আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে ডিভাইসের রেডিয়েশন মানব শরীরে কীভাবে এবং কতটা ক্ষতি করে নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। আজকে আমি আপনাদেরকে অত্যন্ত তথ্যবহুল একটি টিউন উপহার দিব। আশাকরি এ থেকে আপনাদের জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। একটা কথা না বললেই নয়, আপনারা চেষ্টা করবেন ছোট ছোট কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার, যার ফলে এসব ছোট ছোট বিষয় থেকে আপনারা অনেক বড় বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। এসব ক্ষতিকর দিক এবং এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদেরকে সবাই বলে, কিন্তু বিস্তারিত কেউই বলে না এবং এসব ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায় কেউ বলে দেয় না।
তাই অনেক সময় আমরা এসব ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে অনেক বড় বড় বিপদে পড়ে যাই। তাই সব কাজ থেকে আমাদের চেষ্টা করতে হবে সবসময় এসব কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার। এসব কাছ থেকে নিজের থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে আমরা অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবো। আজকের টিউনে আমরা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা বিকিরণ সম্পর্কে জানব। আরো জানবো যে এটি আমাদের শরীরে কীভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং এসব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কীভাবে আমরা আমাদের নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো। আমরা সকলেই জানি, রেডিয়েশন বা ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বিকিরণ আমাদের দেহের এবং মস্তিষ্কের জন্য কতটা ক্ষতিকর।
কিন্তু যে-সব ডিভাইস থেকে রেডিয়েশন বের হয় এবং আমাদের ক্ষতি করে সেসব ডিভাইস আমরা কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দের সাথে ব্যবহার করে থাকি। আমরা যদি এই ডিভাইসগুলোর ক্ষতিকর রেডিয়েশন এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা এসব ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে দিব, অবশ্যই এসব ডিভাইসের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনেক, তবে এসবের ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে এগুলোর ব্যবহার কমাতে হবে। এজন্য আমাদেরকে আরো ভালোভাবে জানতে হবে যে কোন কোন ডিভাইস থেকে এই ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বিকিরণ বা রেডিয়েশন বের হয় এবং আমাদের দেহের ক্ষতি করে থাকে। এবং আরো জানতে হবে এই ক্ষতির মাত্রা কতটা হতে পারে এবং কীভাবে এই ক্ষতি থেকে আমরা বাঁচতে পারব।
এই টিউনে ধাপে ধাপে আমরা এসব কিছু জেনে নিব। সবকিছু জানার পূর্বে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে বিকিরণ কি?
পদার্থবিদ্যায়, বিকিরণ হল এক প্রকার শক্তি স্থানান্তর বা নির্গমন প্রক্রিয়া যা তরঙ্গ বা কণা আকারে শূন্য স্থান বা মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের বিকিরণ দেখা যায়, যেমন: ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ, তাপ, রেডিও তরঙ্গ, দৃশ্যমান আলো, এক্সরে, গামা বিকিরণ, কণা বিকিরণ, আলফা বিকিরণ, ভিটা বিকিরণ, নিউট্রন বিকিরণ, শব্দ বিকিরণ, মহাকর্ষীয় বিকিরণ ইত্যাদি। ডিভাইস থেকে বিকিরণের ধরন:
এক্সরে এবং গামা রশ্মি হল আয়নাইজিং বিকিরণের উদাহরণ। এগুলি DNA ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে ক্যান্সার হতে পারে।
রেডিও তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ এবং দৃশ্যমান আলো অ-আয়নাইজিং বিকিরণের উদাহরণ। এগুলি DNA ক্ষতি করে না, তবে ত্বকের জ্বালা, চোখের ক্ষতি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
বর্তমানে আধুনিক সময় কিছু রোগ অত্যন্ত বেশি পরিমাণে মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। যেমন: মাথাব্যথা, অনিদ্রা, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, শুক্রাণু মান ও সংখ্যা হ্রাস, বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভপাত, ব্রেন টিউমার এমনকি ক্যান্সারও। যেকোনো ধরনের ডিভাইস অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এ ধরনের রোগ আপনার মধ্যেও দেখা দিতে পারে। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এখানে ডিভাইস বলতে কী বোঝানো হচ্ছে। সকল ডিভাইসের তো আর রেডিয়েশন থাকে না। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিশেষ ক্ষেত্রে যে-সব ডিভাইসগুলোতে থেকে সবচেয়ে বেশি রেডিয়েশন নিয়ে কথা হয় সেসব এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
