পৃথিবী জুড়ে বোকাদের কথা

যাকে বলে একদম রামধরা। বোকামী করে লুকিয়ে থাকার কোন আর উপায় রইলো না। একেবারে বিশ্বাসযোগ্য রেফারেন্স সহ হাতেনাথে ধরা। মু হা হা ... সব ফাঁস করে দিচ্ছি এই টিউনে।

পৃথিবীতে কারা কারা লিনাক্স ব্যবহার করেন

লিনাক্স যদিও মূলধারার অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বেশ নতুন, তবুই ইতিমধ্যেই অনেক রকম পরিবেশেই এটা ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান।

সরকার

বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সরকারগুলো বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে অনবরত মেধাস্বত্ব রক্ষার ব্যাপারে চাপের মধ্যে থাকে। এই চাপ এড়াতে অনেক স্থানীয় সরকারই লিনাক্স এবং অন্যান্য ফ্রী সফটওয়্যার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে, কারণ এগুলো তাদের ক্ষমতার মধ্যে থেকেই মাইক্রোসফট, অ্যাপেল বা অন্য কোম্পানিগুলোর দামী কিংবা ক্র্যাকড সফটওয়্যারের আইনসঙ্গত বিকল্প। লিনাক্সের প্রসারের ফলে এই উন্নত দেশগুলোর সরকারী কাজের জন্য স্বল্পোন্নত দেশের কম্পিউটারে দক্ষ মানবসম্পদ দ্বারা কাজ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক দামী সফটওয়্যার ছাড়া এমন অন্য কোন বিকল্প না থাকলে তাদের পক্ষে এমন কাজ করা কখনই সম্ভব হত না।

  • ব্রাজিলের পিসি কানেক্টাডো প্রোগ্রাম লিনাক্সে চলে। এটা ২০০৩ সাল থেকে ব্রাজিলের সরকারী প্রোগ্রাম। এতে ফেডোরা নির্ভর  অপারেটিং সিস্টেম সহ কম্পিউটারে ট্যাক্স মওকুফ পাওয়া যায়। এখানকার কম্পিউটারগুলো সব ১২৮ বা ২৫৬ মেগাবাইট মেমরিতে সেলেরন ভিত্তিক প্রসেসরে ৪০ বা ৮০গিগাবাইট হার্ডডিস্ক সহ পাওয়া যায়। এই প্রজেক্টের শুরুতে মাইক্রোসফট কমদামে তাদের এক্সপি স্টার্টার এডিশন দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু সেই উপায়ে মারাত্নক রকম সীমাবদ্ধতা থাকায় সরকার সেটা গ্রহণ করেনি। মুক্ত সফটওয়্যারে ইঙ্কস্কেপ, গিম্প, ওপেন অফিস ও আমারক এখানে বহুল ব্যবহৃত।
  • মিউনিখ শহরে ২০০৩ সালে এর ১৪,০০০ ডেস্কটপ কম্পিউটারে ডেবিয়ান নির্ভর LiMux ব্যবহার করা শুরু করার উদ্যোগ নেয়। তবে ২০১০ পর্যন্ত এই লক্ষ্যমাত্রার ২০% অর্জন করেছে।
  • যুক্তরাস্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (United States Department of Defense) লিনাক্স ব্যবহার করে। আমেরিকান আর্মি রেড হ্যাট লিনাক্সের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। এছাড়া আমেরিকার নৌবাহিনীর পারমানবিক সাবমেরিনগুলো লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • ভিয়েনা শহর কর্তৃপক্ষ এর পিসিগুলোকে ডেবিয়ান নির্ভর উইয়েনাক্সে (wienux) নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তদের প্রয়োজনীয় কাস্টমাইজড সফটওয়্যারের উপযুক্ত লিনাক্স বিকল্পের অভাবে এই পরিকল্পনা ত্যাগ করা হয়।
  • ২০০৩ সালে স্পেনকে লিনাক্স গ্রহণে সবচেয়ে অগ্রবর্তী ছিল। তাঁদের এক্সট্রিমাদুরা (Extremadura) প্রদেশে সরকারী উদ্যোগে এজন্য LinEx নামক ডিস্ট্রিবিউশন তৈরী করা হয়। তাঁরা পত্রিকার সাথে ২ লক্ষ লিনাক্স সিডি বিতরণ করে এবং আরো ৭০ হাজার কপি ডাউনলোড করা হয়। ঐ প্রদেশের শতকরা ১০ ভাগ লোক লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • চীন সরকারের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (ICBC) এর ২০,০০০ শাখায় ওয়েব সার্ভার এবং নতুন টার্মিনাল প্লাটফর্মে লিনাক্স ইনস্টল করছে (২০০৫ সালের খবর)।
  • ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্সে চলে আসা সম্পন্ন করার ঘোষনা দেয়। এতে তাদের পরিকল্পিত সময়ের তিন ভাগের এক ভাগ সময়ে সম্পন্ন হয় আর এতে তাঁদের ১৫ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়।
  • ২০০২ সালে পাকিস্থান সরকার টেকনোলজি রিসোর্স মবিলাইজেশন ইউনিট গঠন করে, যাতে পেশাদার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। লিনাক্স এতে একটা বিকল্প হিসেবে ছিল। পাকিস্থানের সরকারী স্কুল এবং কলেজে মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় এবং তারা আশা করছে যে  খুব শীঘ্রই তাদের সমস্ত সরকারী সেবা লিনাক্সের মাধ্যমে দেবে।
  • ফরাসী পার্লামেন্ট তাদের ডেস্কটপ পিসিগুলোতে উবুন্টু ব্যবহার করছে।
  • জার্মানীর ফেডারেল কর্মসংস্থান অফিস (Bundesagentur für Arbeit) তাদের ১৩,০০০ কম্পিউটার ওয়র্কস্টেশন উইন্ডোজ এনটি থেকে ওপেনসুযেতে নিয়ে এসেছে। (ওপেনসুযে একটি জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন)
  • চেক প্রজাতন্ত্রের পোস্টাল সার্ভিস তাদের ৪০০০ সার্ভার এবং ১২,০০০ ক্লায়েন্টকে নভেল লিনাক্সে নিয়ে এসেছে ২০০৫ সালে।
  • জার্মানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর ১১,০০০ ডেস্কটপগুলোকে লিনাক্স এবং অন্য মুক্ত সফটওয়্যারে নিয়ে আসা শুরু করেছে। ২০০১ সালে সার্ভারগুলোকে আর ২০০৫ সালে ডেস্কটপগুলোকে, আর সবগুলো ল্যাপটপেই ডেবিয়ান লিনাক্স চলে। ২০১১ সালে তারা আবার মাইক্রোসফট অফিস, আউটলুক এবং উইন্ডোজে ফিরে যাওয়ার ঘো‌‌ষনা দিয়েছে; কারণ হিসেবে হার্ডওয়্যার চালনায় অসুবিধার অযুহাত দেখিয়েছে, তবে এর পেছনে মাইক্রোসফটের দেয়া প্রণোদনাও (incentive) ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • কিউবার ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সায়েন্স-এর ছাত্ররা 'নোভা' নামে নিজেদের লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন চালু করেছিল। এটা দিয়ে তার সরকারী এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ প্রতিস্থাপন করতে চায়; আর এই প্রজেক্টটা এখন সরকারী সমর্থন পেয়েছে। ২০১১ সালের শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০০ পিসিতে এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমে চালানোর ঘোষনা দেয়া হয়।
  • ক্যান্টন অব সোলথুর্ন নামক সুইজারল্যান্ডের অঙ্গরাজ্য ২০০১ সালে এর কম্পিউটারগুলো লিনাক্সে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২০১০ সালে সুইস প্রশাসন পুরা উল্টা ঘুরে ডেস্কটপগুলোতে উইন্ডোজ-৭ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ফ্রান্সের জাতীয় পুলিশ বাহিনী এর ৯০,০০০ ডেস্কটপগুলোকে উইন্ডোজ এক্সপি থেকে উবুন্টুতে নেয়া শুরু করে ২০০৭এ। কারণ এতে উইন্ডোজ ভিসতার জন্য যে প্রশিক্ষণ লাগবে তার চেয়ে কম প্রশিক্ষণ লাগবে। এই প্রতিস্থাপন ২০১৫ সাল নাগাদ শেষ হবে; ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এভাবে সফটওয়্যার লাইসেন্স বাবদ ৫০ মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় হয়েছে।
  • ফ্রান্সের কৃষি মন্ত্রণালয় ম্যানড্রিভা লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • মেসিডোনিয়ার বিজ্ঞান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্লাসে ১,৮০,০০০ এরও বেশি উবুন্টু নির্ভর ডেস্কটপ ব্যবহার করছে এবং প্রতি ছাত্রকেই উবুন্টু ওয়র্কস্টেশন ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
  • প্রযুক্তিগত স্বাধীনতার লক্ষ্যে চীন সেদেশের Loongson প্রসেসর পরিবারের জন্য অপারেটিং সিস্টেমে শুধুমাত্র লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • আমেরিকার পারমানবিক নিরাপত্তা প্রশাসন বিশ্বের তৃতীয় দ্রুততম সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে, এটার নাম আইবিএম রোডরানার – যা ফেডোরা এবং রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স ব্যবহার করে চলে।
  • ২০০৪ সালে স্পেনের অ্যান্ডালুসিয়া অঞ্চলের স্বায়ত্বশাসিত সরকার Gaudalinex নামে তাদের নিজস্ব লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন তৈরী করে নিয়েছে।
  • দক্ষিন আফ্রিকান সামাজিক নিরাপত্তা সোসাইটি মাল্টি স্টেশন লিনাক্স ডেস্কটপ ব্যবহার করে তাদের ৫০টি প্রত্যন্ত এলাকার বাজেট এবং অবকাঠামোগত অসুবিধা মোকাবেলা করছে।
  • ২০০৩ সালে তুরস্কের সরকার তাদের নিজস্ব লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের জাতীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও ক্রিপ্টোগ্রাফি রিসার্চ ইনস্টিটিউট Pardus নামক এই ডিস্ট্রিবিউশন তৈরী করা শুরু করে এবং ২০০৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর এটার ১.০ ভার্সনের অফিসিয়াল ঘোষনা দেয়।
  • ২০১০ সালে ফিলিপিনসে উবুন্টু চালিত জাতীয় ভোট গ্রহণ সিস্টেম চালু করা হয়।
  • ২০১০ সালের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ার সরকারী ৭২৪টা এজেন্সির মধ্যে ৭০৩টায় লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্রী এবং ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু হয়। সরকারের প্রধান সচিব বলেছিলেন যে, এটার মূল লক্ষ্য হল উন্নততর মান, উচ্চ নির্ভরযোগ্যতা, অধিকতর পরিবর্তনযোগ্যতা (flexibility) এবং স্বল্প খরচ।
  • ২০১০ সালের শেষের দিকে ভ্লাদিমির পুতিন, রাশিয়া ফেডারেশন সরকারের ২০১২ সালের মাঝামাঝির মধ্যে লিনাক্স এবং ফ্রী সফটওয়্যারে সরে আসার একটি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেন।
  • আমেরিকার ফ্লোরিডার লার্গো শহরের প্রশাসন লিনাক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করে। এটা থেকে শহর ব্যবস্থাপনার প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয়ের ব্যাপারটা বোঝা যায়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

