প্রিয় টেকটিউনস বন্ধুরা সবাই নিশ্চয় প্রতিপালকের অশেষ কৃপায় ভালোয় আছেন। বরাবরের মতো আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশের অতি পরিচিত কয়েকটি রোগ [পর্ব-০১] নিয়ে কথা বলবো।
তো চলুন আজকে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাই।
মুখের বিভিন্ন জায়গার প্রদাহ, ঘা বা ক্ষতকে মুখের ঘা (Inflammation of the Mouth) বলা হয়। অপরিষ্কার মুখে জীবাণুর সংক্রমণ, পেটের অসুখ এবং ভিটামিনের অভাবে (ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি) এ রোগ হয়ে থাকে। আবার কোন কোন সময় অতিরিক্ত ধুমপান, ধারালো দাঁতের ঘর্ষণ এবং বেশি গরম খাদ্য খেলে মুখে ঘা হয়। আমাদের দেশে প্রধানতঃ শীতকালে মুখে ঘায়ের প্রকোপ অনেক বেশি। দীর্ঘ দিন জ্বরে ভোগার পরেও এ রোগ দেখা যায়। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে মুখ অপরিষ্কারজনিত কারণে জীবাণুর সংক্রমণে এ ঘা হয়। জিহ্বার উপর, ঠোঁটের ভিতর, দাঁতের মাড়ি, ঠোঁট ও গালের ভিতরে ছিলে যাওয়ার মত দগদগে লাল রং এবং ঘা দেখা যায়। ফলে ব্যথা অনুভূত হয় এবং ফুলে ওঠে। এর ফলে খাদ্যের সঠিক স্বাদ পাওয়া যায় না।
মুখের ভিতরে ব্যথাযুক্ত ঘা হয়। একা বা একাধিক ক্ষত হতে পারে। কয়েক সপ্তাহ থাকবে ও ব্যথা হবে। খাবারের অসুবিধা হবে কেননা জিহ্বা নাড়াতে ও খাদ্যদ্রব্য চিবাতে কষ্ট হয়।
কারণ:
পুষ্টির অভাবে এ রোগ হয়। তাছাড়া দাঁত অপরিষ্কার থাকলে এ রোগ হতে পারে। এক্ষেত্রে মাড়ি, ঠোঁট, মুখের তলা, গালের ভিতরের অংশে ঘা দেখা দেয়। মুখে ব্যথা হয় ফলে রোগী খেতে পারে না। জিহ্বা নাড়াতে কষ্ট হয়, খাদ্য চিবাতে পারে না এমনকি গিলতেও অসুবিধা দেখা দেয়। জিহ্বা লাল হবে এবং এতে ঘা ও ব্যথা হবে। লৌহের অভাব জনিত রক্তশূন্যতা থাকলে এ রোগের সাথে মুখের কোণেও ঘা থাকবে। এর সাথে ভিটামিন সি ঘাটতি থাকলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যাবে, লাল রং ধারণ করবে, নরম হবে, পূজ জমা হবে ও রক্ত বের হবে।
ক্যানডিডা এলবিকানস এবং মনিলিয়া ছত্রাক দ্বারা মুখগহ্বরের আবরণীর সদ্য প্রদাহ স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ সেবনের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এবং যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল তাদের এ রোগ দেখা দেয়। এর ফলে রোগটি মারাত্বক ভাবে বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে জিহ্বায় সাদা প্রলেপ পড়বে। মুখ গহ্বরের মধ্যেও সাদা সাদা প্রলেপ দেখা যাবে। খাদ্যনালি ও শ্বাসনালির উপরের অংশেও প্রদাহ হবে। ঢোক গিলতে কষ্ট হবে। চিকিৎসা না করলে ফাংগাস ফুসফুসের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে।
এটাকে Orolabial herpes ও বলে। এ রোগ যে ভাইরাস দ্বারা হয় সেটা হচ্ছে হারপেস সিমপ্লেক্স। এটা বাচ্চাদের বেশি হয়। তবে বড়দেরও হতে পারে। ঠোঁটের মারজিনে এ রোগ দেখা দিলে তাকে বলে Herpes labialis রোগ। এ রোগ বাংলাদেশে খুব কম দেখা যায়।
সিনকারা ও ছাফীসহ অন্য যেকোন একটি ঔষধ সেবন এবং কুলজম ব্যবহার করতে হবে।
সিরাপ সিনকারা- ৬ চা চামচ মাত্রায় দিনে ২ বার সেব্য
সিরাপ ছাফী- রাতে শয়ন কালে ২ চা চামচ ইত্যাদি ঔষধ সেবন করতে হবে সর্বোপরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
তো টেকটিউনস বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই দেখা আগামী কোনো পর্বে সে পর্যন্ত দোয়া করি সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি Abdur Rashid। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।