বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আমরা প্রতিদিন স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি, যেখানে অনেক ভাইরাস আমাদের ফোনে প্রবেশ করতে পারে। তো, এক্ষেত্রে আপনার ফোনে কি একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দরকার?
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন সোর্স থেকে বিভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করে থাকি। যেখানে আমাদের মনে এই চিন্তা আসতে পারে যে কোথাও থেকে না কোথাও থেকে আমাদের ফোনে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। আর এ প্রশ্ন মাথায় চলে আসলে আমাদের অন্য চিন্তা চলে আসে সেটি হল, আমাদের ফোনে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনস্টল করে রাখা। তো আপনার ফোনে কি সত্যিই একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর দরকার রয়েছে? তো বন্ধুরা আজকের এই টিউনে আমি আলোচনা করব আপনার ফোনের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর প্রয়োজন আছে কিনা সে সম্পর্কে?
টিউনটি সম্পূর্ণ শুরু করার আগে আপনাকে বলে নিচ্ছি আপনি যদি আমার এই টিউনে নতুন হয়ে থাকেন তবে উপরে ফলো বাটন এ ক্লিক করে ফলো করে রাখার অনুরোধ করছি। তবে চলুন আজকের টিউনের মূল বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
আপনাকে ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করতে হলে প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে, নিরাপত্তার খাতিরে আপনার ফোনে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখার প্রয়োজন বেশি নেই। এই বিষয়টি সম্পর্কে টিউন এর মাঝে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কেন আমাদের ফোনে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে রাখার প্রয়োজন নেই এবং থাকলেও বা সমস্যা কোথায়।
আমরা এটা সকলেই জানি যে অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার। যেখানে যে কেউ অ্যান্ড্রয়েড এর কোড গুলো দেখতে পারে। যেটির ফায়দা কিন্তু একজন হ্যাকার নিতে পারে। যেখানে একজন হ্যাকার android-এর কোডগুলোর দুর্বলতা খুঁজে সেখানে ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে এবং এখান থেকে আপনার তথ্য সে চুরি করে নিতে পারে। আর এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য গুগল ও কাজ করে যায়।
আমরা সকলেই জানি যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম গুগলের তৈরি। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি গুগল তৈরি করেছে এবং এটি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। যদি এন্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে কোন ত্রুটি দেখা দেয় তবে সেটি গুগল আপডেট করে নেয়। তবুও অনেক ক্ষেত্রে হয়তোবা এই সমস্যার সমাধান করা হয়না, যে কারণে হ্যাকাররা অনেক ফাঁক-ফোকর দিয়ে ভাইরাস এর কোড গুলো ডিভাইসে প্রবেশ করিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে এন্ড্রয়েডের ইউজাররা গুগলকে রিপোর্ট করলে তারা সেটি ফিক্স করে দেয় অথবা তারা নিজেরাই দুর্বলতা খুঁজে বের করে।
অ্যান্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকলে সিকিউরিটি আপডেট এর মাধ্যমে সেটি সংশোধন করে দেয়। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে কোন সমস্যা থাকলে সেটি গুগল কিছুদিন পরপর সিকিউরিটি আপডেট এর মাধ্যমে সমাধান করে দেয়। যেটি ফোনে আপনি অ্যান্ড্রয়েড সিকিউরিটি প্যাচ হিসেবে আপনি পান। আর এই সিকিউরিটি আপডেট গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ফোনে যদি সর্বশেষ সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট করা থাকে তবে খুব কম সম্ভাবনা থাকে আপনার ফোনে বাহিরে থেকে কোন ভাইরাস প্রবেশ করার।
এক্ষেত্রে কোন হ্যাকার আপনার ফোন থেকে কোন ডেটা চুরি করতে পারবে না। তো যে সব ব্যবহারকারী নিয়মিত অ্যান্ড্রয়েড এর আপডেট গুলো করে নেয় তাদের ক্ষেত্রে ডিভাইস টি থাকে অনেক নিরাপদ। এক্ষেত্রে সেই কোম্পানির ফোন গুলো সবসময় নিরাপদ থাকে সব রকমের ভাইরাস এবং অন্যান্য থ্রেড এর হাত থেকে। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের ডিভাইসে প্রায়ই দেখি যে নতুন আপডেট চলে এসেছে। যেখানে প্রত্যেকবার আপডেট করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় থাকে সিকিউরিটি এর বিষয়টিকে আরও উন্নত করার।
তো, যেসব ফোন কোম্পানি তাদের ডিভাইস গুলোতে নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট দিয়ে থাকে সেগুলো থাকে অন্যান্য ফোনের চাইতে অনেক নিরাপদ। এ ক্ষেত্রে এসব ফোনগুলোতে কোন ভাইরাস কিংবা অন্য কোনো ঝুঁকি থাকে না। আর এজন্যেই যদি ফোনে কোন আপডেট চলে আসে তবে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফোনটিকে আপডেট করে নেওয়া উচিত। তবে এবার প্রশ্ন হতে পারে যে, যেসব কোম্পানির ফোনে নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট আসে না তাদের ক্ষেত্রে কি হবে? এসব ফোনে তো কোন অ্যাপ ইন্সটল করার মাধ্যমে আমরা জানতে পারব না যে এই অ্যাপে কোন ভাইরাস হয়েছে কিনা।
তবে এই সমস্যা থেকে সমাধান করার জন্য গুগল আরো একটি সিকিউরিটি সিস্টেম রেখেছে। যেখানে আপনার স্মার্ট ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে যদি আপনার ফোনটিতে কোনো সিকিউরিটি আপডেট দেয় তবে এক্ষেত্রে আপনি সিকিউর থাকতে পারবেন। কেননা এক্ষেত্রে আপনার ফোনে গুগল প্লে স্টোর বা গুগলের Play Protect চালু করা থাকবে। যেখানে আপনার ফোনের সমস্ত অ্যাপস গুলোকে তাৎক্ষণিক স্ক্যান করার মাধ্যমে সেটি কোন সিকিউরিটি এর দুর্বলতা খুঁজে বের করবে।
গুগলের Play Protect-কে আপনি গুগলের তরফ থেকে এন্টিভাইরাস তো বলতে পারেন। যেখানে আপনি যদি কোনো অনিরাপদ অ্যাপ মোবাইলে ইন্সটল করেন সেক্ষেত্রে আপনি পাবেন না। এক্ষেত্রে গুগলের Play Protect আপনাকে সেই অ্যাপটি ইনস্টল করা থেকে বাধা দিবে। এমনকি সেই অ্যাপটি ইনস্টল করার জন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে Play Protect-কে বন্ধ করতে হবে। এটি আপনার ফোনের সমস্ত অ্যাপ থেকে প্রতিনিয়ত স্ক্যান করে থাকে।
যেখানে এই অ্যাপটি আপনার ডিভাইসে থাকা সমস্ত অ্যাপস গুলোকে স্ক্যান করে এবং অ্যাপগুলোকে দেখতে থাকে এটি Harmful কিনা। যদি কোন অ্যাপ Harmful হয় তবে এটি সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে রিপোর্ট করে দিবে। আপনার মোবাইলে যখন কোন Harmful অ্যাপ ইন্সটল করতে চাইবেন তখন সেটি এখানে বাধা দেবে এবং কোন অবস্থাতেই Play Protect চালু রেখে আপনি সেই অ্যাপটি মোবাইলে ইন্সটল করতে পারবেন না। যেটিকে আপনি গুগলের তরফ থেকে আসা built-in এন্টিভাইরাস বলতে পারেন। এছাড়া গুগল নিজেও প্লে স্টোরে থাকা সমস্ত অ্যাপস গুলোকে সবসময় স্ক্যান করতে থাকে, যেখানে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ কে রাখা হয় না।