শিক্ষার জন্য উবুন্টুর একটা ভার্সন আছে - যা এডুবুন্টু নামে পরিচিত।
প্রায়শঃই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোতে এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে লিনাক্স ব্যবহৃত হয়। এটা বিনামূল্যে উপলব্ধতা এবং অসংখ্য সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ থাকা এর পেছনে অনেকগুলো কারণের মধ্যে রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্স এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং থেকেও লিনাক্সে কিছু অবদার রাখে। আইবিএম "লিনাক্স ইজ এডুকেশন" নামে একটা বিজ্ঞাপন তৈরী করেছে, যেখানে একটা ছোট ছেলেকে দেখানো হয় যে বড় হয়ে লিনাক্স (লিনুস?) হয়।
বৃহৎ পরিসরে লিনাক্স গ্রহণকরার কিছু উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলঃ

  • OLPC XO-1 (ওয়ান ল্যাপটপ পার চাইল্ড: যা আগে এমআইটির ১০০ ডলার ল্যাপটপ প্রজেক্ট বা বাচ্চাদের ল্যাপটপ নামে পরিচিত ছিল) হল একটা সস্তা ল্যাপটপ যা লিনাক্সে চলে; এই ল্যাপটপটি মূলত: উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি শিশুর জন্য একটি ল্যাপটপ প্রজেক্টের অধীনে কয়েক মিলিয়ন শিশুর মধ্যে বিতরণ করার লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছে।
  • মেসিডোনিয়ার ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ৪৬৮টি সরকারী স্কুল এবং ১৮২টি কম্পিউটার ল্যাবে ৫০০০ উবুন্টু চালিত ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে উবুন্টু চালিত আরো ১,৮০,০০০ থিন ক্লায়েন্ট কম্পিউটার চালু করা হয়। (থিন ক্লায়েন্ট হল একটা শক্তিশালি সিপিইউ থেকে অনেকগুলি মনিটর, কিবোর্ড ও মাউসের সাহায্য অনেকে ব্যবহারের সুবিধা - অনেকটা মেইনফ্রেম কম্পিউটারের মত)
  • ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইটালির বোলযানোর ১৬,০০০ স্কুল ছাত্রের ক্লাসরুমে ব্যবহারের জন্য একটা সংকলিত লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন চালু করে। (FUSS Soledad GNU/Linux)
  • ব্রাজিলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সরকারী স্কুলগুলোতে প্রায় ২০,০০০ লিনাক্স ডেস্কটপ চলছে।
  • ভারতের কেরালা রাজ্যের সরকারী কর্মকর্তারা ঘোষনা করেন যে, তারা কম্পিউটার শিক্ষার জন্য শুধুমাত্র লিনাক্সে চালিত ফ্রী সফটওয়্যার ব্যবহার করবে;  ২,৬৫০টি সরকারী ও সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয় দিয়ে এটা শুরু করা হয়।
  • ২০০৬ সালে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ২২,০০০ ছাত্রের জন্য তাদের উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে লিনাক্স ওয়র্কস্টেশন ব্যবহারের সুযোগ ছিল।
  • ২০০৭ সালে জার্মানি এর ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫,৬০,০০০ ছাত্র লিনাক্স ব্যবহার করবে বলে ঘোষনা দিয়েছে।
  • ফিলিপিনসে ১৩,০০০ ডেস্কটপে ফেডোরা চলে, যার প্রথম ১০,০০০ ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ASI (Advanced Solutions Inc) এগুলো সরবরাহ করে। মাইক্রোসফট ২০ ডলারে উইন্ডোজ আর ৩০ ডলারে অফিস দেয়ার প্রতিযোগীতামূলক অফার দেয়ার কারণে এই প্রজেক্টের সিদ্ধান্ত ৪/৫ মাস পিছিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তাসত্ত্বেও লিনাক্স আরো স্বল্পখরচের সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রজেক্টে আরো ১০,০০০ এডুবুন্টু ও কুবুন্টু ডেস্কটপ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
  • লাইসেন্স খরচ বাঁচাতে ২০০৭ সালের অক্টোবরে রাশিয়া সমস্ত স্কুলের কম্পিউটার লিনাক্সে চালানোর ঘোষনা দেয়।
  • ২০০৪ সালে জর্জিয়া এর সমস্ত স্কুলের কম্পিউটারগুলো এবং লিনাক্স টার্মিনাল সার্ভার প্রজেক্টের (LTSP) থিন ক্লায়েন্টগুলো লিনাক্সে চালানো শুরু করে। এখানে মূলত কুবুন্টু, উবুন্টু এবং হালকা ফেডোরা নির্ভর ডিস্ট্রো ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৯০০০ কম্পিউটারে লিনাক্স ও ওপেন অফিস ব্যবহার শুরু হয়।
  • ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে ছাত্রদেরকে ১,০০,০০০ লিনাক্স ল্যাপটপ বিতরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। (২০০৮)
  • অভ্যন্তরীন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে চীন সরকার ১৫ লক্ষ লিনাক্স loongson পিসি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া জিয়াঙ্গসু প্রদেশে ২০০৯ সাল থেকে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে ১,৫০,০০০ loongson প্রসেসর চালিত লিনাক্স পিসি স্থাপন করা হবে।
  • ভারতীয় সরকাররের ছাত্রদের জন্য ট্যাবলেট পিসি প্রজেক্টের লক্ষ্য হল ১,৫০০ রুপীর (৩৫ ডলার) কমে ট্যাবলেট পিসি বানানো, এই পিসিগুলো লিনাক্সে চলে।

