আজকে আবারও আমি নতুন একটি টিউন নিয়ে ফিরেছি। আশা করছি আপনাদের ভাল লাগবে। এটা আমার কুইক চার্জ টেকনোলজি ৪.০ প্লাস বিষয়ক টিউন। আশা করছি আজকের টিউনটি পড়ে নতুন চার্জিং টেকনোলজি ৪.০ প্লাস সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
আজকে আমি কুইক চার্জ টেকনোলজি ৪.০ প্লাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে টেকনোলজির অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, সেই তুলনায় ব্যাটারি টেকনোলজি খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর নির্মাতা কোয়ালকম ব্যাটারির দ্রুত চার্জ নিয়ে রিসার্চ করে যাচ্ছে।
রিসেন্টলি কোয়ালকম ঘোষণা করেছে কুইক চার্জ টেকনোলজি ৪.০ সম্পর্ককে। যেখানে বলা হয়েছে এই টেকনোলজি টি আগের (কোয়ালকম কুইক চার্জ ৪.০) থেকে 15% দ্রুত 30% ar বেশি এফিসিয়েন্ট এবং 3 ডিগ্রী পর্যন্ত কুলার। এই টেকনোলজি সর্বপ্রথম নুবিয়া জেড১৭ স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে দেখা যায়। ভবিৎষতে প্রিমিয়াম স্মার্ট ফোন গুলোর মধ্যে এই টেকনোলজি টির ব্যবহার আমরা দেখতে পারবো।
কুইক চার্জ ৪.০+ টেকনোলজি টি সাধারণত তিনটি ধাপে কাজ করে থাকে।
ডুয়েল চার্জ এবিলিটি
এই টেকনোলজি প্রথমে ব্যবহার করা হয়ে ছিল কুইক চার্জ ৪.০ ভার্সন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ঠিক একই টেকনোলজি কে আরো ইম্প্রোভ করে তৈরি করা হয়েছে। যেমন ধরুন এই পার্ট এ পাওয়ার আইসি ম্যানেজমেন্ট চিপ ইউজ করা হয়েছে। এই আইসি প্রধান কাজ হলো কারেন্ট কে দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া। তার মানে এই আইসি টি কন্ট্রোল করে, কতটুক কারেন্ট কোন ডাইরেকশন যাবে। আর এই ডিভিশন এর কারনে থার্মাল ডিসেপশন অনেক কম হয়। যার কারণে আমরা চার্জিং টাইম অনেক ফাস্ট পেয়ে থাকি।
ইন্টেলিজেন্ট থার্মাল ব্যালেন্সিং
এখন আসা যাক ইন্টেলিজেন্ট থার্মাল ব্যালেন্সিং পার্ট এ। ইন্টেলিজেন্ট থার্মাল ব্যালেন্সিং এর কাজ হল, আমরা জানি, ডুয়েল চার্জ এর ক্ষেত্রে, কারেন্ট দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে থার্মাল ব্যালেন্সিং এর কাজ হল, দুটি পার্টএর মধ্যে যে পার্ট এ টেম্পারেচার লো থাকে। ঠিক সেই পথে ব্যবহার করে কারেন্ট কে পাস কর করে দেয়। যাতে করে ডিভাইস টি হটস্পট না হয়। আউটপুট হিসেবে আমাদের ডিভাইস টি কুলেস্ট অথবা ঠান্ডা থাকবে পাওয়ার ডেলিভারি স্মুথলি হবে। যার ফলে আমরা পাব অপটিমাইজড ফাস্ট চার্জ।
অ্যাডভান্স সেফটি ফিচার
এই অপশনটি আপনার ডিভাইসের কানেক্টর অথবা কেসিং-এর টেম্পারেচার মনিটর করে থাকে। যাতে করে সেই ডিভাইসটিতে কোনরকম শর্ট কানেকশন অথবা ওভারহিটিং না হয়। যখন সবগুলো সিস্টেম এক সাথে কাজ করবে তখন খুব কম সময়ে আমাদের ডিভাইস অনেক দ্রুত ফুল চার্জ করা যাবে। এই প্রযুক্তি, এখনো বর্তমান বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা কিন্তু, আশা করা যায় কোয়ালকম খুব তাড়াতাড়ি জনসাধারণ কাছে পৌঁছে দিবে।
যদিও আমাদের ব্যাটারির প্রযুক্তি আপগ্রেডেশন অনেক ধীরগতির বলে মনে হচ্ছে, নির্মাতারা এই সমস্যা গুলো কিভাবে সমাধান করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এই টেকনোলজি গুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় কোম্পানি মধ্যে রয়েছে স্যামসাং এর Adaptive Fast Charge, ওয়ানপ্লাস এর Dash Charge এবং, Oppo Vooc Charge এমনকি গুগল তাদের নিজস্ব চার্জিং প্রযুক্তি যুক্ত করতে যাচ্ছে। তবে তাদের থেকে কোয়ালকম এর ফাস্ট চার্জ.4.0 + প্রযুক্তিটি অনেক জনপ্রিয়।
এই ফিচার গুলো কুইক চার্জ টেকনোলজি ৩.০ এবং ২.০ ডিভাইস এ ইন্ট্রিগেটেড হয়ে যে ডিভাইস গুলোতে কুইক চার্জ টেকনোলজি ২.০. এবং ৩.০ সাপের্ট করে। যেমন ধরুন স্মার্ট ফোন, ওয়াল এডাপ্টারস, কার চার্জেরস, পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাঙ্ক, এবং USB হাব ইত্যাদি তবে সেই ডিভাইস গুলোতে ও খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে।
ফ্রেন্ডস চার্জিং টেকনোলজি নিয়ে জল্পনা কল্পনার কোনো শেষ নেই, সময়ের সাথে টেকনোলজি চেঞ্জ হতে থাকবে,
কুইক চার্জিং টেকনোলজি সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে নিচে লিংক মাধ্যমে ছবি সহ বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে ৷ আসা করছি আপনাদের বুঝতে কোন সমস্যা হবে না।
আমার আগের টিউন গুলো দেখে আসুন।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি আফিফ আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 9 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।