হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। এখন থেকে নিয়মিত আবার নতুন টিউন নিয়ে আমরা হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আর টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, ক্যান্সার হওয়ার জন্য সরাসরি জড়িত ৩৫টি কারণ নিয়ে যা আমাদের সবার জেনে রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। তো মূল আলোচনা শুরু করার আগে আপনাদেরকে ক্যান্সার নিয়ে একটি পর্যালোচনা দেখাবো।
বিজ্ঞানীরা এখন জানেন খুব বেশি মিষ্ট খাবার খেলে কেবল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ নয় তবে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার সক্রিয়ভাবে আপনার কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এখানেই কিন্তু শেষ নয়।
গবেষণা থেকে আরও জানা যায় যে চিনি শরীরে টিউমার হওয়ার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলে কারণ ক্যান্সার চিনিকে তার জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
"ক্যান্সারের কোষগুলো অস্বাভাবিক ভাবে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহনে ক্যান্সার এর বিকাশ ও বৃদ্ধি পেতে থাকে যা আপনাকে বিভিন্ন ক্ষতির দিকে ধাবিত করে" - বলেছেন বেলজিয়ামের আণবিক জীববিজ্ঞানী Johan Thevelein, তা তার ২০১৩ সালের একটি রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছিল।
তাছাড়া বিজ্ঞানীরা বলেছেন groundbreaking এর গবেষণার মাধ্যমে আরও ভাল ভাবে জেনেছেন যে, চিনি এবং ক্যান্সার কিভাবে একে অন্যের সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িত, এবং এতে কিভাবে একজন ক্যান্সার রোগী ডায়েট করবেন তার কৌশল তৈরিতে সাহায্য করবে বলে তারা ধারণা পোষণ করেন।
যেকোন খাবার প্লাস্টিকের মোড়কে বাজারজাত করা হয় এবং তা কয়েক মাস ধরে মজুত করে রাখা যায়, আর এর মাধ্যমে আপনি আপনার খুদা কে খুব সহজেই মিটাতে পারেন, তবে এটিও ক্যাসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, যারা খুব বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খান তারা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুনে বৃদ্ধি করেন।
তবে প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে কি কারণে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে তারা তার কারণ সঠিক ভাবে জানাতে পারে নি, তবে তারা দুটি কারণ বলেছে আর তা হল প্লাস্টিকের প্যাকেজিং বা খাবারে সংমিশ্রণ উপাদানের কারণে হচ্ছে কিনা তারা তা নিশ্চিত হতে পারেনি। আর যেহেতু তাদের গবেষণাটি পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত ছিল ফলে অন্য কোন গোপন কারণেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে তারা ধারণা করেছে।
যদিও তামাক শিল্প এটিকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে তবুও আমরা সবাই অনেক আগে থেকেই জানি যে তামাকের ধোঁয়ার মধ্যে কমপক্ষে ৭০টি ক্যান্সারজনিত রাসায়নিক রয়েছে।
আর এটি কেবল ধূমপায়ীদেরকেই আক্রান্ত করে এমন নয়, যারা পরোক্ষ ভাবে ধূমপান (অন্যের ধূমপানের ধোঁয়া) গ্রহণ করেন তারা আরও মারাত্মক ভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
তাছাড়া Centers for Disease Control and Prevention বলেছেঃ "যে অধূমপায়ীরা বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে ধূমপায়ীদের ধূমপানের সংস্পর্শে আসে তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি 20-30% বৃদ্ধি করে। "
আর যারা পানের সাথে তামাক পাতা বা সাদা পাতা অথবা গুল জাতীয় তামাকদ্রব্য সেবন করেন তারাও ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ভ্যাপিং নিয়ে এখনো খুব বেশি রিসার্চ হয়নি, একজন চীনা উদ্ভাবক ২০০৩ সালে প্রথম ই-সিগারেট আবিষ্কার করেছে। কিন্তু এই অল্প রিসার্চ এ যা ফলাফল পাওয়া গেছে তাও খুব উদ্বেগজনক।
