অনেকে মনে করেন স্মার্টফোন মানেই দামি। কিন্তু বাজারে একটু খোজ নিলেই মিলবে কম দামী বেশ কিছু স্মার্টফোন।
স্যামসাং গ্যালাক্সি স্টার
বেশি ও কম, সব ধরনের দামের স্মার্টফোন রয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজে। অ্যানড্রয়েড জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেমের স্যামসাং স্টারে রয়েছে ৩ ইঞ্চির টিএফটি ডিসপ্লে এবং ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ফোন মেমোরি ৪ গিগাবাইট, যা এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত। রয়েছে ১ গিগাহার্জ কর্টেক্স প্রসেসর ও ৫১২ মেগাবাইটের র্যাম। একবার চার্জে কথা বলা যাবে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই থাকলেও নেই থ্রিজি। প্রথমবারের মতো যারা স্মার্টফোন কিনতে যাচ্ছেন, তারা এ ফোনটি দিয়ে অ্যানড্রয়েড জগতে প্রবেশ করতে পারেন।
দাম : ছয় হাজার ৯০০ টাকা
হুয়াউইর 'অ্যাসেন্ড ২০০' মডেলের স্মার্টফোনে আছে কোয়ালকম ৮০০ মেগাহার্টজের স্ন্যাপড্রাগন সিরিজের প্রসেসর, ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম, ৫১২ মেগাবাইট ধারণক্ষমতার অভ্যন্তরীণ মেমোরি (মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে) এবং অ্যাড্রিনো ২০০-এর জিপিইউ। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানড্রয়েডের ২ দশমিক ৩ জিঞ্জারব্রেড সংস্করণ। ছবি তোলার জন্য ৩ দশমিক ১৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা থাকলেও কোনো ফ্রন্ট ক্যামেরা নেই। তাই থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও সেটটি দিয়ে ভিডিও কল করা যাবে না। এর ৩.৫ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটি টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির। ১৪০০ অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সেটটিতে মাইক্রো সিম ব্যবহার করতে হবে।
দাম : আট হাজার ৩৫০ টাকা
এলজি অপটিমাস এল৪ টু ডুয়াল ই৪৪৫
স্যামসাংয়ের মতো কোরিয়ান আরেক শীর্ষ ডিভাইস তৈরির প্রতিষ্ঠান এলজি। তাদের কম দামের অপটিমাস এ৪ টু ফোনটি অনেকের পছন্দ। অ্যানড্রয়েডচালিত এই ফোনে রয়েছে ৩.৮ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে। ৩.২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও রেকর্ড করা যাবে, ক্যামেরার সঙ্গে ফ্ল্যাশও আছে। ফোন মেমোরি ৪ গিগাবাইট, যা মেমোরি কার্ড দিয়ে বাড়ানো যাবে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত। জিপিএস, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ওয়াইফাই হটস্পট, থ্রিজি ও ডুয়াল সিম সুবিধাও রয়েছে। এটির শক্তিশালী ব্যাটারি দিয়ে কথা বলা যাবে টানা সাড়ে দশ ঘণ্টা।
দাম : ১২ হাজার ৫০০ টাকা
স্মার্টফোনের বাজারে অ্যানড্রয়েডের সঙ্গে বেশ ভালোই লড়াই করছে উইন্ডোজ ফোন। কম দামের উইন্ডোজ ফোনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে 'নকিয়া লুমিয়া ৫২০'-এর মধ্যে ব্যতিক্রম। এর দাম তুলনামূলক কম। এতে রয়েছে ৪ ইঞ্চির দাগ প্রতিরোধক আইপিএস ডিসপ্লে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়- এই দুই প্রজন্মের নেটওয়ার্কই কাজ করে নকিয়ার এ স্মার্টফোনে। ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করা যাবে উচ্চমানের ভিডিও। চতুর্থ প্রজন্মের ব্লুটুথ ও ওয়াইফাইয়ের পাশাপাশি থ্রিজি প্রযুক্তিও রয়েছে এতে। চলবে উইন্ডোজ এইট অপারেটিং সিস্টেমে। আছে এক গিগাহার্জ কোয়ালকম ডুয়াল কোর প্রসেসর, ৫১০ মেগাবাইট র্যাম, ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক পোর্ট ও আট গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি। বেশি তথ্য রাখতে সর্বোচ্চ ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশের বাজারে হলুদ, লাল, সাদা ও কালো রঙে পাওয়া যাচ্ছে লুমিয়া ৫২০।
দাম : ১৪ হাজার ৯৫০ টাকা
সনি এক্সপেরিয়া টিপো
সনির বিখ্যাত এক্সপেরিয়া সিরিজের সবচেয়ে কম মূল্যের ফোন এটি। এতে ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, মাইক্রোইউএসবি, থ্রিজি জিপিএসসহ স্মার্টফোনের প্রায় সব সুবিধাই রয়েছে। ৩.২ ইঞ্চির ডিসপ্লেটি দাগ প্রতিরোধক। ফোনের মেমোরি ২.৯ গিগাবাইট। তবে বাড়তি মেমোরি কার্ড লাগানো যাবে। অ্যানড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ চালিত ডিভাইসটি দিয়ে একটানা ৩০ ঘণ্টা গান শোনা যাবে। যাঁরা বেশি গেইম খেলেন ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন, তাঁদের এ ফোনটি পছন্দ হতে পারে গতির জন্য।
দাম : ১৪ হাজার টাকা
আমি দেলোয়ার হোসেন দিহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 79 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হুম ভালো পোষ্ট।