এক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোরে যে সব অ্যাপগুলো Harmful, সেগুলোকে গুগল প্লে স্টোর থেকে বাদ দিতে থাকে। আর যদি আপনি ইতিমধ্যে সেই অ্যাপ গুলো মোবাইলে গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে রাখেন তবে পরবর্তীতে গুগল আপনাকে নোটিফিকেশন আকারে জানিয়ে দিবে। তখন আপনি সেই অ্যাপটি ডিভাইস থেকে আনইন্সটল করে নিতে পারবেন। মোটকথা, আপনি যদি আপনার মোবাইলের সমস্ত অ্যাপগুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করেন সেক্ষেত্রে আপনি সবসময় নিরাপদ থাকবেন। আর যদি আপনি গুগল প্লে স্টোর বাদ দিয়ে অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন সে ক্ষেত্রে সব সময় সুযোগ থাকে আপনার ফোনে ভাইরাস প্রবেশ করার।
আপনি যদি গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন এবং আপনার ফোনটিকে সবসময় আপডেট করে নেন তবে আপনার ফোনে কোন ভাইরাস প্রবেশ না করার নিশ্চয়তা থাকে শতভাগ। এক্ষেত্রে আপনার আরো একটি কাজ করা উচিত তা হচ্ছে, আপনাকে সব সময় আপনার মোবাইলে থাকা সমস্ত অ্যাপস গুলোকে ও আপডেট করে নেওয়া উচিত। এতে করে আপনার ফোনের কোন ডেটা হ্যাকার চুরি করতে পারবে না। এবার প্রশ্ন হতে পারে যে, গুগল প্লে স্টোর বাদ দিয়ে অন্য কোথাও থেকে যদি আমরা কোন অ্যাপ ডাউনলোড করে তবে এক্ষেত্রে কি আমাদের ডিভাইসে কোন ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে?
গুগল প্লে স্টোর বাদ দিয়ে অন্য কোন সোর্স বলতে, এক্ষেত্রে হতে পারে গুগলে সার্চ করে কোন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা। আপনি যদি প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপেল স্টোর বাদ দিয়ে অন্য কোন সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন, তবে এক্ষেত্রে সেই অ্যাপটি মোবাইলে ইন্সটল করলে সেখান থেকে কোন ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় Play Protect আপনাকে কোন সাহায্য করতে পারবে না। আর এজন্যই গুগল এর থেকে সবসময় রিকমান্ড থাকে যে, আপনি যেন সবসময় অ্যাপ সমূহকে গুগল প্লে স্টোর থেকেই ডাউনলোড করেন। এক্ষেত্রে আপনার ফোনে কোন ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার আসার সম্ভাবনা একেবারেই শূন্য হয়ে যায়।
আর যদি কোন কারণে আপনার ফোনে ভাইরাস যুক্ত সফটওয়্যার গুগল প্লে স্টোর থেকে চলে আসে সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গুগল সেটি রিমুভ করার পর আপনাকে জানিয়ে দিবে। কোন অ্যাপ ইনস্টল করার পূর্বে আমাদেরকে ও সতর্ক হতে হবে। যেখানে আমরা কোন অ্যাপ ইনস্টল করছি সে সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে যে, এই অ্যাপটি আসলেই সিকিউর কিনা। এক্ষেত্রে আমাদের দেখা উচিত অ্যাপটির রেটিং কিরকম এবং অ্যাপটি ব্যবহার করে মানুষের অভিজ্ঞতা এর বর্ণনা। প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আমাদের চোখের সামনে যে অ্যাপ আসলো সেটাই ডাউনলোড করলে চলবে না।
