আসসালামুয়ালাইকুম
• International Brand বলতে Sony,Samsung,Htc ইত্যাদি
আর
• National Brand বলতে Symphony,Walton আরকি
আজকে এই দুটির মধ্যে আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে শেয়ার করব।
Sony আমার প্রিয় Brand।২০১৩ তে আমি Sony Xperia T কিনি second hand.মোবাইলটি Root করে আমার ইচ্ছে মত চালাতে থাকি। দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় আমি মোবাইল নিয়ে busy থাকি। মাদক এর প্রতি আমার নেশা না থাকলেও মোবাইল এর প্রতি আমার চরম নেশা। যাইহোক প্রতিদিন ২বার ফুল চার্জ দেওয়া লাগে। এভাবে আমি ১০ মাস ব্যাবহার করি। এই ১০ মাসে আবার ৩ বার মোবাইলটা Flash মারি। কোন রকম সমস্যা ছাড়া ১০ মাস পর মোবাইলটা বিক্রি করে দেই।
তারপর কিনি Symphony w92 second hand.যার কাছ থেকে কিনি সে ৬ মাস ব্যাবহার করেছে। সে ব্র্যান্ড নিউ কিনে ছিল ১২ মাসের warranty সহ। তাহলে আমিও বাকি ৬ মাসের Warranty পাব কিন্ত তার কাছ থেকে warranty card টি নিতে আমি ভুলে যাই। যেই দিন কিনি সেইদিনই মোবাইলটি root করে ফেলি। আমি ভুলে একটি system app ডিলেট করে ফেলি ফলে মোবাইল এর IMEI নাম্বারটি চলে যায়। Flash মারার জন্য servicing দোকানে গেলাম কিন্ত তাদের কাছে অরিজিনাল রম পেলাম না। ভাবলাম কাস্টমার কেয়ার এ দেখে আসি। গেলাম এক ভদ্রলোক বলল কি সমস্যা ? বললাম সিম সাপোর্ট করছেনা imei নাম্বার মুছে গেছে। root করেছিলাম সেটা বলেনি কারন রুট করলে warranty বাতিল হয়ে যায়। উনি বললেন মাদার বোর্ড এর সমস্যা। মাদার বোর্ড পালটাতে হবে। যদি warranty থাকে তাহলে বিনামূল্যে আর না থাকলে ৫০০০ টাকা পে করতে হবে। আমি মনেমনে ভাবলাম উনি ত সমস্যাই ঠিক ভাবে বুঝলনা কাজ কিভাবে করবে। আমি customer care থেকে চলে আসলাম। servicing দোকানে গিয়ে আবার রম খোঁজতে থাকলাম একপরযায়ে পেলাম এবং Flash মারলাম। মোবাইল ঠিক হয়ে গেল। সপ্তাহ ২ পর অন্যরকম সমস্যা হতে লাগলো। মোবাইল পকেটে থাকলে মাঝে মাঝে অফ হয়ে যায় পাওয়ার বটন চাপলেও মোবাইল অন হতনা ব্যাটারি খুলে আবার লাগানর পর অন হত। আবার লক অবস্থায় আনলক বাটন চাপলে স্ক্রীন সাথে সাথে জ্বলে ঊঠতনা কয়েকবার চাপার পর জ্বলত। এরকম ভাবে ১ সপ্তাহ ব্যাবহার করি। পরে দেখি আরেক সমস্যা মোবাইল কোন কারনে বন্ধ করলে মাঝে মাঝে অন হয় আবার মাঝে মাঝে অন হয় না। কিছু দিন পর মোবাইল আর অন হয় না। servicing দোকানে গেলাম মোবাইল মিটার দিয়ে মেপে দেখলো সব ঠিক আছে। উনি বলল ফ্ল্যাশ মারতে হবে। ফ্ল্যাশ মারতে নিলাম কিন্ত ফ্ল্যাশ নিচ্ছেনা। তখন বলল হিট দিতে হবে এক হলে মোবাইল ঠিক হবে তা না হলে আর কখনো ঠিক হবেনা। আমি হিট মারালামনা ভাবলাম ঢাকায় নিয়ে দেখাব। এই ভেবে বাসায় মোবাইলটা ফেলে রাখলাম। ১ মাসও ঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে পারলাম না।
