দেশ-বিদেশে কম রেটে আলাপ করার প্রযুক্তি আইপি টেলিফোনি (Internet Protocol Telephone) ছাড় করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (BTRC)। অতি সীঘ্রই এটি গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। দেশের নামকরা এক হোটেলে একই সাথে ১৬টি আইপি টেলিফোনি কোম্পানী তাদের সেবা দেয়ার ঘোষনা দেবে। এ নিয়ে চলছে এখন আয়োজন ও তোড়জোড়। গত বছর ৩২টি আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে এই সেবাটি চালুর জন্য অনুমোদন দেয়া হয় এবং এর জন্য ব্যাংক গ্যারান্টিসহ নেয়া হয় ২৫ লাখ টাকা। তখন অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হচ্ছিল এ সেবা চালু হতে ৩মাসের মত সময় লাগবে। এরপরই বাংলাদেশ যুক্ত হবে টেলিকম সেবার আরেক নতুন দিগন্তে। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও Bandwidth এর সাহায্যে একমাত্র টেলিকম সেবা দেবে আইপি টেলিফোনি অপারেটররা গ্রাহকের কাছে যাচ্ছেন এ মাসেই। প্রাথমিক ভাবে আইপি টেলিফোনি টু আইপি টেলিফোনি কলের ক্ষেত্রে কোনো চার্জই নেয়া হবে না। কেবল ১০০ টাকা নেয়া হবে রেজিষ্ট্রেশন ফি হিসাবে। তবে আইপি টেলিফোনি থেকে মোবাইল ফোনে কল করার জন্য চার্জ নেয়া হবে মিনিট প্রতি ৬৫ পয়সা আর দেশের বাইরে কল করার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত রেটের সাথে আরো ১সেন্ট যুক্ত হবে। ল্যান্ডফোন ও পিএসটিএন অপারেটরে কথা বলার রেট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই শুরুটা সম্পূর্ন দেশী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে গড়ে উঠছে। দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপিরা এ লাইসেন্স পেয়েছেন। এই আইপি টেলিফোনির মাধ্যমে যে সব সেবা পাওয়া যাবে তাহলো ভয়েস ও ডেটা এবং গ্রাহকরা দেশে ও বিদেশে কল করতে পারবেন। আর এর জন্য শুধু সরকারের চার্জ সরকারকে বুঝিয়ে দিলেই হলো। আইপি টেলিফোনি ব্যবহার করার জন্য গ্রাহকদের আইডি নম্বর দেয়া হবে। বিভিন্ন কোম্পানির আইএসএন'র কোডগুলো হলো- মঞ্জুর কোড ০৯৬০২, বিডিকমের কোড ০৯৬৬৬, ঢাকা কমের কোড ০৯৬১১, লিঙ্ক থ্রি'র ০৯৬৭৮ ও অগ্নির কোড ০৯৬০৬। কোড ও গ্রাহক আইডি নম্বর মিলে পুরো আইডি হবে ১১ সংখ্যার। এটি হ্যান্ডসেট, ফিক্সড সেট ও কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে। তবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ব্যবহার করতে হলে হেডসেট লাগবে। এই সার্ভিসটি আগেও ছিল কিন্তু তা ছিলো অবৈধ। তখনকার বিদেশের কল গুলো ভেঙে ভেঙে আসত কিন্তু এখন সেই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। এখনকার আইপি টেলিফোনিতে সরাসরি ও ক্লিয়ার ভয়েস পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের হ্যান্ডসেট লাগবে। এই সার্ভিস চালু হলে তা বাংলাদেশের বাজারে সহজেই মিলবে। হ্যান্ডসেটের দাম জিএসএম হ্যান্ডসেটের চেয়ে খানিকটা বেশি হতে পারে কারন এতে দুই রকমের সুবিধা পাওয়া যাবে। আইপি টেলিফোনি যে হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে, সেই সেটে আবার পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওযার্ক বা পিএসটিএন সেবাও নেয়া যাবে। অর্থাত আইপি টেলিফোনিও পিএসটিএন'র মতো সিডিএমএ প্রযুক্তির সেবা। এ ছাড়াও জিএসএম বা সিডিএমএ এর অনেক উন্নতমানের হ্যান্ডসেটে আইপি ডায়ালার রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আইপ ডায়লার ব্যবহার করেও আইপি টেলিফোনি সেবা নেয়া যাবে। কম্পিউটারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারের ডায়ালআপের যে সিস্টেম সে সিস্টেমেই এটি ব্যবহার করা যাবে। চলমান গ্রাহকরা যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেছেন এসব হ্যান্ডসেটে জিপিআরএস ও এজ থাকলে এতেও আইপি টেলিফোনি সেবা গ্রহন করা যাবে। পুরো বাংলাদেশেই নাকি এটি ব্যবহার করা যাবে। বিটিআরসি তাদের সর্বোচ্চ আইপি টু আইপি চার্জ নির্ধারণ করেছে ২০ পয়সা। এটি আপাতত তারা না নিলেও পরে নিবেন। উদ্যোক্তারা বলেছেন এই সেবাটি সাশ্রয়ী ও দ্রুততম সময়ে এটি ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। তবে এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর বা পিএসটিএন অপারেটরদের পক্ষ থেকে নাকি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আমি khaled_virus। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 59 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
like this service