ডেভলপার অপশনের বিস্তারিত
অ্যান্ড্রয়েডের ডেভলপার অপশন এটা নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের দ্বিধাদন্ধ কাজ করে। অনেকেই মনে করে ওয়াও এটা যেন কি শুধুমাত্র ডেভলপারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ফিচারস আছে, যেগুলো ইউজ করতে পারে তবে একটু সাবধানতা শুরুতেই বলে ডেভলপার অপশন টা কি ভাল। ডেভলপার অপশন হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েডের একটি হিডেন ফিচার। বাহিরে সেটিং যেটি মূলত শুধুমাত্র ডেভলপারদের জন্য রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে। ভিতরে এমন কিছু অপশন আছে যেগুলো এডভান্স ইউজাররা কেবলমাত্র ইউজ করে। তবে সেখানে কিছু অপশন আছে যেগুলো জেনারেল পাবলিকরা ইউজ করতে পারবে। আজকে সেগুলোই আপনাদেরকে দেখাবো।
অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে ডেভলপার অপশন ফোনে অন রাখলে কোন ক্ষতি আছে কিনা, কারন এটা কে হাইড করে রাখা হয়েছে কারনটা কি?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই তাহলে বলবো ডেভলপার অপশন এনাবল করে রাখলে আসলে সেরকম কোনো ক্ষতি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের হবে না। তবে কিছু অপশন আছে যেগুলো না জেনে নড়াচড়া করা কিংবা না জেনে যদি আপনি এনাবল রেখে দেন, তাহলে কিছু প্রবলেম হতে পারে। উদাহরন সরূপ ডেভেলপার অপশনের খুবই কম্মনলি উউজ একটা ফিচার হচ্ছে ইউএসবি ডিবাগিং।
ইউএসবি ডিবাগিং আপনার ফোনকে কম্পিউটারের সাথে কমিউনিকেট করতে সাহায্য করে বা ইউএসবি দিয়ে আপনার ফোনের সবকিছু মডিফাই করার যে অপশনটা বলা যে এক্সসেসটা সেটা কম্পিউটারকে দেয় ইউএসবি ডিবাগিং মোড।
ইউএসবি ডিবাগিং মোড যদি আপনি অন করে রাখেন আর কোনো কারণে যদি আপনার ফোন কখনো হারিয়ে যায় তাহলে সেই ফোনটি যার হাতে পড়বে সে কিন্তু আপনার ফোনের সকল ডেটার অ্যাক্সিস নিয়ে নিয়ে নিতে পারবে। যদিও আপনার ফোনটি লক করা থাকে। কারণ আপনার ফোনে ইউএসবি ডিবাগিং মুড অন করা আছে। আবার অনেক সময় পাবলিক কোন চার্জিং স্টেশনে আমরা যদি ফোন চার্জ দেই আর যদি সেই চার্জিং স্টেশন এর অপোজিট পাশে কেউ একজন বসে থাকে ডাটা চুরি করার জন্য তখনও কিন্তু আপনার ডাটা সে অ্যাক্সেস নিয়ে নিতে পারবে ইজিলি আপনাকে না জানিয়ে। যদিও এখন নতুন যে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আছে এগুলোতে একটা এক্সট্রা কেয়ার অফ সিকিউরিটি আছে। সেটা হচ্ছে আন ফামিলিয়ার কোন একটা কম্পিউটারে কানেক্ট করলে এখানে একটা পপাপ ফোনের স্ক্রিনে আসবে যে ইউএসবি ডিবাগিং কানেক্ট অর নট। ইউএসবি ডিবাগিং দরকার ছাড়া অন করে রাখা উচিত না এতে করে ফোনে একটা বলার এবিলিটি তৈরি হয় একটা ব্যাক রেট ক্রিয়েট হয়।
ইউএসবি ডিবাগিং মোড কিভাবে এনাবল করতে হয়ঃ
প্রথমে আপনার ফোনে সেটিং এ যাবেন। যাওয়ার পরে একদমই নিচের দিকে বা উপরের দিকে এবাউট থাকতে পারে। এবাউটে যাওয়ার পরে খুঁজে বের করবেন বিল্ড নাম্বার নামের একটি অপশন আছে। বিল্ড নাম্বার এর ভিতরে যদি সাতবার প্রেস করেন তাহলে আপনার ফোনে পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকলে পাসওয়ার্ড চাইবে। না হলে চাইবে না। সাতবার প্রেস করা হয়ে গেলেই আপনার ফোনের ডেভেলাপার বাসন এনাবল হয়ে যাবে। এখন দেখতে পাচ্ছেন ইউ আর না ওয়েব ডেভেলপার লিখাটি। ফোনে হোমস্ক্রিনে যায় যাওয়ার পরে সিস্টেমের মধ্যে যদি যান, তাহলে