আবাসিক গৃহে

  • সনির প্লেস্টেশন-৩ এর ভেতরে হার্ডডিস্ক (২০, ৬০ ও ৮০ গিগাবাইট) দেয়া হয়েছে এবং এটা সহজে লিনাক্স ইনস্টলের উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে। অবশ্য এর ৩ডি গ্রাফিক্স ফীচারগুলো লিনাক্সে চালানোর সুযোগ দেয়া হয় না। এছাড়া সনি এর প্লেস্টেশন-২ এর জন্যও লিনাক্স কিট ছেড়েছে। সহজ ইনস্টলেশন আর তুলনামূলক কম দামের কারণে (প্লেস্টেশন-৩ এর তুলনায় সমপর্যায়ের অন্য হার্ডওয়্যার ক্রয়ের ক্ষেত্রে) ছোট পরিসরে ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং পরীক্ষার জন্য মাঝে মাঝে এই লিনাক্স চালিত প্লেস্টেশন হার্ডওয়্যার ব্যবহৃত হয়। নিরাপত্তা বিবেচনায় ২০১০ সালের ১লা এপ্রিলে লিনাক্স ইনস্টলের সুবিধা রহিত করে এবং ফার্মওয়্যার ৩.২১ ব্যবহার শুরু করে।
  • ২০০৮ সালে নেটবুকের অনেকগুলো মডেল হালকা লিনাক্স (xandros, linpus) ইনস্টল করা অবস্থায় সরবরাহ করা হত। এতে এর সীমিত ক্ষমতা সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যেত।
  • ২০০৭ ও ২০০৮ এ ব্যবহারবান্ধবতা বিচারে উবুন্টুর মত লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, ফলে ডেলের মত কিছু নির্মাতা উবুন্টু এবং অন্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন চালিত ডেস্কটপ কম্পিউটার মডেল বাজারে ছাড়ে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ

রেডহ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স, সুযে লিনাক্স এন্টারপ্রাইজ ডেস্কটপ এবং লিনস্পায়ারের মত বাণিজ্যিক লিনাক্স সমাধানগুলো কিছু কর্পোরেটে ব্যবহৃত হয়।

  • ১৯৯৯ সাল থেকে বার্লিংগ্টন কোট ফ্যাক্টরি (Burlington Coat Factory) শুধুমাত্র লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • ২০০০ সাল থেকে আর্নি বল (Ernie Ball) নামক সুপার স্লিংকি গিটারের স্ট্রিং প্রস্তুতকারক লিনাক্স ডেস্কটপ চালায়।
  • নোভেল উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর ৫,৫০০ কর্মীর মধ্যে ৫০% এপ্রিলের ২০০৫ নাগাদ সফলতার সাথে লিনাক্সে চলে এসেছে। নভেম্বর মাস নাগাদ এটা বেড়ে ৮০% হওয়ার কথা।
  • Wotif নামক অস্ট্রেলিয়ান হোটেল বুকিং ওয়েবসাইট তাদের ব্যবসার প্রবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যতা রক্ষায় উইন্ডোজ সার্ভার থেকে লিনাক্স সার্ভারে সরে আসে।
  • ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিয়ন ব্যাংক খরচ কমানোর জন্য এর আইটি অবকাঠামো রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স উপযোগী করার ঘোষনা দেয় ২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে।
  • ২০০৭ সালে ইউরোপের গাড়ি প্রস্তুতকারক Peugeot ঘোষনা করে যে এরা ২০,০০০ কপি নোভেলের লিনাক্স ডেস্কটপ, সুযে লিনাক্স এন্টারপ্রাইজ ডেস্কটপ এবং ২,৫০০ কপি সুযে লিনাক্স এন্টারপ্রাইজ সার্ভার চালু করবে।
  • মাইন্ডব্রিজ নামক একটা সফটওয়্যার কোম্পানি ২০০৭ সালে ঘোষনা দেয় যে, এটা অনেকগুলো উইন্ডোজ সার্ভার থেকে কমসংখ্যক লিনাক্স সার্ভার এবং কিছুসংখ্যক বিএসডি সার্ভারে প্রতিস্থাপন করবে। এরা এভাবে বেশ বড় পরিমান সাশ্রয় করেছে বলে দাবী করেছে।
  • আমেরিকার বাজেট এয়ারলাইন, ভার্জিন আমেরিকা এর বিমানের REDএন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম লিনাক্সে চালায়।
  • আমেরিকার ইন্টারনেট ভিত্তিক বেচাকেনা প্রতিষ্ঠান আমাজন.কম এর ব্যবসার প্রতিটা ক্ষেত্রেই লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • গুগল Goobuntu নামক উবুন্টু ভিত্তিক একটা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।
  • আইবিএম লিনাক্সের প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত, এবং তাঁদের অফিসে সার্ভার এবং ডেস্কটপে লিনাক্স ব্যবহার করে। এছাড়া “IBM supports Linux 100%” শিরোনামে একটা টিভি বিজ্ঞাপন করেছে।
  • উইকিপিডিয়া ২০০৮ সাল থেকে এর সার্ভারগুলো উবুন্টুতে চালায়, এর আগে রেড হ্যাট এবং ফেডোরার সমন্বয়ে চালাতো।
  • ড্রিমওয়র্কস এনিমেশন কোম্পানি ২০০১ সাল থেকে লিনাক্স ব্যবহার শুরু করে। এদের ১,০০০ এরও বেশি লিনাক্স ডেস্কটপ এবং ৩,০০০ এর বেশি লিনাক্স সার্ভার রয়েছে।
  • শিকাগো মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ সমস্ত কম্পিউটিং অবকাঠামোই লিনাক্সে চালায়, এবং এটা ব্যবহার করে এক কোয়াড্রিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন সম্পন্ন করেছে।
  • Chi-X প্যান ইউরোপিয়ান ইক্যুয়িটি এক্সচেঞ্জ এর মার্কেটপ্রিজম ট্রেডিং প্লাটফর্ম সফটওয়্যারটি লিনাক্সে চালায়।
  • লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ লিনাক্স নির্ভর মিলেনিয়ামআইটি মিলেনিয়াম এক্সচেঞ্জ সফটওয়্যারটা ব্যবহার করে সমস্ত ট্রেডিং পরিচালনা করে। উইন্ডোজের বদলে লিনাক্স ব্যবহারের ফলে ২০১১‌-১২ অর্থবছরে তাঁদের কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ইউরো (১৪.৭ মিলিয়ন ডলার) খরচ বাঁচবে বলে অনুমান করেছে।
  • নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এর সমস্ত ট্রেডিং সফটওয়্যার লিনাক্সে চালায়।
  • আমেরিকার ইলেক্ট্রনিক মিউজিক কম্পোজার কিম ক্যাসকোন তার মিউজিক স্টুডিও, পার্ফর্মেন্সে ব্যবহার এবং এডমিনিস্ট্রেশনের সমস্ত কাজ ২০০৯ সাল থেকে এ্যাপল ম্যাকের বদলে উবুন্টুতে করছেন।
  • ম্যাকডোনাল্ডস এর ম্যাক ক্যাফেতে উবুন্টু ব্যবহার করে।
  • উইন্ডোজের স্পাইওয়্যার সমস্যার কারণে লাফিং বয় রেকর্ডস এর মালিকের নির্দেশে এর রেকর্ডিং‌এর কাজ উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে নিয়ে এসেছে ২০০৪ সালে।
  • ২০১১ সাল থেকে কাজ শুরু করা ন্যাভ কানাডার নতুন ইন্টারনেট ফ্লাইট প্লানিং সিস্টেম পাইথনে করা এবং রেড হ্যাট লিনাক্সে চলে।
  • স্মার্ট রেফ্রিজারেটর ইলেক্ট্রোলাক্স ফিজিডেয়ার ইনফিনিটি আই‌-কিচেন লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে যার মধ্য একটা এমবেডেড ৪০০ মেগাহার্টজ্ ফ্রীস্কেল I.MX25 প্রসেসর এবং ১২৮ মেবা RAM এবং ৪৮০x৮০০ টাচ প্যানেল রয়েছে।