এছাড়া অ্যাপ ডাউনলোড করার পর আমাদেরকে সেই অ্যাপের পারমিশন নেওয়াকে লক্ষ্য করতে হবে। আপনি সেই অ্যাপটি ইনস্টল করলেন সেটি কি কি পারমিশন নিচ্ছে আপনার কাছ থেকে সে গুলো আপনি দেখে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যেমন ধরুন আপনি একটি ক্যালকুলেটর অ্যাপ ইনস্টল করলেন। এবার সেই অ্যাপটি যদি আপনার মোবাইলের Contact list এর পারমিশন নিয়ে নেয় তবে সেটি কিন্তু অনুচিত। যেখানে ক্যালকুলেটর অ্যাপটি এর কাজ হচ্ছে হিসাব করা, সেখানে এটির Contact list-এর পারমিশন নেওয়ার কোনো যুক্তি হতে পারে না।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইলের অ্যাপ সেটিং এ গিয়ে সেটির পারমিশন চালু কিংবা বন্ধ করে দিতে পারেন। একই ভাবে আপনার মোবাইলে ইন্সটল করা থাকা সমস্ত অ্যাপ গুলোর পারমিশন আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ফোনে ইন্সটল করা অ্যাপ গুলো যদি এরকম ভাবে অযৌক্তিক কোন পারমিশন নিয়ে নেয় তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই অ্যাপে কোন সমস্যা রয়েছে। আর যদি সেই অ্যাপটি সেই পারমিশন ব্যতীত আপনাকে অ্যাপটি ব্যবহার নাই করতে দেয় তবে আপনার উচিত হবে অ্যাপটি আনইন্সটল করে দেওয়া।
তো এক্ষেত্রে আমরা যা বুঝতে পারলাম, আমাদের মোবাইলের সিকিউরিটি এর জন্য বাইরে থেকে কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর দরকার পড়ে না। আমরা যদি সব সময় গুগল প্লে স্টোর থেকে কিংবা অ্যাপল এর অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করি তবে এক্ষেত্রে আমরা আমাদের ফোনকে সবসময় নিরাপদ রাখতে পারব। আপনার ফোনটিকে সবসময় নিরাপদ রাখার জন্য অবশ্যই গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবেন। আর যদি আপনি গুগল প্লে স্টোর এর বাইরে কোন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন এক্ষেত্রে অনেক সময় ভাইরাসযুক্ত আপনার অ্যাপ মোবাইলে চলে আসতে পারে। যেটি আপনার ডিভাইসের তথ্য চুরি এবং ফোনকে ভয়ানক রকমের স্লো করে দিতে পারে।
আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেন এক্ষেত্রে সেখানে কোনো কর্তৃপক্ষ থাকবে না সেটি স্ক্যান করার। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সেই ওয়েবসাইটে অ্যাপটি আপলোড করে রেখেছে সে হতে পারে কোন হ্যাকার। আর আপনি যদি সেই অ্যাপটি মোবাইলে ইন্সটল করে নেন তবে সে খুব সহজেই আপনার ডিভাইসে আড়িপেতে থাকতে পারবে। যার মাধ্যমে আপনার অনেক ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। কোন একটি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে যে শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে আরেকজন এর হাতে বিষয়টি তা নয়, এক্ষেত্রে ফোনটিতে ভাইরাস প্রবেশ করার কারণে সেটি ভয়ানক রকমের স্লো ও হয়ে পারে।
আমরা বেশিরভাগ সময়ই প্রিমিয়াম অ্যাপগুলোকে প্লে স্টোর এর বাইরে থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার চেষ্টা করি। যেখানে প্লে স্টোরে থাকা অ্যাপ গুলোতে প্রতিমাসে কিংবা বাৎসরিক একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্যবহার করতে হয়, সেগুলো আমরা গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিলে সেগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারি। যেখানে হ্যাকাররা সেই অ্যাপটির কোডগুলো কে পাল্টে দিয়ে সেই প্রিমিয়াম এর টাকা নেবার অপশনটি তুলে দিয়েছে। যেখানে হ্যাকারেরা এই কোড গুলোকে পাল্টিয়ে দিতে পারে, সেখানে তারা অ্যাপটিতে নতুন কোড যুক্ত করেও দিতে তো পারে।
যেখানে সেই হ্যাকার যদি অ্যাপটিতে এমন কোন কোড যুক্ত করে দেয় যার মাধ্যমে আপনার ফোনে থাকা তথ্যগুলো তার কাছে চলে যাবে তবে ব্যাপারটি কেমন হয়? তারা সেই তথ্যগুলোকে হয়তো বা বিক্রি করে দিতে পারে থার্ড পার্টি কোন প্রতিষ্ঠান কাছে যারা আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপণ গুলো দেখাবে। এছাড়া থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার ফলে আপনার ফোনে কোন ভাইরাসও চলে আসতে পারে। আপনি যদি গুগল প্লে স্টোর বাদ দিয়ে থার্ড পার্টি কোন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন সেক্ষেত্রে অনেক সময় গুগলের Play Protect সেদিকে বাধা দেয় না। এর ফলে আপনি জানতেও পারবেন না যে, আপনার ফোনে কোন ভাইরাস যুক্ত অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেল।
