার্ক। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক হলো এই ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের ব্যাপক বিস্তৃতিতে এটি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে প্রতিটি ডিভাইসই এ নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। বাড়বে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটওয়ার্কের ব্যবহার।

 

সারকথা

 

এক কম্পিউটারকে আরেক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে তথ্য ও ডিভাইস শেয়ার করার পদ্ধতিই হলো নেটওয়ার্কিং। নেটওয়ার্ক তৈরির মূল উদ্দেশ্য হলো রিসোর্স শেয়ার করা। বিভিন্ন রিসোর্স শেয়ার সুবিধার ফলে অফিস আদালতে এটি বেশ কাজে লাগে। একই ডিভাইস অনেকে ব্যবহার করতে পারে এবং খুবই কম সময়ে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

প্রথমদিকের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে মেইনফ্রেমকে ভিত্তি করে। এরপর রবার্ট মেটাকাফ ইথারনেট উদ্ভাবন করেন এবং গড়ে ওঠে অ্যালোহানেট। এর অনেক পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে জন্ম নেয় আরপানেট, যা আজকের ইন্টারনেটের জন্ম দিয়েছে।

ইন্টারনেট বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় এক নেটওয়ার্ক। প্রতিটি ডিভাইসকে এই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে এবং অচিরেই সেটি বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তখন কোনো ডিভাইসই নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবে না।

 

 

আজকে এখানেই শেষ করছি। কোন প্রকার ভুল ত্রুটি ধরা পড়লে বা মনে হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই অবশ্যই টিউমেন্টে আমাকে জানাবেন প্লিজ। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সংশোধন করতে। আগামী পর্বে ইনশা-আল্লাহ্‌ আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

 

পরবর্তী টিউনটি হবে - এক্সপার্ট নেটওয়ার্কিং - বিগিনার টু প্রফেশনাল [ পর্ব - ০৩ ] - নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ (ল্যান, ম্যান ও ওয়্যান)

 

 

নিচের এই অংশটুকু আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি শুধুমাত্র আমার জন্য

 

 

 

[ বিঃদ্রঃ ] আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে যে, আমার এই লিখাগুলো/টিউনগুলো কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও (নিজের বা অন্যের ব্লগ/ওয়েবসাইট/ফোরাম) নিজের নামে চালিয়ে দেবেন না প্লিজ। যে একবার লিখে সেই বুঝে লিখার মর্ম আসলে কি এবং সেই জানে যে লিখতে আর একটা টিউন পুরোপুরি বানাতে কি পরিমাণ কষ্ট হয়। তারা কখনও কপি পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেয় না যারা একবার একটা সম্পূর্ণ টিউন তৈরি করে। কোনো লিখা/টিউন কপি পেস্ট করে লেখকের নাম বা আসল সোর্স উল্লেখ না করে নিজের নামে চালিয়ে দিলে মূল লেখকের পুরো লিখাটাই ব্যর্থ হয় এবং সে পরবর্তীতে লিখার মন মানসিকতা হারিয়ে ফেলে। তাই আমরা প্লেজারিজম থেকে সবসময় বিরত থাকার চেষ্টা করবো এবং মূল লেখককে সবসময় ম্যানশন করার চেষ্টা করবো যাতে সে বেশী বেশী অনুপ্রেরণা পায়। আপনারা লিখাগুলো শুধুমাত্র নিজেদের সংগ্রহে রাখতে পারেন কিন্তু কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও চালিয়ে দিতে পারেন না। এই লিখাগুলো একান্তই আমার লিখা তাই আমার অনুমতি ছাড়া টেকটিউনস এ লিখা আমার এ টিউনগুলো অন্য কোথাও কপি পেস্ট করে হুবহু দিয়ে দিবেন না প্লিজ। আর যদি একান্তই দিতে চান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমার নাম এবং টেকটিউনস এর সোর্স বা টেকটিউনসে পূর্বে প্রকাশিত উল্লেখ করে দিয়ে দিবেন প্লিজ।