বৈজ্ঞানিক সংস্থা সমূহ

  • আমেরিকার পারমানবিক নিরাপত্তা প্রশাসনে পৃথিবীর ৩য় দ্রুততম সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে; এটার নাম আইবিএম রোডরানার, এবং এটা রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স এবং ফেডোরা দিয়ে চলে।
  • লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এবং এর ২০,০০০ অভ্যন্তরিন সার্ভার চালানোর জন্য সায়েন্টেফিক লিনাক্স ব্যবহার করে এর গবেষণাপ্রতিষ্ঠান CERN।
  • ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে কানাডার সবচেয়ে বড় সুপার কম্পিউটার, আইবিএম আইডেটাএক্স ক্লাস্টার কম্পিউটার, চালাতে লিনাক্স ব্যবহার করে।
  • ইন্টারনেট ক্যাটালগ করতে ইন্টারনেট আর্কাইভ এর শত শত এক্স৮৬ সার্ভার সবই লিনাক্সে চালায়।
  • ASV Roboat নামক স্বায়ত্বশাসিত রোবোটিক নৌকা লিনাক্সে চলে।
  • অক্টোবর ২০১০ পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটার Tianhe-I, লিনাক্সে চলে। এটা চীনের তিয়ানজিনে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সুপারকম্পিউটিংএ অবস্থিত।
  • FermiLabএর Dark Energy Camera এবং সংশ্লিষ্ট ৪মিটার টেলিস্কোপ যা The Dark Energy Survey প্রগ্রামের অংশ, পরিচালনা এবং এর সমস্ত ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য লিনাক্স ব্যবহার করবে।
  • যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টস্মাউথ পৃথিবীর বিভিন্ন টেলিস্কোপের ডেটা বিশ্লেষনের জন্য একটা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী (cost effective) কম্পিউটার চালু করেছে। এটা দিয়ে ব্রক্ষ্মান্ড সম্পর্কে প্রচলিত তত্বগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এটা সায়েন্টিফিক লিনাক্স নামক অপারেটিং সিস্টেমে চলে। পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ডেভিড বেকন বলেন  "Our Institute of Cosmology is in a great position to use this high performance computer to make real breakthroughs in understanding the universe, both by analysing the very latest astronomical observations, and by calculating the consequences of mind-boggling new theories...By selecting Dell’s industry-standard hardware and open source software we’re able to free up budget that would have normally been spent on costly licenses and reinvest it."।

তথ্যসূত্র:

এই লেখাটি মূলত একটি অাংশিক অনুবাদ। নিচের লিংকগুলোর ইংরেজি থেকে কিছু অংশ এখানে বাংলা করা হয়েছে।

১। http://en.wikipedia.org/wiki/Linux_adoption
২। http://en.wikipedia.org/wiki/PC_Conectado
৩। http://en.wikipedia.org/wiki/LinEx
৪।  http://www.computerworld.com.au/article/204950/23_000_linux_pcs_forge_education_revolution_philippines/?pp=1

বাংলাদেশে:

এদেশেও কিছু বোকা মানুষ আর প্রতিষ্ঠান আছে। তথ্যের অভাবে সব দেয়া সম্ভব হল না। তবে কিছু বোকা লোকের একটা তালিকা ইদানিং তৈরী করা শুরু হয়েছে। এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন

Level 0

আমি শামীম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 449 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

গুগল আমার সম্পর্কে জানে, কাজেই জানতে চাইলে আমার নাম বা ইউজার নামটা দিয়ে গুগল করুন ... :D


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Linux user ra boka keno?

    দে ইউজ লিনাক্স লিভিং দ্যা এক্সসেলেন্ট উইন্ডোজ … … দে মাস্ট বি গ্রেট ফুলস্ 😀

    এটা অভ্রনীল ভাইয়ের পোস্ট এর মত, একটু বাঁকা চোখে দেখতে হয় 😉

    @শামিমঃঃঃঃ অই মিয়া আপনার নিজেকে চুর বলে পরিচয় দিতে লজ্জা করেনা একে ত চুরি করেন তার উপর আবার windows নিয়ে বড় বড় কথা বলেন । আমিও ত এক্সপি উইস করি পাশাপাশি লিনাক্স অ কই আমি ত লিনাক্স ব্যাবহার কারিদের নিয়ে বাজে কথা বলি না । এখন সময় আছে ভাল হয়ে জান পরের দুষ না খুজে নিজের দুষ খুজে বের করুন । গাধা কুথাকার

    swaponmahmud ভাই মাইন্ড কইরেন না । আসলে উনি নিজেকে একজন বিশাল গাধা বিশেষজ্ঞ মনে করেন !! আর বিশেষজ্ঞরা নিজের সম্পর্কে চিন্তা করার সময় একটু কমই পায় !!! 😆 😆 😆 এইডা কোন ব্যাপার না … !!