এখন বলব Walton Primo X2 এর কথা।কি বিরক্ত হচ্ছেন! বিরক্ত না হয়ে পড়েন আসা করি কিছু বুঝতে পারবেন।আমি সাধারণত পুরান মোবাইলই কিনে থাকি কারণ money is problem for me। Primo X2 মোবাইলটি পুরান কিনি। যার কাছ থেকে কিনি সে ৩-৪ মাস ব্যাবহার করেছে। মোবাইল পুড়ো নূতনের মতো। ২ দিন পর মোবাইলে CUSTOM ROM install করতে গিয়ে মোবাইলের imei মুছে ফেলি। ফলে এই মোবাইলটির ও ফ্ল্যাশ মারার প্রয়োজন পরে। ফ্ল্যাশ মারি। ইতি মধ্যে একটি সমস্যা মনে হল টাচ ঠিক ভাবে কাজ করছেনা। notification panel টি নামাতে গেলে একদম উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আঙ্গল দিয়ে নামানো লাগে তা না হলে notification panel টি অর্ধেক নেমে আবার উপর এ চলে যায় । ডানে – বামে যেতে হলে আঙ্গল পুরো ডান থেকে বামে নিয়ে যেতে হয়। এক কথায় টাচ properly কাজ করতনা। ৪-৫ দিনপর সমস্যা বাড়তে থাকল। আগের symphonir মত সমস্যা হতে লাগলো। লক অবস্থায় আনলক বাটন চাপলে স্ক্রীন সাথে সাথে জ্বলে ঊঠতনা কয়েকবার চাপার পর জ্বলত। আবার মাঝে মধ্যে মোবাইল এর সাউন্ড হত না restart দিলে ঠিক হত আবার কিছু সময় পর আবার চলে যেত। এই সমস্যা দেখে আমি তারাতারি মোবাইলটা বিক্রি করে দেই। যা দিয়ে কিনি তার থেকে ৩ হাজার টাকা কমে। যাক টাকাটা তো ফিরে পেলাম তা না হলে Symphonir মত Dead হয়ে যেত।
তারপর কিনি Samsung Glaxy S4. অসাধারন Performance। Root করে ২মাস ধরে ব্যাবহার করছি বিন্দু মাত্র সমস্যা পাইনি।
আমার পরিচিতদের কিছু তথ্য:
আমার এক বন্ধু Symphony w150 নতুন ক্রয় করে। সে ভাল ভাবে মোবাইল ব্যাবহারও করেনা। শুধু কল করে আর গান শুনে আর মাঝে মধ্যে গেম খেলে। ৬-৭ মাস পর তার মোবাইল এর টাচ এ সমস্যা দিল। warranty থাকার কারনে সে Symphony কেয়ার থেকে সে বিনামূলে্য ঠিক করে আনে। আরেকটা কথা সে যখন মোবাইল টা নতুন ক্রয় করে আমি তখন Xperia T মোবাইল ব্যাবহার করি। সে আমাকে বলল বন্ধু তর মোবাইলএ কি আছে যা আমার মোবাইল এ নাই, আমি তখন তার কথার উত্তর দিতে পারিনি। আমি শুধু বলি তুই এটা পরে বুঝতে পারবি।
এলাকার এক ছোট ভাই Symphony 140 নতুন ক্রয় করে। মোবাইলে গেম খেললে নাকি মোবাইল নষ্ট হয়ে যায় সে ভয়ে সে কখনো গেম খেলত না। তারপর ও তার মোবাইলের টাচ ৩ মাস পর সমস্যা দেয়া শুরু করে।
আমার অভিজ্ঞতা:
১. ১০০০ টাকার জিনিসে ১০০০ টাকারই কাঁচামাল দিবে আর ৫০০০ টাকার জিনিসে ৫০০০ টাকারই কাঁচামাল দিবে।
২. যদিও দেশী ব্রান্ডের দাম কম সাধে্যর মধ্যে কিন্ত তা সিমিত সময় ভোগ করার জন্যে।
৩. Symphony,Walton মোবাইল গুলো একবার flash মারলেই Processor দুরবল হয়ে পরে।
৪. অনেকখন ব্যাবহার করলে মোবাইল স্লো হয়ে যায়।
আমি ভাল বাংলা লিখতে পারিনা। অনেক কষ্টে টিউনটা করলাম। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
আমি সাজ্জাদ হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 100 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আপনার লেখা অনেকের কাজে আসবে…এগুলোকে বলা হচ্ছে দেশী ব্র্যান্ড, আসলেই কী তাই ? তবে হ্যাঁ অনেক নামী দামী ব্র্যান্ডও এখন লো কস্টের কারনে চায়না থেকে তৈরী করে। চায়নার তৈরী মানসম্মত অনেক কিছুই আছে। চায়নার নিজস্ব কিছু ব্রান্ড Huawei,ZTE’র অনেক পন্য SAMSUNG,SONY,HTC’র মত শীর্ষস্থানীয় এশিয় ব্রান্ডের সাথে আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করছে । তবে Non Brand হিসাবে বহু ফোন তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন দেশের বাজারে একই রকম কনফিগারে একই রকম দেখতে তবে ভিন্ন ভিন্ন নামে। আমাদের প্রফেশনে Symphony,Walton,Micromax ..বা x y z ব্র্যান্ডগুলোকে ধইঞ্চা বলা হয়ে থাকে