ঘুমের অভাব যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত ঘুমে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যারা দিনে আরামসে 10 থেকে 12 ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটান তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মারাত্মক কিছু উপহার।
বিজ্ঞানের ভাষায় অতিরিক্ত ঘুমানোকে সাধারণত Hypersomnia or Hypersomnolence বলে। কেউ যদি ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমায় তবে তাকে অতিরিক্ত ঘুম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত ঘুমের কারণ:
আমাদের দেশের মায়েরা সাধারণত আয়রনের অভাবে ভুগেন। যাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে বিশেষত তারা বেশি সময় ধরে ঘুমাতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি অবসন্নতায় যারা ভোগেন তারা বেশি সময় ধরে ঘুমান। অ্যালকোহল বা কোন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারনেও এরকম হতে পারে। এসো আমাদের দেশে সকালের দিকে একটু বৃষ্টি হলে বা আব্বু আছে তুই তো ঠান্ডা থাকে তাহলে তো অনেকে বারোটার আগে ঘুম থেকে উঠে না।
অতিরিক্ত ঘুমের ফলে যা হতে পারে:
১.বেশি ঘুমালে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়৷ যার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
২. বেশি ঘুমালে শরীরের কোনও মুভমেন্ট হয় না ফলে ক্যালোরি বার্ন হয় না যার ফলে অতিরিক্ত মেদ জমে। বেশি না ঘুমিয়ে ব্যায়াম করুন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩.ভয়ানক হলেও সত্যি এটাই। অত্যধিক ঘুম আয়ু কমিয়ে দেয়। রোগ না হলেও যারা বেশি ঘুমান তারা অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যান।
৪.খুব বেশি ঘুম আপনার চিন্তাশক্তি দুর্বল করে দেয়৷ ফলে কোনো কিছু মনে রাখতে না পারা, মাঝে মধ্যেই ভুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়
আপনি যা করতে পারেন?
সব সময় চেষ্টা করবেন রুটিন অনুযায়ী দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করার। দৈনিক সময়মতো ঘুম যাওয়ার ও ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন। কয়েকদিন বিরক্ত লাগলেও কিছুদিন ক্রমাগত চালিয়ে যাওয়ার পর সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। এস আপনাকে আলকোহল জাতীয় খাবার এবং সন্ধ্যার পর ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
আমি মনিরুজ্জামান মুন্না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।