    :d:d:d:d:d:d:d:d:d:d তরঙ্গ ভাই ঠিকই বলেছেন

    আমি লিখেছি বোকা, আর আপনারা গাধা নিয়ে গবেষনায় বসে গেলেন!! — ভাল ভাল। অবশ্য পোস্টের দৈর্ঘ্যের কারণে স্মৃতি বিস্মৃত হয়ে ঘটতে পারে, কাজেই বড় টিউন করে আপনাদের এই রকম কাজ করানোতে আমিই দায়ী।

    @swaponmahmud
    আমার বাসায় বা অফিসে কোন চুরির সফটওয়্যার কিংবা মুভি, অডিও পাবেন না। আমার ল্যাপটপে আর নেটবুকে জেনুইন এক্সপি আছে (যদিও ব্যবহার করি না এখন) আর ল্যাপটপে জেনুইন অফিসও আছে — ল্যাপটপের গুলো আমারই ফান্ড দিয়ে জাপানি প্রফেসর কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু অফিস ও বাসার ডেস্কটপে আমি লিনাক্স ব্যবহার করি সাড়ে চার বছর ধরে।

    আর সবাইকে নিজের দলের মনে করার দরকার নাই। আপনার গায়ে এই পোস্ট পড়ে ফোষ্কা পড়েছে দেখে বুঝলাম পাইরেসির ব্যাপারগুলো আপনার জানা আছে। ধন্যবাদ।

    @তরঙ্গ
    আপনারা কে কি বিশেষজ্ঞ সেটা আমার জানা নাই। তবে আমি নিজেকে আর্সেনিকযুক্ত পানিশোধন বিশেষজ্ঞ মনে করি — আমার উচ্চতর ডিগ্রিগুলো এই বিষয়ে। ধন্যবাদ।

Level New

শামীম ভাই,পুরা মাথা নষ্ট পোস্ট,চরম হইছে।

    তাও ভালো কাপড় নষ্ট হয় নাই :p

    Level New

    হে হে আপনার পোস্টে হওয়ার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই,ওটা ১৮+ পোস্টের জন্য। 😀

যদি মাইক্রোসফ্‌ট ও লিনাক্স এর মাঝে খরচের কোন পার্থক্য না থাকে তবে কোনটা ভাল হবে?

    দাম দিয়ে হলেও মাইক্রোসফট ভালো। কারণ ভাইরাস আর ম্যালওয়্যার খুব মিস করি লিনাক্সে B-)

    কি কথার কি উত্তর!

এখন বুজেছি কেন আপনি কয়েকদিন আগে লিনাক্স জরিপ চালিয়েছেন। হুম, বাংলাদেশে উইন্ডোজ চলে, আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সেখানে ম্যাকাফি আর বিজয় চালায়। (আপডেট – আজকাল সেখানে ১০০০টাকা দিয়ে লাইসেন্স সহ অ্যান্টিভাইরাস কেনা হচ্ছে, আশা করি শীঘ্রই উইন্ডোজও দাম দিয়ে কেনা হবে)।

টিউন সোজা প্রিয়তে। যেন না হারিয়ে যায় 😛

    এইটা অনেকগুলো কারণের একটা।

    দেখব কে কয়টা সফটওয়্যার টাকা দিয়ে ইউস করতে পারেন বুকে হাত দিয়ে বলেন ত আপনি কি পারবেন ৪০০ ডলার দিয়ে Microsoft Office কিনে ইউস করতে । জানি পারবেন না । ত আপনাকে বাধ্য হয়ে চুরি করতে হবে ।

    Level 0

    @ swaponmahmud ফ্রিওয়্যার বলে একটা জিনিস আছে… আজ থেকে জেনে রাখুন। ভালইতো উপদেশ দিলেন… টিটিতে অনেক স্কুলগামী ছাত্র আসে। পারলে তাদেরকে উৎসাহ দিন না পারলে ঝিম মাইরা বইসা থাকেন। আমার সৌভাগ্য আপনাকে দেখে আমি চরম ফাজিলের উদাহরণ প্রথমবার পেলাম 😛 অই মিয়া চুরি করা শেখান… তোদেরকে বাংলাদেশের বাইরে পাঠানো উচিত শা*! চুপ থাক !

    @swaponmahmud
    দরকার কি ভাই। ওপেন অফিস আর লিব্রে অফিস আছে না? গত সাড়ে চার বছরে ওগুলো দিয়েই তো সব কাজ করছি। আর আমার ল্যাপটপে একটা জেনুইন মাইক্রোসফট অফিস কিন্তু আছে, এটা ছেড়ে ওপেনসোর্সে আসার কারণ আমার ল্যাপটপরে এক্সপি আর অফিস দুইটা জেনুইন হলেও জাপানি ভাষায়, এইটা কিছুটা অসুবিধাজনক। ধন্যবাদ।

শামীম ভাই, আমি বুঝিনা, আপনি কেনো মানুষদের লিনাক্স গেলানোর জন্য এতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যার যেটা ভালো লাগবে, সে সেটাই ব্যাবহার করুক। নাকি?

    ভাল লাগার জন্য তো কয়েকদিন ব্যবহার করে দেখতে হবে নাকি?

    আর আমার আরো কয়েকটা টিউনে বলার চেষ্টা করেছিলাম, আমাদের কেন লিনাক্স দরকার:
    https://www.techtunes.io/open-source/tune-id/55909/
    https://www.techtunes.io/open-source/tune-id/64250/

    হা হা হা ……. হ্যাঁ উনি জোর করেই গেলাবেন …… উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা তো এক – একটা চরম গাধা …. আর উনি চাবুক নিয়ে আইছেন গাধাদের লিনাক্স গেলানোর জন্য …… হা হা হা !!! :mrgreen: :mrgreen: :mrgreen:

    Level 0

    আমিও আপনার সাথে একমত, শামিম ভাই লিনাক্স এর ভক্ত হলে , আমদেরকেও লিনাক্সব্যবহার করতে হবে এইরকম কথা তিনি কোথায় পাইলেন ?
    বড্ড জানতে ইচ্ছা করে

    @তরঙ্গ আর newboy
    আমি উইকিপিডিয়া থেকে অনুবাদ করেছি, যা মূল টিউনেও উল্লেখ করে লিংক দিয়ে রেখেছি — প্রয়োজনে মিলিয়ে দেখতে পারেন। তাহলে আপনাদেরকে গেলানোর চেষ্টা করেছি … বা অনুরোধ করেছি এমন মনে হলে সেটা হয় আপনার বোঝার ভুল নাইলে উইকির দোষ 😉

    তবে কথা সত্যি — আমি পাইরেসির কলঙ্কের ভাগিদার হতে চাই না। বাংলাদেশ পৃথিবীতে সফটওয়্যার পাইরেসিতে ৩য়। এখন রাতারাতি আমাদের এ্যাত টাকাপয়সা হওয়ার কোন বাস্তবসম্মত উপায় দেখছি না যাতে আমরা সকলে সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে পারবো। তাই বলে কি সারা জীবন বিদেশীদের চোখে চোর হয়ে অসম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকতে হবে আমাদেরকে? … …. …. না ভাই, এর বিকল্প উপায় হল লিনাক্স।

    অন্যে তাদের কম্পিউটারে লাখ লাখ টাকার চোরাই সফটওয়্যার, মুভি রাখবে আর সেজন্য আমাকে চোরের অপবাদে অপমানিত হতে হবে কেন?? আমার ক্ষিপ্ত হওয়া কি অনুচিত??