সেখানে দেখতে পাবেন ডেভলপার অফ স্থানে একটি নতুন সেটিং। এর ভিতরে গেলে এখানে অনেকগুলো অপশন আসবে। এনাবল না করাই উচিত। যদি না আপনি শিওর জানেন যে আমি যেটা করছি সেটা আমি জেনেবুঝেই করছি। আমি এখান থেকে কিছু ফিচার আপনাদেরকে দেখাবো যেগুলোতে শুধুমাত্র ডেভলপারদের জন্য। অবশ্যই অনেকগুলো অপশন ডেভেলপার দের জন্য এখানে প্রথমে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্টেরয়েড নামের একটি অপশন আছে, সেই অপশনটা যদি এনাবল করেন তাহলে আপনার ফোন যতক্ষণ পর্যন্ত চার্জে লাগানো থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত স্ক্রীন যলে থাকবে স্ক্রীন নিববেনা। নেক্সট যে অপশনটি সাধারণ ইউজাররা ব্যবহার করতে পারে। সেটা হচ্ছেঃরানিং সার্ভিসেস। রানিং সার্ভিসেস এ ক্লিক করলে আপনার ফোনে কোন কোন অ্যাপ রান হচ্ছে কোন অ্যাপকি পরিমানে রেম খাচ্ছে এটা কিন্তু আপনারা দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনার কাছে যদি মনে হয় কোন আনওয়ান্টেড অ্যাপ যেটা প্রচুর পরিমাণে রেম নিচ্ছে, এবং আপনার ফোন স্লো করে দিচ্ছে। তখন কিন্তু আপনি সেই অ্যাপটা আনইন্সটল করে দিতে পারবেন।
নেক্সট অপশনটি হচ্ছেঃ এনিমেশন কাস্টমাইজ করা।
এখানে অনেক গুলো অপশন আছে উদাহরণ স্বরূপঃ উইন্ডো অ্যানিমেশন স্কিল। উইন্ডো অ্যানিমেশন হচ্ছেঃ আমরা যখন কোন উইন্ডো ওপেন করি তখন উইন্ডো কি পরিমানে ব্রাইটনেস থাকবে কতক্ষন অন থাকবে ইত্যাদি সব কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
নেক্সট অপশনটি হচ্ছেঃসো ট্যাপ্স
সো ট্যাপ্স অপশনটি যখনি এনাবল করে দিবেন, তখনি আপনি ফোনের স্কিনে যেখানে টাচ করবেন, সেখানে দেখতে পারবেন আপনার টাচ করা এরিয়াটা হাইলাইট হবে এবং কম্পিউটারের পয়েন্টারের মতো অনেকটা আপনি দেখতে পারবেন, যে আপনি ফোনের স্ক্রিনের কোন জায়গাতে টাচ করছেন।
ফাইনাল অপশনরি হচ্ছেঃ সিলেক্ট ইউএসবি কনপিগেরেশন
আমারা প্রত্যেকবার যখন ফোনকে কম্পিউটারে কানেক্ট তখন চার্জিং অনলি মোটে সিলেক্ট করা থাকে। বাই ডিফল্ট কিছু কিছু ফোনে আছে মিডিয়া ট্রানস্ফার থাকে। আপনি চাইলেই ডেভলপার অপশন থেকে, আপনি সিলেক্ট করে দিতে পারবেন কানেক্ট করা পর কোন অপশনটা বাই ডিফল্ট মিডিয়া ট্রানস্ফার করবেন। আমার এখানে চার্জিং দেয়া আছে। আমি যদি এটাকে এনএসএ মিডিয়া ট্রান্সফার প্রোটোকল দিয়ে দিই, তাহলে এখন প্রত্যেকবার কানেক্ট করলে হচ্ছে আমি ফাইল ট্রান্সফারের অপশনগুলো মিলে ট্রান্সফারের, যে অপশন গুলো সেগুলো পেয়ে যাব। সেটা আপনি বাইডিফল্ট এখান থেকে সেট করতে পারবেন।
ডেভলপারে এর বাইরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আরো অনেক অপশন আছে। আপনারা যদি চান আমি আরেকটা টিউনস বানাবো আরো ইম্পরট্যান্ট ফিচারগুলো নিয়ে।
এগুলোই ছিল যে জেনারেল পাবলিক খুব সহজে ইউজ করতে পারবে। সে রকম কমপ্লিকেটেড কিছু না সেজন্যই ও গুলোর নাম বললাম। আরো অনেক আছে যদি চান তাহলে আমরা এই টিউনের পার্ট টু করব। তবে আমি এখানে অবশ্যই আপনাদেরকে ওয়েন করবো এখানে যে অপশন গুলো সম্পর্কে আপনি কি জানেন না।
আজকের টিউন আশাকরি টিউনটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে একটা জোসস দিবেন টিউমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগলো। আামাকে ফলো করতে পারেন পরবর্তী টিউন এর জন্য।
(আসসালামুয়ালাইকুম)
আমি মেহেদী হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।