আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা?
অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর মধ্যে কোনটি ভাল, এটি নিয়ে আপনি বিতর্ক করতেই পারেন। কিন্তু, এটি অস্বীকার করা যাবে না যে, জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েডের একটি বড় সুবিধা রয়েছে। অ্যাপলই প্রথম কোম্পানি, যারা কিনা সর্বপ্রথম আধুনিক টাচ স্ক্রিন স্মার্টফোনের ধারণা সামনে নিয়ে এসেছিল। যদিও, বর্তমানে আইফোনের বাজার শেয়ার Android এর চাইতে অনেক কম।
২০১০ সালে অ্যান্ড্রয়েড আইওএস এর বাজারের শেয়ার ছাড়িয়ে যায় এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। আর, অ্যান্ড্রয়েড এই অবস্থানটি এখনো পর্যন্ত ধরে রেখেছে।
এখন কেউ কেউ এই দুইটি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে কোনটি ভালো, এটি নিয়ে তর্ক করতেই পারেন। কিন্তু, আমাদের বর্তমানে এটির বিষয়ে অস্বীকার করা যাবে না যে, বিশ্বব্যাপী অ্যান্ড্রয়েড এর মার্কেট শেয়ার বর্তমানে ৮০%। কিন্তু, ঠিক কোন কারণে অ্যান্ড্রয়েড আইওএস এর চেয়ে এত বড়?
আইফোন বা আইওএস ডিভাইসের চাইতে অ্যান্ড্রয়েড যেসব কারণে অনেক বেশি জনপ্রিয়, সেসব কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম ৫ টি উল্লেখযোগ্য কারণ নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় একটি কারণ হলো যে, আরো অনেক স্মার্টফোন এবং ডিভাইস মেনুফ্যাকচাররা তাদের ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে Android ব্যবহার করে। এর বিপরীতে, iOS শুধুমাত্র অ্যাপলের তৈরি আইফোন এবং আইপ্যাড এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
তাহলে, কেন এত স্মার্ট ফোন মেনুফ্যাকচার কোম্পানি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন?
২০০৭ সালে, গুগল এবং আরো কিছু মোবাইল অপারেটর, সফটওয়্যার কোম্পানি ও হার্ডওয়্যার কোম্পানি মিলে Open Handset Alliance (OHA) চালু করে, যা মূলত iPhone এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আর এই জোট টি অ্যান্ড্রয়েডকে একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল, যা মূলত ওপেন সোর্স প্রজেক্ট।
আর তখন, যখন ফোন নির্মাতারা পুরনো ফিচার ফোনের অপারেটিং সিস্টেমগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করছিল, তখন বেশিরভাগ নির্মাতারা অ্যান্ড্রয়েডে স্যুইচ করে। আর যার ফলে, সামগ্রিকভাবে অ্যান্ড্রয়েড এর বাজার শেয়ার উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও, আঞ্চলিক বিভিন্ন ব্রান্ড এবং নতুন স্টার্টআপ ম্যানুফ্যাকচারেরা ও এই অপারেটিং সিস্টেম নিজেদের ডিভাইসের জন্য গ্রহণ করতে শুরু করে। চীনা এবং ভারতীয় বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় কোম্পানিগুলো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে শুরু করে এবং যার ফলে বিশ্বকাপের শেয়ার বৃদ্ধি পেতে থাকে।
যদিও আরো কিছু মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর সাথে প্রতিযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু, অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের চাইতে Android অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে, কারণ হলো বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্রান্ডগুলো শেষ পর্যন্ত Android কে বেছে নেয় এবং শেষ পর্যন্ত তারা Android এর সাথে রয়েছে। আর যেটি, আইফোনের চেয়ে অ্যান্ড্রয়েড বেশি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে অন্যতম একটি কারণ।
আইওএস ডিভাইসের তুলনায় Android বেশি জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম আরো একটি বড় কারণ হলো, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের বৈচিত্রময় মূল্যের তালিকা। বেশিরভাগ উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ কিংবা নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে আইফোনের সবচেয়ে সস্তা ফোনটি ও বেশিরভাগ মানুষের বাজেটের বাইরে হয়ে থাকে। আর এই বাজারে, আইফোনের সর্বশেষ মডেল কিংবা মিড রেঞ্জ এর স্মার্টফোন গুলো উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারেনি।
তবে, এসব বাজারে অ্যান্ড্রয়েড এর ডিভাইস গুলোর ব্যাপক ভেরিয়েন্ট থাকার কারণে এবং সেগুলোর দামে অনেক সস্তা হওয়ার ফলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়। যদিও বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইওএস এর একটি উল্লেখযোগ্য দখল রয়েছে। কিন্তু, বাজেট সচেতন দেশের লোকদের কাছে এটি এখনো অতটা জনপ্রিয় হতে পারেনি, কারণ এসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং চাহিদা তেমন নয়।