২০১৯ সালে, বিজ্ঞানীরা ইঁদুরে উপর সম্পাদিত ভ্যাপিং এর প্রাথমিক রিসার্চে ফুসফুসের ক্যান্সার এবং মূত্রাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে জানার জন্য বিজ্ঞানিদের আরও রিসার্চ করা দরকার, তবে ফুসফুস বিশেষজ্ঞরা ভ্যাপিং এর ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে উদ্বিগ্ন কেননা এটি ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তারা মনে করেন।
তাছাড়া নর্থ ক্যারোলাইনা মেরিসকো লুং ইনস্টেকটিউনসউটের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াপিংয়ের পড়াশোনা করা প্রফেসর Robert Tarran আমাদেরকে জানানঃ "আমি (রবার্ট তারান) মনে করি যে, ভ্যাপিং এর মাধ্যমে ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধী কোষগুলো বৃদ্ধিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়"
স্কিন ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের মতে, ৩৫ বছরের আগে যারা ট্যানিং বিছানা বিছিয়ে সূর্যের তাপে রৌদ্রস্নান করেন তাদের মেলানোমা হওয়ার ঝুঁকি 75% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
আর আপনি যদি নিয়মিত রৌদ্রস্নান করেন তাহলে আপনি আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন, আর এজন্য আপনারকে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং ছায়াতে থাকার চেষ্টা করা উচিত, এভাবে আপনি ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় রোদে কাটাতে পারেন।
অনেক লোক প্রতিদিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করে থাকে। এদের মধ্যে অনেকেরই চাকরিতে কার্সিনোজেনিক পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তারা ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেঃ
ক্যান্সার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা International Agency for Research on Cancer রাতের বেলার কাজকে carcinogenic হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর তাই বিজ্ঞানীরা মনে করেন রাতের বেলার কাজে সাধারণ ঘুমের এবং জেগে ওঠার সময়ের পরিবর্তনের ফলে শরীরের ব্যাপক পরিবর্তন হয়।
আর্সেনিক, পৃথিবীর ভূত্বকের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গ, এটি বিষাক্ত যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েল এর পানিতে পাওয়া যায় অথবা যেখানে কৃষিকাজের জন্য সেচ দেওয়া হয় সেখানেও এই দূষিত পানির সন্ধান পাওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে ৫০ টি দেশের কমপক্ষে ১৪০ মিলিয়ন মানুষ উচ্চ মাত্রায় আর্সেনিকযুক্ত জল পান করে। (এটি তামাকের অন্যতম ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এজেন্ট। )
আগুনের ধোয়াতে রান্না করা মাংস আমাদের কাছে অনেক সুস্বাদু লাগতে পারে তবে এগুলো আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কেননা গ্রিল করা মাংসগুলোতে heterocyclic amines বা HCAs এবং polycyclic aromatic hydrocarbons বা PAHs নামের যৌগ থাকে।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টেকটিউনসউট এর মতে, গরুর মাংস, হাঁস-মুরগি বা মাছের মতো মাংস যখন উচ্চ তাপমাত্রায় গরম খোলা আগুনে বা প্যান-ফ্রাইডের উপরে রান্না করা হয়, তখন তারা আগুনের স্পার্ক মাংসে যে ফ্যাট ও রস থাকে তাতে লেগে যায় এবং তার ভিতরে বিপজ্জনক রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনও এই ব্যাপারে ইতিবাচক কোন মন্তব্য করেনি যে এই রাসায়নিকগুলোই ক্যান্সার সৃষ্টি করে, তবে ল্যাবে এই রাসায়নিক গুলো পরীক্ষা করে তাদের DNA পরিবর্তন করতে পারে তার প্রমান পাওয়া গেছে ফলে এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় তাতে কোন সন্ধেহ নেই।
