আস সালামু আলাইকুম।
আশা করি মহান আল্লাহপাকের রহমতে সকলেই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন এই প্রত্যাশা রইল।
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের বিষয়টি সম্পর্কে সকলেই কম-বেশি কিছু জানেন। তবুও আমাদের মাঝে এমন কোন ভাই-ব্রাদার আছেন যাদের হয়তো বেশ কিছু কথা জানা নেই। কিছু জানার প্রয়াসে আজকের এই উপস্থাপনা। মাফ চাইছি সকলের কাছে যদি অতিরিক্ত কিছু বলে থাকি। আর এই বিষয়ে একাধিক টিউন হয়ে থাকতে পারে। আমি নতুন মাত্রা যোগ করার চেষ্টা করছি। জানিনা, সফল হলাম কি না।
বন্ধুরা, মোবাইল আমাদের জীবনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ। আজকালকার দিনে মোবাইল ছাড়া আমরা একটি দিনও কল্পনা করতে পারি না। খাজনার চেয়ে বাজনাই বেশি করে থাকি। অর্থ্যাৎ কথা বলার চেয়ে মোবাইল দিয়ে ফেসবুকিং, গেমিং, ব্রাউজিং ইত্যাদিং করেং থাকিং। আমি এমন কাউকেও দেখেছি যিনি কাজ না থাকাও পরেও মোবাইলের বাটন এমনি এমনি টেপাটেপি করেন। (চুপচুপ করে একটা কথা বলি, প্রথমবার মোবাইল কেনার পর আমি নিজেও এরকম করতাম) আমরা ভেবে দেখিনা বেচারী ব্যাটারীর উপর দৈনিক কত অত্যাচার করছি। একটু বুঝে সমঝে চললে বাড়াতে পারি ব্যাটারীর আয়ু। বন্ধুরা, আসুন এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক।
---- বরাবরের মত জানিয়ে রাখছি, টিউনের তথ্যাদি নেট, বিভিন্ন বই ও পত্রিকা থেকে সংগ্রহ কর।
- সবসময় অরজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন। নকিয়ার সাথে শুধু নকিয়া চার্জারই ব্যবহার করুন। চার্জ দেয়ার পূর্বে অবশ্যই মোবইল অফ করে নেবেন।
- যদি বলেন আমি পিসিতে ইউ.এস.বি ক্যাবল দিয়ে চার্জ দেই, তাহলে আমি লা-জওয়াব।
- চার্জ সম্পুর্ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত চার্জার খুলবেন না বা চার্জ দেয়া বন্ধ করবেন না।
- চার্জ দিতে দিতে যদি বিদ্যুৎ মহাশয় চলে যায় তাহলে চার্জার খুলে নিতে আর কোন প্রতিবন্ধকতা রইবে না।
- পক্ষান্তরে, চার্জ ফুল হবার পর চার্জার হতে মোবাইল আলাদা করবেন। লম্বা সময় ধরে চার্জার লাগিয়ে রাখবেন না । আমারা অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় চার্জে দিয়ে ঘুমাই, এতে করে ফুল চার্জ হওয়ার পরও অনেকক্ষন চার্জার লাগানো থাকে । এতে ব্যাটারীর ক্ষতি হবার পাশাপাশি বিস্ফোরণও হবার সম্ভাবনা থাকে।
- আপনার মোবাইল একটা, কিন্তু ব্যাটারী দুটো। একটা আলাদা রাখতে হলে সেটি শুষ্ক জায়গায় আবদ্ধ অবস্হায় রাখুন ।
- মোবাইল ফোন নিয়ে অনেকেই ভাবেন পুরোপুরি চার্জ দেব, নাকি অল্প দেব? চার্জ শেষ হয়ে গেলে আবার চার্জে দেব, নাকি অল্প চার্জ বাকি থাকতেই দেব? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে বলছেন, একটা সময় রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলোতে পূর্ণ চার্জ দিলে এবং সেই চার্জ শেষ করে আবার চার্জে দিলে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করত। গত কয়েক বছরে ব্যাটারির উপাদান ও চার্জ দেওয়ার এই নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনকার অধিকাংশ মোবাইল ফোনে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার দেখা যায়। এ ধরনের ব্যাটারিতে যখন ২০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ থাকে, তখন সবচেয়ে ভালো কাজ করতে দেখা যায়। তাই সময়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এ নিয়মটি মেনে চললে ভালো। - চেষ্টা করবেন 'Auto Charger' দিয়ে যেন চার্জ দিতে না হয়।
- ফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ব্যাটারীর আয়ু। মোবাইল ফোনের মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ব্যাটারির আয়ু দ্রুত শেষ করে ফেলতে সক্ষম। এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করলেও ব্যাটারি থেকে চার্জ খরচ করতে পারে।
- মোবাইল ফোনটি যদি সব সময় বেশি গরম হয়, তখন ফোনটির ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মোবাইল কেনার সময়ই সর্তকতা অবলম্বন করবেন।
- চার্জ দেওয়ার সময় যদি খেয়াল করেন যে চার্জার অনেক গরম হয়ে যাচ্ছে তাহলে চার্জার খুলে কিছুক্ষন রেখে অন্য সকেটে কানেক্ট করে দেখুন ।
- ব্যাটারি দীর্ঘায়ু করতে ঘন ঘন চার্জ দিন, তবে চার্জ দেওয়াটা যেন আবার অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে না যায়। চার্জ কমে গেলে যেমন চার্জ দেবেন কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণ শেষ করে ফেলবেন। আপনার ফোনের ব্রাইটনেস বা ঔজ্জ্বল্য যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখবেন। ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন অ্যাপ্লিকেশনটি বেশি চার্জ খরচ করছে, সেটি খুঁজে বন্ধ করে দিন।
- কোনো কারনে ব্যাটারী নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে তাহলে যে কোম্পানীর ব্যাটারী কিনবেন সাথে ঐ কোম্পানীর চার্জারও কিনবেন।
- জিপিআরএস/এজ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো বেতার সংযোগগুলো প্রয়োজনের সময় ছাড়া বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, এই সংযোগগুলো চালু থাকলে সেগুলো নিকটবর্তী সংযোগের উৎসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকে। আর এই সময়ে যে পরিমাণ ব্যাটারি খরচ হয়, তা সেবা ব্যবহারের সময়ের চেয়েও বেশি।
- মোবাইলে কাজ করার সময় যদি ব্যাটারী গরম হয়ে যায় তাহলে তৎক্ষনাৎ কাজ বন্ধ করে দিন । বেশি গরম হয়ে গেলে মোবাইল বন্ধ করে ব্যাটারী কিছুক্ষনের জন্য খুলে রাখুন।
- ই-মেইল, ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটারসহ আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপলিকেশনে ‘পুশ নোটিফিকেশন’ থাকলে মোবাইল ফোনটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্ভার থেকে নতুন তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে প্রয়োজন না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর ফোনটি নিজের মতো করে কাজ করবে, আর চার্জ খরচ হবে। সুতরাং কি করতে হবে নিজেই বুঝতে পারছেন।
এক কথায় আরও কিছু তথ্যাদি নিচে পেশ করা হল-
- অকারনে মোবাইল এর ব্লু-টুথ অন করে রাখবেন না । প্রয়োজন শেষ হলে ব্লু-টুথ অফ করে রাখুন ।
- আমরা অনেকে কীপ্যাড এর শব্দ এবং ভাইব্রেশন ব্যবহার করি যা অপ্রয়োজনে করা উচিত নয় ।
- মোবাইল এর ডিসপ্লেতে আলো কমিয়ে রাখুন ।
- পাওয়ার সেভার টাইমআউট এ সর্বনিম্ন ভ্যালু ব্যবহার করুন ।
- কোন অ্যাপ্লিকেশন এর কাজ শেষ হলে টা বন্ধ করে রাখাই উত্তম ।
- মোবাইল এ গেম খেলতে কম বেশি সকলেরই বেশ ভাল লাগে কিন্তু এতে ব্যাটারির আয়ুস্কাল কমে যায় । তাই এদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত ।
- যদি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক না পায় তাহলে মোবাইল টি বন্ধ করে আবার চালু করে দেখুন তাও যদি না পায় তবে মোবাইল টি বন্ধ রাখুন কারণ নেটওয়ার্ক সার্চ এর জন্য প্রচুর চার্জ ব্যবহৃত হয় ।
আবারও ক্ষমা চাই অনেকের জানা বিষয়গুলো পুনরায় উপস্থাপন করে আপনাদের বিরক্ত করার জন্য। সকলেই ভাল থাকুন আবারও এই কামনা রইল।
আল্লাহ হাফিজ।।
onek kichu janlam,,,kintu আমি পিসিতে ইউ.এস.বি ক্যাবল দিয়ে চার্জ দেই