Level 0

বিষয়টা ভাল করে বুঝলাম না । শিরনামের সাথে লিখার মিল খোজে পেলাম না আসলে কারা বোকা ? যারা লিনাক্স ব্যবহার করে নাকি যারা করে না তা্রা ? বুঝিয়ে বলবেন কি?

    আরে ভাইজান এই সহজ কথাটাই বুঝেন নাই …… !! উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা হইলো গাধা ….. !! আর উইন্ডোজ ব্যবহার করে পৃথিবীবাসীরা ………. সেজন্য সমগ্র পৃথিবীবাসীরা হইলো গাধা …… যেটা উনি উনার গাধা গবেষণা কেন্দ্র হতে আবিষ্কার করতে পেরেছেন ….. !!! 😆 😆 😆

টিউনের শিরোনামটা খুব ভাল লেগেছে – একদম নির্মম বাস্তবের সত্যের মতই সত্যি কথা । 😉 আর হ্যাঁ – আগেই বলে নিচ্ছি – উইন্ডোজ ব্যবহারকারী সমগ্র পৃথিবীবাসীরা এক-একজন চরম গাধা – যে সত্যটা স্বপ্ন প্রাপ্তই হোক আর সহস্র বছর গবেষণা করেই হোক আপনি তা উদঘাটন করতে পেরেছেন !! …… আর এরজন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য অভিনন্দন ….. !!! 😆 😆 😆

Level 2

ধন্যবাদ।
টিউন টা ভালো হয়েছে।কিন্তু গাধা কথা টা না থাকলে হয় তো ওনেক ভালো হত।
সবাই কে একটা অনুরোধ, এমন কিছু বলবেন না-
যার কারনে জনপ্রিয় টিটির ভাব-মুর্তি নষ্ট না হয়।
শামীম ভাই ভালো টিউন লেখেছেন ,একটু কষ্ট করে কিছু লেখা আপডেট দেন।আশারাখি ভালো থাকবেন।

    আসলে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের চোখটা হলো সোজা । আর লিনাক্স ব্যবহারকারীদের চোখটা হলো বাঁকা । এজন্য পৃথিবীবাসীরা লিনাক্স ব্যবহারকারীদের বাঁকা চোখের ভাষা ঠিকমত বুঝতে পারে না – যাইহোক যেটা অন্য কেউ না বুঝলেও আপনি ঠিকমত বুঝতে পেরেছেন – সেজন্য আপনাকে অভিনন্দন । 😉

    আমারও প্রশ্ন গাধা কথাটা কোথায় পেলেন ভাই? আমি তো মূল টিউনের কোথাও এই শব্দটা ব্যবহার করেছি বলে মনে পড়ছে না।

    অযথা এমন চিলে কান নিয়েছে-র পেছনে না ছুটে একটু নিজে যাচাই করে দেখলে হত না? সবকিছু সামনে থাকতে এমন আজব অভিযোগ না করে বরং মাথা ঠান্ডা করুন, প্রথম দুই লাইনে আর শিরোনামে — লিনাক্স ব্যবহারকারীদেরকে মজা করে "বোকা' বলেছি; গাধা পেলেন কোথায়???? আর শেষ দুই লাইনে আরেকবার মজা করেছি। এ্যাত বড় বোরিং টিউন করে নিজেরই খারাপ লাগছিলো — তাই।

ওরেররে!! বিশাল এক টিউন করে বসলেন তা আবার লিনাক্স নিয়ে!!!!
অনেক ধন্যবাদ।

    বিশাল টিউনের প্রায় পুরাটুকুই উইকি থেকে অনুবাদ।

    আপনাকেও ধন্যবাদ।

Level 0

জনাব শামিম ভাই, আপনি এই টিউনে কাকে বোকা বলতে চেয়েছেন আগে সেইটা আগে বলেন ?
যদি আপনি যারা লিনাক্স ব্যবহার করে তাদেরকে বোকা বলে থাকেন, তবে বলেন যে আপনি তাদের কে কেনো বোকা বললেন ?
আর যদি আপনি যারা উইন্ডোস ব্যবহার করে তাদেরকে বোকা বলে থাকেন, তবে এইটাও বলেন যে আপনি তাদের কে কেনো বোকা বললেন ?
# শুধু এইজন্য যে, আমি সহ বেশির ভাগ পিসি ইউসার যারা উইন্ডোস ব্যবহার করেন তারা পয়সা দিয়ে না কিনে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করেন এই জন্য ?
# নাকি এইজন্য যে, আমরা বৈধভাবে কিনে হোক আর অবৈধ ভাবে হোক এক কথায় উইন্ডোস ব্যবহার করি ?
# নাকি এইজন্য যে, আমরা উইন্ডোস ব্যবহার করি আর না করি, কেনো লিনাক্স ব্যবহার করি না ?
# নাকি এইজন্য যে, আমরা লিনাক্স ছাড়া অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি এই জন্য ??

আপনার উত্তর আর যাই হোক আপনাকে এই কথা স্পষ্টভাবে বলে রাখতে চাই যে, আপনি নিজেকে যতবার ইচ্ছা বোকা, গাধা, ছাগল এমনকি পাগল বললেও তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ের ভিতর পড়ে। আর যদি অন্য কাউকে বলে থাকেন তাহলে অন্তত দশ বার ভাববেন যে আপনি কি বলছেন আর কাকে বলছেন ?

আপনি লিনাক্স এর উপর যে কোনো গঠন মূলক টিউন করুন, আমি বা আমরা ( উইন্ডোস এবং লিনাক্স ব্যবহারকারীরা ) অবশ্যই আগ্রহ নিয়ে আপনার টিউন গুলো দেখব।
কিন্তু অন্য কাউকে বোকা বলার আগে অন্তত দশ বার ভাববেন যে অন্যকে বোকা বলার নুন্যতম যোগ্যতাও আপনার আছে কিনা ??
চাই সে উইন্ডোস ব্যবহারকারী হোক আর লিনাক্স ব্যবহারকারী হোক।
সবাই আপনার যথাযথ সম্মানের যোগ্য।

আশা করি, আমার কমেন্ট টা আপনার মনে থাকবে ।।

    লিনাক্স ব্যবহারকারীদের বোকা বলেছি – এটা বুঝতে বাংলা বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার আছে কি?

    মূল লেখাটা উইকিপিডিয়া থেকে নিরস অনুবাদ। শুরুতে দুই লাইন আর শেষে এক লাইন টিজার (teaser) দিয়েছি এজন্য – যেখানে আমার কথা লিখেছি। তিতা ট্যাবলেটের চারপাশে মিঠা আবরণ না দিলে কি আর চলে?? 😉

    লিনাক্স ব্যবহারকারীদের দলে আছি আমি সাড়ে চার বছর। আমি এবং অন্যরা নিজেদেরকে বোকা ভেবেই সবসময় শেখার চেষ্টা করে যাই। আইজ্যাক নিউটন "জ্ঞানের সাগর তীরে কয়েকটি নুড়ি কুড়িয়েছিলেন" – লিনাক্স ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা এটা সবসময় অনুভব করি, লিনাক্সে আমাদের অজানা জিনিষই বেশি — তাই আমরা বোকা। 😀

Level 0

উচ্চ শিহ্মার জন্য আমরা যে বই ব্যবহার করি যেমন বিবিএ, এমবিএ, এমবিবিএস, ল্, কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার এবং সকল রকম ইন্জিনিয়ারিং বই, এরকম সকল বই আমরা নীলহ্মেত প্রিন্ট (পাইরেট প্রিন্ট) কিনি। কারণ এছারা আর কোনো উপায় নাই। আসল বই ও পাওয়া যায়, কিন্তু অনেক অনেক টাকা দিয়ে যদি আসল বই কিনতে হত, তবে বাংলাদেশে ৯০% ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করতে পারতো না। আমি নীলহ্মেত পাইরেটেড ওয়ালাদের ধন্যবাদ দেই। এই পাইরেটেড ওয়ালাদের জন্য বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করে এগিয়ে যেতে পারছে।
.
আমি পাইরেট সফট ব্যাবহার করে কোনো রকম লজ্জা বোধ করি না। আমি যখন কম্পিউটার এর 'ক' ও বুঝিনা, যখন কম্পিউটার কিনি তখন থেকে পাইরেট সফট ব্যাবহার করি। পাইরেট সফট ব্যাবহার করে কম্পিউটার চালানো শিখছি। পাইরেট সফট ব্যাবসায়ে ব্যাবহার করে এবং দুটো পয়সা উপার্জন করে খেতে পারছি। ধন্যবাদ তাদের যারা পাইরেট সফট ব্যাবহারে আমাকে সাহায্য করছে। পাইরেট সফট বা চুরি করা সফট না থাকলে আমি কম্পিউটার চালানো শিখতেই পারতাম না।
.
আমার জানা মতে (আমার জানা ভুল ও হতে পারে) LINUX এর আগে WINDOWS এর আগমন মানে জন্ম। OPERATION SYSTEM এর ক্রমধারায় WINDOWS এর পরে LINUX। যার কারণে WINDOWS অনেক জনপ্রিয়। আবার LINUX ও WINDOWS এর মত সব রকম সুবিধা দিতে পারছেনা। তাই WINDOWS অনেক জনপ্রিয়।
.
(আমার জানা ভুল ও হতে পারে) WINDOWS বা LINUX যাই হোক দুটোই আমেরিকান কোম্পানী। WINDOWS বা LINUX দুটোই বিদেশীদের অবদান। বিদেশীদের সফট কিনে ব্যাবহার করি বা পাইরাসি করে ব্যাবহার করি, এতে আমার মনে হয় কিছু যায়-আসা উচিৎ না। তবে যদি কোনো বাংলাদেশী ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশী OPERATION SYSTEM আবিষ্কার করে, তবে আমি শুধু আমি না, প্রতেক বাংলাদেশী বাংলাদেশী মানুষ WINDOWS এবং LINUX OPERATION SYSTEM ছেরে বাংলাদেশী OPERATION SYSTEM ব্যাবহার করবে। বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই প্রতিভাবান, আমি বিশ্বাস তারা একদিন পারবে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করতে। এই টেকীতেই তারা আছে। শুধু তাদের একটু টিউনিং করা প্রোয়োজন।
.
আমার মনে হয় আমাদের এটা মনে করা উচিৎ না যে, তুমি আসল সফট ব্যাবহার কর আর আমি চুরি করা সফট ব্যাবহার করি। "চুরি" শব্দটা বাদ দেয়া উচিৎ, ওটা শুধু রাজনীতিবীদরা করে। (যদিও আমার লেখায় চুরি শব্দটি কয়েকবার ব্যাবহার করেছি, এজন্য আমি হ্মমা চাচ্ছি)। এখানে সবাই টেকী, কেও রাজনীতিবীদ না। যে যার মত সফট ব্যাবহার করুক, যার কাছে যেটা ভালো এবং যার কাছে যেটি ভালো লাগে।
.
তবে সচেতনতর কথা বলে যদি LINUX এর MARKETING করা হয় তবে এই বইটার HELP নিন, "ADVERTISING AND PROMOTION, An Integrated Marketing Communication Perspective by Belch & Belch, 8th Edition. এর জন্য আপনাকে নীলহ্মেত প্রিন্ট (পাইরেট প্রিন্ট) কিনতে হবে, আসল বই পাবেন তবে আনেক টাকা লাগবে। এখানে আপনি পাবেন How a product Marketing, Advertising & promotion.
.
আমরা কেওই বোকা না, এমনকী LINUX ব্যাবহার যারা করে তারও না।

    আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

    আমার টিউনের তথ্যসূত্র দিয়ে রেখেছি — আসলে আমি শুধু অনুবাদ করেছি, তাই এখানে আমার বানানো কোনো তথ্য বা গল্প নেই।

    দেশে ইন্ডিয়ান এডিশন বেশ কিছু বই পাওয়া যায় যা সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। ঢাকায় সিঙ্গাপুর প্রিন্ট বইও পাওয়া যায়, তবে দাম ৩ থেকে ৪ গুন। (নিউমার্কেটের আইডিয়াল, মল্লিক ইত্যাদিতে পাওয়া যায়)। তবুও স্বীকার করতেই হবে পাইরেসি এখনো খুব বেশি। এজন্য আমরা পড়ানোর সময় চেষ্টা করি লিখিত ক্লাস লেকচার দিতে। এছাড়া ইদানিং ইন্টারনেটের সুবাদে প্রচুর ফ্রী এডুকেশন মেটেরিয়াল পাওয়া যায়। আমি আশাবাদী, আমরা এই পাইরেসি থেকেও বেরিয়ে আসতে পারবো।

    বাংলাদেশের কপিরাইট আইন, লেখাপড়ার জন্য বই থেকে ১০% পর্যন্ত কপি করার অনুমতি দেয় বলে জানতাম।

    সর্বোপরী একটা অন্যায় আরেকটা অন্যায়কে জাস্টিফাই করতে পারে না। যখন সফটওয়্যার পাইরেসী এড়ানোর সম্মানজনক বিকল্প আছে তখন এটা চালিয়ে যাওয়া আরো বেশি অন্যায় বলে মনে হয়।

    লিনাক্স যে উইন্ডোজের মত সুবিধা (!) দিতে পারছে না সেটা আমিও স্বীকার করি; লিনাক্স পুরা ফালতু নামে আমার বেশ পুরানা একটা লেখা এখানে টিউন আকারেও দিয়েছিলাম … … চাইলে পড়তে পারেন।
    https://www.techtunes.io/linux/tune-id/16918/

    আমি হয়তো কম্পিউটারে তেমন বেশি কাজ করি না। কিন্তু যা করি পুরাপুরিই লিনাক্স দিয়ে করি (৪.৫ বছর ধরে) — সমস্যা মনে করি না। নতুন জিনিষ শেখার মত ইচ্ছা এবং সাহস আমার এখনও আছে।

আর কিছু না হোক গেম খেলার জন্য উইন্ডোজ বেস্ট 😀

    অভিজ্ঞতাসম্পন্নরা বলে কনসোল নাকি বেস্ট। গেম খেলাটাকে পেশা হিসেবে নেয়া গেলে এই লাইনে আরো ঘাটাঘাটি করে দেখতাম হয়তো।

    সনির প্লেস্টেশনের ব্যাপারটা উইকির তথ্য। আমি স্ট্রাটেজি সিটি প্লানিং গেম পছন্দ করি। লিনাক্সে (এবং উইন্ডোজও আছে) simutrans ভাল লাগে কিন্তু আনইনস্টল করে রেখেছি, না হলে দেখা যায় কাজ বাদ দিয়ে এটার পেছনে ঘন্টার পর ঘন্টা নষ্ট করেছি।