অনেক বছর ধরেই বিজ্ঞানিরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, কয়লা খনিতে যে শ্রমিকেরা কাজ করেন তারা ফুসফুস, মূত্রাশয় এবং পেটের ক্যান্সার হওয়ার হার অনেক বেশি ছিল। যারা কয়লা খনিতে কাজ করেন বা কয়লার খনি থেকে কয়লা তুলার কাজ করেন, তারা কয়লার ধূলি তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে তাদের ফুসফুসে ঢুকে যায় আর এর ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আপনি যদি নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাহলে আপনি গলা, লিভার, ব্রেস্ট এবং কোলন ক্যান্সারের মত বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টেকটিউনসউট এর মত অনুসারে, "একজন ব্যক্তি যত বেশি অ্যালকোহল পান করবেন সে তত বেশি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। "
আর ১৯টি উচ্চ-আয়ের দেশে প্রায় ৬০ লাখ মদ্যপানকারীদের একটি এনালাইসিসে দেখা গেছে যে যারা বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেন তারা ডাইজেসটিভ সিস্টেমের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
বিশ্বজুড়ে ১৯৫ টি দেশ ও অঞ্চলভিত্তিক অ্যালকোহল পানকারীদের নিয়ে সাম্প্রতিক আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে চারজনের একজন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ ফর ক্যান্সার এর মতানুসারে ডিজেল তৈলের ৩০টিরও বেশি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় সুটকি মাছে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইটের পরিমাণে বেশি, এর ফলে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে। আর এই রাসায়নিক যৌগগুলো DNA এরও ক্ষটি করতে পারে, যার ফলে আমরা মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
Cancer Research UK মতানুসারে, "চীন থেকে আসা লোকেরা বা UK তে বসবাসরত চাইনিজ বংশধরদের মধ্যে অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর তুলনায় নাসোফেরেঞ্জিয়াল ক্যান্সারের হার বেশি, " এটি তাদের খাদ্যাভ্যাস এর কারণে হতে পারে বলে তাদের ধারণা তাছাড়া প্রচুর আচার জাতীয় খাবার খেলে আমাদের পেটের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পাথর উত্তোলন করতে যে সকল রাসায়নিকগুলো বায়ু এবং জলে মিশে গিয়ে আমাদের শরীরে বেনকিন এবং ফর্মালডিহাইড রাসায়নিকগুলো ক্যান্সার সৃষ্টি করে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে হট ডগ, হ্যাম, বেকন এবং সসেজের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। কেননা মাংসটিকে সংরক্ষণ বা স্বাদ ঠিক রাখার জন্য প্রিজারভেটিভ বা ফ্লেভার ব্যবহার করে থাকে যেমনঃ লবণ, ধোঁয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, লাল মাংসে কোলোরেক্টাল থাকে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি সৃষ্টি করে এবং মাংসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা অগ্ন্যাশয় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার তৈরি করে যার প্রমান বিজ্ঞানীদের কাছে রয়েছে তবে অনেকের মতে এই প্রমাণ ততটা শক্তিশালী নয়।
সাম্প্রতিক ১৫টি স্তন ক্যান্সারের রিসার্চে দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত অধিক হারে প্রক্রিয়াজাত মাংস খায় তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যারা খুব বেশি প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খান না তাদের তুলনায় ৯% বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
প্রতিদিন একটি হট ডগ বা এর সমপরিমান বা দু টুকরো মাংস খেলে আপনার শরীরে কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। যদিও সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানিয়েছে যে লাল মাংস খাওয়া আমাদের পক্ষে পূর্বের ধারণা মতো ততটা খারাপ নয়।
অ্যাসবেস্টোস বেশ কয়েক বছর ধরে ইনসুলেশন উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হত তবে এটি ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করে। তবে যেসব পণ্যে অ্যাসবেস্টোস রয়েছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়।
কয়েকটি রিসার্চে বলা হয়েছে যে, weed-killer (আগাছা-ঘাতক), যুক্তরাষ্ট্রে কৃষকদের ফসলে ব্যবহৃত একটি সাধারণ কীটনাশক এবং যা ফসলের মধ্যে non-Hodgkin lymphoma (NHL) উচ্চ মাত্রায় রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ জনেরও বেশি কৃষকরা ফেভারিটাল কোর্টে রাউন্ডআপ প্রস্তুতকারী মনসান্টো (now part of Bayer) এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তারা অভিযোগ করেছেন যে মনসান্টো যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২০১৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জুরি মন্টাস্তোকে একটি দম্পতির কাছে 2 বিলিয়ন ডলার বেশি অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা দাবি করেছিলেন যে তারা ৩৫ বছর ধরে রাউন্ডআপ ব্যবহার করার কারণে তারা নন-হজককিন লিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন (পরে একজন বিচারক এই দম্পতির পুরষ্কারকে কমিয়ে ৮ মিলিয়ন ডলার করে বলেছিলেন তার তাদের ক্ষতিপূরনের চেয়ে বেশি দিয়েছে)। এই কোম্পানিকে একজন বিচারক আদেশ করেছেন যে প্রতি বছর ৮০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করতে হবে যারা স্কুলের মাঠের আগাছা পরিস্কার করার জন্য ১ বছরে ৩০ বারের অধিক weed-killer (আগাছা-ঘাতক) ব্যবহার করতেছেন।
Bayer তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, গ্লাইফোসেট মানুষের মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টি করে তার কোন প্রমাণ নেই এবং প্রায়শই সারা বিশ্ব জুড়ে কৃষক এটা ব্যবহার করে থাকে, তাছাড়াও ৫৪ হাজার কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করে যার মধ্যে গ্লাইফোসেটের এবং কোন ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়া যায়নি।
তবে ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, রাসায়নিক স্প্রে গুলোতে যে রাসায়নিকের সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় তাতে অন্যসব রাসায়নিকের তুলনায় মাইলয়েড লিউকিমিয়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে এবং ২০১৯ সালের আরও একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, গ্লাইফোসেট এর কারণে লিম্ফোমার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি আরও বহুগুনে বৃদ্ধি করে।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকার কারণে ফসলে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তা আমাদের DNA কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে কিনা এখনও নিশ্চিত নন, তবে আরও অনেক গবেষণা এটা প্রমাণ করে যে যারা দিনের পর দিন এই রাসায়নিক সংস্পর্শে আসেন, যেমনঃ কৃষক এবং বাগানের মালী ইত্যাদি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। আর এই কীটনাশক প্রজাপতির জন্যেও ক্ষতিকর।
শ-মিলে যারা কাজ করেন এবং যারা কাঠের ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন তারা নিয়মিত কাঠ কাটা ও তাতে বিভিন্ন আকার দিতে গিয়ে নিশ্বাসের সাথে কাঠের গুড়া ঢুকে যায়, আর এর ফলে তাদের সাইনাস এবং নাকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অধিক হারে বেড়ে যায়।
যে মহিলাদের ঋতুস্রাবের শুরুতে বা পরে মেনোপজ যায় তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় কারণ তখন তারা ডিম্বাশয়ের দ্বারা তৈরি ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের সংস্পর্শে থাকে।
আর যারা মেনোপজের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এমন মহিলারা ইস্ট্রোজেন-প্রজেস্টিন থেরাপি নেওয়ার মাধ্যমে সহজেই ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন।
তাছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল যারা সেবন করেন তাদের জরায়ুত ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে, যদিও এমন আরও কিছু প্রমাণ রয়েছে যা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহারে অন্যান্য ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বহুগুনে বেড়ে যায় যেমনঃ এন্ডোমেট্রিয়াল (জরায়ু), কোলোরেক্টাল এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার।
কিছু ধরনের ভাইরাস রয়েছে যা পরোক্ষভাবে আমাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ, কিছু ভাইরাস রয়েছে যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে জিনগত ভাবে পরিবর্তন করতে পারে ফলে এর মাধ্যমে আমাদের ক্যান্সার হতে পারে।
আমেরিকান সোসাইটি অফ ক্লিনিকাল অনকোলজির চিফ মেডিকেল অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট Dr. Richard Schilsky স্মপ্রতি নিয় ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে বলেছিলেন যে, উল্লেখযোগ্য হারে ভাইরাসজনিত ক্যান্সারের হার বেড়েই যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সম্ভবত ২০-২৫% মানুষ etiologies ভাইরাসের ইনফেকশনে ভুগতেছেন।
আর CDC বলেছে, "ক্যান্সারের সাথে জড়িত ভাইরাসগুলো হল human papillomavirus (HPV), যা জরায়ুর ক্যান্সার সৃষ্টি করে, হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস, যা লিভারের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে; এবং অ্যাপস্টাইন-বার ভাইরাস, যার মাধ্যেম লিম্ফোমা হতে পারে। এছাড়াও, H. pylori জীবাণু গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে, HPV সম্পর্কিত সার্ভিকাল ক্যান্সার এবং hepatitis B সম্পর্কিত লিভারের ক্যান্সার উভয়টি প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিন রয়েছে।
কিছু ক্যান্সার রয়েছে যা বংশগত কারণে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম পর্যন্ত বয়ে যেতে হয়। জেনেরিক মিউটেশন কারণে এই সমস্ত বংশগত ক্যান্সারের প্রায় ৫-১০% পর্যন্ত ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টেকটিউনসউট বলেছে, "জিনগত পরিবর্তন যা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুনে বৃদ্ধি করে যা আমাদের পিতামাতার কাছ থেকে বংশগত ভাবে আমরা আমাদের শরীরে পেয়ে যাই, আর যদি পিতামাতার প্রজনন কোষে (ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু) জীবানু যুক্ত থাকে তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়"
উদাহরণস্বরূপ, কিছু ব্রেস্ট ক্যান্সার জেনেটিক মিউটেশনের কারণে হয়ে থাকে যেমনঃ BRCA1 এবং BRCA2 জিন।
স্থূলতার কারণে আপনি ব্রেস্ট, কোলন, মলদ্বার, খাদ্যনালী, কিডনি এবং অগ্ন্যাশয় সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তবে আপনি চাইলে এই ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন, আর তা করার জন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে, এই দুটি কাজ শুধু আপনাকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করবে না সাথে সাথে স্থূলতার কারণে যে ক্যান্সার গুলো হওয়ার সম্ভাবনা তা অনেকাংশে হ্রাস করতে সহায়তা করবে, এর সাথে আপনি হতাশা এবং আপনার মন মানুষিকতা উৎফুল্ল রাখতে পারবেন।
এইতো কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের উপর গবেষণা করে জেনেছেন যে, ফর্মালডিহাইড গ্যাসের কারণে আমরা নাকের ক্যান্সার হতে পারে।
এতে রয়েছে সংরক্ষণকারী এজেন্ট এবং জীবানুনাশক কিছু আঠা দিয়ে তৈরি যা আমরা সুপার গ্লু নামে চিনি, আর ক্যান্সার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা বলছে এটি আমাদের ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্টস (বা অন্যান্য ধাতু এবং সিরামিক) এর মতো কৃত্রিম পদার্থ আপনার শরীরে প্রবেশ করালে ক্যান্সার হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার।
