বর্তমান যোগে ল্যাপটপ/কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই প্রয়োজনীয় যন্ত্র। প্রতিটি অফিস, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা করা যায় না। এমনকি ছোটখাটো দোকানেও এখন ব্যবসায়িক সফটওয়্যার ব্যবহার এর জন্য কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হয়। ব্যক্তিগত ব্যবহার এবং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ও ব্যবহার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ল্যাপটপ।
এই যে লক্ষ লক্ষ ল্যাপটপ ব্যবহৃত হচ্ছে, এগুলো কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দিয়ে থাকে। যেমনঃ কম্পিউটার এ পাওয়ার না আসা, চার্জিং প্রবলেম, ডিসপ্লে তে কিছু দেখা না যাওয়া, হেং হয়ে থাকা, অতিরিক্ত হিট (গরম) হয়ে যাওয়া, টাচ পেট -কি বোর্ড - ব্যাটারিতে প্রবলেম আর কত কি!
একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার পর ২ বছর আবার কোন কোন কোম্পানি ৩ বছর ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। ওয়ারেন্টি থাকা অবস্থায় যদি physical damage না থাকে এই সমস্যা গুলোর সমাধান কোম্পানি দিবে কিন্তু
ওয়ারেন্টি যদি না থাকে এবং কোন physical damage থাকে তবে কোম্পানি কোন সমাধান দিবে না।
তখন কম্পিউটার ব্যবহার কারীরা ল্যাপটপ/কম্পিউটার মেরামত করার জন্য বিশ্বস্ত ও ভালো মানের ইঞ্জিনিয়ার খোঁজে। আপনি জানেন কি - এই ডিজিটাল যোগেও বাংলাদেশে বিশ্বস্ত ও ভালো মানের (কম্পিউটার হার্ডওয়্যার) ইঙ্গিনিয়ার পাওয়া খুবই দুষ্কর। (এই সমস্ত সমস্যা গুলো সাধারনত হার্ডওয়্যার থেকেই বেশী হয়)
আপনি যদি একজন বিশ্বস্ত ও ভালো মানের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিশিয়ান) হতে চান। তাহলে এই কোর্স টি আপনার জন্য।
* ৩ টি থাপে Laptop Chip Level Service Engineering Course টি সম্পন্ন করতে হবে।
১ - বেসিক ইলেক্ট্রনিক্স ট্রেনিং কোর্স
২- রেখাচিত্র বা schematic ট্রেনিং কোর্স
৩- মাদারবোর্ড চিপ লেভেল রিপেয়ারিং ট্রেনিং কোর্স
আসুন জেনে নেই 'বেসিক ইলেক্ট্রনিক্স ট্রেনিং কোর্স' এ কি কি থাকছে।
এই অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করবো কম্পিউটার মাদারবোর্ড এর কম্পোনেন্ট (Component) নিয়ে যেমনঃ ডায়োড, ক্যাপাসিটর, কয়েল, মোসফেট, এ সি/ ডিসি ইত্যাদি
আমরা প্রথম পর্ব এ সি/ ডিসি এর পরিচয় দিয়ে শুরু করবো। তো চলুন আমরা কারেন্ট সম্পর্কে একটু ধারনা নেই।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে - ইলেকট্রিক চার্জের প্রবাহকেই কারেন্ট বলে অর্থাৎ পরিবাহী কোন বস্তুর মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহই কারেন্ট।
কারেন্ট কে ( I) দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং এর একক কুলম্ব/সেকেন্ড বা এম্পিয়ার (Ampere) A
কারেন্ট কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১. এসি কারেন্ট (AC Current) : যে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় নির্দিষ্ট নিয়ম মতো দিক পরিবর্তন করে এবং যার মান প্রতি মুহুর্তে পরিবর্তন হতে থাকে, তাকে এসি কারেন্ট বা অলটারনেটিং কারেন্ট বলে।
এসি কারেন্ট এর একটি চিত্র
২. ডিসি কারেন্ট (DC Current) : যে কারেন্ট সব সময় একই দিকে প্রবাহিত হয় এবং যার মান নির্দিষ্ট থাকে, তাকে ডিসি কারেন্ট বা ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে। এই কারেন্টের পজিটিভ ও নেগেটিভ পোলারিটি সব সময় অপরিবর্তিত থাকে। যেমনঃ ব্যাটারি এর কারেন্ট
ডিসি কারেন্ট এর একটি চিত্র
কারেন্ট পরিমাপ করা হয় এম্পিয়ার দ্বারা।
এম্পিয়ারঃ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক কুলম্ব চার্জ
এক সেকেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে
ঐ পরিমান চার্জকে ১ এম্পিয়ার বলে।
ভোল্টেজ
ভোল্টেজ হল এক ধরনের বৈদ্যুতিক চাপ। পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন (ঋণাত্মক কনিকা) সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয় তাকে ভোল্টেজ বলে।
ভোল্টেজের প্রতীক হলো (V)এবং এর একক হলো ভোল্ট (Volt)
পাওয়ার কাকে বলে?
একটি সার্কিটের মধ্যে দিয়ে যে হারে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়ে কাজ সম্পন্ন করে তাকে ইলেকট্রিক পাওয়ার বলে। একে সাধারণত P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
এর একক work/time = কাজের একক জুল এবং সময়ের একক সেকেন্ড
অর্থাৎ জুল/সেকেন্ড এর SI একক ওয়াট (watt)। ইলেকট্রিক পাওয়ার পরিমাপ করা হয় ওয়াটে।
ওয়াট কাকে বলে ?
আমরা জেনেছি যে ক্ষমতার SI একক ইউনিট। যেকোন যন্ত্রের চলার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। কোন লোড নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু শক্তি খরচ করে কোন কাজ সম্পন্ন করে সেই হিসাবকেই ওয়াট বলে।
এভাবে ও বলা যায়, যে ক্ষমতায় প্রতি সেকেন্ডে এক জুল (কাজের একক জুল) পরিমান কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ওয়াট বলে।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা কারেন্ট সম্পর্কে অনেকটা ধারনা পাই। কম্পিউটার রিপেয়ারিং এর কাজ করার জন্য এই টুকু জানাই যথেষ্ট। যদিও কারেন্ট এর বিষয়ে বা এ সি/ ডিসি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আরো অনেক কথা বলতে হয়। এ সি/ ডিসি এর গবেষণা করে কত গবেষক কত বই লিখেছে তার কোন হিসাব নেই।
আজ এই পর্যন্তই থাক পরের পর্বে আমরা ক্যাপাসিটর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি ল্যাপটপ রিপেয়ারিং কোর্স টির প্রতি আগ্রহি হন বাকি পর্ব গুলো পরতে আমাকে ফলো (follow) করতে পারেন।
ফেসবুকে আমি.
আমি ফাইজুল হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।