আর এজন্যই দেখা যায় যে, ভারতে আইওএস এর মার্কেট শেয়ার ৪.০৩%, বাংলাদেশে ৪.৭৩%, চীনে ২২.৪৪% এবং নাইজেরিয়ায় দশ শতাংশের নিচে। সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ ভারত এবং চীনে রয়েছে। আর এসব দেশগুলোতে অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা iOS কে বড় অসুবিধার মধ্যে ফেলে।
অনেক স্মার্টফোন মেনুফ্যাকচারেরাই যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ফোন তৈরি করেন, তাই বাজারেও তাদের ডিভাইস গুলোর মূল্যের বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কে কার চাইতে বেশি ফিচার দিতে পারে এবং কম মূল্যে কত মডেলের ফোন নিয়ে আসতে পারে, এটি নিয়ে সবসময় প্রতিযোগিতা থেকেই যায়। আর গ্রাহকেরা ও বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্য থেকে নিজের বাজেট অনুযায়ী অনেক ধরনের ফোন বেছে নিতে পারে।
যার ফলে, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন গুলো সকল মানুষের হাতে হাতে রয়েছে। বিশেষ করে, অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে, এ ধরনের ফোন গুলোর অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।
আমরা সবাই জানি যে, অ্যাপলের ইকোসিস্টেম অনেক বেশি শক্তিশালী এবং স্মুথ। যেখানে, আইফোনের কল গুলো অ্যাপল স্মার্টওয়াচ অথবা ম্যাকবুক থেকে রিসিভ করা যায়। এছাড়াও অ্যাপেলের রয়েছে স্মুথ Synchronisation, যা ডিভাইস গুলোর মধ্যে একটি সুন্দর ইকোসিস্টেম তৈরি করে।
কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, এটি অন্যান্য ডিভাইসের সাথে অতটা Compatable নয়, যেমনটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইকোসিস্টেম অনেক বেশি বিস্তৃত রয়েছে।
এর মানে হলো, আপনার কাছে যদি একটি স্যামসাং স্মার্ট ওয়াচ, একটি গুগল হোম স্পিকার এবং সাথে যদি একটি হুয়াওয়ে স্মার্ট ফোন থাকতে পারে। এখন, এই প্রত্যেকটি আলাদা ব্র্যান্ডের ডিভাইস গুলোর সাথে এগুলো স্মুথভাবে কাজ করতে পারে। আর উপরন্ত, অ্যান্ড্রয়েডে Available থাকা সমস্ত ডিভাইসের মাঝে Data Transferring এবং Syncing ও অনেক বেশি সহজ।
আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলোর মধ্যে বৃহৎ ইকোসিস্টেম থাকার কারণে, অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে আকৃষ্ট হন। বিশেষ করে, যারা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার ডিভাইসের মধ্যে আটকে থাকতে চান না। এক্ষেত্রে যেমন, যারা আইওএস ডিভাইস ব্যবহার করেন, তারা চাইলেই সমস্ত ডিভাইসের মাঝে এরকম সুন্দর ও স্মুথ ইকোসিস্টেম পাবেন না। এখানে তাদেরকে এরকম ইকো সিস্টেম পাওয়ার জন্য অবশ্যই অন্যান্য আইওএস পণ্যগুলো কিনতে হবে, যা বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষদের জন্য কেনা সম্ভব নয়।
প্রাথমিকভাবে যখন অ্যাপল তাদের ডিভাইসের জন্য অ্যাপল সিরির মত উল্লেখযোগ্য কিছু ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার নিয়ে আসে, তখন অ্যান্ড্রয়েডে কিছু সফটওয়্যার সুবিধার অভাব ছিল। কিন্তু, বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের এই ঘাটতি ও পূরণ হয়েছে। যেখানে অ্যান্ড্রয়েড ও Google Assistant এর মত ফিচার নিয়ে এসেছে যা ভয়েস কন্ট্রোল এর মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়।
এছাড়াও পূর্বে এরকম অনেক অ্যাপ ছিল, যেগুলো শুধুমাত্র iOS ডিভাইসের জন্য Available ছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা এখন অ্যান্ড্রয়েড এর ভার্সন ও চালু করেছে। আর বর্তমানে গুগল আপনার স্মার্ট হোমকে আরো অটোমেটেড করার জন্য অত্যাধুনিক AI চালু করেছে।
তবে এর মানে এই নয় যে, অ্যান্ড্রয়েডে বিদ্যমান নিম্নমানের অ্যাপ নেই। আসলে, গুগল প্লে স্টোরে এরকম অনেক নিম্নমানের অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো iOS এর অ্যাপ স্টোরের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
যাইহোক, সামগ্রিকভাবে গুগল এবং অ্যাপ ডেভলপাররা অ্যান্ড্রয়েডের সফটওয়ারের সামগ্রিক কোয়ালিটি কে যথেষ্ট বৃদ্ধি করেছে। আর সময়ের সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড আরো বেশি পরিবর্তনশীল একটি অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। যেখানে তাদের প্রতিটি নতুন সংস্করণের সাথে অনেক ফিচার যোগ করে এবং যা অ্যান্ড্রয়েড কে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে।
একটা সময় পর্যন্ত শুধুমাত্র iPhone এর ক্ষেত্রে ভালো সফটওয়্যার এবং আকর্ষণীয় ফিচার পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে, Android এর ও অনেক ফ্লাগশিপ স্মার্ট ফোন বাজারে আনা হয়েছে, যেগুলো আইফোনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে।