আগস্ট ২০১৯ এ, কোম্পানিটি তার বায়োসেল টেক্সচার ইমপ্লান্টগুলি প্রত্যাহার করার এক মাস পরে, দু'জন মহিলা ব্রেস্ট ইমপ্লান্টস নির্মাতা অ্যালারগানের বিরুদ্ধে একটি ক্লাস-অ্যাকশন মামলা করেছিলেন, কেননা তা ব্যবহারে নাপ্লাস্টিক লার্জ সেল লিম্ফোমা (BIA-ALCL) তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তবে বেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি নেই।
US Food and Drug Administration (FDA) বিশ্বব্যাপী BIA-ALCL এর 573 টি প্রতিবেদন যাচাই বাচাই করেছে যার মধ্যে ৩৩ জন ভুক্তভুগি মারা গেছেন। তবে, Mayo Clinic এর মতানুসারে BIA-ALCL রোগীর মধ্যে এখনও ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট রোগী খুবই কম।
ধোঁয়া যুক্ত বায়ু এবং এতে থাকা উপাদানগুলোর কারনেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারি। লন্ডনে, ১৭৭০ এর দশকে লোকেরা চিমনির কারণে স্যুইটাল ক্যান্সার হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানা শুরু করেছিল এবং পরবর্তীতে আরও গবেষণার মাধ্যমে ছাই যুক্ত চিমনি তৈরিতে যারা কাজ করে তাদের ক্যান্সার হওয়ার হার অনেক বেশি ছিল। আর ধোঁয়ার কারণে আমরা ঠিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে না পারার কারণে ফুসফুস, খাদ্যনালী এবং মূত্রাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বছরের পর বছর ধরে বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাস প্রশ্বাসের কারণে আমরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারি।
বিজ্ঞানীরা নিউ ইয়র্ক সিটির দমকলকর্মী, অফিস কর্মী এবং 9/11 হামলার এক সপ্তাহ পরে ম্যানহাটন টাউন থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন, আর তারা দেখেছেন যে তাদের বেশিরভাগেরই ব্রেস্ট, জরায়ু, কোলন এবং ফুসফুস সহ প্রায় 70 টি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের হার ক্রমাগত বাড়তে দেখা গেছে।
একইভাবে, যারা ইউক্রেনের Chernobyl এর পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনাস্থলের কাছাকাছি বসবাস করত তাদের বেশিরভাগই ফুসফুস এবং থাইরয়েড ক্যান্সারের পাশাপাশি লিউকেমিয়ায় আক্রান্তের হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল।
সিলিকা একটি প্রাকৃতিক খনিজ যা বালি, পাথর এবং কংক্রিটের মধ্যে পাওয়া যায়। যখন, নির্মাণকর্মীরা এবং খননকারীরা প্রাকৃতিক শিলা কাটে, করাত বা ড্রিল মেশিন দিয়ে সিলিকার কণাগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে প্রবেশ করে, তখন এটি ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে।
আমরা সবাই জানি যে এক্স-রে এবং গামা রশ্মির কারণে ক্যান্সার হতে পারে। আর এই রশ্মি সূর্যের UV রশ্মি থেকেও পেতে পারি আর এর ফলে স্কিন ক্যান্সার হতে পারে।
পারমানিবিক তেজস্ক্রিয়তা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যকার যোগসূত্রটি একদম চেন্নোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মতো এবং উচ্চতর মাত্রায় রেডিয়েশনের মধ্যে চিকিৎসা প্রদান করা মানুষগুলির মতো, যারা উচ্চ মাত্রার রেডিয়েশনের সংস্পর্শে এসে চিকিৎসা প্রদান করে তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
তবুও, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি সাবধান করে বলেছে, "রেডিয়েশনের এমন কোন মাত্রা নেই যা পুরোপুরি নিরাপদ"
Chronic inflammation হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ, অন্ত্রের রোগ বা স্থূলতার মতো সমস্যাগুলো যার প্রত্যেকটিই আমাদের DNA কে ড্যামেজ করতে পারে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়।