প্লে স্টোরের বাইরের কোন অ্যাপ যদি একেবারে অনিরাপদ হয় তবে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র Play Protect আপনাকে সাবধান করে দিবে। এ সময়ে অ্যাপটি ইনস্টল করার ক্ষেত্রে Play Protect আপনাকে বাধা প্রদান করবে। এমনকি সেই অ্যাপটি আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করতেও পারবেন না। যদি আপনার এমন মনে হয় যে আমার কোনো নিরাপত্তার দরকার নেই তবে সে ক্ষেত্রে প্লে স্টোর থেকে Play Protect বন্ধ করে দিলে যে কোন অ্যাপ আবার মোবাইলে ইন্সটল করতে পারবেন। তবে আমাদের উচিত হবে না যে, গুগলের Play Protect কে বন্ধ করে রাখার।
যদি আমরা এটিকে বন্ধ করে রাখি তবে আমাদের ফোন খুব সহজেই যে কোন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি দেখে থাকবেন যে মিড রেঞ্জ কিংবা এন্ট্রি লেভেলের ফোন গুলো সবসময় কিছুদিন ব্যবহার করার পর স্লো হয়ে যায়। এখানে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ যে, এসব ফোনগুলোতে ভালো সিকিউরিটি সিস্টেম থাকে না। এর ফলে খুব সহজেই এসব ফোন গুলো যে কোন ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়। আর যদি ফোন গুলো ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে সেটি এমনিতেই স্লো হয়ে যাবে।
আমাদের সব সময়ই এটা মাথায় রাখা উচিত যে, অ্যান্ড্রয়েড এর সিকিউরিটি সিস্টেম অ্যাপলের মত অতটা শক্তিশালী নয়। যেখানে আপনি অ্যান্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে যে কোন ওয়েবসাইট থেকে যে কোন অ্যাপ ইন্সটল করতে পারবেন। সেখানে অ্যাপল এর ক্ষেত্রে কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন অ্যাপ এর ক্রাক ভার্সন ডাউনলোড করে আপনার মোবাইলে ইন্সটল করতে পারবেন না। কেননা আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে এসব অ্যাপের ক্রাক ভার্সন মোবাইলে ইন্সটল করেন তবে সেগুলোতে অনেক ক্ষতিকর ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। যেটি কিন্তু আপনার ডিভাইস এর জন্য অনেক ক্ষতিকর।
এছাড়া আমাদের ফোন স্লো হবার পেছনে আরও একটি কারণ হতে পারে হার্ডওয়ার গত সমস্যা। আমরা জানি যে, কম বাজেটের ফোন গুলোতে সব সময় দুর্বল প্রসেসর এবং হার্ডওয়ার সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। যেখানে দুর্বল প্রসেসর এবং হার্ডওয়ার সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এটি খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আমরা এটা লক্ষ্য করছি যে, আমরা যে সব অ্যাপগুলো ব্যবহার করছি সেগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট হতে চলেছে। কয়েকদিন আগেও যে অ্যাপটি ছিল মাত্র ৫ মেগাবাইট এর, সেটি বর্তমানে হয়ে গিয়েছে হয়তো বা ৫০ মেগাবাইট।