এই ডিভাইস গুলো রেডিয়েশন আমাদের মানবদেহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে এবং এই ডিভাইসগুলো আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। এরপর আমাদেরকে জানতে হবে কোন ডিভাইস এর রেডিয়েশন আমাদের শরীরে কি ধরনের ক্ষতি করে:
দীর্ঘ সময় ধরে এটি ব্যবহারের ফলে আমাদের দেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। মূলত এটি থেকে যে রেডিও তরঙ্গ বের হয় সেটি আমাদের দেহের ক্ষতি করে থাকে। এর ফলে মাথা ব্যথা, ঘুমের ঘাটতি, ক্লান্তি এবং মস্তিষ্কে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
মোবাইলের মতোই এটিও অনেকটা একই ভাবে রেডিয়েশন এর মাধ্যমে আমাদের দেহের ক্ষতি করে। সাধারণত এটি রেডিও তরঙ্গ এবং তাপের মাধ্যমে আমাদের দেহের ক্ষতি সাধন করে। তাই মোবাইলের মত এটি আমাদের দীর্ঘ সময়ের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে অল্প সময় ধরে যেকোনো ডিভাইস ই ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ডিভাইসের রেডিয়েশনের ফলে ত্বকের জালা, চোখের ক্ষতি, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
ধরন, কোন একটি ওয়াইফাই রাউটারের সাথে আপনি আপনার ডিভাইসকে কানেক্ট করার জন্য আপনার ডিভাইসের ওয়াইফাই অপশনটি চালু করলেন। এ সময়, ওয়াইফাই তার আশেপাশে একটি রেডিও তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয়। আপনার ডিভাইস এই রেডিও তরঙ্গর সাথে কানেক্ট হয়ে আপনার ফোনকে ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্ট করে। এভাবে ওয়াইফাই ও আমাদের রেডিয়েশন এর মাধ্যমে ক্ষতি করতে পারে। বেশি সময় ধরে এই ধরনের রেডিও তরঙ্গের সংস্পর্শে থাকলে মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
আগে আমরা রেডিয়েশন এর ধরন এর মধ্যে জেনেছি মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন এর কথা। মূলত মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে এই ধরনের রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ধরনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন বিকিরণ ত্বকের জ্বালা এবং চোখের ক্ষতি করতে পারে
এরপর জানতে হবে যে আমাদের শরীরের কোন কোন অংশে রেডিয়েশনের মাত্রা কাজ করে বেশি ক্ষতি সাধন করে। বিষয়টি আমরা খুব ভালো করে জানতে পারলেন আমরা সহজে বুঝতে পারব এ সকল জিনিস আমাদের শরীরের জন্য কতটা ভয়াবহ ক্ষতিকর। সেই সাথে আরো জানতে পারবো যে, এগুলো আমাদের শরীরের কোন কোন অঙ্গগুলোতে অনেক বেশি ক্ষতি সাধন করে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক
একবার ভেবে দেখুন এটি কতটা মারাত্মক হলে ডিএনএ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। এটি সরাসরি ডি এন এ এর ক্ষতি করে। এ ধরনের ক্ষতির ফলে ক্যান্সার, স্বাস্থ্য ত্রুটি এবং অন্যান্য ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
রেডিয়েশনের মাত্রা যদি অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তাহলে এটি আপনার দেহের যে স্থানে বেশি ক্ষতির প্রভাব ফেলে সেই স্থানের কোষ ও মেরে ফেলতে পারে। একবার ভেবে দেখুন এটি কতটি ক্ষতিকর।
কোষ এর ক্ষতি এবং ত্বকের ক্ষতি অনেকটা একই ধরনেরই। এক্ষেত্রে কোষ মৃত্যুর ফলে ত্বক পোড়া, লালভাব এবং চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
অতিরিক্ত রেডিয়েশন এর মাত্রা পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে ফেলে। এক্ষেত্রে ডিভাইসের ব্যবহার কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।
রেডিয়েশনের তীব্র মাত্রার ফলে, মা শিশু জন্ম দিতে অনেক সমস্যায় পড়ে। যেমন: জন্মগত ত্রুটি, বিকলাঙ্গ শিশু, শিশুর বিকাশে বিলম্ব ইত্যাদি।
যে-সব ডিভাইস আমরা নিয়মিত এবং সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল বা স্মার্টফোন। এটির রেডিয়েশন বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ আমাদের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে। তাই এই ধরনের ডিভাইস গুলো থেকে এবং এগুলো রেডিয়েশন থেকে বাঁচার কিছু টিপস বা উপায় আপনাকে জানতে হবে। ঘুমানোর পূর্বে এই ধরনের ডিভাইস গুলো আপনার শরীরের আশেপাশে রাখবেন না। আরো বেশি ভালো হয়, সম্ভব হলে ঘুমানোর পূর্বে এই ডিভাইস গুলো বন্ধ করে রাখুন। আর যদি বন্ধ রাখা সম্ভব না হয় তাহলে মাথা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে ঘুমিয়ে যাবেন।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ল্যান্ডফোন চলে বৈদ্যুতিক শক্তিতে, তাই এটি ব্যবহার করলে রেডিয়েশন জনিত কোন ক্ষতি হবে না। তাই কথা বলার ক্ষেত্রে মোবাইলের পরিবর্তে ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তবে মোবাইল এর ক্ষেত্রে স্পিকার অথবা হেডফোন ব্যবহার করলে এর ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটা কমে যায়। স্মার্টফোনের বিভিন্ন অন্যতম সার্ভিস গুলো ছাড়া আমাদের স্মার্টফোন ব্যবহার একেবারেই বিরক্ত কর মনে হবে। তবে এই সার্ভিসগুলোয় মূলত আমাদের ক্ষতি করে থাকে। তাই প্রয়োজন শেষে এগুলো বন্ধ করে রাখুন। এগুলো হলো: ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি।
