বর্তমান সময়ে পিত্তথলিতে পাথর হওয়া অতি সাধারণ একটি রোগ। সাধারণত জিনগত সমস্যা বা খাদ্যাভ্যাসের কারণে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও যারা দ্রুত তার শরীরের মেদ কমাতে চান তাদের ক্ষেত্রে সংকা থাকে অনেক বেশি।
যারা থাকেন পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি:
১.যারা বেশি তেল বা চর্বি যুক্ত খাবার খান।
২. স্থূলতা।
৩. জিনগত কারণে।
৪. অনিয়মিত খাবার।
সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। মেয়েদের তুলনায় কম আক্রান্ত হলেও পুরুষরাও এই অসুখের বাইরে নয়। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, হরমোনাল অসুখ, কোলেস্টেরলের বাড়াবাড়ি পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। দু বেলা খাবারের মাঝে অনেকক্ষণ বিরতি থাকলেও এই সমস্যা বাড়ে।
কিভাবে বুঝবেন:
সাধারণত রোগী পেটের উপরের অংশে দীর্ঘ সময় ব্যথা অনুভব করেন। বেশিরভাগ রোগী এটিকে গ্যাসের সমস্যা ভেবে গ্যাস্টিকের ঔষধ সেবন করে। মনে রাখবেন এ ব্যথা পেটের উপরের অংশ মূলত ডানদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে, পেটের উপরের দিকে ও। বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে সাথে হালকা জ্বর থাকতে পারে।
কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে আবার কোন লক্ষণই দেখা যায় না। হঠাৎ পরীক্ষা করাতে গিয়ে ধরা পড়ে। পিত্তথলিতে পাথর হলে অপারেশন করে পাথরসহ পিত্তথলি ফেলে দেওয়া উচিত। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পাথর গলানোর গেল ও তা সময় সাপেক্ষ এবং আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ সমস্যা সমাধানে করণীয় :👇👇
গলব্লাডারে পাথর জমলে অপারেশন ছাড়া গতি নেই। তবে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে এই রোগ ঠেকানো সম্ভব। অপারেশনের পরেও দ্রুত শরীর সারিয়ে তোলা যায়। তার জন্য পরিমিত খাবার, জীবনযাপনে কিছুটা সংযম, বিয়েবাড়ি বা পার্টিতে মেপে খাওয়া, অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা—এই সব মেনে চললে রোগের ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। নিচে কিছু টিপস ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হলো:
১.ভাজা, তেলমশলাদার খাবার একেবারেই নয়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চর্বি যুক্ত মাংস, আইস-ক্রিম, যে কোনও ক্রিম জাতীয় খাবার, পিৎজা, সস, চকোলেট এবং যাবতীয় বার্গার থেকে শত হাত দূরে থাকুন।
২.ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। যেমন, শাকসবজি, ফল, হোল-গ্রেন তথা ব্রাউন রাইস, আটা–জোয়ার–বাজরা ইত্যাদির রুটি, ব্রাউন ব্রেড, খোসাওলা ডাল ইত্যাদি।
৩.ওজন যাতে না বাড়ে সে দিকে খেয়াল রাখুন। বেড়ে গেলে রাতারাতি কমানোর চেষ্টা না করে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে সময় নিয়ে কমান।
৪.আপেল: আপেলে অন্যান্য এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্টের সাথে প্রচুর পরিমাণ ম্যালিক এসিড থাকে ; এর বিস্ময়কর পুষ্টিদায়ক সুবিধার জন্য একটি জনপ্রিয় প্রবাদ রয়েছে.
"An Apple A Day Keeps the Doctor Away "
আপেলে প্রাপ্ত ম্যালিক এসিড পিত্তথলির পাথর গলাতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন একটি করে আপেল নিয়মিত গ্রহণ করুন।
৬.লেবুর শরবত:লেবুর শরবত পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবুর রস আপেল সিডার ভিনেগারের মতোই কাজ করে ; এটিও লিভার থেকে কোলেস্টেরল নিঃসরণে বাঁধা দেয় এবং পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত দিনে তিনবার লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে গ্রহণ করুন।
আমি মনিরুজ্জামান মুন্না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।