আরো বেশি স্মার্ট ফোন মেনুফ্যাকচারেরা তাদের ডিভাইসের জন্য অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার অর্থ এই নয় যে, সেখানে অনেক বেশী সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং ট্যাবলেট রয়েছে। এর মানে হল যে, এখানে বেছে নেওয়ার জন্য অনেক ডিভাইস রয়েছে।
অ্যাপেলের iPhone এবং iPad মডেলের একটি সেট রয়েছে, যা প্রতি বছর একটি করে প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিবছর গড়ে দুই থেকে তিনটি নতুন iPhone এবং তিন থেকে চারটি আইপ্যাড দেখতে পারি। তার মানে হল যে, আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো বছরে একটি iPhone পছন্দ না করেন, তাহলে আপনাকে নতুন আরো একটি আইফোন পাবার জন্য পরবর্তী বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
কিন্তু, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে প্রতিটি স্মার্ট ফোন নির্মাতাদের নির্দিষ্ট কিছু ফিচারের ফোন রয়েছে এবং তারা আরো আকর্ষণীয় ফিচার আনার জন্য নতুন মডেলের ফোন প্রতিনিয়তই বাজারে আনতে থাকে। আর বিভিন্ন ফোন ব্রান্ড ও একই সময়ে বাজারে অনেক ভেরিয়েন্টের ফোন নিয়ে আসে। যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড এর একটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স রয়েছে, তাই যেকোনো স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানিরা তাদের পছন্দমত হার্ডওয়্যার ডিজাইন করে সেটির জন্য অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে কাস্টমাইজ করে থাকে।
এক্ষেত্রে যদি মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ ফোন এবং উইন্ডোজ মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার দের দিকে নজর দেওয়া হয়, তাহলে এক্ষেত্রে এই অপারেটিং সিস্টেমের কিছু Requirements ছিল, যেগুলো স্মার্টফোন নির্মাতাদের হার্ডওয়্যার তৈরি করার সময় মেনে চলতে হতো।
কিন্তু অন্যদিকে, অ্যান্ড্রয়েড হলো এমন একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা তাদের নির্দিষ্ট গ্রাহকদের জন্য উপযোগী করে হার্ডওয়্যার তৈরি করতে কোন বাধা দেয় না। এর মানে হলো, এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন নির্মাতা চাইলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটিকে কাস্টমাইজ করে যেকোনো ধরনের পণ্য তৈরি করতে পারে।
আর যে কারণে আমরা দেখতে পাই যে, একই অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের ফোন হওয়া সত্ত্বেও ব্রান্ড ভেদে ফোন গুলোর ইউজার ইন্টারফেস এবং ফিচার কম বেশি হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, সেসব স্মার্টফোন নির্মাতারা তাদের হার্ডওয়্যার অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে কাস্টমাইজ করে নতুন ফিচার যোগ করেছে।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলোর এই বৈচিত্রতার কারণে অনেক গ্রাহক তাদের নির্দিষ্ট চাহিদার ফোনটি খুঁজে নেওয়ার জন্য অ্যান্ড্রয়েড কে উপযুক্ত অপশন হিসেবে বেছে নেন। আর যে কারণে, এখনো পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড আইফোনের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
আমরা এখানে দেখছি যে, এই মুহূর্তে অ্যান্ড্রয়েড কেন আইফোনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু তবুও, এই দুইটি ডিভাইসের মধ্যে কোনটি বেশি ভালো, তা নিয়ে সবসময় বিতর্ক থেকে যাবে। তবে এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ভক্তরা, আইফোনের উচ্চ দাম এবং অ্যাপল ডিভাইস গুলোর ব্যাপক বৈচিত্রতার অভাবের কারণে এটিকে সবসময় এড়িয়ে যান। যদিও, আইফোন ব্যবহারকারী কিংবা ভক্তরা অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটি এবং সফটওয়্যার আপডেট এর বিষয় প্রশ্ন তোলেন।
তবে, আপনি অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইওএস যেটি ব্যবহার করুন না কেন, আপনার একটি ইকোসিস্টেমের লেগে থাকা অবশ্যই একটি স্মার্ট আইডিয়া। এক্ষেত্রে আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে থাকলে, অ্যান্ড্রয়েডের ইকো সিস্টেমের সাথে সম্পর্কযুক্ত ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে একটি ভালো অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
তো বন্ধুরা, অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেন আইফোনের চেয়ে এখনো পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে, আশা করছি এই বিষয়টি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)