    তারমানে আপনি ওই সিমসিটি টাইপের গেম পছন্দ করেন ? কিন্তু ওই গেমগুলা ত আবার প্রচুর ধৈর্যের গেম !!! 🙁

    সিমসিটি খেলেছি প্রচুর – ২০০৩ সালের দিকে; তখনও পাইরেসী বা ওপেন সোর্স নিয়ে আমার চোখ ফুটে নাই।

    এনএফএস টাইপও আমার পছন্দ। লিনাক্সে আমার দূর্বল মেশিনেও তাই TORCS খেলি মাঝে মাঝে। তবে আমি সাধারণত ড্রাইভিং ভিউ (ড্যাশবোর্ড ভিউ), আর ম্যানুয়াল গিয়ারে খেলতে পছন্দ করি — কারণ এটাই বেশি রিয়েলিস্টিক আর চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। 😉

    পাজল সলভ করতে পছন্দ করি। এজন্য Sudoku আর Einstein নামক দুইটা গেম উবুন্টুতে বেশি খেলা হয়। 😀

    আপনার ড্রাইভিং ভিউ (ড্যাশবোর্ড ভিউ) এর খেলা পছন্দ হইলে নিড ফর স্পীড শিফট খেলে দেখতে পারেন। অবশ্য তা উইন্ডোজেই কারন লিনাক্স এইসব পাওয়ারফুল গেম চালানোর শক্তি নাই 😀

    প্রিয় সুফি, লিনাক্সে নিড ফর স্পীড ২ এর চেয়ে উন্নত কিন্তু ৭ এর চেয়ে খারাপ গ্রাফিক্সের গেম তো এভাবে খেলছিই। খেয়াল করলে দেখবেন, আমার আগের মন্তব্যেও সেটার নাম উল্লেখ করেছি। আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে সেই নামটা দিয়ে গুগল করে ইমেজগুলো দেখতেন তাহলেই আর এই মন্তব্য করতেন বলে মনে হয় না।

    কৌতুহলী হলে TORCS এবং VDRIFT নাম দুইটা দিয়ে গুগল করে ছবি দেখতে পারেন। এছাড়া linux games লিখে গুগল সার্চ করে দেখতে পারেন এতে কী করা যায় আর কোনটা না জেনে অনুমান করছেন। http://www.linuxgames.com/ — এই সাইটে কিছু ভিডিও পাবেন, গুগল বা ইউটিউবে আরো ভিডিও থাকার কথা। আর cedega ব্যবহার করে উইন্ডোজের প্রায় সব ভাল গেমই লিনাক্সে খেলা যায় — তবে cedega কিংবা গেমগুলো কোনটাই ফ্রী নয়, তাই ঐ পথে হাঁটার সুযোগ হয়নি। গুগলের মত এত ভাল একটা সার্চ ইঞ্জিন থাকতে এই ব্যাপারে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হবে না আশা করছি।

    দেখার জন্য আরেকটা সাইটের ঠিকানা দিলাম:
    http://sathyasays.com/2008/01/12/25-top-3d-linux-games/

    হুম আমি বলেছিলাম যে নিড ফর স্পীড শিফট ২ এর কথা । এই গেম উইন্ডোজে খেলে যে আউটপুট পাবেন অর্থাৎ এফপিএস পাবেন তা কিন্তু লিনাক্সে পাবেন না ।স্বীকার করছি cedega ব্যবহার করে উইন্ডোজের প্রায় সব ভাল গেমই লিনাক্সে খেলা যায় কিন্তু উইন্ডোজ এর বিকল্প নিশ্চয়ই লিনাক্স হতে পারে না ।

    " ছাগলের স্বাদ ত আর গরুতে মিটবে না " 😀

আমার এই অনুবাদটুকু বাংলা উইকিপিডিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে। 🙂
http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8_%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3

এখানে 'বোকা' বলতে লিনাক্স ইউজাররা। কিন্তু বোকা যে রূপক অর্থে ব্যবহার হয়েছে এটা বুঝতে টাইম লাগে?

আমি বলবো, একজন প্রযুক্তি প্রেমী(বা ছাত্র)হিসেবে সব প্লাটফরমের operating system ব্যবহার করা উচিত(যেহেতু dual boot করে চালানো যায়, আমি ৩ টি চালাই)। মোটামুটি কয়েকদিন ব্যবহার করলে নিজে নিজেই dicision নেওয়া যায় কোনটা ভালো আর কোনটা মোটামুটি ভালো(খারাপ কোনোটাই না)।

যেহেতু লিনাক্স ফ্রি সেহেতু এর খারাপ কিছু থাকলেও তা আমার মতে ভালো।

ধন্যবাদ ভাই টিউনের জন্য। আপনি চালিয়ে যান……।

আরে ভাই অভ্রনীলের পর এতদিন পরে একটা সত্যিকার স্যাটায়ারভিত্তিক অসম্ভব তথ্যবহুল লেখা পেলাম !!! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
==========
বাংলাদেশের বোকাদের একটা নাম দেইঃ

<code>শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ইন্টারনেট ল্যাবে উবুন্টু ব্যবহার করা হয় !!! </code>

    আমিও প্রথমে অভ্রনীল ভাইয়ের পোস্ট দেখেই লিনাক্স নিয়ে ভেবেছিলাম। ওই লেখাতেও এভাবে আড়ালে অনেক কিছু লেখা ছিল। মেজাজ খারাপ। কিছু পোলাপাইন উলটা পালটা বলতেছে 🙁

    শাওন, আমি তো মজা পাইতেছি। রিয়্যাকশন দেখে বুঝতেছি জায়গামত গুলি লেগেছে 😉

    @ নাহিদ:
    শামীম ভাই রিটায়ারড্ ওল্ড। অভ্রনীল ইন ফায়ার।
    ইতিহাস কী বলে? —
    http://www.sachalayatan.com/ovroniil/33243#comment-341563

    হুম্মম্মম !

পোলাপাইন না বুইজাই কমেন্ট করতেছে।রুপক গল্প বা সারমর্ম সম্পর্কে তাদের আরো জানতে হবে। 😉

Level 0

লিনেক্স জানার আমার অনেক আগ্রহ, কিন্তু আমি বড় কিপটা কেথায় গিয়ে অতিরিক্ত সময় বা পয়সা কোনটাই ব্যায় করা আমার পক্ষে বর্তমানে সম্ভব নয়। এন্ড আমাকে একাধারে উইন্ডজ ও লিনেক্স এর সাথে ব্যবহার করতে হবে (নয়তো আমার কাজগুলো করবো কেথায়?)… তাই আমাদের মত নবাগতদের জন্য চেইন টিউনের আবেদন করছি। যেখানে প্রথমিক সিরিয়ালটা এরকম হলে ভাল হয়।
1. installation (to use with win in same pc)
2. how to run windows file (and soft if possible) (specially office files)
3. how to use usb modem (bcz we want to learn via internet)
তাহলে হয়তোবা নতুনরা সাহস করে এগোব, আর পুরোপরি যখন expert হয়ে যাবো তখন চোর থেকে ভদ্দর লোক হয়ে যাব।

    Level 2

    হুম…।এগুলা ইংরেজিতে অলরেডি আছে। বাংলা করা দরকার………লিনাক্স নিয়া চিন্তার কিছু নাই…।এটা বেশ ভাল। পুরদস্তুর গেমপাগল হলে সমস্যা হতে পারে।
    কিছু পেলে কিছু ছাড়তেই হয় জানেন তো। তবে উইন্ডোজের প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ সফটওয়ার ই লিনাক্সে চলে।