নিম্নমানের প্লাস্টিকগুলো অনেক বিপজ্জনক, বিশেষকরে যখন প্লাস্টিকগুলো স্ক্র্যাচ বা ফাটে তখন তার মধ্যে থাকা রাসায়নিকগুলো খাবারের মধ্যে হতে আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
BPA হচ্ছে একটি সিনথেটিক ইস্ট্রোজেন যা ১৯৬০ এর দশক থেকে অনেক প্লাস্টিক এবং রজনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। BPA রজনগুলো ক্যানের খাবারের মধ্য ব্যবহার করা হয়, আবার পলিকার্বোনেট BPA প্লাস্টিকগুলো পানির বোতল এবং খাবার সংরক্ষণ করার পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এমনকি ক্যাশ ম্যামোর লেখাগুলো চকচকে করতেও এই BPA ব্যবহার করা হয়।
যদিও বর্তমানে অনেক প্লাস্টিক কোম্পানি তাদের প্লাস্টিক পণ্যগুলোকে "BPA-free" লেবেল দিয়ে বাজারজাত করছেন, তবুও এতে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং প্রস্টেট-ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো প্রচুর পরিমাণ রয়েছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে BPA কে অন্য রাসায়নিক দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতিকর।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস হল পারিবারিক যৌন সম্পর্ক থেকে সংক্রামিত সাধারণ একটি ভাইরাস আর আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে এর ফলে ক্যান্সারও হতে পারে। আর Centers for Disease Control and Prevention বলেছেন যে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ৪০টির ও বেশি ধরনের ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে।
এর মধ্যে অনেকগুলো ভাইরাস নিজেরাই শেষ হয়ে যায় এবং সেগুলো তুলনামূলকভাবে ক্ষতিকর নয় তবে অন্য ভাইরাস গুলো সার্ভিকাল, পেনাইল, যোনি এবং মলদ্বারে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার সময় কনডম ব্যবহার করলেও HPV সংক্রামিত হওয়ার থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। আর এ কারণেই CDC পরামর্শ দিয়েছেন, ছেলে মেয়ে সকলকেই প্রথম যৌনমিলনের আগেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে।
আমাদের মধ্যে প্রায় 98% ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মোনোনক্লিওসিস ভাইরাসটি সংক্রামিত হবে যখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত এমন কাউকে আমরা চুমু খাওয়া, খাবার বা পানীয় ভাগাভাগি করা বা কাশি বা হাঁচির সময় তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সময় কাটানোর সময় আমরা সংক্রামিত হতে পারি।
আর Epstein-Barr ভাইরাসটি আমাদের অনেকের জন্যই তেমন ক্ষতিকর নয়, তবে বিরল ক্ষেত্রে নাকের ক্যান্সার, লিম্ফোমাস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অতিরিক্ত গরম পানীয় খেতে গিয়ে জিহ্বার কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে আমাদের গলার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে যারা দক্ষিণ আমেরিকার chilly অঞ্চলে চিরাচরিতভাবে যারা গরম পানীয় পান করেন, তাদের সাধারণত খাদ্যনালীর ক্যান্সারের হার বেশি এবং যারা এর সাথে সাথে অ্যালকোহল এবং ধূমপান করেন তাদের ঝুঁকি আরও বহুগুনে বাড়িয়ে তুলে।
সম্প্রতি, গবেষকরা আরও আবিষ্কার করেছেন যে উত্তর-পূর্ব ইরানের লোকেরা যারা প্রতিদিন দু' কাপ গরম চা পান করেন তাদের ইরান অন্য এলাকার তুলনায় তারা 90% এসোফাজিয়াল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এই ক্যান্সারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম এবং এই ক্যান্সার থেকে বাঁচা মোটামুটি সহজ। আপনি আপনার জিহ্বা এবং খাদ্যনালীর প্রতি দয়া করুন: আপনি গরম পানীয় একটু ঠান্ডা করে পান করুন।
উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করার ফলে কিছু খাবারের রঙ ব্রাউন কালার হয়ে যার - যেমনঃ রুটি, কফি বা ফ্রেঞ্জ ফ্রাই - আর এই ব্রাউন কালার হওয়াতে তাতে অ্যাক্রাইলামাইড নামে একটি রাসায়নিক যৌগ তৈরি হয়। এটি মাইলার্ড প্রতিক্রিয়া নামক একটি প্রক্রিয়াতে স্বাভাবিকভাবেই ঘটে থাকে।
এক কাপ কফি বা কুকিতে যে অ্যাক্রিলামাইড থাকে তাতে আপনার কিছু নাও হতে পারে। তবে আপনি যদি অনেক বেশি পরিমাণে তা খান তাহলে তা বিপজ্জনক হবে এবং এর মধ্যে ধূমপানের মত একটি রাসায়নিক পদার্থ আছে, তবে হালকা বাদামি কালারের খাবার ক্ষতিকর তা কোথাও প্রমানিত হয়নি।
যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত থেকে ২০১৮ সালে একটি রায় দিয়েছিল বলেছিল, সেই রাজ্যের কফি শপকে অবশ্যই তাদের ক্রেতাদেরকে কফিতে থাকা অ্যাক্রাইলামাইড থাকার কারণে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে সে সম্পর্কে লেবেল লাগিয়ে সতর্ক করতে হবে, পরে অবশ্য Office of Environmental Health Hazard Assessment বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি পর্যালোচনা করার পরে দেখেছেন যে তা বেশি ক্ষতিকর নয় আর এর ফলে রাজ্যটির আদালত তার আদেশ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং এও বলেছেন যে "কফি পান করার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি নেই"
প্রকৃতপক্ষে, International Agency for Research on Cancer এবং American Cancer Society উভয়ই বলেছে যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে যে কফি সম্ভবত ক্যান্সার এর ঝুঁকি হ্রাস করে, কারণ এটি ব্রেস্ট, যকৃত এবং কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সম্ভাব্য বিপদজনক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের তালিকায় রয়েছে এমন এক তালিকায় এক হাজারেরও বেশি রাসায়নিকের নাম রয়েছে যার মধ্যে অ্যাক্রাইলামাইড একটি।
সুসংবাদটি হল ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়ার হার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ বেশিরভাগ ক্যান্সারই প্রাথমিক ধাপে সনাক্তকরণ সম্ভব হচ্ছে এবং অনেক বেশি প্রতিরোধ করার প্রচেষ্টা, পাশাপাশি আরও উন্নত চিকিৎসা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশক ধরে ক্যান্সারের হার কমিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে আমেরিকানদের মধ্যে তামাকের ব্যবহার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে।
তাছাড়া ক্যান্সারের হার কমিয়ে আরেকটি বড় অবদান হচ্ছে আমেরিকানরা অধিক হারে সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার গুলো যেমনঃ জরায়ুর, কলোরেক্টাল, ব্রেস্ট, মুখ এবং স্ক্রিন সহ বেশ কয়েকটি সাধারণ ক্যান্সার গুলো আমেরিকানরা রুটিন চেকআপ করে থাকেন।
তারপরেও, অনুমান করা হয় যে ২০২০ সালে ১.৮ মিলিয়ন আমেরিকান ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার ৭০% হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও এটি সত্য যে আমরা কি খাচ্ছি, আমরা কোথায় যাচ্ছি, এবং আমরা প্রতিদিন যে জিনিসগুলি শ্বাস প্রশ্বাস এর মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকি তার কারণে আমাদের নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে, আর এটাও মাথায় রাখতে হবে এই মরণব্যাধি মারাত্মক রোগটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণরুপে জানতে পারেনি এবং এখনও নতুন ধরনের ক্যান্সারের আবিষ্কার এবং তার চিকিৎসার মাধ্যম আবিষ্কার করার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছে।
আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।
আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।
আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 191 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
রায়হান ফেরদৌস ভাই, টেকনোলজির বাইরে এই টিউনটি দারুণ লিখেছেন !