বন্টু-মিন্টুর গুষ্ঠি কিলাই! (উবুন্টু নিয়ে মজার একটা লেখা। না পড়লে সত্যিই মিস করবেন)

এ ব্লগ থেকে ও ব্লগে ঘুরে বেড়ানো একটা নেশার মত হয়ে গেছে। আর এই ঘোরাঘুরি করতে গিয়েই মাঝে মাঝে চোখে পড়ে বেশ কিছু ভালো আর মজার লেখা। আজ তেমনি একটা লেখা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করে যাচ্ছি যেটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে......

টেকটিউনসে ইদানিং লিনাক্স নিয়ে বেশ কিছু লেখা আসছে। এটা বেশ ভালো লক্ষণই বলা চলে। আশা করা যায় এতে করে এবার পাইরেসির বিরুদ্ধে এক গণজাগরণ তৈরী হলেও হতে পারে। উবুন্টু নিয়ে অনেক কথা শোনার পরে আমি অবশেষে উবুন্টুর দিকে হাত বাড়িয়েছি। ব্যবহার করেও বেশ মজা পাচ্ছি। তাই চেষ্টা করছি পরিচিত সবাইকে এর সম্পর্কে জানাতে.......

যাই হোক , এবার আসল কথায় আসি......আজকের এই লেখাটি পেয়েছি 'অভ্রনীল' ভাইয়ের 'অভ্রনীলের আবাস' নামক ব্লগ সাইট থেকে। ব্লগের লাইসেন্স অপশনে দেখলাম লেখা রয়েছে "এই সাইটের লেখা(গুলো) যেকোন অবাণিজ্যিক কাজে ও উদ্দেশ্যে শেয়ার করা যাবে বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, তবে অবশ্যই লেখায় লেখক হিসেবে আমার নাম এবং এই সাইটের ঠিকানা (এবং/অথবা যে লেখা ব্যবহার করা হচ্ছে তার লিংক/ঠিকানা) উল্লেখ থাকতে হবে।" তাই ভাবলাম সূত্র উল্লেখ করে লেখাটি অন্য কোথাও প্রাকাশে তেমন কোন বাধা নেই। আপনারা চাইলে মূল লেখাটি দেখতে পারেন এখান থেকে

আমি নিচে লেখাটি শুধু কপি-পেস্ট করে উপস্থাপন করছি......

" ইদানিং দেখি লোকজন নতুন ফ্যাশান ধরেছে- কম্পিউটারে লিনাক্স ব্যবহার করে! স্টাইল নিয়ে বলে “আমি বন্টু”-”আমি মিন্টু”। ভড়কে গেলেন? ভাবছেন বন্টু-মিন্টু কী জিনিস! হে হে হে, এগুলো হলো গিয়ে উবুন্টু আর মিন্ট ব্যবহারকারীদের নয়া নাম! কম্পুকানা পোলাপান যারা লেখালেখি, গেম আর গান-মুভি ছাড়া কিছু বুঝেনা, তারাও দেখি এখন লিনাক্স চালায়। আবার ঠোঁট উল্টে বলে কিনা লিনাক্স চালাতে কোন কম্পুজ্ঞান লাগেনা। বুঝেন ঠ্যালা! সারাজীবন শুনলাম উইন্ডোজ চালাতে কোন কম্পুজ্ঞান লাগেনা আর এরা বলে কিনা পোলাপান-বুড়াপান-খিলিপান-সবুজপান সবাই নাকি লিনাক্স ব্যবহার করতে পারবে। যাইহোক, ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আমিও উবুন্টু আর মিন্ট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ঘাঁটাঘাঁটি করে বুঝলাম যে লিনাক্সের মত কঠিন ও জঘন্য জিনিস দুইটা নাই। প্রমাণ চান? তাহলে চলেন, সামনে যেতে যেতে আলাপ করি…


আলাপের আগে ছোট একটা কথা। যে জিনিসকে কিলাতে চাই সেটার ছোটখাট কিছু বর্ণনা দেয়া উচিৎ। লিনাক্স হচ্ছে গিয়ে একটা কার্নেল। কার্নেলের সাথে বহু কিছু যোগ-বিয়োগ করে অপারেটিং সিস্টেম বানানো হয়। এভাবে লিনাক্সের অনেকগুলা অপারেটিং সিস্টেম আছে। এই যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেডহ্যাট, ফেডোরা, স্যুযে – এরকম বহু ওএস আছে, সবগুলাকেই লিনাক্সের উপর বানানো হয়েছে। তাই সবগুলোকে না নিয়ে এখনকার পোলাপান যেই দুটাকে নিয়ে ফুটুংফাটুং করে সেই দুটা – উবুন্টু আর মিন্ট নিয়েই আলাপ করি।

প্রথমেই ধরুন গিয়ে, আমরা উইন্ডোজ চুরি করি। চুরি করার যে কী মজা সেটা চোর নাহলে বুঝবেননা (অবশ্য আপনি যদি চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করেন তাহলে আপনি সহজেই ব্যাপারটা বুঝবেন)। ঘুষখোর না হলে ঘুষের মজা যেমন বোঝা যায়না তেমনি চোর না হলে চুরির মজা বোঝা যায়না। আমাদের চুরি আবার এককাঠি সরেস, আমরা টাকা খরচ করে উইন্ডোজ চুরি করি! আর উবুন্টু-মিন্ট হচ্ছে মাগনা জিনিস, টাকা খরচ করতে হয়না। মাগনা জিনিস নিয়ে কি আর চুরির উত্তেজনা আছে!

তারপর ধরুন গিয়ে, উবুন্টু-মিন্টে কী কী জানি ক্যারদানী করা আছে যে, ইচ্ছে করলে এগুলো হার্ডডিস্কে ইন্সটল না করেই সিডি থেকে চালানো যায়, কাজ করা যায়। সিডি ড্রাইভে ডিস্ক ঢুকিয়ে পিসি চালু করলেই হল। বলেনতো, কী দরকার এত ক্যারদানীর! এর চেয়ে উইন্ডোজ দেখেন, কী সহজ একখান জিনিস, চালিয়ে দেখার একটাই রাস্তা- পুরোটা ইন্সটল করতে হবে। পুরোটা ইন্সটল না করে চালানো ছাড়া আর কোন উপায় নাই। তাহলে বলেন দেখি, এসব লাইভ সিডি-টিডি’র কোন বেইল আছে?

উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইন্সটলেশনও বহুত ঝামেলার। কী একটা মেন্যু নাকি আছে, সফটওয়্যার সেন্টার নামে, সেখানে নাকি সব সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সফটওয়্যার সেন্টারে গিয়ে নাম/ধরন লিখে সফটওয়্যার খুঁজে বের করে “ইন্সটল” বাটনে ক্লিক করলে পরে সফটওয়্যার ইন্সটল হয়। অথচ উইন্ডোজে এই কাজটা আমরা কতই না সহজে করি। প্রথমে গুগল দিয়ে পুরো ইন্টারনেট খুঁজে সফটওয়্যার ডাউনলোড করি, তারপর ডাউনলোড করা ফাইলটাকে ডাবল ক্লিক করে একগাদা নেক্সট-নেক্সট চাপতে থাকি, একটা ধাপে এসে দেখা যায় যে সফটওয়্যারটা সিরিয়াল নাম্বার চাচ্ছে। এইবার চুরি করার পালা! (আগেই বলেছি চোর না হলে চুরি করার মজা বুঝবেননা) আবার গুগল করে বিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করে একগাদা চোরাই সিরিয়াল নাম্বার নামাই। তারপর একটা একটা দিয়ে দেখি কোনটাতে কাজ করে। যদি এগুলো দিয়ে কাজ করে তো ভালো নাহলে আবার গুগল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। যাই হোক ধরে নিলাম যে প্রথমবারে নামানো সিরিয়াল নাম্বারেই সফটওয়্যারের সিরিয়াল মিলে গেল। তারপর আবার নেক্সট-নেক্সট-নেক্সট। তারপর আর কোন চিন্তা নাই, সফটওয়্যারটা ইন্সটল হয়ে যাবে। দেখেন তাহলে উবুন্টুতে কত ভেজাল করে সফটওয়্যার সেন্টার থেকে সফটওয়্যার খুঁজে তারপর ইন্সটল করতে হয়, উবুন্টু কঠিন নাতো কী!

উবুন্টু’র ডিফল্ট সফটওয়্যারগুলোও আমাকে চরম হতাশ করেছে। ধরুন উইন্ডোজ ইন্সটল করলেন। এখন লেখালেখি করতে চান, এজন্য আপনি পাচ্ছেন ওয়ার্ডপ্যাড, মনের খায়েশে লিখে চলুন। গান শুনতে চান কিংবা ভিডিও দেখতে চান- রয়েছে মিডিয়াপ্লেয়ার। ইন্টারনেটে ঘুরাঘুরি করার জন্য রয়েছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। আঁকাআঁকি করতে চান- কোই বাত নেহি, এমএসপেইন্ট রয়েছে। এবার আসুন উবুন্টু’র দিকে চোখ ফেরাই। সফটওয়্যারের দিক থেকে এটি এত জঘন্য একটা অপারেটিং সিস্টেম যে আপনি ভয়ানক রকম হতাশ হবেন। লেখালেখি করার জন্য রয়েছে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ  একটা অফিস স্যুট – যাতে রয়েছে একটি ওয়ার্ডপ্রসেসর, হিসাবনিকাষের জন্য স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য একটা প্রেজেন্টার। গান শোনার জন্য রয়েছে রিদমবক্স, ভিডিও দেখতে আছে টটেম মুভি প্লেয়ার। আঁকাআঁকি’র কথা আর কী বলব! এর জন্য আছে ওপেনঅফিস ড্রয়িং, মিন্টে আবার বাড়তি রয়েছে গিম্পের মত ফালতু জিনিস যেটা কিনা কাজেকর্মে প্রায় ফটোশপের সাথে তুলনীয়। আর ছবি এডিট করার জন্য আছে এফস্পট। উবুন্টু-মিন্টের ইন্টারনেট বিষয়ক সুবিধার কথা বললে আপনি একেবারেই মুষড়ে পড়বেন। উবুন্টু-মিন্টে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য পাবেন শুধুমাত্র ফায়ারফক্স, সাথে রয়েছে ইমেইল আদান-প্রদানের জন্য একটা ইমেইল ক্লায়েন্ট। সেইসাথে ফেসবুক, টুইটার এইসবকে আপনার ডেস্কটপের সাথে একীভূত করতে রয়েছে গুইবার, এক জায়গা থেকেই সবখানে ঘুরাঘুরি করতে পারবেন। ডাউনলোড করার জন্য রয়েছে একটা বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট আর ডাউনলোড ম্যানেজার। আর চ্যাট করার জন্য রয়েছে এ্যাম্পাথি যা কিনা কেবলমাত্র সামান্য কয়েকটা সার্ভিস সাপোর্ট করে, যেমনঃ ইয়াহু, এমএসএন, গুগলটক, আইআরসি, ফেসবুক, …

কোন প্রিন্টার, স্ক্যানার, মডেম, ক্যামেরা ইত্যাদি ডিভাইস যদি উবুন্টু-মিন্টে চালাতে চান তাহলে খালি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করলেই হল, ড্রাইভার সিডির দরকার হয়না, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করে। এমনকি বিল্টইন সাউন্ডকার্ড, গ্রাফিক্সকার্ড,ওয়েবক্যাম এগুলোরও ড্রাইভার লাগেনা – এটা কি ফাজলামো নাকি! একটা কম্পানি এত কষ্ট করে ড্রাইভার সিডি বানালো, সেটার কিনা কোনো দরকারই নেই।  বলেন দেখি, একটা অপারেটিং সিস্টেম কতটুকু জঘন্য হলে সেটা কোন কম্পানির ড্রাইভার সিডিকে উপেক্ষা করে!

উবুন্টু-মিন্টে সিস্টেম পরিচর্যা করার কোন উপায়ই নাই। উইন্ডোজে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এইসব কঠিন কঠিন উচুঁ লেভেলের প্রোগ্রাম চালাতে গিয়ে সিস্টেম প্রায়ই ক্র্যাশ করে। ফলে সপ্তাহে রুটিন করে মেশিনে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয়। অথচ উবুন্টু-মিন্ট এতই নিম্নমানের যে ভাইরাস-টাইরাস এখানে চলতেই পারেনা, ফলে সিস্টেমও ক্র্যাশট্যাশ হয়না। তাই দেখা যায় যে ঘন ঘন ইন্সটলও করতে হয়না। আপনিই বলুন কম্পিউটারে যদি অপারেটিং সিস্টেম ঘন ঘন ইন্সটল না করা হয় তবে কি সেটা ভালো থাকে? তাছাড়া ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এর মত উচুঁ লেভেলের প্রোগ্রাম চলেনা দেখে কোন এন্টিভাইরাসও লাগেনা। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হল উবুন্টু-মিন্টের ফাইল সিস্টেম এত বেশি গোছালো থাকে যে এর জন্য এগুলোতে ডিফ্র্যাগমেন্টও নাকি করা লাগেনা, তাই ডিফ্র্যাগমেন্টের কোন অপশনই দেয়া হয়নাই! সবচেয়ে আতংকের কথা হল উবুন্টু-মিন্ট হ্যাং করেনা। কম্পিউটার যদি হ্যাং না-ই করল তাহলে সেটা কীসের কম্পিউটার! হ্যাং করলে পিসি রিস্টার্ট দিতে হয়, যেটা কিনা পিসির জন্য খুব ভালো, এতে পুরো সিস্টেমটি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা সব ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করতে থাকে এবং ভবিষ্যতে আবার হ্যাং করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন, পুরো কাজ সেভ করেননি তার আগেই হঠাৎ করে নীল স্ক্রিন এসে হাজির। রিস্টার্ট দিয়ে সেই একই কাজ আবার নতুন করে শুরু করার মাঝেও একধরণের আনন্দময় স্নায়ুবিক উত্তেজনা কাজ করে, অনেক সময় এমন অবস্থায় লোকজন আনন্দের আতিশয্যে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলে (খুবই স্বাস্থ্যসম্মত কাজ, এতে করে পুরনো চুলের ভারে চাপা পড়া নতুন চুলদের বেড়ে উঠার রাস্তা খুলে যায়)। অথচ উবুন্টু-মিন্ট ব্যবহার করলে এইসব আনন্দময় সময় উপভোগ করার আশা গুড়েবালি।

উবুন্টু-মিন্টের জন্য হাইফাই হার্ডওয়্যারেরও দরকার নেই, এগুলো পুরানো হার্ডওয়্যারেও চলে! ফলে আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমের সাথে পাল্লা দিয়ে বছর বছর দামী দামী হার্ডওয়্যার পাল্টাবেন, সেটি হচ্ছেনা। পুরনো হার্ডওয়্যারেই বছরের পর বছর পার করে দিতে হবে। এমনকি থ্রিডি ডেস্কটপ বা বিভিন্ন ক্যারাবারা ইফেক্ট দেখার জন্য যে বাজারে নতুন আসা থ্রিডি গ্রাফিক্স কার্ডটা কিনবেন তারও জো নাই, উবুন্টু-মিন্টে বিল্টইন গ্রাফিক্স কার্ডেই ডেস্কটপের বিভিন্ন ক্যারাব্যারা ইফেক্ট আনা যায়। তাছাড়া উবুন্টু-মিন্ট এত দ্রুত বুট হয় যে আপনি যে পিসির বাটন অন করে একটু বাথরুম থেকে ঘুরে আসবেন বা চা-নাস্তা খেয়ে আসবেন, সেটাও হবেনা।

উবুন্টু-মিন্ট এতই জঘন্য যে লোকজন এগুলোর দিকে ফিরেও তাকায়না। তাই মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য এগুলোতে শুধু ইংলিশই নয় বরং অন্যান্য ভাষার কিবোর্ডও আগে থেকেই দিয়ে দেয়া থাকে। এই যেমন ধরুন গিয়ে বাংলা ভাষার কথা। উবুন্টু-মিন্টে বাংলায় লেখার জন্য প্রভাত, ইউনিজয় আর জাতীয় কিবোর্ডের লেয়াউট দিয়ে দেয়াই থাকে। ইদানিং আবার বাংলাদেশের একমাত্র পাইরেটেড সফটওয়্যারের খেতাব পাওয়া অভ্রও উবুন্টু-মিন্টের জন্য ফনেটিক ভার্সন বের করেছে। নিন্দুকেরা বলে উবুন্টুতে নাকি বাংলা ফন্টের স্মুদিং উইন্ডোজের চেয়ে অনেক ভালো, ফলে ফন্টগুলো নাকি একদম ঝরঝরে স্পষ্ট দেখা যায়। আহারে বেচারারা!

লিনাক্সের জন্য প্রচুর গেম আছে। উবুন্টু-মিন্ট কিন্তু সেগুলো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারে। অথচ তারা সেটা না করে উইন্ডোজের গেমের দিকেও হাত বাড়িয়েছে। ওয়াইন নামে কী এক আজব সফটওয়্যার আছে যেটা কিনা উইন্ডোজের গেমগুলোকেও উবুন্টু মিন্টে চালিয়ে ফেলে! লিনাক্সের গেমগুলোতো চলেই, সেই সাথে উইন্ডোজের গেমও যোগ হয়েছে। এক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি করা জিনিস আরেক অপারেটিং সিস্টেমে চালায় – কী রকম নীচু মানসিকতা হলে এরকম করা সম্ভব, বলেন তো!

উপরের আলোচনায় নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে উবুন্টু-মিন্ট কত ফালতু অপারেটিং সিস্টেম। এইরকম ফালতু মানের অপারেটিং সিস্টেম দেখলেই তো কষে দু ঘা কিল বসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। অথচ লোকজন কিনা গর্ব করে বলে যে “আমি উবুন্টু চালাই”, “আমি মিন্ট চালাই”। শুধু তাই না যারা চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করে তাদের দেখে এরা আবার হাসাহাসিও করে। চোর কি হাসির বস্তু? চোরের কি মানসম্মান নাই? দেশে কি মানসম্মত চোরের এতই আকাল? অবস্থা এখন এমন যে লিনাক্স নিয়ে কাউকে তাই কথা বলতে দেখলেই মেজাজ খিঁচড়ে যায়। মনে হয় কিলিয়ে ভর্তা বানাই। তাই হে ভাই আমার বোনেরা তোমার, আসুন আমরা এখন থেকে বন্টু-মিন্টুদের ফালতু কথায় কান না দিয়ে চৌর্যবৃত্তিতে ডুবে থাকি। চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করব তারপরও মাগনা উবুন্টু-মিন্ট ব্যবহার করবোনা। সফটওয়্যার চুরির তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, আসুন গণহারে চুরি করে আমরা আমাদের দেশকে সেই তালিকার শীর্ষে নিয়ে যাই।"

সবাই অনেক ভালো থাকবেন

_অনুপম শুভ

Level 0

আমি মেঘ রোদ্দুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 373 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

নিজের কথা কিচ্ছু বলার নাই। মনে যা আসে তাই করে বেড়াই..... টেকনোলজির ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ আছে বলেই টেকটিউনস-এ ঢু মারি.....


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সত্যিই অসাধারণ এক রম্য রচনা।

খুবই সুন্দর হয়েছে।
খুব দ্রত উবন্তুতে শিফ্ট হতে চাচ্ছি।

    খুব দ্রুত কি বলছেন এখনই হয়েযান।

উবুন্টু তুমি এগিয়ে চল আমার আছি তোমার সাথে……………………………………………….

Level 0

হা হা হা হা হা হা ও হা হা হা হা হা।জটিল হইসে টিউন টা।ধন্নবাদ এমন টিউন সেয়ার করার জন্য।

Level 0

অনেক ধন্যবাদ ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

হা হা হা হো হো হো হো হো হো …………………… আমি আর থাকতে পারছি না। চরম…………………পত্র

হাসতে হাসতে পেটে খিল ধইরা গেল।

কোন প্রিন্টার, স্ক্যানার, মডেম, ক্যামেরা ইত্যাদি ডিভাইস যদি উবুন্টু-মিন্টে চালাতে চান তাহলে খালি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করলেই হল, ড্রাইভার সিডির দরকার হয়না, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করে। এমনকি বিল্টইন সাউন্ডকার্ড, গ্রাফিক্সকার্ড,ওয়েবক্যাম এগুলোরও ড্রাইভার লাগেনা – এটা কি ফাজলামো নাকি!

