আইওএস ১১ কন্ট্রোল সেন্টার আপনাকে মিথ্যা বলে জাস্ট ব্যাটারি ড্রেইন করছে! কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ব্লুটুথ/ওয়াইফাই অফ করলে আসলে সেটা হয় না!

কাজের সময় অন এবং কাজ শেষে আপনার স্মার্টফোনের ব্লুটুথ/ওয়াইফাই অফ করে রাখা একটি কমন সেন্স বলতে পারেন, এতে অবশ্যই ব্যাটারি সেভিং করা সম্ভব হয়। ফোনের কন্ট্রোল সেন্টার উপর থেকে টেনে নিয়ে আসলেন, আর ব্লুটুথ/ওয়াইফাই আইকোনে চাপ দেওয়ার সাথে অন/অফ করতে পারবেন! কিন্তু অ্যাপেল নতুন অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১১ ব্যাপারটিকে একটু আলাদা করে দিয়েছে। হ্যাঁ, কন্ট্রোল সেন্টারে অপশন তো রয়েছে, কিন্তু সেটা আসলে কোন কাজেরই না! তাহলে আইওএস ১১ কন্ট্রোল সেন্টার কি মিথ্যা বলছে? কিভাবে আসলে ব্লুটুথ/ওয়াইফাই অফ করা যাবে? এই টিউনে এই বিষয়ের উপরই বিস্তারিত আলোচনা থাকছে...

আইওএস ১১ কন্ট্রোল সেন্টার মিথ্যা

হ্যাঁ, নতুন আইওএস ১১ এর কন্ট্রোল সেন্টার আপনাকে জাস্ট মিথ্যা বলছে। এখানে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অন/অফ করার অপশন তো রয়েছে, কিন্তু সেটা কাজ করে না। সাধারণত যখন ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অন থাকে, সর্বদা তাদের স্ট্যান্ডার্ডকে অনুসরণ করে কাজ করে। অর্থাৎ কিছু পিরিয়ড পরপর নতুন ডিভাইজ অনুসন্ধান করতে থাকে, চেনা ডিভাইজ গুলোকে নাগালের মধ্যে পেলে সেগুলোকে কানেক্ট করার চেষ্টা করে। যদি আপনি ওয়াইফাই/ব্লুটুথ সর্বদা অন করেই রেখে দেন, অবশ্যই এতে ব্যাটারি ড্রেইন হবে, সেটা আইওএস হোক আর যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমই হোক।

আইওএস ১১ এর কন্ট্রোল সেন্টারে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ করার জন্য ট্যাপ করলে সেখানে ইউজারকে দেখানো হয়, হ্যাঁ আপনার ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে এগুলো তারপরেও চলতে থাকে এবং এয়ারড্রপ, এয়ারপ্লে, অ্যাপেল ওয়াচ ইত্যাদি কানেক্টিভিটি বজায় রেখেই চলে।

এখন আপনি অবশ্যই বলবেন, এটা কেমন পাগলের মতো কাজ করেছে অ্যাপেল! কেন এরকমটা রাখলো তারা। তাদের অফিশিয়াল ডকুমেন্টেশন লিঙ্কে অ্যাপেল লিখেছে, কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ টগল করার মাধ্যমে আলাদা ওয়াইফাই/ব্লুটুথ আক্সাসিরিজ গুলো সাথে সাথে ডিস্কানেক্ট হয়ে যাবে, কিন্তু ওয়াইফাই/ব্লুটুথ তারপরেও এয়ারড্রপ, এয়ারপ্লে, অ্যাপেল ওয়াচ, লোকেশন সার্ভিস ইত্যাদি অ্যাক্সেস করতে পারবে। এখন হয়তো অ্যাপেল চাই তাদের ডিভাইজ এবং সার্ভিস গুলো অন্তত চালু থাকবে বা কাজ করবে, কিন্তু এর পেছনে আমি কোন যুক্তি খুঁজে পেলাম না।

ঠিক আছে, মেনে নিচ্ছি অ্যাপেল তাদের সার্ভিস এবং তাদের ডিভাইজ গুলোকে একটু আলাদা চোখে দেখতে চায়, কিন্তু এর মাধ্যমে অবশ্যই ফোনের ব্যাটারি ড্রেইন হবে যেটা কোন ইউজারেরই কাম্য নয়। তাছাড়া ফোন আপনাকে কিছু বলবেই না বা আলাদা নোটিফিকেশন প্রদান করবেই না। আপনি বুঝতেই পারবেন না কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ করার পরেও আপনার ডিভাইজ এখনো ওয়াইফাই/ব্লুটুথ সার্ভিস গুলোর সাথে কানেক্টেড রয়েছে।

তাহলে, প্রকৃতপক্ষে কিভাবে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ করবেন?

আমার কাছে এই ফিচার আজব মনে হলেও আপনার কাছে নতুন বা ইন্টারেস্টিং ফিচার মনে হতে পারে যদি আপনি অ্যাপেল প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। যাই হোক, ব্যাটারি ড্রেইন থেকে আপনার ডিভাইজকে রক্ষা করতে অবশ্যই ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ করা প্রয়োজনীয়! এখানে দেখুন কিভাবে করবেন; আপনাকে সেটিং এ যেতে হবে এবং সেটিং থেকে ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ টগল করে অন/অফ করতে হবে, এতে এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ হবে। আপনি চাইলে এরোপ্লেন মুড অন করেও এই কাজ করতে পারেন, কিন্তু এতে আপনার সেল নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ্য করা প্রয়োজনীয়, অ্যাপেল ডকুমেন্টেশন অনুসারে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ করার পরেও এটি লোকাল টাইম সকাল ৫ টায় আবার চালু হয়ে যাবে। যদিও অ্যাপেল পরিষ্কার করে এ ব্যাপারে কিছু বলেনি। যাই হোক, আপাতত কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ অফ করার কোন সুবিধা পাচ্ছেন না, আপনাকে সেটিং থেকেই এই কাজ করতে হবে!


এই টপিক নিয়ে বড় টেক সাইট সিনেট, লাইফ হ্যাকার ইত্যাদি সকলেই স্টোরি কভার করেছে, তাই ভাবলাম টেকটিউনস কেন এই স্টোরি কভার করবে না, তাই কুইক একটি টিউন করে আপনাদের বিষয়টি জানিয়ে দিলাম! তো আপনার কাছে কি মনে হয়, এটি সত্যিই কোন উপকারি ফিচার, নাকি অ্যাপেলের হেডফোন জ্যাক বাদ দেওয়ার মতো এটিও একটি পাগ্লামু সিদ্ধান্ত? নিচে আমাদের টিউমেন্ট করে আপনার মতামত প্রকাশ করুণ!

Level 6

আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস