মোবাইল ফোন এখন দৈনন্দিন জীবনে বেসিক চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা অনুসারে এখন নানা ধরনের মোবাইল পাওয়া যায়। এক সময় মানুষ শুধু কথা বলার জন্য মোবাইল ব্যবহার করতো। এখন এটা অনেক ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
মানুষ এখন কম্পিউটারের সকল কাজ এই মোবাইল নামক ছোট যন্ত্র দ্বারা মেটাতে চাই। কারণ মানুষ এখন খুব বেশি যান্ত্রিক হয়ে গেছে। তারা সবসময় এখন কাজ এবং যান্ত্রিক বিনোদন পছন্দ করে। যে কারণে নিত্য-নতুন মোবাইলে চপক দিচ্ছে বিশ্ব প্রযুক্তি নির্মাতারা। সবথেকে কম দামের মোবাইল থেকে আছে সর্বোচ্চ দামের মোবাইল ফোন।
আচ্ছা সব থেকে দামি মোবাইল বলতে তাঁর দাম এবং দেখতে কেমন হতে পারে। কিনতে না পারি দেখতে তো ইচ্ছা করে নাকি? আসুন তাহলে জেনে নিই বিশ্বের সব থেকে সেই ১০ টি দামি মোবাইল।
প্লাটিনামের তৈরি এই ফোনটি বাজারজাত করছে ভারচু। এই ফোনটি বিশ্বের দামি মোবাইল ফোন গুলার মধ্যে ১০ নম্বর দখল করে নিছে। প্রায় ২০০ পিস ডাইমন্ড বসানো আছে এই ফোনে। ফোনটির ম্যাক্সিমাম কাজ হাতে করা। ফোনটির দাম ৮৮, ০০০ ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
আইফোন প্রিন্সেস প্লাসের অন্যান্য আইফোনের মতই দেখতে, তাহলে কি আছে এই মোবাইলের ভেতর যে বিশ্বের দামি মোবাইল হিসেবে স্থান করে নিল। বিশ্বের দামি সোনা ছাড়াও এই ফোনে আছে ১৩৮ প্রিন্সেস কাট এবং ১৮০টি সবচেয়ে দামি এবং সুন্দর হীরার টুকরা। এই উল্লেখযোগ্য আইফোনটি ডিজাইন করেছেন পিটার আলোসন, অস্ট্রিয়া। ফোনটির দাম ১, ৭৬, ৪০০ ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
বিশ্বের সবথেকে দামি ফোনের ৮ নম্বর স্থানটি দখল করে নিছেন সনি এরিকসনের এই ব্ল্যাক ডাইমন্ড স্মার্টফোনটি। সনির ফোন হিসেবে এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এল, ই, ডি সহ সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি অতি মূল্যবান ডাইমন্ড, যার একটি আছে নেভিগেশন বাটনে এবং অন্যটি পেছনের অংশে। এই অত্যাধুনিক ফোনটির দাম রাখা হয়েছে ৩ লক্ষ ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
কোবরা নামের এই ফোনটিও তৈরি করছে ভারচু, যা বিশ্বের দামি ফোনের ৭ নম্বর স্থানটি নিয়ে নিল। ফোনটার নাম কোবরা রাখার কারণ ফোনের সাইডে কোবরা চিহ্ন সম্বলিত। ফোনটা ডিজাইন করছেন ফ্রান্সের একটি জুয়েলারি কোম্পানি। ফোনটির উল্লেখযোগ্য দিক এটাতে আছে একটি পিয়ার কাট ডাইমন্ড, চারিদিকে সাদা ডাইমন্ড, দুটি মূল্যবান পান্না চোখ এবং ৪৩৯টি অমূল্য ধাতু। দাম প্রায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা।
এই ঐতিহ্যবাহী বিলাসবহুল মোবাইল ফোনটি বাজারে এনেছে গ্রেসো এবং এটার নাম দেওয়া হয়েছে গ্রেসো লুকজোর লাস ভেগাস জ্যাকপট। ফোনটি প্রথম প্রকাশ করা হয় সুইজারল্যান্ডে ২০০৫ সালে। ফোনটির ব্যাক পার্ট তৈরি আফ্রিকার ২০০ বছরের পুরানো বন্য কাঠ দিয়ে। এই কাঠ বিশ্বের সবথেকে দামি কাঠ। এই ফোনটির কীগুলা তৈরি নীলকান্তমণি স্ফটিক দিয়ে। ফোনটির দাম ১ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা।
উইন্ডোজ নির্ভর এই ফোনটির নির্মাতা লাক্সরি এক্সসেসোরিস নির্মাতা পিটার আলিসন। ফোনটি সজ্জিত ৫০ টি অতি মূল্যবান ডাইমন্ড, যার মধ্যে আছে ১০ টি অপ্রতুল নীল ডাইমন্ড এবং কিছু কিছু অংশ গোলাপি গোল্ড দিয়ে। কিডন্যাপ এবং ব্ল্যাকমেইল থেকে সুরক্ষা দিতেও আছে বিশেষ কিছু ফিচার এই ফোনটিতে। ফোনটির দাম রাখা হয়েছে ১.৩ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ১০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