এই কথা টা আমার কাছে বেশি মজা লাগছে…. হিহিহিহিহহিহি

খুবই সুন্দর হয়েছে।হা হা হো হো হো হো

এই লেখার লেখক কে আগেই ধন্যবাদ জানাই তার এই লেখার জন্য। তারপর জানাই টিউনার কে। আমার কাছে প্রতিটা কথাই যে কত ভাল লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।

Level 0

উপরের আলোচনায় নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে উবুন্টু-মিন্ট কত ফালতু অপারেটিং সিস্টেম। এইরকম ফালতু মানের অপারেটিং সিস্টেম দেখলেই তো কষে দু ঘা কিল বসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। অথচ লোকজন কিনা গর্ব করে বলে যে “আমি উবুন্টু চালাই”, “আমি মিন্ট চালাই”। শুধু তাই না যারা চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করে তাদের দেখে এরা আবার হাসাহাসিও করে। চোর কি হাসির বস্তু? চোরের কি মানসম্মান নাই? দেশে কি মানসম্মত চোরের এতই আকাল? অবস্থা এখন এমন যে লিনাক্স নিয়ে কাউকে তাই কথা বলতে দেখলেই মেজাজ খিঁচড়ে যায়। মনে হয় কিলিয়ে ভর্তা বানাই। তাই হে ভাই আমার বোনেরা তোমার, আসুন আমরা এখন থেকে বন্টু-মিন্টুদের ফালতু কথায় কান না দিয়ে চৌর্যবৃত্তিতে ডুবে থাকি। চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করব তারপরও মাগনা উবুন্টু-মিন্ট ব্যবহার করবোনা। সফটওয়্যার চুরির তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, আসুন গণহারে চুরি করে আমরা আমাদের দেশকে সেই তালিকার শীর্ষে নিয়ে যাই।”

হা হা হা হা হা হা
অভ্রনীল ভাইয়ের লেখা পড়ছি কিছু দিন থেকে
মানুষকে যে কিভাবে নিজের বদআভ্যাস/ ভুল ধরিয়ে দিতে হয় তা তিনি ভালই জানেন
টেকিদের মধ্যে তাকে আমি শীর্ষদের একজন মানি
ভাল লেখকও বটে

একদম ঠিক বলছেন লিন্যাক্সের মত ফালতু অপারেটিং সিষ্টেম হয়ই না। সামনের দিনগুলো তাই লিন্যাক্সের সাথেই আছি। 🙂

লিন্যাক্স মানে মজাই মজা।।

হা হা হা ………….হা হা হা হা হা হা ম জ্জা পাইছি……. (খুবই স্বাস্থ্যসম্মত কাজ, এতে করে পুরনো চুলের ভারে চাপা পড়া নতুন চুলদের বেড়ে উঠার রাস্তা খুলে যায়)।

অভ্রনীল ভাইয়ের লেখা গুলো খুব চমৎকার এবং তথ্য পূর্ণ

Level 0

অভ্রনীল এর লেখা আগেও পড়েছি, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

হাসছি এবং পড়ছি। আমি নিজে ও বন্টু (উবুন্টু) ব্যবহার করি। লেখক কে অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Level 0

হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা……………… হোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহো……………..
হিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহহিহহিহহিহহিহহহিহিহিহিহি…………
বোনটু মিনটু এসে সব মজা মাটি করে দিলো রে……
উফফফফফফ…… =PPPPPPPPPPPPPPP

জটিল হইসে টিউন টা।হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা……………… হোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহো……………..
হিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহহিহহিহহিহহিহহহিহিহিহিহি…………

Level 0

vai wi max diye ubuntu te connection dite parci na , tai ubuntu te puropuri shift hote parci na, kunu somadan ki diben ???? tacara ubuntur jonno windows ar games gulu kivabe kela jai ???? kindly ki janaben ???

valo jotil …