আপনি যখন অন্য কারো কাছে কল করছেন, তখন আপনার ডিভাইস অথবা ফোন থেকে প্রচুর পরিমাণে রেখাশন নির্গত তখন আপনার ডিভাইস অথবা ফোন থেকে প্রচুর পরিমাণে রেডিয়েশন নির্গত হয়। তাই কাউকে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করার পর ফোনটি কানে ধরুন। প্রথমত প্রচুর পরিমাণে রেডিয়েশন আপনার ক্ষতি করছে তার ওপর সাথে যদি আবার কান এবং মাথার কাছে থাকে তাহলে সেটির ক্ষতির মাত্রা আরো অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাই কাউকে ফোন করার সময় ডায়ালগাড়ি সব সময় ফোন নিজের মাথা থেকে দূরে রাখবেন। রান্না করার ক্ষেত্রে গ্যাসের চুলা আমাদের দেহের ক্ষতি করে সব থেকে কম। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের চুলা যেমন:
এগুলোর ও রেডিয়েশন আছে যা আমাদের দেহের মারাত্মক ক্ষতি করে । তাই রান্নার ক্ষেত্রে এসব থেকে বিরত থেকে সাধারণ মানের গ্যাসের চুলায় রান্না করা সব থেকে ভালো। রেডিয়েশনের ক্ষতির মাত্রা তখন আরো বেশি বেড়ে যায় যখন ডিভাইস ব্যবহারকারীর বয়স কম হয়। অর্থাৎ এসব ডিভাইসের ভ্যাটেশন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে একজন শিশুর। তাই শিশুদের থেকে জীবনেও ধরনের ডিভাইস দূরে রাখবেন। যেকোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন বা স্মার্ট ফোন দিবেন না।
যেকোনো ধরনের ডিভাইস ব্যবহারের সময় কিছুক্ষণ পরপর বিরতি দিন। এর ফলে এসব ডিভাইসের রেডিয়েশন আপনার শরীরে ক্ষতি করার সময় পাবে না। কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নেওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে আপনি এসব রেডিয়েশনের মধ্যে থাকছেন না। এর ফলে এসব রেডিয়েশন এর মাত্রা অনেকটাই কমে আসছে। আমি মনে করি এই টিপসগুলো যদি আপনারা মেনে চলেন, তাহলে আপনারা রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। এছাড়া আপনারা পূর্বে জেনেছেন যে এটি মস্তিষ্কের কতটা ক্ষতি সাধন করে। রেডিয়েশনের করা মস্তিষ্কের ক্ষতি অত্যন্ত মারাত্মক। এটি মস্তিষ্কে ক্যান্সার পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
আপনারা জানলে অবাক হবেন, রেডিয়েশন আমাদের ত্বকের ও ক্ষতি করতে পারে। রেডিয়েশনের মাধ্যমে আমাদের ত্বকের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি আর মাত্রা কোন কোন সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আপনার ত্বক বা চামড়া সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার অনুভূতি ক্ষমতা চলে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রধানত আমাদেরকে আমাদের ত্বককে সূর্যালোক থেকে দূরে থাকতে হবে। অর্থাৎ সূর্যের আলো ত্বকে বেশি সময় ধরে লাগানো যাবে না। এক্ষেত্রে আপনার যদি সব সময় সূর্যের আলোর মধ্যে কাজ করতে হয়, তাহলে আপনি একটি রুটিন তৈরি করে নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নিয়ে আসতে চালিয়ে যেতে পারেন। ফলে সূর্যালোক ঘটিত সমস্যা থেকে আপনার ক্ষতির মাত্রা কমতে পারে।
আমরা শুরু থেকে রেডিয়েশন সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। রেডিয়েশন কি, রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব, কীভাবে আমাদের দেশের ক্ষতি করে, এছাড়াও রেডিয়েশন এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমরা কীভাবে বাঁচতে পারি। এখানে রেডিয়েশন এর প্রভাব থেকে বাঁচার যে টিপসগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো মেনে চললে রেডিয়েশনের প্রভাব আপনার শরীরের আর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আপনি যদি এই টিপস গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে আজ থেকে আপনার শরীরে অনেক বড় পরিবর্তন দেখতে পারবেন। পূর্বে আপনার চোখ, ত্বক ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে যে-সব ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিত, এসব হঠাৎ করেই দেখবেন উধাও হয়ে গিয়েছে।
আশাকরি আজকের অনুচ্ছেদ থেকে আপনাদেরকে যথাযথ একটি বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান দিতে আমি সক্ষম হয়েছি। এই অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারী সম্পন্নটি পড়ে থাকলে অবশ্যই আপনি অত্যন্ত উপকৃত হবেন। সেই সাথে আশাকরি নতুন অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলেন। এছাড়াও আজকের পোস্টটি নিয়ে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা মন্তব্যটি যদি গঠনমূলক হয় তাহলে অবশ্যই আমি তা আমার টিউনে যুক্ত করে নিব।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, ডিভাইসের রেডিয়েশন মানব শরীরে কীভাবে এবং কতটা ক্ষতি করে? আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।