এরকমই একটি উদাহরণ দেওয়া যায় Shareit অ্যাপের কথা। যেখানে শুরুতে অ্যাপটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫ এমবির মত, বর্তমানে সেটি প্রায় ৪৫+ এমবি দৈর্ঘ্যের। এখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রতিনিয়ত আপডেট এর ফলে অ্যাপগুলোকে আরো উন্নত করা হচ্ছে এবং সেগুলোতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। যেখানে আমাদের পূর্বের ফোনগুলোতে এসব অ্যাপ গুলো খুব সহজেই সাপোর্ট করতো, সেখানে বর্তমানে সেগুলো আর আমাদের ফোনে চালানোই যায় না। কেননা এসব অ্যাপগুলো অনুযায়ী আমাদের মোবাইলের প্রসেসর এবং অন্যান্য হার্ডওয়ার গুলো মানানসই নয়।
এক্ষেত্রে আমাদের এসব এগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেগুলোর লাইট ভার্সন খুঁজতে হবে। যে অ্যাপ গুলো প্রতিনিয়ত বড় করে চলেছে, সেগুলোর অবশ্যই একটি করে লাইট ভার্সন রয়েছে যাতে করে নিচের ভার্সন এর মোবাইল গুলোতেও এটি ব্যবহার করতে পারে। এসবের মধ্যে যেমন, Shareit lite, Tiktok lite, Messenger lite, Facebook lite ইত্যাদি অ্যাপসমূহ। উপরের এই উদাহরণটি ভাইরাস এর কারণে মোবাইল স্লো হওয়ার বিষয়টি থেকে এসেছে। যেখানে ভাইরাস এর কারনে মোবাইলটি স্লো হতে পারে আবার দুর্বল হার্ডওয়ার যুক্ত ফোন ব্যবহার করলেও ফোনটি স্লো হতে পারে।
আর এমনিতেই প্রত্যেকটি মোবাইল দিন যাবার সঙ্গে সঙ্গে স্লো হয়ে যায়। যেখানে মোবাইলে যদি কোন ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত নাও হয় তবুও ডিভাইসটি স্লো হয়ে যায়। কেননা আমরা এটা সকলেই জানি যে প্রত্যেকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর কর্মদক্ষতা দিন যাবার সঙ্গে সঙ্গে আগের মত আর থাকেনা। মোবাইলের ব্যাটারি এর মত সেগুলোর কর্মদক্ষতা ও আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। তবে মোবাইলে যদি প্রথম থেকেই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে সেটি ডিভাইসকে ভয়ানক স্লো করে দিবে।
তাই এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হচ্ছে, আগে থেকেই সাবধান হওয়া। আমি যখন কোন অ্যাপ্লিকেশন আমাদের মোবাইলে ইন্সটল করতে চাইবো তবে সেটি অবশ্যই যেন গুগল প্লে স্টোর থেকে হয়। গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ কিংবা অ্যাপল স্টোর বাদ দিয়ে অন্য কোন সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঝুঁকি থাকে। কখন জানি অ্যাপটিতে থার্ড পার্টি কোন কোড ঢুকে দেওয়া হল। যাতে করে সেটি আমাদের মোবাইলে ইন্সটল করলে তাদের কাছে আমাদের তথ্যগুলো চলে যায়।
তবে আজকের এই টিউনের বিষয় ছিল আমাদের ফোনে কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করা লাগবে কিনা? এর উত্তরে আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে লাগবে না। কেননা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো আমাদের ফোনে তেমন কোনো উপকারে আসে না। আমরা যখন সেসব এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো আমাদের ফোনে ইন্সটল করে মোবাইলটিকে স্ক্যান করতে থাকি তখন সেটি আমাদের ফোনের কোন ত্রুটি ধরতে পারে না। যদিও এসব এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার গুলো আমাদের ফোনে কিছু ত্রুটিগুলো ধরে থাকে।
কিন্তু এই সব সফটওয়্যার গুলো আমাদের ফোনে যেসব ত্রুটি হলে সেগুলো কোন ভাইরাস নয়। বরং আমাদের ফোনে যদি কোন ভাইরাস প্রবেশ করে তার প্রতিরোধক হিসেবে বিভিন্ন সেটিং চালু করতে বলে। এর মধ্যে যেমন থাকে সেই সফটওয়ারটি কে মোবাইলের third-party সিকিউরিটি সিস্টেম হিসেবে পারমিশন দেওয়া। এছাড়া মোবাইলের কিছু সেটিং চালু কিংবা বন্ধ করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো। যেখানে আমরা কোন ভাইরাস এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছুই দেখতে পারিনা।
বরং এসব এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো আমাদের মোবাইলকে আরো অনেকটা স্লো করে দেয়, যেমনটি আমাদের মোবাইলে ভাইরাস থাকলে তা করতো। এসব অ্যাপ্লিকেশন গুলো আমাদের ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রতিনিয়ত স্ক্যান করতে থাকে। যদিও আমাদের ফোনে কোন ভাইরাস প্রবেশ না করে তবুও সেটি সবসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। এক্ষেত্রে সেটি কিন্তু আমাদের মোবাইলের প্রসেসিং পাওয়ারকে অনেকটা খরচ করে ফেলে এবং সেটি রান হবার কারণে আমাদের ব্যাটারিকে ও খরচ করে। এক্ষেত্রে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করা থাকলে আপনার ডিভাইসকে আগের চাইতে আরো ধীর গতির মনে হতে পারে।
যেটি কিনা আপনার মোবাইলকে অনেক ফাস্ট করার বিপরীতে আরো ধীর গতির করে দেয়। শুধু ধীরগতি করেই দেয় না, বরং এটি আপনার মোবাইলের ব্যাটারি কেও অতিরিক্ত খরচ করে। মোটকথা ফোনে যে ডিফল্ট ভাবে সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে সেখানে আমাদের ডিভাইসের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনি যদি কিছু নিয়ম ফলো করেন তবে আপনার ডিভাইসে হয়তোবা কোন ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারবে না। তাই ফোনটিকে ভাইরাস মুক্ত কিংবা ম্যালওয়ার মুক্ত রাখতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর বিপরীতে আপনাকেই সতর্ক হতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের উচিত হবে যেখান ইচ্ছা সেখান থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড না করা। আমাদের যদি প্লে স্টোর এর বাইরে থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়েই যায় তবে আমাদের দেখতে হবে সেই অ্যাপটি সিকিউর কিনা। এক্ষেত্রে আমাদের জনপ্রিয় এবং ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট ব্যতীত কোন অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত নয়। তো বন্ধুরা, আপনার ডিভাইসকে নিরাপদে রাখার জন্য হয়তোবা আপনার ডিভাইসের সিকিউরিটি সিস্টেম কে অনেক শক্তিশালী। যেখানে বাহিরে থেকে আর কোন সিকিউরিটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে না।
তবে আপনি যদি থার্ড পার্টি কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করার মাধ্যমে আপনার ফোনটিকে আরও নিরাপদ করতে চান তবে সেটি করতে পারেন। আমার মতে ফোনে কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল না করাই ভালো। কেননা এটি আমাদের তেমন কোন কাজে দেয় না। আপনি আপনার ফোনে এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন কিনা সেটা আপনার ইচ্ছা।
আজ তবে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। যদি টিউনটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তবে জোসস করবেন এবং সেইসঙ্গে কেমন লাগলো তা টিউনমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনি যদি নিত্যনতুন এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে লেখা বা টিউন দেখতে পছন্দ করে থাকেন তবে আমাকে ফলো করে রাখবেন। যদি টিনটি আপনার কাছে ভালো না লেগে থাকে তবু ও আমাকে ফলো করে রাখবেন। কেননা ভবিষ্যতে যাতে করে আপনাদের জন্য আরো ভালো এবং নতুন কোন টিউন নিয়ে আসতে পারি।
দেখা হবে তবে ভবিষ্যতের কোনো টিউনে ইনশাআল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)