মোবাইল ফোন বিষয়ক কিছু চটকদার তথ্য যা হয়তো আপনি জানেন না। চলুন যেনে নিই।

আসসালামু আলাইকুম।

নিশ্চই ভালো আছেন সবাই? বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্ধ অংশ হল মোবাইল ফোন। সভ্যতার এ যুগে এই জিনিষটা ছারা আমরা একেবারে অচল। ক্রমশ মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠছে মোবাইল ফোন। কেউ যদি একদিনের জন্যও বাড়িতে ফোন রেখে কাজে বেরিয়ে পড়েন, তবে সেদিন তাঁকে নানারকম সমস্যার মধ্য দিয়েই পার করতে হয়। মোবাইল ফোন সম্পর্কিত বেশ কিছু মজার তথ্য ছড়িয়ে রয়েছে ইন্টারনেটের আনাচে কানাচে যা আপনি হয়তো জানেন অথবা জানেন না। যদি না জেনে থাকেন তবে তা আপনার ভালো লাগতে পারে। চলুন তবে জেনে নিই এমন কিছু তথ্য।

১. প্রথম বোবাইল ফোন কলঃ

১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মোবাইল ফোন থেকে প্রথমবার কল করা হয়েছিল। মটোরোলার জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী মার্টিন কুপার প্রথমবারের মতো সেলুলার টেলিফোনে বা মোবাইল ফোনে বিশ্বের প্রথম ফোনকলটি করেছিলেন। তাঁর তৈরি এই মোবাইল ফোনটির নাম ছিল ‘ডায়না টিএসি’। আর সেটি কিন্তু মোটেও আধুনিক ফোনের মত ছিল না। কেমন ছিল চলুন দেখি

২. মোবাইল ফোনের প্রথম বানিজ্যিক বিপননঃ

সারা বিশ্বের মধ্যে সর্ব  প্রথম ফোন বিক্রয় শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথম মোবাইল ফোন বিক্রি শুরু হয়। প্রতিটি ফোনের দাম ছিল সে সময়কার চার হাজার মার্কিন ডলার। বাংলা টাকায় যার পরিমান দারায় ৩,১২,০০০ টাকা মাত্র। আর হ্যা সেগুলো কেমন ছিল জানেন।

৩. সব থেকে বেশি বিক্রিত ফোনঃ

আন্দাজ করতে পাচ্ছেন কোনটা হতে পারে সব থেকে বেশি বিক্রিত ফোন। আপনার উত্তর যদি হয় নোকিয়া ১১০০ তাহলে আপনি শত ভাগ সঠিক।২০০৩ সালে বাজারে আসার পর থেকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে নকিয়ার তৈরি ১১০০ মডেলের ফোনটি। ২৫ কোটির বেশি বিক্রি হয়েছে এই মডেলের ফোনটি। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া হ্যান্ডসেট ও বিশ্বের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া কনজুমার ইলেকট্রনিকস ডিভাইস। (আমার কাছে এখনও একটা আছে। আর এটাই আমার জীবনের প্রথম ফোন কিনেছিলাম ২০০৫ সালে)

৪. ফোনের প্রতি আসক্তি ও রোগঃ

বর্মাতমান সময়ে নুষের মোবাইল ফোনের প্রতি নির্ভরতা এতটাই বেড়ে গেছে যে এতে আসক্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। অনেকের মধ্যে নমোফোবিয়া বা মোবাইল হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তি যুগে স্মার্টফোনটি কিছুক্ষণ ব্যবহার করতে না পারলে মনে যে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে এক ধরনের অ্যাংজাইটি বলে অভিহিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ধরনের সমস্যা তাদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যাচ্ছে যারা ১৯৮০ সালের পর জন্মেছেন। এ ধরনের রোগীদের পরীক্ষার জন্য বিশেষ প্রশ্ন তৈরি করতে হয়েছে গবেষকেদের।স্মার্টফোন বেশ কিছুক্ষণ ব্যবহার না করার কারণে যে অস্বস্তি বা ভীতি ভর করে তাকে বলা হচ্ছে 'নমোফোবিয়া'। এখন আপনি এ রোগে আক্রান্ত কিনা তা শনাক্ত করতে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব পেতে হবে। লোয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ প্রশ্নের তালিকা প্রস্তু করেছেন। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়। এদের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে ১-৭ পয়েন্টের স্কেলে। এখানে যারা ১ পয়েন্টের অন্তর্গত তারা কঠোরভাবে নমোফোবিয়ার সঙ্গে একমত নন। আর যারা ৭ পয়েন্ট পেয়েছেন তারা কঠোরভাবে নমোফোবিয়ায় আক্রান্ত।

৫. এবারে একটা মজাদার তথ্যঃ

যুক্তরাজ্যের মানুষ সবচেয়ে বেশি মোবাইল ফোন টয়লেটের মধ্যে ফেলে দেয়। শুধু যুক্তরাজ্যেই প্রতি বছর এক লাখের বেশি ফোন টয়লেটের ভেতর পড়ে। (বিবিসির তথ্য মতে)

আজ এপর্যন্তই। নিজে ভালো থাকুন ও অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

 

Level 0

আমি শাকিল আহম্মেদ শিমুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 122 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি শাকিল আহম্মেদ শিমুল। আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ ।..তবে মনের ভুলে মাঝে মাঝে কিছু অসাধারন কাজ অবস্য করে ফেলি। তবে তা কি ভাবে করি নিজেই জানিনা। নতুন প্রযুক্তির প্রতি আমার প্রবল আকর্ষন নবাগত যে কোন প্রযুক্তিই ভালোলাগে তাই সারা জীবন কাটাতে চাই প্রযুক্তির সাথে।...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সুন্দর টিউন!

হাহাহা। “যুক্তরাজ্যের মানুষ সবচেয়ে বেশি মোবাইল ফোন টয়লেটের মধ্যে ফেলে দেয়। শুধু যুক্তরাজ্যেই প্রতি বছর এক লাখের বেশি ফোন টয়লেটের ভেতর পড়ে। (বিবিসির তথ্য মতে)” 🙂 🙂 😀