বাংলালিংক ইন্টারনেট!
সত্যিই অবিশ্বাস্য। যে কোম্পানীর ভয়েস কল নেটওয়ার্কই উন্নত নয়, সেই কোম্পানী আবার দিবে মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা! অসম্ভব।
কিন্তু বাস্তবতা হল এই যে, বাংলালিংক বহু আগে থেকেই তাদের সকল পোস্টপেইড গ্রাহকের জন্য জিপিআরএস সেবা চালু করে রেখেছে। বাংলালিংকের পোস্টপেইড গ্রাহকরা বহু আগে থেকেই এ সেবা পেয়ে আসছেন। আনন্দের বিষয় হচ্ছে এই যে, বাংলালিংক সম্প্রতি Pay as you go ভিত্তিতে তাদের প্রিপেইড গ্রাহকদেরও ইন্টারনেট সেবা প্রদান শুরু করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা না দিলেও, অনেকেই তাদের বাংলালিংক প্রিপেইড সংযোগে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আমি নিজেও আমার বাংলালিংক সীম ব্যবহার করে গত কয়েকমাস যাবৎ জিপিআরএস সুবিধা পেয়ে আসছি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, বাংলালিংক ইন্টারনেটে খরচও হয় জিপি'র অর্ধেকেরও অর্ধেক (খুব সম্ভবত টাকা ০.০০৫/কিলোবাইট)। আসুন, আপনিও জেনে নিন কীভাবে আপনি আপনার বাংলালিংক সংযোগ ব্যবহার করে আপনার জিপিআরএস বা ওয়াপ এনাবলড হ্যান্ডসেটে নেট সার্ফিং করতে পারেন।
বাংলালিংক ইন্টারনেট অ্যাক্টিভেট করতে হলে আপনাকে বাংলালিংকের কাষ্টমার কেয়ার ১২১ (আপনার বাংলালিংক সংযোগ থেকে) এ ফোন করতে হবে। বাংলালিংক কোন এসএমএস এর মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাক্টিভেট করার অপশন এখনও বের করেনি। তাই আপনাকে সরাসরি কাষ্টমার ম্যানেজারের সাথেই কথা বলতে হবে। তবে কাষ্টমার সার্ভিসে ফোন করার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার ব্যবহৃত ফোনসেটটি ইন্টারনেট সাপোর্ট করে এবং আপনি আপনার সেটের সঠিক মডেল নাম্বার জানেন। অধিকাংশ মোবাইল সেটের মডেল নাম্বার ব্যাটারী খুললেই ষ্টীকারে দেখা যায়। তবে আপনি সব মোবাইলে মডেল নাম্বার নাও জানতে পারেন। যেমন নন-ব্র্যান্ড চায়না সেটগুলোর কোন মডেল নাম্বার নেই। এগুলোর কোন কোনটা ইন্টারনেট সাপোর্ট করে, কোন কোনটা করেনা। মনে রাখবেন, সেটের ম্যেনুতে ইন্টারনেট নামক অপশন থাকলেই সেটে ইন্টারনেট আছে, এমন ধারণা করা ভুল।
যাই হোক, কাষ্টমার ম্যানেজার আপনার ফোন নাম্বার, বিকল্প নাম্বার এবং হ্যান্ডসেট মডেল নাম্বার জানতে চাইবেন। এ তথ্যগুলো ম্যানেজারকে প্রদান করুন। আপনি যদি আপনার হ্যান্ডসেট মডেল নাম্বার ভুলও প্রদান করে থাকেন, তবুও কোন সমস্যা নেই। কারণ, আপনার সেটের কনফিগারেশন আপনি নিজেই করতে পারবেন। শুধু অপারেটর কর্তৃক আপনার সীমে ইন্টারনেট সেবা চালু করার অপেক্ষা।
সাধারণতঃ অনুরোধ করার ছয় ঘন্টার মধ্যে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট অ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে। আপনি যদি আপনার মোবাইলের সঠিক মডেল নাম্বার দিয়ে থাকেন, তাহলে এই ছয়ঘন্টার মধ্যে বা ছয়ঘন্টা পর আপনার মোবাইলে কনফিগারেশন পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেটিংসগুলো ইন্সটল করুন এবং আপনার হ্যান্ডসেট থেকে wap.google.com ব্রাউজ করার চেষ্টা করুন।
যদি আপনার সেটে কনফিগারেশন না আসে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার প্রদত্ত মডেল নাম্বারটি সঠিক ছিল না বা আপনার সেট ইন্টারনেট সাপোর্টই করে না। যাই হোক, যেহেতু আপনার মোবাইল সেটে ইন্টারনেট অপশন আছে, তাহলে আপনি নিজেই একবার চেষ্টা করে দেখুন, ইন্টারনেট এনাবল করতে পারেন কি না।
প্রথমে সেটের ইন্টারনেট/জিপিআরএস/ওয়াপ অপশনে গিয়ে প্রোফাইল বা সেটিংস সিলেক্ট করুন। নতুন প্রোফাইল তৈরী করুন। নিচের তথ্য দিয়ে দু'টি নতুন প্রোফাইল তৈরী করুন।
1
Profile Name: Banglalink Web
IP Address: 0.0.0.0
APN/ Access Point Name: blweb
2
Profile Name: Banglalink Wap
IP Address: 10.10.55.34 or 010.010.055.34
Port: 8799
APN/ Access Point Name: blwap
দ্রষ্টব্যঃ ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ডের ঘর খালি রাখুন। কোন কোন সেটের কনফিগারেশন সেটিংস প্রোটোকল চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে http দিয়ে দিন।
প্রথমে এক নং প্রোফাইলটি ব্যবহার করে নেট সার্ফিংয়ের চেষ্টা করুন। যদি সফল হন, তাহলে বুঝবেন আপনার সেট পুরোপুরি ইন্টারনেট সাপোর্টেড। আর যদি Bad Gateway বা এই ধরণের কোন মেসেজ আসে, তাহলে দ্বিতীয়টি চেষ্টা করুন। যদি দ্বিতীয়টি দ্বারা নেট ব্যবহার করতে সক্ষম হন, তাহলে বুঝবেন আপনার মোবাইল ইন্টারনেট নয়, বরং ওয়াপ সাপোর্ট করে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইল ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সব সাইট ভিজিট করতে পারবেন না। আর যদি কোনটিই কাজ না করে, তাহলে বুঝবেন আপনাকে একটি নতুন সেট ক্রয় করতে হবে!
তো আর দেরী কেন! শুরু করুন বাংলালিংকের মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজিং।
এবার বাঘের বিচরণ বিশ্বব্যাপী
আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য কি করতে হবে তাই কন। কত খরচ পরবে ইত্যাদি ইত্যাদি