গোল্ডভিস লি মিলিয়ন নামের এই অসাধারণ ফোনটি নির্মাণ করেছেন বিশ্ব বিখ্যাত ডিজাইনার ইমানুয়েল গুয়েল্ট, যিনি বিশ্বের অনেক উল্লেখযোগ্য জুয়েলারি এবং তাক লাগানো পণ্য উপহার দিয়েছেন। এই দামি ফোনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায় সুইজারল্যান্ডে। এই ফোনটি ২০০৬ সালে বিশ্বের সবথেকে দামি ফোন হিসেবে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেয়। ফোনটির ক্রেতা ফ্রান্সের অধিবাসি। ফোনটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য এটিতে আছে ১৮ হাজার সাদা সোনা এবং ২০ ক্যারেটের ভিভিএস১ ডাইমন্ড। ফোনটির দাম ১.৩ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলা টাকায় ১০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
বিশ্বের সবথেকে দামি মোবাইল হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩য় স্থান ধরে রেখেছেন আইফোন ৩জি কিংস বাটন নামের অ্যাপেলের এই ফোনটি। অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার পিটার আলোসন এই ফোনটিরও নির্মাতা। ১৩৮ টি খুব দামি ডাইমন্ড দেওয়া হয়েছে এই ফোনে। ৬.৬ ক্যারেটের সাদা ডাইমন্ড দিয়ে এই ফোনের হোম স্ক্রিন তৈরি, যেটা এই ফোনের আসল আকর্ষণীয় লুকিং। ফোনটির দাম ২.৪ মিলিয়ন, যা বাংলা টাকায় ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
সুপ্রিম গোল্ড স্ট্রাইকার নামের বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ফোনটাও আইফোনের। ফোনটির বিশেষ ফিচারের মধ্যে আছে সলিড ২২ হাজার সোনা ২৭১ গ্রামের। এবং স্ক্রিন ৫৩ টি ১ ক্যারেট ডাইমন্ডের। হোম বাটন তৈরি হয়েছে ৭.১ ক্যারেটের অপ্রতুল ডাইমন্ড দিয়ে। এটাই শেষ না, এই ফোনে আছে বিশ্বের সবথেকে দামি ধাতু গ্রানাইট এবং কাশ্মীর গোল্ড। ভেতরের অংশ তৈরি দামি শস্য লেদার দিয়ে। দাম কতো হতে পারে তাহলে এই ফোনের? ফোনটির দাম মাত্র ৩.২ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
বিশ্বের সবথেকে দামি ফোনের প্রথম স্থানটি এই ডাইমন্ড রোজ আইফোন ৪ টি দখল করে রেখেছেন সন্মানের সহিত। এই ফোনের তুলনা ও নিজে। ফোনটি ডিজাইন করেছেন স্টুইয়ার্ড হুগস। ফোনটির ফ্রেম তৈরি গোলাপ পাপড়ির মতো দেখতে ৫০০ নিছিদ্দ্র অতীব দামি ডাইমন্ড দিয়ে (যা নাকি ১০০ ক্যারেট সমমূল্যের)। ব্যাকপার্টও তৈরি গোলাপি রঙের অপ্রতুল সোনা দিয়ে। আর সবথেকে আকর্ষণীয় হল ব্যাকপার্টের অ্যাপেল লোগোটি তৈরি হয়েছে ৫৩টি অসাধারণ দামি ডাইমন্ড দিয়ে। সামনের নেভিগেশন বাটনটি তৈরি চারপাশ প্লাটিনাম এবং মধ্যের অংশে গোলাপি রঙের এবং অপ্রতুল ফ্লোলেস ডাইমন্ড দিয়ে। এই ফোনটার দাম কতো হতে পারে একটু গেস করবেন আপনারা? আমি নিজে অবাক হয়েছি এই ফোনের দাম শুনে। দাম ৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ৬৪ কোটি টাকা। গেনিস বুক এখন কোথায়?
পৃথিবীর সব থেকে দামি ফোন নিয়ে খুব সম্ভবত এটাই বাংলাতে লেখা প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিভিউ!
তথ্যসূত্রঃ গেনিস বুক, ফোর্বস নিউজ, ম্যাশবেল এবং ওন্ডারস লিস্ট ২০১৫
উৎসর্গঃ টেকটিউনস
অনেক কষ্ট করে তথ্য সংগ্রহ করে লিখলাম। ভবিষ্যতে আমি আসছি ঠিক এরকমই তথ্যবহুল কিছু লেখা নিয়ে।
টিউমেন্ট, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। খারাপ হোক/মানুষ হাসাহাসি করুক তারপরও ধীরে ধীরে নিজে লিখতে থাকলে একদিন আপনিও ভালো টিউন রাইটার হবেন। আজ যারা ভালো টিউন করে সবাই সেভাবে হয়েছে।
আমি কপি-পেস্ট কোন টিউন করবো না ওয়াদা করেছি, আপনি করেছেন তো?
আমি ফেসবুক | টুইটার | গুগল প্লাস | আমার ব্লগ
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
মাত্র এই কয় টাকা।
আমি আজকেই 20-30 পিস আনতেছি ।
:(:(