আমরা এমন এক জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি। সেই মাতৃভাষাকে সহজ, সরল ও সুন্দর করে লিখতে, বলতে বাংলা ব্যাকরণ এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর বাংলা ব্যাকরন –এ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এক কথায় প্রকাশ। একাধিক পদকে একটি শব্দে প্রকাশ করতে আমরা এক কথায় প্রকাশ ব্যবহার করি। একে বাক্য সংকোচন বা বাক্য সংক্ষেপণ –ও বলা হয়।
৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি (প্রাইভেট ব্যাংক) ও ইসলামি ব্যাংক এর চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাংলা ব্যাকরণ অংশের এক কথায় প্রকাশ নিয়ে ডেভেলপার টীম WikiReZon এই প্রয়োজনীয় অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে।
এই অ্যাপটিতে প্রায় ৫০০০+ এক কথায় প্রকাশ রয়েছে। এ অ্যাপটি মূলত পঞ্চম থেকে অষ্টম, নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরন, এস এস সি, এইচ এস সি, ভর্তি পরীক্ষা, ইসলামী ব্যাংক প্রস্তুতি, ব্যাংকে পরিক্ষা সহ, চাকুরী পরীক্ষায়, ব্যাংক পস্তুতি, ব্যাংক জব প্রিপারেশন, জব গাইড, জব সার্কুলার, জব প্রিপারেশন, জব প্রস্তুতি, জব, বিসিএস প্রিলিমিনারি, বিসিএস, ব্যাংক জব প্রিপারেশন, ব্যাংক প্রশ্ন, বিসিএস সিলেবাস, 10 to 38th BCS Question, বিসিএস প্রশ্ন সমূহ, বিসিএস প্রিলি এর সুচি, বিসিএস ইন্টারভিউ, বি সি এস, বি সি এস প্রশ্ন ও সমাধান bcs model test, bcs exam preparation, bcs question, bcs preparation book, bcs english preparation, 38th bcs question bank, 2017 bcs all question bank, Bangla Literature ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। আশা করা যায় যারা এই অ্যাপটি ইনস্টল করবেন, তারা বাক্য সংকোচন নিয়ে হতাশ হবেন না। ইনশাআল্লাহ।
অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ
অহংকার নেই যার- নিরহংকার
অশ্বের ডাক- হ্রেষা
অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি- দক্ষ
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা- অনুসন্ধিৎসা
অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে- অনুসন্ধিৎসু
অপকার করবার ইচ্ছা- অপচিকীর্ষা
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃষ্যকারী
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয়- নাতিশীতোষ্ণ
অবশ্য হবে/ঘটবে যা- অবশ্যম্ভাবী
অতি দীর্ঘ নয় যা- নাতিদীর্ঘ
অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য
অগ্রে জন্মেছে যে- অগ্রজ
অনুতে/পশ্চাতে/পরে জন্মেছে যে- অনুজ
অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম
অন্য উপায় নেই যার- অনন্যোপায়
অনেকের মাঝে একজন- অন্যতম
অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা
আচারে নিষ্ঠা আছে যার- আচারনিষ্ঠ
আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা যার- আত্মকেন্দ্রীক
আকাশে চরে যে- খেচর
আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ
আট প্রহর যা পরা যায়- আটপৌরে
আপনার রং লুকায় যে/যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা
আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী
আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতম্মন্য
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত
ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক
ইতিহাস বিষয়ে অভিঞ্জ যিনি- ইতিহাসবেত্তা
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে- জিতেন্দ্রিয়ি
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক
ঈষৎ আমিষ/আঁষ গন্ধ যার- আঁষটে
উপকার করবার ইচ্ছা- উপচিকীর্ষা
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ
উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন
একই সময়ে বর্তমান- সমসাময়িক
একই মায়ের সন্তান- সহোদর
এক থেকে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে
একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ
কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয়
কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য
সহজে নিবারণ করা যায় না যা/কষ্টে নিবারণ করা যায় যা- দুর্নিবার
সহজে লাভ করা যায় না যা/কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ
কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয়
ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ
কউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে
গোপন করার ইচ্ছা- জুগুপ্সা
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত- চাক্ষুষ
চৈত্র মাসের ফসল- চৈতালি
জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত
জানার ইচ্ছা- জিজ্ঞাসা
জানতে ইচ্ছুক- জিজ্ঞাসু
জ্বল জ্বল করছে যা- জাজ্বল্যমান
জয় করার ইচ্ছা- জিগীষা
জয় করতে ইচ্ছুক- জিগীষু
জানু পর্যন্ত লম্বিত- আজানুলম্বিত
তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী
তীর ছোঁড়ে যে- তীরন্দাজ
দিনে যে একবার আহার করে- একাহারী
দীপ্তি পাচ্ছে যা- দীপ্যমান
দু’বার জন্মে যে- দ্বিজ
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর
নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক
নিজেকে যে বড়ো মনে করে- হামবড়া
নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ
পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী- প্রিয়ংবদা
পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে- জাতিস্মর
পান করার যোগ্য- পেয়
পান করার ইচ্ছা- পিপাসা
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি
বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী
বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন
ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ
বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি- বৈজ্ঞানিক
বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক
বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ
বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ
ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা
মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু
মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয়
মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময়
মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ
মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ
মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড়
মন হরণ করে যা- মনোহর
মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী
যা দমন করা যায় না- অদম্য
যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয়
যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার
যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব
যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ
যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত
যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান
যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ
যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়
যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত
যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয়
যা জলে চরে- জলচর
যা স্থলে চরে- স্থলচর
যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর
যা বলা হয় নি- অনুক্ত
যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর
যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী
যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল
যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ
যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত
যা আঘাত পায় নি- অনাহত
যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু
যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব
যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর
যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য
যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য
যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য
যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য
যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য
যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয়
যা পানের অযোগ্য- অপেয়
যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত
যা বলা হয়েছে- উক্ত
যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায়
যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয়
যার আকার কুৎসিত- কদাকার
যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু
যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু
যার কিছু নেই- অকিঞ্চন
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ
যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে
যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা
যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা
যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া
যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা)
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল
যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ
যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা
যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা
যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা)
যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত
যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা
যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া
লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা
শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা
শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম
শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন
সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন
সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন
স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ
সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা
আমি কামরুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 51 টিউনারকে ফলো করি।