 

আমার অনলাইন প্রোফাইল এবং আমার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম

 

[ Facebook ID Link ] - [ https://www.facebook.com/coderkamrul ]

 

[ Skype ID ] - [ kamrul.pc ]

 

[ Yahoo Mail ] [email protected]

 

[ Google+ Profile Link ] - https://plus.google.com/104778912636289594136

 

[ LinkedIn Profile Link ] - https://bd.linkedin.com/in/coderkamrul

 

kamrul If Any Networking Problem Then Call Otherwise Don't Disturb Me Please

 

 

Level New

আমি মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 145 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Studying B. Sc in Computer Science and Engineering at Daffodil International University. I Want to Buildup My Career as an Expert and Professional Network Engineer. Please Everyone Pray for Me. Thanks.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

চমৎকার টিউন। টেক টিউন্স এ অনেক দিন বাদে ভালো একটা চেইন টিউন পেতে চলেছি আমরা… 🙂

    ধন্যবাদ ভাই । দোয়া করবেন আমার জন্য যেন আপনাদেরকে ভাল কিছু দিতে পারি

Level 0

good

চমৎকার ।আশা করছি পরের টিউন খুব তাড়াতাড়ি পাবো ।

বহুদিন বাদে এমন মজার অার ঘুম হারাম করা একটা বিষয়ের ওপর কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল…..ভার্সিটিতেই এটা নিয়ে প্রথম বিশদ অাগ্রহ জন্মেছিল- অার তার সাথে মিশৈ থাকত কল্পনার ভালোবাসা……হুম, হয়তো সে অাগ্রহের বীজ বটগাছে পরিনত হয়নি শেষমেষ কিন্তু তাতে পানি ঢেলে পরিচর্যা ঠিকই করে চলেছি…..অারকেটু অালো-বাতাসের দরকার অাছে 😀

টিউনটা ভালোই হয়েছে……পরবর্তীতেও লক্ষ্য রাখবেন বিষয়গুলোর সরলীকরনের ওপর, কারণ এই ক্ষেত্রটাত সাধারণ কিছু বিষয়ও ঠিকমতো বোঝাতে না পারলে বা বলতে না পারলে ভজঘট টাইপ মনে হয়- যেমনটা একাডেমিক সময়ে অনেকেরই লাগে…..চেষ্টা করবেন পুস্তকের বিষয়গুলোতে নিজের মতো করে গভীরে যেতে…. অার বাংলায় যদি খুব সুন্দর করে লিখতে পারেন তবে পরিচিতিমূলক সিরিজ হিসেবে এটা অস্থির একটা সংযোজন হবে টিটিতে 🙂

টিউনের জন্য ধইন্যা……চলতে থাকুক 🙂

****টাইপো: সত্বর->সত্তর/সত্তুর

    “নিওফাইট নিটোল” ভাই ধন্যবাদ এত বড় একটা কমেন্ট করার জন্য। আপনাদের এসব কমেন্ট দেখেই মনে হচ্ছে আমার লিখাগুলো সার্থক। আর ভাই চিন্তা করবেন না আমি অনেক ডিপ এ ঢুকেই টিউন করব ইনশাআল্লাহ্‌। কারণ আমি জানি এটি একটি কম্পেলেক্স জিনিষ। আমি নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেসিং ও সাবনেট বিষয়গুলো ভার্সিটিতে শিখছি একভাবে আর পরে আমি নিজস্ব পদক্ষেপে শিখছি আরেকভাবে। আমি সব জেনে শুনেই অনেক সহজভাবে এখানে তুলে ধরব। আমি যেটা ইনফরমেশন দিব সেটাই সবাই শিখবে তাই কোনো ভুল ভাল বা কপি পেস্ট পোস্ট আমি চালাই না। যেটা আমি বুঝব সেটাই আমার ভাইদের দিব আর যেটা বুঝব না সেটা নিয়ে নাক গলাতেও যাব না। ভাল থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপানকে।