সময়ের সাথে প্রযুক্তির যতই উন্নতি হোক না কেন, স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট রাখার মত ব্যাটারির আজও জন্ম হয়নি। কোথাও ভ্রমণে গেলে কিংবা যাত্রাপথে, যেখানে চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা থাকেনা, সেসব স্থানেই যেন ফোন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বেশি হয়ে যায়। সময়-অসময়ে ফোনের এই চার্জিং-সমস্যার সমাধান করার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে পাওয়ার ব্যাংক। এটি হচ্ছে মূলত কিছু রিচার্জেবল ব্যাটারির সমন্বয়ে তৈরি ব্যাটারি প্যাক, যাকে আগে থেকে চার্জ দিয়ে রেখে পরবর্তীতে সেই জমানো চার্জ থেকে মোবাইলের ব্যাটারিকে চার্জ দেয়া যায়। বাজারে বর্তমানে অনেক ধরনের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আপনার কোনটি কেনা উচিত? এই টিউনে আমরা দেখব কীভাবে সঠিক পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হয়।
সঠিক পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হলে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
পাওয়ার ব্যাংক কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এর ক্যাপাসিটি বা চার্জ ধারণক্ষতার ওপর। ভাল অভিজ্ঞতা পেতে কমপক্ষে ১০ হাজার এমএএইচ ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক দরকার। তবে যেহেতু ‘ভালো’র কোনো শেষ নেই, তাই আপনি চাইলে ২০ হাজার এমএএইচ (বা আরও বেশি) পাওয়ার ব্যাংকও নিতে পারেন। আপনার ফোনের ব্যাটারি যদি ৩ হাজার এমএএইচ হয়, তাহলে একটি ১০ হাজার এমএএইচ পাওয়ার ব্যাংক দ্বারা আপনার ফোনকে কমপক্ষে ৩ বার ফুল চার্জ করা যাবে। বাংলাদেশে ২০ হাজার এমএএইচ ধারণক্ষমতার মোবাইল পাওয়ার ব্যাংকের দাম ২৫০০ টাকার আশেপাশে। সুতরাং আপনার বাজেট ও প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয় করুন।
পূর্ণ চার্জ নিতে কোনো পাওয়ার ব্যাংক ঠিক কতটুকু সময় নেবে তা নির্ভর করে এর নিজের ধারণক্ষমতা এবং চার্জারের ক্ষমতার ওপর। যদিও অ্যাভারেজে পাওয়ার ব্যাংকগুলো আড়াই থেকে সাড়ে চার ঘন্টা সময় নেয়ার কথা বলে থাকে। সাধারণত, মোবাইল ফোনের চার্জার দিয়েই পাওয়ার ব্যাংক চার্জ দেয়া হয়। মোবাইলের চার্জারগুলো আউটপুট দেয়ার ক্ষেত্রে মোটামুটি ৫ ভোল্ট ও ২ এম্পিয়ার হারে আউটপুট দিয়ে থাকে। এরকম একটি চার্জার দিয়ে ১০ হাজার এমএএইচ পাওয়ার ব্যাংক চার্জ দিতে কমপক্ষে ৪.৫ ঘন্টা সময় হাতে নিয়ে রাখুন। অনেক পাওয়ার ব্যাংকে আউটপুট অপশন দুটি (2A/1A) থাকার কারণে সাধারণ চার্জারের চেয়ে দ্রুত চার্জ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। তবে পাওয়ার ব্যাংকের কাছ থেকে আপনার প্রত্যাশা “দ্রুত চার্জ” হওয়ার দরকার নেই। বরং স্বাভাবিক সময়ে চার্জ হলেই যথেষ্ট। ভাল ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কিনলে চার্জিং টাইম নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা।
পাওয়ার ব্যাংকের কাজই যেহেতু বহনযোগ্য হওয়া, তাই এগুলো কেনার সময় এদের আকার ও আকৃতি খেয়াল করতে হবে। অনেক পাওয়ার ব্যাংক আছে যেগুলো গোলাকার, যা পকেটে বহন করা যায়না। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি ফোনের মত চারকোণা আকৃতির পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। তাহলে প্রয়োজনে আপনি এটি পকেটেও বহন করতে পারবেন। আর পাওয়ার ব্যাংকের ওজন খুব একটা বেশি হয়না। তারপরও আপনি কেনার সময় বিকল্প খুঁজে দেখতে পারেন।
পাওয়ার ব্যাংকের বাড়তি ফিচার হতে পারে চার্জ ইন্ডিকেটর, বাড়তি আউটপুট পোর্ট, টর্চ প্রভৃতি। চার্জ ইন্ডিকেটর লাইট/এলসিডি ডিসপ্লে আপনাকে দেখাবে যে কতটুক চার্জ বাকি আছে কিংবা কতটা চার্জ হয়েছে। বাড়তি আউটপুট পোর্ট থাকলে একসঙ্গে একাধিক ডিভাইস চার্জ দিতে পারবেন। এছাড়া, কিছু কিছু পাওয়ার ব্যাংকে সোলার চার্জার থাকতে পারে, যদিও এ ধরনের সোলার চার্জার দ্বারা চার্জ হতে অনেক অনেক বেশি সময় লাগে।
পাওয়ার ব্যাংক কেনার ক্ষেত্রে এগুলোই মোটামুটি বিবেচ্য বিষয়। আপনি কি এই পয়েন্টগুলোর সাথে কিছু যোগ করতে চান? তাহলে টিউমেন্ট করুন।
বাংলাদেশের বাজারে এখন জনপ্রিয় কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্র্যান্ড হচ্ছে শাওমি, রিম্যাক্স, এডাটা প্রভৃতি। আপনি কোনটি পছন্দ করেন? অনুগ্রহ করে টিউমেন্টে জানান। ধন্যবাদ।
পোস্টটি ভালো লাগলে এই চ্যানেলটি একবার ঘুরে আসুন -
আমি মুহাম্মদ হুসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।
রি-ক্যাপচা এন্ট্রি করে খুব সহজে মাসে হাজার টাকা উপার্জন করুন ।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুণ
https://onlineeasyearning0713.wordpress.com/