নতুন দায়িত্ব পাওয়া মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেছেনে, মন্ত্রী হিসেবে তাঁর সর্বাধিক অগ্রাধিকার কাজ হবে দেশে ইন্টারনেটের মূল্য কমানো এবং টেলিটক কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা। কিন্তু মন্ত্রীমহোদয় কাজগুলো কিভাবে করবে তা হয়তো বেশ কয়েকদিন পর আমরা জানতে পারবো। আশায় রইলাম।
মন্ত্রী মহোদয় দেশের প্রযুক্তি সেক্টরে কি পরিবর্তন করে তা দেখার আগে আমার একটি আইডিয়া দেশের প্রযুক্তি প্রেমিদের কাছে শেয়ার করলাম।
আইডিয়াটা হচ্ছে টেলিটক কে ঘিরে।
এই মুহুর্তে আমাদের টেলিটক লাভে আছে কিনা জানি না। তবে টেলিটককে যে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন অদৃশ্য শক্তি নেটওর্য়াক সম্প্রাসরণসহ নানা দিকে বেড়েঁ ওঠতে দিচ্ছে না তা পুরোপুরি পরিষ্কার। এখন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় দেশের প্রযুক্তির জন্য টেলিটককে ঘিরে এক শুভ উদ্যোগ গ্রহন করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এ মুহুর্তে বাংলাদেশে যারা ফোন ব্যবহার করছেন তারা নতুন করে টেলিটকের সীম কিনবেন কিনা সন্দেহ আছে। যদি সীমই না কিনে তবে টেলিটক যে ভালো সেবা দেয় সেটা গ্রাহক বা দেশবাসি কিভাবে বুঝবে? সুতরাং শেষে হয়তো মাননীয় মন্ত্রীও মুখ ফিরিয়ে নেবেন।
তবে সে উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আমার আইডিয়াটি এমন:::
১। মাননীয় প্রযুক্তি মন্ত্রী যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে, মন্ত্রনালয়সহ গ্রাম পর্যন্ত সকল সরকারি অফিসের বর্তমান যে মোবাইল নাম্বারটি রয়েছে তা টেলিটকে রুপান্তর করা। অথবা যে সকল অফিস এখনো সরকারি নাম্বার নেয়নি সে সকল অফিস নতুন মোবাইল নাম্বার টেলিটক থেকে নেয়া।
২। দেশে সরকার নিয়ন্ত্রনাধীন সকল সরকারি, আধা সরকারি এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান সকল অফিসের মূল নাম্বার টেলিটকের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
৩। কিন্তু ইতোমধ্যে যে সকল সরকারি অফিস বিভিন্ন কোম্পানীর নাম্বার সরকারি নাম্বার হিসাবে ব্যবহার করছেন, সে নাম্বারগুলো অপরিবর্তি রেখে অপারেটটি টেলিটকে কনভার্ট করা। অপারেটর কনভার্ট প্রক্রিয়াটি এমএনপি সেবার মাধ্যমে করতে হবে। এ জন্য গত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ইনফোজিলিয়ান বিডি নামক প্রতিষ্ঠান কে ফোনের নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ বা এমএনপি সেবার যে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তার মাধ্যমে সেবাটি দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা।
৪। টেলিটকের টকটাইম ব্যালেন্স দিয়ে সব রকম সরকারি ফি পরিশোধ করা যাবে এমন সেবা চালু করতে হবে। তবে এখন সীমিত কিছু করা যায়.
৫। এ সিদান্তগুলো নেয়া হলে বিশেষ করে এমএনপি সেবা চালু হওয়ার সাথে সাথে টেলিটক লাখ লাখ কনর্ভাটেট গ্রাহক পেয়ে লাভবান কোম্পানীতে পরিণত হতে থাকবে এবং গ্রাহকদের মাঝে দেশ প্রেম জাগ্রত হবে।
৬। দেশের প্রতিটি নাগরিক টেলিটক সীম কিনতে বাধ্য হবেন।
৭। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে টেলিটক দিয়ে একজন গ্রাহকও যদি কোন কল না করে, তবুও অন্য কোম্পানী থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ কল টেলিটকে প্রবেশ করবে। যার জন্য কলের আন্ত: সংযোগ ফি বাবত প্রতিমাসে টেলিটক বিভিন্ন কোম্পানী থেকে কোটি কোটি টাকা প্রাপ্য হবেন।
৮। একই সময়ে অন্য কোম্পানী গুলো সরকারি সিদ্ধান্ত এবং এমএনপি সেবার কারণে লাখ লাখ গ্রাহক হারিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। ফলে বাধ্য হয়েই তারা সেবার মান বৃদ্ধিসহ সাশ্রহী সেবা দিতে শুরু করবে এবং দেশবাসি উপকৃত হবে।
৯। অন্যদিকে টেলিটক দেশের বৃহত্তম পেশা ভিত্তিক নাম্বার সিরিজ বা প্যাকেজ চালু করে গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পারে। যেমন: টেলিটক শিক্ষক, টেলিটক ডিফেন্স, টেলিটক ব্যাংকার ইত্যাদি।
সর্বশেষ মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন দেশে ইন্টারনেটের দাম কমাবেন। ভালো কথা সেটা তিনি টেলিটক দিয়েই শুরু করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। সে রকম কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই আমরা নিশ্চিত হবো আসলে তিনি দেশের টেলিকম সেক্টরের ক্যান্সার দূর করতে পারবেন।
আমি সানা উল্লাহ সানু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 71 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
দেশ কে আর দেশীয় পণ্য কে ভালোবাসি। নিজে কে ভালোবাসি দেশের মতো।
নেটওয়ার্ক কি তো কাজ করে না..