অ্যাপেলের জাদুর বক্স বলা হয় এই ল্যাপটপটিকে, নানা টেক কোম্পানি একের পর এক নিত্য নতুন ডিভাইস বানাচ্ছে। কিন্তু আপেলের ম্যাকবুক কে অতিক্রম করতে পারছে না কোনো ল্যাপটপ মডেল। অ্যাপেল বৃহত্তর টেক জায়ান্টি, দু'ধরনের ম্যাকবুক বাজারে আনে। ম্যাকবুক এয়ার এবং ম্যাকবুক প্রো। আপাত দৃষ্টিতে বড় পার্থক্য চোখে না পড়লেও এ দুটোর মাঝে বিশাল তফাত। একটু বাড়তি বাজেট দিয়ে, একটু ভালো ফিচারের এবং ক্ষমতা সম্পন্ন মডেলের এবং সিরিজের ম্যাকবুক কেনা উচিত।
ম্যাকবুক এয়ার এবং ম্যাকবুক প্রো এর মধ্য সব কিছু মিলিয়ে সবাই প্রো কেই এগিয়ে রাখেন। কারন এর ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন। Macbook Pro এর সি পি ইউ, জি পি ইউ, গ্রাফিক্স কার্ড অন্য সকল ডিভাইসের চাইতে কার্যকর, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। প্রয়োজন বোধে অনায়াসে আপনি বাড়তি র্যাম লাগাতে পারবেন, প্রসেসরেও পরিবর্তন আনতে পারবেন। এটা অবশ্যই একটা ভালো সুযোগ আমাদের জন্য। আপনার কাজের উপর নির্ভর করে আপনি র্যাম, রম, এস এস ডি সহ সব পরিবর্তন করে নিতে পারবেন একটু বাড়তি খরচ করে।
দাম এবং মডেলের যে ফারাক রয়েছে তা বোঝার জন্য অনলাইন সার্চ করে যাচাই করে নিতে পারেন। অঞ্চল ভেদে, কারেন্সি অনুযায়ী বাংলাদেশ এবং অন্যদেশের দামে এবং কিছু ফিচারে তারতম্য হতে পারে। ধরুন যদি আপনার বাজেট অনুযায়ী পছন্দসই Macbook Pro কিনতে না পারেন, আপনি কিছুদিন অপেক্ষা করে আকাংক্ষিত প্রো কিনতে পারেন। যেহেতু বেশ লম্বা সময়ের জন্য আপনি ডিভাইস ব্যবহার করতে চান আর ভালো পরিমানে অর্থ ব্যয় করছেন, সেহেতু ভেবে চিনতে পা ফেলবেন।
Macbook Pro এর সব কালার ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্ত্বের সাথে মানান সই। কালার হোক বা না হোক এই ডিভাইস কিন্তু নিজের স্পেসিফিকেশনের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করে না। নিজের লুকের সাথে পার্ফরমেন্সেও একদম উচ্চমানের।
আমরা সাধারণত ১৩-১৪ ইঞ্চির ছোট খাটো আপেলের ম্যাকবুক দেখতে পাই। তবে ইদানিং ম্যাকবুক প্রো এর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১৬ ইঞ্চি পর্যন্ত ডিস্পলের ম্যাকবুক পাওয়া যাচ্ছে। যারা বড় স্ক্রিনে কাজ করে স্বচ্ছন্দ বোধ করি, তাদের জন্য এটা বেশ ভালো সুযোগ। একই ফিচারে শুধু মাত্র ডিস্পলে সাইজের পার্থক্য হলে দামে কেমন পার্থক্য হবে?
যারা আপেল এর পণ্য নিয়মিত ব্যবহার করেন বা এই বিষয়ে জানেন, এই ডিভাইসগুলোর ব্যাটারি হেলথ বেশ ভালো। তবে রিসার্চ আর নানা পরীক্ষার পরে আপেল তার প্রো সিরিজের ল্যাপটপ এর সাথে যে ব্যাটারি দিচ্ছে তা প্রায় ২০ ঘন্টার মত। কেনার আগে অবশ্যই খেয়াল করে নিবেন, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কত, ফাস্ট চার্জিং ফ্যাসিলিটি আছে কিনা।
যদিও ম্যাকবুক গুলো সহজে বহন করা যায়, তবুও আপনার বহনের সুবিধার উপর নির্ভর করে আপনার প্রো বুক বেছে নিতে হবে। যেমন ১৪ ইঞ্চি মডেলের ম্যাক বুক প্রো প্রায় ১.৫ কেজি, যেখানে ২ ইঞ্চি বেশি হওয়ায় ১৬ ইঞ্চি ম্যাকবুকের ওজন হবে প্রায় ২.১ কেজির উপরে। আবার কিছুদিন আগেই আসা নতুন ১৩ ইঞ্চি মডেলের প্রো এর ওজন ১.৩৬ কেজি।
আপেলের ডিভাইস কিনতে যে কথা সবার আগে আসে সেটা হল দাম। অবশ্যই বাজেট অনেক বড় একটা বিষয়। ডিস্পলে সাইজ, চিপ, প্রসেসরের উপর নির্ভর করে এক এক মডেলের দাম নির্ধারন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ম্যাকবুক প্রো এর দাম শুরু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার থেকে যা সর্বচ্চো ৬ লাখের পর্যন্ত রয়েছে যদি আপনার বাজেট ওপর নির্ভর করে আপনার ডিভাইস কতটা শক্তিশালি হবে। আমি পরামর্শ দেব ম্যাকবুক প্রো নতুন M2 ভেরিয়েন্টি নেওয়ার জন্য, যেটি ৮ কোর সিপিউ, ১০ কোর জিপিউ সাথে প্রকাশ করা হয়েছে।
যেহেতু এ ধরনের ডিভাইস সহজে পরিবির্তনযোগ্য নয়, তাই কেনার আগে ভেবে চিনতে কিনতে হবে।
এছাড়া Macbook Pro কেনার আগে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আপনি মেইনটেইন করতে পারবেন কিনা। আগুন, পানি সহ সব কিছু থেকে দূরে রাখতে হবে। অতিরিক্ত সময় বা টানা ব্যবহার করা যাবে না। ব্যাটারির যত্ন নেয়া প্রয়োজন রয়েছে এর সাথে।
আপনি কি কাজে আপনার ম্যাকবুক ব্যবহার করতে চান? যদিও আপেলের সব ল্যাপটপ প্রায় সব ধরনের কাজের জন্য রেডি। তবু কেনার আগে, মাথায় রাখুন কি কাজে এটি ব্যবহার করবেন। সেই অনুসারে সি পি ইউ এবং জি পি ইউ, প্রসেসর, র্যাম-রম মিলিয়ে দেখুন কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে। ম্যাকবুক প্রো তে কালারেও ভিন্নতা থাকার দরুন অনেকে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দের সাথে মিল রেখে কালার চুজ করছেন। আগে আপনাকে জানা লাগবে কেন কিনবেন, বাজেট কত ইত্যাদি, সেই গুলো বুঝে কেনার সিধান্ত নেবেন।
আপেলের ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ক্যামেরা, ইউ এস বি পোর্ট সব কিছুই কিন্তু একদম টপ নচ। সাউন্ট সিস্টেম এর ক্ষেত্রেও দেখা যায় নতুন চমক। যদি আপনি যদি গেমিং স্ট্রিমিং করতে চান, তাহলে বাড়তি হেডফোনের প্রয়োজন হবে না। কোন কোন ক্ষেত্রে ৪ টি বা ৩ টি আলাদা মাইক্রোফোন বা স্পিকারের সুবিধা থাকায় মিটিং চলাকালে বা মুভি দেখার সময় অসুবিধা হবে না।
যদি গ্রাফিক্স রিলেটেড কাজ করেন সেই অনুসারে আপনারা কিন্তু গ্রাফিক্স কার্ড ও বেছে নিতে পারেন, যেমন দেখা গেল আপনার কাজের জন্য এম ১ প্রসেসর এর বদলে প্রসেসর এম ২ সহকারে গ্রাফিক্স কার্ড কিনলে আপনার জন্য বাড়তি সুবিধা হবে, তাহলে সেটি কিনবেন। দামের কিছু কম বেশি হলেও দীর্ঘদিন যেহেতু ব্যবহার করতে পারবেন।
Macbook Pro এর দাম নির্ভর করে প্রসেসর, র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড সহ সব কিছু মিলে। চাইলে ফিচারসহ দামের তুলনা করে দেখতে পারেন কেনার আগে। বাজেট, ফিচার, ডিস্পলে টাইপ, ব্যাটারি পাওয়ারসহ সব কিছু মাথায় রেখে কিনতে হবে। আশাকরি এ-ও পরামর্শগুলো ম্যাক বুক প্রো এর সেরা ল্যাপটপ কিনতে বা কেনার সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে।
-
সৌজন্যে: MC Solution BD
আমি রাকিব আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।